![যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রিক এয়ার ট্যাক্সি](uploads/2023/11/24/1700805738.f5.jpg)
ট্রাফিক জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে না থেকে যদি মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যায় সেই গন্তব্যে। সেই ভাবনা থেকেই জোবি এভিয়েশন নামে যুক্তরাষ্ট্রের এক এয়ারক্রাফট কোম্পানি তৈরি করেছে বিশেষ এয়ার ট্যাক্সি। ড্রোনের মতো দেখতে এয়ার ট্যাক্সি যানবাহনের জগতে নতুন একটি সংযোজন।
এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে প্রথমবারের মতো এই ইলেকট্রিক এয়ার ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন জোবি এভিয়েশনের বিশেষ এই ট্যাক্সিতে চারটি ও ছয়টি সিট রয়েছে। এয়ার ট্যাক্সি প্রতি ঘণ্টায় ২০০ মাইল গতিতে উড়বে। গন্তব্যে পৌঁছাতে পোহাতে হবে না ট্রাফিক জ্যামের ঝামেলা। সড়ক পথে ম্যানহাটন থেকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩৫ মিনিট। কিন্তু জোবি এভিয়েশনের বিশেষ এই ট্যাক্সিতে সময় লাগবে মাত্র ৭ মিনিট।
ব্যাটারিচালিত এয়ার ট্যাক্সিটি পুরোপুরি চার্জ হতে সময় লাগে মাত্র ৫ মিনিট। জ্বালানি সাশ্রয় ট্যাক্সিটি এমনভাবে ডিজাইন করা যে, কোনো শব্দ হবে না। তাই দ্রুতগতিতে চললেও হবে না কোনো দূষণ। এই প্রযুক্তি নির্মাণে জোবি এভিয়েশনকে সাহায্য করেছে ডেলটা এয়ারলাইনস। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পাঁচ ধাপ যাচাইকরণ পদ্ধতির তিনটি ধাপেই সফল উতরে গিয়েছে জোবির এয়ার ট্যাক্সি। অপেক্ষা আর দুই ধাপ পার করার।
জোবি এভিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জোবেন বিভার্ট বলেন, নিউইয়র্কের যানবাহন খাতকে একটি অনন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই আমরা। এরই মধ্যে এফএ-এর পরীক্ষায় তিনটি ধাপ উত্তীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রযুক্তি। আর দুই ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করতে পারলেই সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে নতুন প্রযুক্তির এই এয়ার ট্যাক্সি।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৫ সালে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করবে জোবি এভিয়েশন। কাঙ্ক্ষিত সাড়া পেলে ভবিষ্যতে সারা বিশ্বেই সেবা দিতে চায় কোম্পানিটি।
এ.জে/ জাহ্নবী