জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ
ছবি : সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি বরাবর একটি পাঁচ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ করেন আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬ ব্যাচের এক ছাত্রী।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম চন্দন সমাদ্দর সোম হিমাদ্রী। তিনি সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার’-এর (অডিটোরিয়াম) সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর বলেন, ‘গতকাল বিকেলে ওই ছাত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেটি পড়ে বুঝেছি ওই দুজনের একটা সময় সম্পর্ক ছিল। অভিযোগপত্রে ছেলেটি কয়েকবার মেয়েটিকে মারধর করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি একটি নারী নির্যাতন ইস্যু। ইতোমধ্যে দুজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে, রেজিস্ট্রারকেও অবহিত করেছি।’

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অভিযুক্ত হিমাদ্রী এবং ভুক্তভোগীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক থাকাকালে হিমাদ্রী বিভিন্ন বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হলে ভুক্তভোগীর গায়ে প্রায়ই হাত তুলতেন। এমনকি হিমাদ্রীর চড় খেয়ে ওই নারীর কানের পর্দা ফেটে গেছে এবং তার শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে জানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি সম্পর্কের বিচ্ছেদ চাওয়ায় ওই ছাত্রীর চরিত্র নিয়েও কুৎসা রটানো হয়েছে এবং নানাভাবে মানসিক নিপীড়ন করেছেন চন্দন সমাদ্দর সোম হিমাদ্রী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিমাদ্রী বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি আমি দেখিনি এবং প্রশাসন থেকে এখনো আমাকে কিছু জানানো হয়নি। সেহেতু আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’

ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় অংশ নিলেন ১৫শ জীবন সদস্য

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় অংশ নিলেন ১৫শ জীবন সদস্য
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৩-২০২৪ এর বার্ষিক সাধারণ সভা বৃহস্পিতবার (১ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় ১ হাজার ৫০০ জীবন সদস্য অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে (টিএসসি) অনুষ্ঠিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার।

এসময় অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গ্রাম থেকে আসা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। ইতোমধ্যে আমরা তাদেরকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা দেয়ার জন্য মাসিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার বৃত্তি প্রদানের পরিকল্পনা করেছি। চাইলে এতে অ্যালামনাইরা আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উন্নয়নে অ্যালামনাইরা আরো অবদান রাখবেন সেই প্রত্যাশা রাখি।’

সংগঠনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার বলেন, ‘আমরা কয়েক হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছি, যদিও আমরা সবাইকে দিতে পারিনি। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি যেন শিক্ষার্থীদের জন্য আরো কাজ কিভাবে করা যায়। আমাদের এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একজন শক্তিশালী সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৫ বছর পূর্তিতে তাঁকে এখানে দেখতে চাই। সেই সঙ্গে সবাই মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর (পারভেজ) সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সহ-সভাপতি আশরাফুল হক মুকুল, কোষাধ্যক্ষ মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

সভার শুরুতে গত একবছরে যেসব খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব এবং অ্যাসোসিয়েশনের জীবন সদস্য মারা গেছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর মহাসচিবের সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন- মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার। গত এক বছরের আর্থিক বিবরণী তুলে ধরেন কোষাধ্যক্ষ মো. মাহবুব হোসেন।

 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
ছবি : খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, যখন দেশে কারপিউ। যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করত। যখন মানুষের মৌলিক অধিকার তথা ভোটের অধিকার ছিল না। সামরিক স্বৈরশাসকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু তনয়ার এই দেশে যেই প্রত্যাবর্তন, সেই প্রত্যাবর্তনই এদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে এবং আমাদের এই গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন।’

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘আজকে যথার্থই বলতে হয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। শেখ হাসিনা সেদিন রাজপথের মিছিলে নিজে স্লোগান দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিল বলেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে ফিরে এসেছিল। 

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ভিসি চত্বর-শহিদ মিনার হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। 

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

যেখানে বন্ধুত্বের জয়জয়কার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
যেখানে বন্ধুত্বের জয়জয়কার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সময়টা ২০১৭। ওই সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম চলমান। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য মেধাবীদের আনাগোনায় ক্যাম্পাস মুখরিত। এ সময় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন তিন বন্ধু। কে জানতো তাদের বন্ধুত্বের জয়জয়কার একদিন ক্যাম্পাসে প্রস্ফুটিত হবে। বলছিলাম মামুনুর রশিদ, সুমন আলী ও নাঈম হোসেনের কথা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক চমকপ্রদ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তারা।

একসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সারা দেশে। এর মধ্যে মামুনুর রশিদ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিন্যান্স, নাঈম হোসেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ ওরল্যান্সে ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিকসে এবং সুমন আলী ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিন্যান্স নিয়ে পিএইচডির জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এমন সফলতার পেছনের রহস্য বলতে গিয়ে তারা বলেন, ‘আমরা তিন বন্ধু সপ্তাহে ২-৩ বার জুমে মিটিং করতাম। ২০২১ সালের জুনের দিকে আমাদের গবেষণাপত্র প্রথম প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলে আমরা আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করি। তবে মাঝে মধ্যেই ভেঙে পড়তাম। কিন্তু অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসান স্যারের কথায় আবার আমরা উদ্যমী হয়ে উঠতাম। অনেক আনন্দ নিয়ে কাজ করতাম। এই অর্জনের  পেছনে স্যারই আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন।’ 

তারা আরও বলেন, ‘বখতিয়ার স্যার আমাদের হাতে-কলমে গবেষণা শিখিয়েছেন। আমরা শপথ করে বলতে পারি, স্যারের মতো এমন সুপারভাইজার পাওয়া দুষ্কর। তার অক্লান্ত পরিশ্রম, সহযোগিতা ও একান্ত চাওয়ায় আমরা দেশি ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষকদের সঙ্গে গবেষণা করার সুযোগ পাব। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। সবচেয়ে মজার বিষয়, আমরা যখন বখতিয়ার স্যারের পাবলিকেশন দেখতাম, ওই সময় তিনজন আলোচনা করতাম, আমরাও একদিন স্যারের সঙ্গে পাবলিকেশন করব।’

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তারা বলেন, ‘আমাদের বিভাগ ও পরিবারের জন্য এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তবে একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করব ভাবিনি। এ ভেবে ভালো লাগছে, যে আমরা একইসঙ্গে এমন সাফল্য পেয়েছি।’

এর আগে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির মধ্য দিয়েই তাদের তিন বন্ধুর পথচলা। শুরু থেকেই পড়াশোনা, গবেষণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রমে তাদের সাড়া জাগানো পদার্পণ ছিল। বখতিয়ার স্যারের সহায়তায় ‘Hasan's research lab’ নামে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে একসঙ্গে গবেষণার কাজে এগোতে থাকেন তারা। করোনা মহামারির সময়ও থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যান তারা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে তাদের রেজাল্ট একই এবং তারা একই দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে মনোনীত হয়েছেন।

রাবিতে অ্যাস্ট্রোনমি ক্যাম্প শুরু শুক্রবার

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
রাবিতে অ্যাস্ট্রোনমি ক্যাম্প শুরু শুক্রবার
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাংলাদেশ সোসিও কালচারাল ফোরামের (বিএসসিএফ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম অ্যাস্ট্রোনমি ক্যাম্প-২০২৪। আগামী ১৭ ও ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। 

বুধবার (১৫ মে) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটোরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজক কমিটির ক্যাম্প চিফ সামিন ইয়াসার সাদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলোর পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা চাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে ভাবুক, অংশগ্রহণ করুক জাতীয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে এবং উচ্চশিক্ষার স্তরে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে বেছে নিক অনন্য উৎসাহে। আমাদের এই ক্যাম্পে বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে থাকছে বিএসসিএফ রাজশাহী ডিভিশনাল বোর্ড।’ 

অনুষ্ঠানের সকল পর্বে সভাপতিত্ব করবেন অ্যাস্ট্রো ক্যাম্পের ক্যাম্প চিফ ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসার সাদ। ক্যাম্পে এক্সক্লুসিভ পার্টনার হিসেবে থাকছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, ইলেকট্রনিক মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে সময় টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে দৈনিক খবরের কাগজ এবং ক্লাব পার্টনার হিসেবে থাকছে আর্যভট্ট গণিত পাঠশালা। 

রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ক্যাম্পে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া ক্যাম্পের আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

বাবাকে বাঁচাতে কিডনি বিক্রি করতে চান জবি শিক্ষার্থী আকাশ

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
বাবাকে বাঁচাতে কিডনি বিক্রি করতে চান জবি শিক্ষার্থী আকাশ
ফতেহ আলী খান আকাশ

হৃদরোগে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে চান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ফতেহ আলী খান আকাশ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে এই শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিডনি বিক্রির জন্য সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেন।

ফেসবুক পোস্টে আকাশ লিখেন, ‘আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫ শতাংশে নেমে আসছে। জরুরি ভর্তি করাতে হবে। ডাক্তার বলছে পেইসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এই মুহুর্তে পেইসমেকার লাগানোর মত এত টাকা আমার কাছে নাই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো, আব্বুকেও বাঁচাতে পারবো।’

সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় আকাশের পোস্টটি। আকাশের শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুরা অনেকেই আকাশের পাশে থাকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন। 

আকাশ বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে বাবাকে শেরে বাংলায় হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করাবো। সেখানে বাবার ট্রিটমেন্ট শুরু হবে। বাবার শরীরে পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। সেজন্য কিডনি বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে আমার পোস্ট দেওয়া। আমার কিডনি বিক্রি করে হলেও বাবার চিকিৎসা করাতে চাই।’

সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত আকাশ ক্যাম্পাসের সবার পরিচিত মুখ। করোনা মহামারির সময় হাসপাতালে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের গান শুনিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন আকাশ।

মুজাহিদ/পপি