![বল প্রস্তুতকারককে বদলানোর পরামর্শ গম্ভীরের](uploads/2024/04/17/1713336869.Gautam-Fambhir.jpg)
একের পর এক হাইস্কোরিং ম্যাচে আগের সকল আসরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার (আইপিএল) লিগের এবারের আসর। প্রায় তিনশো ছুঁইছুঁই দলীয় সংগ্রহ হয়েছে তিনবার আর আড়াইশো রান পার হয়েছে চারবার। এমনিতেই টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা তবে এবারের আসরে বোলাররা একবিন্দুও পাত্তা পাচ্ছেন না ব্যাটারদের কাছে।
এমন অবস্থায় আইপিএলের মাঝপথে বোলারদের সুবিধার্থে ও খেলায় ভারসাম্য ফেরাতে বল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বদলানোর পরামর্শ দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরামর্শক ও তাদের সাবেক অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। মূলত এই পরামর্শের কারণ হলো, ডিউক বলের ব্যবহার চালু করা। এই বলের সিম পজিশনের কারণে পেস বোলাররা বিশেষ সহায়তা পায়।
চলমান আইপিলে ব্যাটারদের কাছে বেধড়ক মার খাওয়ায় বোলারদের সুবিধার্থে পডকাস্ট ১৮০ নট আউটের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এমন পরামর্শ দেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন একচেটিয়াভাবে কোকাবুরা বল ব্যবহার নিয়েও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতের এই সাবেক ব্যাটার বলেন, ‘৫০ ওভার টিকবে এমন বল যদি প্রস্তুতকারক তৈরি করতে না পারে তাহলে তাকে বদলাতে হবে। বলের কারিগর পরিবর্তনে কোনো ভুল নেই। শুধুমাত্র কোকাবুরা বল ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা কী?‘
এই বিতর্কে যোগ দিয়ে গম্ভীরের সুরে কথা বলেছেন ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেও। তিনিও বোলারদের সুবিধা দিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডিউক বল ব্যবহারের পক্ষে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করে ব্যাটিং ও বোলিং দুইদিকেই ভারসাম্য বজায় রাখতে জোর দিয়েছেন ডিউক বল ব্যবহারে। বিশেষ করে পিচ যখন বোলারদের অনুকূলে নেই।
‘আমি এটা আবারও বলব। ব্যাট এবং পিচগুলো সাহায্য করছে না এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আরও বেশি ভারসাম্য দরকার, বল বাতাসে আরও বেশি কাজ করতে হবে। ডিউক বল, আরও সুস্পষ্ট সীমসহ একটি বল। যা আরও সুইং নিশ্চিত করে আর সহজে ব্যাটারদের মারার সুযোগ দেয় না।’
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতও শুনতে চেয়েছেন তিনি।
চলমান আইপিএলে বোলাররা তুমুল চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যাটারদের আধিপত্যের কারণে তারা রয়েছেন অভূতপূর্ব চাপে। তাদের কোনো বোলিং কৌশলই টিকছে না। তাদের অনুকূলে নেই পিচও। অনায়াসে দুশো রান ছাড়িয়ে তিনশোর কাছাকাছিও চলে যাচ্ছে দলীয় স্কোর।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ব্যাটিং ও বোলিং দুইদিকেই ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে বোলারদের সুবিধা দিতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা অনেক ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।