জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি বরাবর একটি পাঁচ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ করেন আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬ ব্যাচের এক ছাত্রী।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম চন্দন সমাদ্দর সোম হিমাদ্রী। তিনি সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার’-এর (অডিটোরিয়াম) সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর বলেন, ‘গতকাল বিকেলে ওই ছাত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেটি পড়ে বুঝেছি ওই দুজনের একটা সময় সম্পর্ক ছিল। অভিযোগপত্রে ছেলেটি কয়েকবার মেয়েটিকে মারধর করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি একটি নারী নির্যাতন ইস্যু। ইতোমধ্যে দুজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে, রেজিস্ট্রারকেও অবহিত করেছি।’
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অভিযুক্ত হিমাদ্রী এবং ভুক্তভোগীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক থাকাকালে হিমাদ্রী বিভিন্ন বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হলে ভুক্তভোগীর গায়ে প্রায়ই হাত তুলতেন। এমনকি হিমাদ্রীর চড় খেয়ে ওই নারীর কানের পর্দা ফেটে গেছে এবং তার শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে জানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি সম্পর্কের বিচ্ছেদ চাওয়ায় ওই ছাত্রীর চরিত্র নিয়েও কুৎসা রটানো হয়েছে এবং নানাভাবে মানসিক নিপীড়ন করেছেন চন্দন সমাদ্দর সোম হিমাদ্রী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিমাদ্রী বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি আমি দেখিনি এবং প্রশাসন থেকে এখনো আমাকে কিছু জানানো হয়নি। সেহেতু আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’