চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) পরিত্যক্ত একটি গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে মারা যাওয়া প্রতিবন্ধী যুবক রনি বর্মণের (২২) পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নেজামপুর গ্রামের নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
এ সময় বিএমডিএ চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান বলেন, ‘আমি এই এলাকায় আসার পর যতটুকু জানতে পারলাম, মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মণ ছেলেটি এই ডিপ ঘরের কাছে প্রায় আসতে এবং এখানকার পানি নিয়ে সে খেলা করতে। তাকে গ্রামের বিভিন্ন মানুষ এই গভীর নলকূপের কাছে আসতে নিষেধ করতে কিন্তু সে শুনত না।
একালাবাসী আরও জানান, ছেলেটি অত্যন্ত ভালো ছিল এবং সবাই তাকে ভালোবাসতে। কিন্তু হঠাৎ এরকম দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণে তাকে অকালে চলে যেতে হলো। মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে আসলে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই আমিসহ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গভীরভাবে শোকাহত ও শোকসমাপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রনি বর্মণের পরিবারের পাশে থাকবে এবং সার্বিক সহযোগিতা করবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক নুর ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশিদ, সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম ও আব্দুস সালাম, নেজামপুর উচ্চবিদ্যায়ের সহকারী শিক্ষক অরুণ বর্মণ বাদল, নেজামপুর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ বর্মণ, নেজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবু তাহের, নেজামপুর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নিত্যরঞ্জন সরকার, ৪ নম্বর নেজামপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ গ্রামবাসী।
এসময় নিহত রনি বর্মণের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেন এবং ভবিষ্যতে তার কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন বিএমডিএ চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান।
গত ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মণ বিএমডিএর পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে মারা যান। পরে ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে।
এনায়েত করিম/অমিয়/