সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে তিন বছরে ১৩ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে তিন বছরে ১৩ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে তিন বছরে ১৩ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

গত বছরের তুলনায় বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ আরও দুই ধাপ পিছিয়েছে। এই নিয়ে পরপর তিন বছরে সূচকে বাংলাদেশের ১৩ ধাপ অবনমন ঘটল। এই তিন বছরে ১৫২তম থেকে ১৬৫তম অবস্থানে নেমে গেল বাংলাদেশ।

সাম্প্রতিক সময়ে এই সূচকে বাংলাদেশের বড় অবনমন ঘটেছিল ২০২২ সালে। ওই বছর ২০২১ সালের তুলনায় ১০ ধাপ অবনমন হয়েছিল বাংলাদেশের। পরের দুই বছর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যথাক্রমে আরও এক ধাপ ও দুই ধাপে পেছায় বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৪ সালের হালনাগাদ সূচক প্রকাশ করেছে। এতে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম, স্কোর ২৭ দশমিক ৬৪। ২০২৩ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৩তম। স্কোর ছিল ৩৫ দশমিক ৩১।

এদিকে গতবারের মতো এবারও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এবার নরওয়ের পর রয়েছে ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও ফিনল্যান্ড। আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে যথাক্রমে আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া (১৮০তম), সিরিয়া (১৭৯তম), আফগানিস্তান (১৭৮তম), উত্তর কোরিয়া (১৭৭তম) ও ইরান (১৭৬তম)।

এদিকে এবারের সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারত দুই ধাপ অগ্রগতি হয়ে ১৫৯তম অবস্থানে আছে। আর দুই ধাপ অবনমন হয়ে পাকিস্তান আছে ১৫২তম অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ১৫০তম, মালদ্বীপ ১০৬তম, ভুটান ১৪৭তম ও নেপাল ৭৪তম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৫৫তম, রাশিয়ার ১৬২তম এবং চীনের অবস্থান ১৭২তম।

আরএসএফ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, তার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। রাজনীতি, সামাজিক, আইনি সুরক্ষা, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা- এ বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়। গত বছরের তুলনায় সামাজিক ও নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আছে আগের মতো। আর অন্য তিন ক্ষেত্রে অবনমন হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনায় আরএসএফ বলেছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাদের সংযোগ সামান্য। সংবাদ ও তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটভিত্তিক মাধ্যমগুলোর ভূমিকা বাড়ছে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাদেশ বেতার সরকারি প্রচার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত মালিকানায় ৩ হাজার প্রিন্ট মিডিয়া (দৈনিক ও সাময়িকী), ৩০টি রেডিও স্টেশন, ৩০টি টিভি চ্যানেল ও কয়েক শ নিউজ সাইট রয়েছে।

আলোচনায় আরএসএফ বলছে, ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা পছন্দ না হলেই সাংবাদিকদের ওপর সহিংস হামলা চালিয়ে আসছেন। কোনো সাংবাদিককে চুপ করিয়ে দিতে বা সংবাদমাধ্যমকে বন্ধ করতে বিচারিক হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদকরা এ ধরনের বৈরী পরিস্থিতিতে সরকারি ভাষ্যকে চ্যালেঞ্জ করে, এমন বিষয় সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে যান।

আলোচনায় আরএসএফ সাইবার নিরাপত্তা আইনেরও (সিএসএ) সমালোচনা করেছে। আরএসএফের মতে, বাংলাদেশে ব্যক্তিমালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমের বেশির ভাগই হয়েছে এ দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতির মধ্যে আত্মপ্রকাশ করা বড় ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। তারা নিজেদের সংবাদমাধ্যমকে দেখেন প্রচারণা, প্রভাব বিস্তার ও মুনাফা তৈরির একটি হাতিয়ার হিসেবে। এ ক্ষেত্রে তারা সম্পাদকীয় স্বাধীনতা বজায় রাখার চেয়ে সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর বেশি গুরুত্ব দেন।

ধোলাইখালে ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ধোলাইখালে ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিটের ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহাজান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে।

খাজা/সালমান/

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। আরও কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

তিনি জানান, ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক রয়েছে। সেখানে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। 

খাজা/সালমান/

সমুদ্রে কর্মরত নারীদের সম্মান জানানোর দিন আজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
সমুদ্রে কর্মরত নারীদের সম্মান জানানোর দিন আজ
প্রতীকী ছবি

সমুদ্র এলাকায় কর্মরত নারীদের কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে প্রতিবছর মে মাসের ১৮ তারিখ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর উইমেন ইন মেরিটাইম’ পালন করা হয়। ২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কর্তৃক প্রথম এই দিবসটি ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে প্রতিবছর ১৮ মে দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়। এই বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর মনোনিবেশ করবে। সেই সঙ্গে এই শিল্পে লিঙ্গভেদে পরিবর্তনশীল মনোভাব তুলে ধরবে।

দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সেফ হরাইজনস: উইমেন শেপিং দ্য ফিউচার অব মেরিটাইম সেফটি’। এই প্রতিপাদ্যটির মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতিতে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। তা সে নাবিক, সামুদ্রিক পেশাজীবী বা যেকোনো নেতৃত্বের ভূমিকায় হোক না কেন। 

শুক্রবার (১৭ মে) এ উপলক্ষে আইএমওর লন্ডনের হেডকোয়ার্টারে একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মেরিটাইম পেশাজীবী, নাবিক ও মেরিটাইম নেতারা। তারা অনুষ্ঠানে একজন নারীর দৃষ্টি দিয়ে সমুদ্রে নিরাপত্তার পুনর্বিন্যাস নিয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় সমুদ্রে নিরাপত্তার জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগুয়েজ বলেন, সবার কল্যাণের জন্য মেরিটাইমশিল্পে নারীশিক্ষা এবং পেশাগত উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন করা, নারীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনের দিকে ধাবিত করা এবং এ শিল্পে নারীদের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে সর্বদা সচেষ্ট। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের তথ্যের ভিত্তিতে সামগ্রিক সামুদ্রিক কর্মশক্তির মাত্র ২৯ শতাংশ নারী। যেখানে নারী নাবিকদের বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার অনুপাত ২ শতাংশেরও কম। 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো আইএমও জেন্ডার ইকুয়ালিটি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটি উইমেন ইন্টারন্যাশনাল শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সাইপ্রাসের ডেসপিনা প্যানাইওতোউ থিওডোসিউর কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা জাহাজের নিরাপত্তা ও জাহাজের দ্বারা সামুদ্রিক এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের জন্য দায়ী। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে সমর্থন করে।

আবারও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা, মাসের শেষে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
আবারও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা, মাসের শেষে বাড়তে পারে তাপমাত্রা
ছবি : খবরের কাগজ

আগামী সোমবার (২০ মে) থেকে দেশের অধিকাংশ বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থা চলতে পারে তিন-চার দিন। ফলে বিদায় নেবে তাপপ্রবাহ। আর মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা শুরু হলে তিন থেকে চার দিন থাকতে পারে। মাসের শেষ দিকে আবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। লঘুচাপ তৈরি হলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে। 

গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আবহাওয়ার ৪৪ স্টেশনের মধ্যে তিন স্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ১০ মিলিমিটার। যে কারণে এখানকার তাপমাত্রাও কম। অন্যদিকে অধিকাংশ স্টেশনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাবনার ইশ্বরদীতে। তুলনামূলক তাপমাত্রা কম ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের স্টেশনগুলোতে। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 

বেশি বৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ থাকার আশঙ্কায় হিট অ্যালার্ট গতকাল সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে। তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশের পূর্বাঞ্চল তথা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বজ্রবৃষ্টি শুরু হতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের পূর্বাংশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায়; রবিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ বিদায় নিতে পারে।

প্রসঙ্গত, এপ্রিলের টানা তাপপ্রবাহের পর মে মাসের শুরুতে বজ্রবৃষ্টিতে বিদায় নেয় তাপপ্রবাহ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার তাপমাত্রা বেড়ে দেশের অধিকাংশ জেলায় বিরাজ করে তাপপ্রবাহ। তবে এবার তাপপ্রবাহ তীব্র হয়নি। মাঝারিতে সীমাবদ্ধ ছিল।

যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধদের ফেরত নেবে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৪৫ এএম
যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধদের ফেরত নেবে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ প্রবাসীদের ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। লন্ডনে ব্রিটিশ হোম অফিসে স্বরাষ্ট্রবিষয়ক প্রথম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়। 

শুক্রবার (১৭ মে) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক আয়োজন করে। বৈঠকে এসওপি সই হয়। অবৈধ অভিবাসনবিরোধী ব্রিটিশ মন্ত্রী জেমস টমলিনসন মাইনরস কেসি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জেডব্লিউজি বৈঠকের উদ্বোধন করেন। 

অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সহযোগিতায় লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্দিষ্টসংখ্যক অনথিভুক্ত বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। এর ফলে এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা কম।’ 

এসওপিতে স্বাক্ষর ছাড়াও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে দক্ষ ও উচ্চ মেধাবী জনবল নেওয়াসহ সুশৃঙ্খল অভিবাসনের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, প্রত্যর্পণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করেছে।  

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবির মেনন ও যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের মহাপরিচালক বাস জাভিদ নেতৃত্ব দেন। 

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি এবং লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।