![এবার আর হোঁচট খায়নি পাকিস্তান](uploads/2024/06/12/pakistankk-1718130631.jpg)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। যদিও টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার খেলা, তবে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম একেবারেই ব্যতিক্রম। এই মাঠে খেলা মানেই লো-স্কোরিং ম্যাচ, এ যেন চিয়ারত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) পাকিস্তান ও কানাডার মধ্যকার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচেও তাই হয়েছে। তবে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচের মতো এবার আর সমর্থকদের হতাশ করেননি বাবর আজমরা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় স্বস্তির এক জয় তুলে নিয়েছে দলটি। যে জয়ে সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন কিছুটা হলেও জিইয়ে থাকল তাদের।
কানাডার দেওয়া ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। যদিও এ জন্য ১৭.৩ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে তাদের। বোলিং সহায়ক উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটি দলটির কাজ সহজ করেছে। দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন রিজওয়ান। ৩৩ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ঠিক ৩৩ রানে বিদায় নেন বাবর। এরপর ফখর জামানের সঙ্গে ২১ রানের জুটিতে জয়ের কাজটা সহজ করেন। জয় থেকে ৩ রান দূরে থাকতে ফখর (৬ বলে ৪) ফিরে যান। তবে কানাডার ওই মূহূর্তে উইকেট উদযাপন ম্যাচে কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি। ৫৩ রানে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রান করেন রিজওয়ান। কানাডার পক্ষে ডিলন হেইলিগার সর্বাধিক ২ উইকেট নেন।
এর আগে পাকিস্তানের জয়ের মঞ্চটা তৈরি দেন বোলাররা। দলটির পেসারদের তোপ সামলে উঠতে পারেননি কানাডার ব্যাটাররা। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল অ্যারন জনসন। অন্যদের আসা যাওয়ার মিছিলে ৪৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। জনসন ছাড়া আর দুই অঙ্কের স্কোর করতে পেরেছেন কেবল অধিনায়ক সাদ বিন জাফর (১০) ও কালিম সানা ( অপরাজিত ১৩)। এতেই ৭ উইকেটে ১০৬ রানের পুঁজি পেয়েছিল কানাডা।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আমির।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারে হেরে আসর শুরু করা পাকিস্তান নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যায় ভারতের বিপক্ষে। তিন ম্যাচে প্রথম জয় পেল তারা। সমান ম্যাচে কানাডার এটি দ্বিতীয় হার। ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই ম্যাচে জয়শূন্য আয়ারল্যান্ড আছে সবার তলানিতে।