ঢাকা ২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে মূল চ্যালেঞ্জ হলো অপরাধীদের গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে মূল চ্যালেঞ্জ হলো অপরাধীদের গ্রেপ্তার
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে মূল চ্যালেঞ্জ হলো বন্যপ্রাণী অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনায় জটিলতা। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশেরও কম ঘটনায় মামলা হয়েছে। 

বাংলাদেশের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদালতে প্রায় ৪০০ মামলার এক-চতুর্থাংশের চূড়ান্ত রায় দিতে আদালতের গড়ে আট বছর সময় লেগেছে। বাকি মামলা এখনো ঝুলে আছে। এসব মামলায় শাস্তিও তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা গড়ে এক বছরের নিচে জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা। 

রবিবার (৩ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজনে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

‘পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য প্রাণিকুল বাঁচাই’ স্লোগানে চালনা বন্দর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে সুন্দরবনের মহাবিপন্ন, বিপন্ন ও সংকটাপন্ন বন্যপ্রাণী সুরক্ষা এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের দাবিতে সমাবেশ, র‌্যালি, মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’-এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত র‌্যালি, সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চালনা বন্দর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকন উদ্দিন, শিক্ষক নেতা শরিফুল ইসলাম, ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’-এর নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের কমলা সরকার, পরিবেশকর্মী মো. আলম গাজী, হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার শেখ রাসেল প্রমুখ। 

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের কর্মসূচিতে বক্তারা আরও বলেন, ‘সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, ভোদড়, হাঙ্গর, ইরাবতি ডলফিন, শুশুক, কচ্ছপ, শকুন, শাপলাপাতা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী আজ মহাবিপন্ন, বিপন্ন ও সংকটাপন্ন তালিকার অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘের আইইউসিএন, ১৮৩টি দেশ স্বাক্ষরিত সাইটিশ চুক্তি ও বন্যপ্রাণী আইন সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪৩টি স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৮৪টি পাখি, ৫০টি সরীসৃপ, ১৬টি বাদুড়/শাপলাপাতা মাছ, ১২টি হাঙ্গর/কামুট এবং দুটি উভচর প্রাণী মহাবিপন্ন, বিপন্ন এবং সংকটাপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। 

সভাপতির বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানে ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাস্ট্র পরিবেশ রক্ষা ও উন্নতি বিধান এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অক্ষুণ্ন রাখবে ও নিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট থাকবে। বন্যপ্রাণীর অবেধ বাণিজ্য দুর্নীতি বিস্তার করে, সেই সঙ্গে আইনের শাসন এবং বন্যপ্রাণী ও বন্য পরিবেশের পাশে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলে। চোরাকারবারি, মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য, বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী হত্যা, বৃক্ষ নিধন ও বিষপ্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ করতে না পারলে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব টিকে থাকবে না। সমাবেশ-মানববন্ধন ও র‌্যালি শেষে রবিবার দুপুরে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী বরাবরে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।”

রিফাত আল মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/

শত্রুতা করে এক একর জমির কাঁচা ধানগাছ কেটে দিল প্রভাবশালী

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
শত্রুতা করে এক একর জমির কাঁচা ধানগাছ কেটে দিল প্রভাবশালী
কেটে ফেলা কাঁচা ধানগাছ। ছবি: খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় শত্রুতা করে মো. আশিক মিয়া (৪২) নামে এক কৃষকের তিন কানি (এক একর ৫ শতাংশ) জমির কাচা ধানগাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের কদিমমাইজহাটি গ্রামের সামনের বড়হাওরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন। কৃষক বাদি হয়ে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কদিমমাইজহাটি গ্রামের প্রভাবশালী আবুল কাশেম ওরফে কানা কাশেম বৃহস্পতিবার দুপুরে সাত আটজন লোক নিয়ে বড়হাওরে গিয়ে কৃষক আশিক মিয়ার কাচা ধানক্ষেত কেটে নষ্ট করে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক আশিক মিয়ার অন্তত ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।  

কৃষক আশিক মিয়ার অভিযোগ, ‘আমার গ্রামের প্রভাবশালী প্রতিবেশী আবুল কাশেম ওরফে কানা কাশেম (৬০) আমাকে ও আমার ভাইদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। আমার এক ভাইকে মেরেও ফেলা হয়েছে। ১৭ বছর আগে আমার বাবা মারা গিয়েছেন। কয়েকদিন ধরে মিথ্যা দাবি তুলেছেন আমার বাবার কাছে নাকি তিনি মোটা অংকের টাকা-পয়সা পেতেন। অথচ আমার বাবা মারা যাওয়ার সময়, অথবা এর পরে এসব টাকা পয়সা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আমাদের কাছে বা কারো কাছে বলেননি। এতদিন পর টাকা চাওয়ায় আমরা এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি। এ কারণে শক্তি দেখিয়ে তিনি আমার জমির কাঁচা ধান কেটে নষ্ট করে দিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই।'

গুণধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম রাসেল ভূঁইয়া বলেন, ‘কারো কাছে টাকা-পয়সা পাওনা থাকলে গ্রামের লোকজন আছে, সমাজ আছে, আইনকানুন আছে। কিন্তু এভাবে জমির কাঁচা ধান কেটে ফেলে দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।’ 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কাশেম বলেন, ‘কীসের টাকা-পয়সা, এইটা আমার জমি। এই জমি এখন আমি ভোগ করব। ২৫ বছর আগে এই জমি তার (আশিকের) বাপের কাছ থেকে মৌখিকভাবে আমি কিনেছি। এ জমির ধান কাটব নাকি রাখব এটা আমার বিষয়।’

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তাসলিমা আক্তার মিতু/মাহফুজ 

 

আজীবন বহিষ্কৃত নেতাকে প্রধান করে সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আজীবন বহিষ্কৃত নেতাকে প্রধান করে সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ২০২৩ সালের ২১ জুন আওয়ামী লীগের অধীনে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় আজীবন বহিষ্কার করা হয় সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক উসমান হারুন পনিরকে। এই বহিষ্কার আদেশ এখনো প্রত্যাহার না হলেও তাকে সাংগঠনিক দল প্রধান করে থানা কমিটি করেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। তবে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী দাবি করেছেন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ২০২৩ সালের ৫ জুন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। আজীবন বহিষ্কার তালিকায় ছিল সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক উসমান হারুন পনিরের নাম। কারণ তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ছিলেন। তবে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হলেও তাকে সাংগঠনিক দল প্রধান করে কমিটি করেছে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল।

সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দল সিলেট শাখার অধীনে থানা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেজন্য ৬টি থানায় সাংগঠনিক টিম গঠন করে দিয়েছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। এই ৬ থানার একটি বিমানবন্দর থানা। এই বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের টিম প্রধান করা হয়েছে উসমান হারুন পনিরকে। এ কমিটি গত বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীতে আলোচনা সভার আয়োজন করে। উসমান হারুন পনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় অংশ নেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী ও সদস্য সচিব আফসর খান। 

এদিকে আজীবন বহিষ্কৃত নেতা নিয়ে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক যুগ্ম আহ্বায়ক খবরের কাগজকে বলেন, আজীবন বহিষ্কার করে, আবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করে দায়িত্ব দেওয়া সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। দুর্দিনে ব্যক্তিগত স্বার্থে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তাদের পদায়ন করা দুঃখজনক। আর যদি তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয় তাহলে সেটা কেন প্রকাশ করা হলো না। 

সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও কয়েকজন কর্মী খবরের কাগজকে বলেন, উসমান হারুন পনিরের মত সুবিধাবাদী নেতারা সবসময় নিজের স্বার্থ বুঝেন। তিনি কখনোই দল বা দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করবেন না। দলে আবার দুঃসময় আসলে দেখা যাবে তিনি আবার নিজের খোলস পরিবর্তন করেছেন। তিনি আজীবন বহিষ্কৃত হওয়ার পরও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বশীলরা তাকে কমিটির প্রধান পদ দিলেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি তাকে বহিষ্কার করেছেন। যদি আমাদের নেতা তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে থাকেন তাহলে আমরা তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেন সেটা জানি না। 

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। এটা প্রকাশ হয়নি কারণ এটা আমাদের সংগঠনের ভিতরের খবর। আমরা জানি উনার বহিষ্কার আদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি প্রত্যাহার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব আমাদেরকে জানিয়েছেন তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। এরপরই আমরা তাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছি।

শাকিলা ববি/এমএ

 

হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাড়ি পুড়াল ছাত্র-জনতা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাড়ি পুড়াল ছাত্র-জনতা
ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাড়ি। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড লক্ষীদিয়া বড় পোল ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ব্রিকফিল্ড বাজারের পাশে অবস্থিত দুটি বাড়ীতেই আগুন দেওয়া হয়। এতে মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়ির অধিকাংশ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এর আগে রাত ১১ টার দিকে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা স্লোগান দিয়ে এসে বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করেন। এতে উভয় পক্ষে হামলায় ইটপাটকল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। পরে রাত ২টার পর মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা চলে গেলে আগুন দেওয়া হয় তার বাসায়। 

এদিকে একই সময় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলীর মালিকানার যাত্রীবাহী ট্রলার। এতে নলচিরা ঘাট তীরে অবস্থন করা ৪টি ট্রলার ও ৫টি স্পীডবোট পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। রাত ১২টার সময় দুবত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। ৫ আগস্টের পরে এসব ট্রলার ও স্পীড বোট নলচিরা ঘাট তীর বেঁধে রাখা হয়েছিল।

এই বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা বলেন, রাতের অন্ধকারে বৈষম্যবিরাধী ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাসভবন হামলা ও অগ্নিসংযাগ করে। পরে তারা নলচিরা ঘাটেও স্পীডবোট ও ট্রলারে আগুন লাগিয়ে দেয়।

হানিফ সাকিব/মাহফুজ

মুক্তিপণে ফিরেছে টেকনাফে অপহৃত ৫ জন

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
মুক্তিপণে ফিরেছে টেকনাফে অপহৃত ৫ জন
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কক্সবাজারে টেকনাফের পাহাড়ী এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকালে অপহৃত পাঁচজনকে দুইদিন পর ছেড়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। তবে তাদের ছাড়িয়ে আনতে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ প্রদান করেছে স্বজনরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অপহৃতদের ৫ জনকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবুইয়া (২০)।

গত বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে স্থানীয় চাকমা পাড়া সংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাশের পাহাড়ী এলাকায় একদল দূর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিন্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিন্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী বলেন, ঘটনার ২ দিন পার হলে দূর্বৃত্তরা তাদের ছেড়ে দেয়। এর আগে বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে কয়েক দফায় আলোচনা করে ৫ জনের পরিবার মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠানোর পর এদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন স্বজনরা। 

তবে মুক্তিপণের টাকা কী প্রক্রিয়ায় কাকে পাঠানো হয়েছে বিস্তারিত বলেছেন না স্বজনরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছিল। এক পর্যায়ে এদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরাও মুক্তিপণ প্রদানের কোনো তথ্য পুলিশকে জানায়নি। ৫ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এই নিয়ে গত ১৩ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একইসময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/মাহফুজ

 

মুরাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
মুরাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে‌ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুরে তার গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

গত বছরের ৫ ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।

ডা. মুরাদ হাসান ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মুরাদ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের একটি অশ্লীল ফোনালাপ ভাইরাল হয়। এরপর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। সর্বশেষ ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া জানান, ডা. মুরাদ হাসানের বাড়ি ভাঙচুর সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।

আসমাউল আসিফ/সুমন/