![শখের গাড়ি ভালো রাখতে সহজ উপায়](uploads/2023/12/29/1703831517.atu-jabe-56.jpg)
গতিশীল জীবনে বর্তমানে গাড়ি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তাই গাড়ি যত্নের সঙ্গে চালানো উচিত। ব্যস্ত থাকলেও গাড়ি চলমান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ উপেক্ষা করা উচিত না। গাড়ি নতুন বা পুরোনো যথাযথ যত্ন নিতে হবে। জেনে রুখুনশখের গাড়ি ভাল রাখার উপায়-
নিয়মিতভাবে গাড়ি পরিষ্কার: প্রতি ছয় মাসে একবার গাড়ির পেইন্ট কাজ করতে পারেন। গাড়ির আন্ডারকারেজ থেকে রাস্তার লবণের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে নিয়মিত ওয়াশ ও মোম করতে পারেন।
অর্থ বাঁচাতে চাইলে নিজেই করতে পারেন। নিয়মিত গাড়ির যত্ন করলে বিক্রির সময় ভালো দাম পাওয়া যায়।
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ: সব গাড়িই চালানোর ওপর ভিত্তি করে রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। বেশির ভাগ গাড়ির প্রতি ৫ হাজার মাইল বা ছয় মাস অন্তর রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়।
তবে কিছু গাড়ি আরও বেশি সময় পরও রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। গাড়ির তরল পদার্থের মাত্রাও পরীক্ষা করে কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করতে হবে। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও তেল পরিবর্তনসহ নানা বিষয় নিজেও শিখে নিতে পারেন।
মানসম্মত পাম্প থেকে জ্বালানি ভরা: গাড়ির ইঞ্জিনকে সচল রাখতে জ্বালানি অপরিহার্য। তাই গাড়িতে জ্বালানি নেওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসম্মত পাম্প থেকে জ্বালানি নেওয়া।
ভালো মানের পাম্প থেকে জ্বালানি নিলে গাড়ির ইঞ্জিন ভালো থাকে। যেসব পাম্পে জ্বালানি ফিল্টার করা হয় ও নিয়মিত ফিল্টার পরিবর্তন করা হয়।
এতে জ্বালানিতে কোনো নোংরা বা বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। গাড়িতে জ্বালানি নেওয়ার আগে পাম্পের পরিবেশ ভালো কি না তা দেখে নিন।
পাম্পের ট্যাংকারে জ্বালানি পরিষ্কার আছে কি না তা দেখে নিন। যদি ট্যাংকার থেকে পাম্পে জ্বালানি ভরা হচ্ছে, তাহলে সেদিন জ্বালানি নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গাড়ি ছায়ায় পার্ক করার গুরুত্ব: গাড়ি ছায়ায় পার্ক করলে সূর্যের তাপে গাড়ির পেইন্ট ও রং ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ছায়ায় পার্ক করলে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি গাড়ির পেইন্টে পৌঁছাতে পারে না।
ফলে গাড়ির পেইন্ট উজ্জ্বল ও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। সূর্যের তাপে গাড়ির ভেতরের প্লাস্টিক ও রাবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গাড়ি ছায়ায় থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা কম থাকে।
ফলে গাড়ির ভেতরের প্লাস্টিক ও রাবার ভালো থাকে। গাড়ির ব্যাটারির ক্ষতি রোধে ছায়ায় পার্ক ভালো। গাড়ি ছায়ায় পার্ক করার সময় অবশ্যই গাড়ির দরজা ও জানালা বন্ধ রাখুন।
এতে সূর্যের তাপ গাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি গাড়ি ছায়ায় পার্ক করার কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে গাড়িকে কাভার দিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি গাড়ির পেইন্টে পৌঁছাতে পারবে না।
গাড়ির ব্যাটারি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: গাড়ির ব্যাটারি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়বে। ব্যাটারির কোনো সমস্যা শনাক্ত করতে ও মেরামত করতে ব্যাটারি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
এতে ব্যাটারির সম্ভাব্য সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়। কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিতে পারবেন। ব্যাটারির নোংরা কেস বিদ্যুৎ পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যাটারি পোস্ট বা টার্মিনাল পরিষ্কার রাখুন। পোস্ট বা টার্মিনালগুলোতে মরচে বা ক্রাস্ট জমা হলে তা বিদ্যুৎ পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ব্যাটারি পোস্ট বা টার্মিনাল পরিষ্কার করার জন্য একটি ব্রাশ বা ছুরি ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যাটারির তরল পদার্থের মাত্রা সবসময় সঠিক রাখুন। গাড়ির ম্যানুয়াল অনুযায়ী ব্যাটারি নিয়মিত পর্যবেক্ষণের সময়সূচি নির্ধারণ করুন।
ইঞ্জিন পরিষ্কার: ইঞ্জিনের কার্যকারিতা বাড়ায় ইঞ্জিন পরিষ্কারে গুরুত্ব দিন। পরিষ্কার ইঞ্জিন নোংরা ইঞ্জিনের তুলনায় কম উত্তপ্ত হয়। এতে ইঞ্জিনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হয়।
নোংরা ইঞ্জিনে গ্রিজ, ময়লা এবং ধুলো জমে থাকে। এগুলো ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ঘর্ষণ সৃষ্টি করে এবং ইঞ্জিনের ক্ষতি করতে পারে। পরিষ্কার ইঞ্জিনে এই সমস্যার সম্ভাবনা কম থাকে।
পরিষ্কার ইঞ্জিন বিভিন্ন অংশের মধ্যে ঘর্ষণ কমিয়ে ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়িতা বাড়ায়। ইঞ্জিন পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই এটিকে ঠাণ্ডা করে নিন। গরম ইঞ্জিন থেকে পানি বা ডিটারজেন্ট ছিটকে পড়লে ক্ষতি হতে পারে।
ইঞ্জিন থেকে পানি বা তেল সরিয়ে ফেলুন। এটি করার জন্য আপনি একটি ওয়াশিং সেট ব্যবহার করতে পারেন। ইঞ্জিনকে ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
ডিটারজেন্ট হিসেবে ডিশওয়াশিং লিকুইড বা অন্যান্য ভালো গ্রিস-কাটিং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
কলি