![বিশ্ব অটোমোবাইল দিবস](uploads/2024/02/02/1706854375.b1.jpg)
২৯ জানুয়ারি ছিল বিশ্ব অটোমোবাইল দিবস। মোটর গাড়িশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে এই দিনটি উদযাপন করে। তবে বাংলাদেশে এই দিবস উদযাপন করা হয় না বললেই চলে। পৃথিবীর প্রথম পেট্রোলচালিত গাড়ি এদিনে রাস্তায় চলেছিল। এই দিনটি অটোমোবাইলের উদ্ভাবনকে স্মরণ ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে উদযাপন করা হয়। গাড়ির আবিষ্কার একটি অসাধারণ ঘটনা ছিল, যা জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করেছে।
বাংলাদেশে বিশ্ব অটোমোবাইল দিবস এখন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে পালিত হয় না। সম্প্রতি কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব অটোমোবাইল দিবস পালন করা হয়েছে।
বিশ্বের প্রথম পেট্রোলচালিত গাড়ি হিসেবে পরিচিত বেঞ্জ পেটেন্ট মোটরওয়াগন গাড়িটির জন্ম ১৮৮৬ সালে। এই গাড়িটির আবিষ্কারক ছিলেন জার্মান নাগরিক কার্ল বেঞ্জ। তিনি এই গাড়িটির জন্য ২৯ জানুয়ারি ১৮৮৬ সালে প্যাটেন্ট আবেদন করেন। তাই এই দিনকে বিশ্ব অটোমোবাইল দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এটির নিবন্ধিত প্যাটেন্ট নম্বর হচ্ছে ৩৭৪৩৫। এই গাড়িটি দেখতে তিন চাকার রিকশার ডিজাইনের। এতে এক সিলিন্ডার-বিশিষ্ট ইঞ্জিন ছিল। গাড়িটি সর্বোচ্চ প্রতি ঘণ্টায় ১০ মাইল বা ১৬ কিলোমিটার গতিতে চলত। এতে সেই সময়ের অনেক উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এর আগে অনেকবার গাড়ি উদ্ভাবনের চেষ্টা করা হয়েছে। বেঞ্জের স্ত্রী বার্থা বেঞ্জ এই গাড়িটি প্রথম চালিয়েছিলেন। তিনিই বিশ্বের প্রথম নারীচালক হিসেবে পরিচিত। বেঞ্জের আবিষ্কারটি বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করেছে। অটোমোবাইল মানুষের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও গতিশীল করে তুলেছে।
এই দিনটিতে কিছু কিছু দেশে অটোমোবাইল প্রদর্শনী, নানা ধরনের প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে, কিছু দেশ এই দিনে অটোমোবাইলের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন চালিয়ে থাকে।
কার্ল বেঞ্জের উদ্ভাবিত গাড়ি সারা বিশ্বে প্রথম তেলচালিত গাড়ি হিসেবে গণ্য করা হয়। গাড়িটি ‘হর্সলেস ক্যারেজ’ বা ঘোড়াবিহীন গাড়ি নামে পরিচিত ছিল। কার্ল বেঞ্জ বেশকিছু অটোমোবাইলের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। এগুলোর জন্য তিনি ১৮৮৬ সালে জার্মানিতে প্যাটেন্ট লাভ করেছেন।
প্রথম গাড়ির প্যাটেন্ট থেকে মাত্র ১৩৮ বছরে চালকবিহীন গাড়ি ও উড়তে সক্ষম গাড়ি তৈরি করেছে মানুষ। কিছু বছরের মধ্যেই উড়তে সক্ষম গাড়ি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হবে। এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রোটোটাইপও তৈরি করা হয়েছে। এই ধারণাটি আমাদের কাছে আর অবাক করে না। পুরোনো গাড়ির আবিষ্কারের যাত্রা আজকের উৎকর্ষের পথ প্রশস্ত করেছে।
জার্মানির বিএমডব্লিউ জাদুঘর বিশেষভাবে বিশ্ব অটোমোবাইল দিবস উদযাপন করেছে। মিউনিখ শহরের অলিম্পিয়া পার্কে পাঁচ হাজার বর্গমিটার এলাকা নিয়ে এ জাদুঘরের অবস্থান। এতে দীর্ঘসময়ের ব্যবধানে নামি এ মোটর গাড়ি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পরিবর্তনকে ধরে রাখা হয়েছে। অটো ওয়ার্ল্ড জার্নাল জানিয়েছে, আগামী বছর থেকে এই দিনটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উৎসবের সঙ্গে পালন করবে। এজন্য দুবাইকে ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এই উৎসবটি ২০২৫ সালের ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
জাহ্নবী