ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

শুল্ক-ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব বাজারে

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম
শুল্ক-ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব বাজারে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বিশ্ব ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে গিয়ে সরকার গত বৃহস্পতিবার প্রায় ১০০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে। আগে বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ আরোপ করা হলেও তা ১৫ শতাংশে ঠেকেছে। সম্প্রতি শিল্পে গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা বাড়িয়ে দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। এর প্রভাব বাজারে পড়তে শুরু করেছে। যেসব পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হয়নি বা ভ্যাট বাড়ানো হয়নি, তারপরও দাম বেড়ে গেছে। মুরগির কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সবজির দামও একটু চড়ে গেছে। চালও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। 

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ‘কয়েক দিন ধরে গোড়াতে দাম বাড়ছে। এ জন্য আমাদেরও বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন সরকারের কাছে দাম কমার আশা করা হলেও উল্টো চিত্র দেখা গেছে।’ গতকাল সোমবার রাজধানীর হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি আলু বিক্রি হয়েছে। গতকাল তা ৪০ টাকা হয়ে গেছে। পেঁয়াজের দামও ৫০ টাকা টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, ‘আড়তে বেড়েছে দাম। এ জন্য আমাদেরও বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ লোকসান করে ব্যবসা করা যায় না।’ হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা একরাম হোসেনসহ অন্য বিক্রেতারা বলেন, ‘আগের চেয়ে গত শুক্রবার থেকে আড়তেই বিভিন্ন পণ্যে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এ জন্য বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি।’ কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা সবুর হোসেন বলেন, পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, ৩০ থেকে আলু ৪০ টাকা হয়েছে। তবে আগের মতোই দেশি আদার কেজি ১২০-১৩০ টাকা, আমদানি করাটা ২৪০-২৫০ টাকা ও রসুন ২২০-২৪০ টাকা। 

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের সবজি বিক্রেতা কালু ব্যাপারীসহ অন্য সবজি বিক্রেতারা বলেন, বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে বড় গোলটা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। ৩০ থেকে ৫০ টাকার শিমের দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। কাঁচা মরিচের দামও ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। 

খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই শসার ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপির পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটোর কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, লাউ, চালকুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। লালশাক, পালংশাক, কলমিশাকও ১০ টাকা আঁটি বিক্রি হতে দেখা যায়। 

বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই ছোলা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, মুগ ডাল ১৮০ টাকা কেজি, মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা, ২ কেজি ওজনের প্যাকেট আটা ১০০-১৩০ টাকা, খোলা আটা এক কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ টাকা, চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

বেড়েছে মুরগির দাম
বৃহস্পতিবার সরকার শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর ঘোষণা এবং পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করায় মুরগির দামও বেড়ে গেছে। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘আমরা কিছু লাভ করে বিক্রি করি। দাম বাড়লে ভোক্তাদের বাড়তি টাকা গুনতে হয়। এতে আমাদেরও খারাপ লাগে। কিন্তু করার কিছু নেই।’ হাতিরপুল বাজারের সবুজ পোলট্রি ফার্মের আবুল বাসার অন্য খুচরা বিক্রেতারা খবরের কাগজকে বলেন, ‘শুক্রবার থেকে মুরগির দাম বেড়েছে। আর কমে না। এ জন্য আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

ব্রয়লার ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি। দেশি মুরগির দামও বেড়ে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি হয়েছে।’ এ সময় কলিমুদ্দিন নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নতুন সরকারের কাছে দাম কমার আশা করা হলেও উল্টো চিত্র দেখা গেছে। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। তা না হলে খাব কী?’ তবে আগের মতোই গরুর মংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০-১ হাজার ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা কমেছে। বিভিন্ন বাজারে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

বাড়তি দামে চাল বিক্রি
খেত থেকে ধান উঠে গেলেও কমেনি চালের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, রাইস মিল থেকে দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমছে না। আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতারা বলেন, ‘মিনিকেট ৭২-৮০ টাকা, আটাশ চাল ৬২-৬৪ টাকা ও মোটা চালের দাম ৫৪-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক

গাজীপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৮ ফেব্রয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

ইতোমধ্যে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছে নেতা-কর্মীরা।

এর আগে আজ ভোর চারটার দিকে তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ওই পোস্টে বলা হয়, ‘গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী মোজাম্মেল-জাহাঙ্গীরের চাপাতিবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সারাদেশের আপামর ছাত্রজনতা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।’

অমিয়/

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই: ফারুক ই আজম

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫২ এএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই: ফারুক ই আজম
ছবি : খবরের কাগজ

ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল এক ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই। যেখানে তরুণরা স্বৈরাচারী দমননীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি তোলে। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইউনিটি চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে দুই দিনব্যাপী আর্ট এক্সিবিশন 'দ্যা আর্ট অব ডেমোক্রেসি, ইউনিটিতে- জার্নি অব ইউনিটি' শুরু হয়। আর্ট এক্সিবিশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

ফারুক ই আজম বলেন, 'জুলাই বিপ্লবে ইতিহাস ধরে রাখার তরুণদের এমন উদ্দ্যেগ যেন পুর্নতা পায়। ইতোমধ্যে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। আহতদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। অনেককে বিদেশে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারটা যেন তাড়াতাড়ি হয়। আমরা আশাবাদী। আর বৈষম্য করা যাবে না। পুরো রাষ্ট্রকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।'

মঞ্চে উঠে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পক্ষ থেকে ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চিরকালীন প্রচেষ্টার বিষয়টি।

তিনি বলেন, '৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ; সব সংগ্রামই বৈষম্যের বিরুদ্ধে। জুলাই বিপ্লব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দ্বারা সৃষ্টি হলেও এটি মুলত ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই। আর সেই বিপ্লবের ইতিহাস ধারণ করে এখন চলবে বিস্মৃতির বিরুদ্ধে স্মৃতির লড়াই। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয়কে কোনোভাবেই নস্যাৎ করতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে, এবং আমরা এই ঐক্য ধরে রাখব।' 

‘দ্যা আর্ট অফ ডেমোক্রেসি, ইউনিটিতে- জার্নি অব ইউনিটি’ প্রকল্পের পরিচালক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, 'রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও ইতিহাস ধরে রাখার গুচ্ছ প্রয়াস ‘দ্যা আর্ট অফ ডেমোক্রেসি, ইউনিটিতে জার্নি অব ইউনিটি’। বছর জুড়ে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে চিত্রপ্রদর্শনী, তথ্যচিত্র নির্মাণ, আর্কাইভ বুক, ডাটাবেইজ ওয়েবসাইট থাকছে এ প্রকল্পে। 

প্রকল্পের উপদেষ্টা ওয়াহিদ জামান জানান, জুলাই বিপ্লবের ইতিহাসকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দিতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে ডকুমেন্টারি নির্মাণ, আর্কাইভ বুক, ম্যাগাজিন প্রকাশের উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়েছে। মুলত আজকে জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের চিত্রপ্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে পুরো প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়েছে।

‘ঐক্যের গণজোয়ারে আবারও এক হই' এই স্লোগানে শুরু হওয়া প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর আগত অতিথি ও দর্শনার্থীরা শিল্পকলার আর্ট গ্যালারি দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় প্রদর্শনীস্থল ঘুরে দেখেন। ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৬০টি ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। 

এর আগে জুলাই বিপ্লবের ইতিহাসভিত্তিক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীতে গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের ছবি, আন্দোলনকারীদের স্মৃতিচারণ এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলনের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রদর্শনীটি শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন চলবে।

জোবাইদা/

সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ এএম
সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক রাষ্ট্র সংস্কারে গঠন করা হয় ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে আজ।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হবে।‌ এ তারিখ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।

একইসঙ্গে কমিশনের প্রধানরা পরবর্তী আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বা ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার কী করতে পারে- সেটির সর্বসম্মত সুপারিশমালা পেশ করবেন।

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দেন। এসব কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

গত ১৫ জানুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই চারটি এবং গত বুধবার জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করে।

অমিয়/

এখনো বিছানায় জুয়েল, দিশেহারা কৃষক বাবা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১২ এএম
এখনো বিছানায় জুয়েল, দিশেহারা কৃষক বাবা
জুয়েল রানা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেটে গুলিবিদ্ধ হন জুয়েল রানা। একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও এখনো তিনি বিছানায়। তার দরকার উন্নত চিকিৎসা। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটানো আর সম্ভব হচ্ছে না। জুয়েলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন দিশেহারা তার কৃষক বাবা আব্দুল জব্বার শেখ।

জুয়েল রানা (২৮) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই ঢাকার বিজয় সরণি এলাকায় মিছিলে ছিলাম। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। হঠাৎ আমার পেটে গুলি বিদ্ধ হয়। সহযোদ্ধারা আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আমার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হতে পারিনি। আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।’

চিকিৎসাধীন মো. জুয়েল রানা আরও বলেন, ‘আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকার দেখতে চাই না। আমরা চাই বৈষম্যবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক ও সঠিক একটি সরকারব্যবস্থা।’ 

জুয়েল রানার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। তিনি সরকারি ভোলা কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সহসভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সদস্যও তিনি। তার স্ত্রীর নাম মুনিয়া আক্তার (২৪)। বাবা আব্দুল জব্বার শেখ কৃষিকাজ করেন। মা তাছলিমা বেগম গৃহিণী।

মুনিয়া বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েও অলৌকিকভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিছানায়। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন নিয়মিত থেরাপি নিতে জেলা হাসপাতালে যেতে হয়। তার দরকার উন্নত চিকিৎসা। এ জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।’

মুনিয়া আক্তার জানান, জুয়েলসহ তিনি গ্রামে পরিবারের সঙ্গেই বসবাস করেন। পরিবারে বাবা-মা ছাড়াও এক ভাই ও এক বোন রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের অর্থসংকট ঘুচাতে জুয়েল ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। 

তিনি আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাড়া দিয়ে তিনি ১৯ জুলাই ঢাকার বিজয় সরণি এলাকায় মিছিলে অংশ নেন। এ সময়ে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় রানাকে একাধিক ছাত্ররা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানেই তার শরীরে সফল অস্ত্রোপচার হয়। 

এরপর তার পেটে আবার দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করা হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার শরীরের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে তাকে শ্রীপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু গত ১১ আগস্ট শরীরের অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে তাকে আবার ভর্তি করা হয়। এখনো তার চিকিৎসা চলছে। 

মুনিয়া বলেন, ‘একদিকে চিকিৎসার খরচ, অন্যদিকে সংসার। রানার যেটুকু আয় রোজগার ছিল তাও বন্ধ। ফলে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সুচিকিৎসাও হচ্ছে না। পুরো পরিবার এখন দিশেহারা অবস্থায় আছে।’ 

এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘মো. জুয়েল রানা একজন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন।’ 

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেটে গুলিবিদ্ধ জুয়েল রানার প্রয়োজন সুচিকিৎসা।’ 

তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে জুয়েল রানার সুচিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী সুচিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সাহায্য, সহযোগিতা করা হচ্ছে। শহিদ পরিবারগুলোর খোঁজ-খবরও নেওয়া হচ্ছে।’ সূত্র : বাসস

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার উন্নতি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ এএম
বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার উন্নতি
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে সারা বিশ্বের মধ্যে দূষিত বাতাসের শহরে আজ পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসকে ১৭৬ একিউআই স্কোর দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

তাই ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ২১১ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন ১৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং সেনেগালের ডাকার ১৮২ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/