ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্বজনহারা মানুষকে সান্ত্বনা দেবেন যেভাবে

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
স্বজনহারা মানুষকে সান্ত্বনা দেবেন যেভাবে
ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ভারাক্রান্ত মানুষকে সান্ত্বনা দেওয়ার ছবি।

মুসলমান ভাই ভাই। এ সম্পর্কে কোনো কৃত্রিমতা নেই, কোনো দোটান নেই। এ সম্পর্ক মহান আল্লাহ মুসলমানদের মধ্যে করে দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনরা পরস্পরের ভাই ভাই।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১০)। এ সম্পর্কের মায়া ও টানে মুসলমান পরস্পরের সুখে আনন্দিত হয়। দুঃখে কাঁদে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর প্রাচীরের মতো, যা একটি অপরটিকে মজবুত করে। এই বলে তিনি তাঁর আঙুলগুলো পরস্পর মিলিয়ে দেখান।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৮০)

কোনো মুসলিমের আত্মীয় মারা গেলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে সান্ত্বনা দিতেন। তাকে বুঝাতেন। তার কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে তার মুমিন ভাইয়ের বিপদে সান্ত্বনা দেবে, আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন তাকে সম্মানের পোশাক পরাবেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬০১)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে কোনো বিপন্নকে সান্ত্বনা দেয়, সে তার সমান প্রতিদান পায়। ’(তিরমিজি, হাদিস: ১০৭৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সান্ত্বনার ভাষা ছিল খুবই চমৎকার। তিনি এমন কথা বলে সান্ত্বনা দেন, যা ব্যক্তির দুনিয়া-আখেরাতে কল্যাণ সুনিশ্চিত করত। উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মেয়ে (জয়নব) তাঁর খেদমতে লোক পাঠিয়ে বললেন, ‘আমার এক ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায়, তাই আপনি আমাদের এখানে আসুন।’ তিনি বলে পাঠালেন, ‘(তাকে) সালাম দেবে এবং বলবে, সবকিছু আল্লাহরই অধিকারে যা-কিছু তিনি নিয়ে যান। আর তাঁরই অধিকারে যা-কিছু তিনি দান করেন। তাঁর কাছে সবকিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। সুতরাং সে যেন ধৈর্যধারণ করে এবং প্রতিদানের আশায় থাকে।’ তখন তিনি তাঁর কাছে শপথ দিয়ে পাঠালেন, তিনি যেন অবশ্যই আসেন। তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাদ ইবনে উবাদা, মুয়াজ ইবনে জাবাল, উবাই ইবনে কাব, জায়েদ ইবনে সাবেত (রা.) এবং আরও কয়েকজন। তখন শিশুটিকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে তুলে দেওয়া হলো। তখন তিনি মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমার ধারণা, তিনি এ বলেছিলেন, যেন তার শ্বাসে মশকের মতো (আওয়াজ হচ্ছিল)। আর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। সাদ (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, এ কী?’ তিনি বললেন, ‘এ হচ্ছে রহমত, যা আল্লাহ তাঁর বান্দার অন্তরে আমানত রেখেছেন। আর আল্লাহ তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া করেন।” (বুখারি, হাদিস: ১২২৪) 

রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃতের স্বজনদের জন্য খাবার পাঠাতেন। আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রা.) বলেন, “(আমার পিতা) জাফর (রা.)-এর শাহাদতের সংবাদ যখন পৌঁছে, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা দিলেন, ‘জাফরের পরিবারের জন্য খাবার তৈরি করো; কারণ, তাদের এমন খবর এসেছে, যা নিয়ে তারা ব্যতিব্যস্ত রয়েছে।” (তিরমিজি, হাদিস: ৯৯৮) 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

ইবলিস কী সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছিল?

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
ইবলিস কী সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছিল?
কোরআনুল কারিমের ছবি। সংগৃহীত

কোরআনে বিভিন্ন প্রিয় নবির সঙ্গে আল্লাহর বিশেষ সম্পর্কের কথা এসেছে। যেমন- আল্লাহ সরাসরি কথা বলেছেন হজরত মুসা (আ.)-এর সঙ্গে ‘তুর’ পাহাড়ে এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে মিরাজে আরশের উচ্চাসনে। এটি নবিদের জন্য ছিল এক অনন্য সম্মান। সাধারণ কোনো বাদশার সঙ্গেও কথা বলা যেমন মর্যাদার, তেমনি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য নিঃসন্দেহে সর্বোচ্চ সম্মান।

কিন্তু ইবলিস যে অবাধ্য ও অভিশপ্ত তাকে নিয়েও কোরআনে আল্লাহর প্রশ্নোত্তরের বর্ণনা রয়েছে। এতে প্রশ্ন ওঠে, সে কি আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছিল? আল্লাহ বলেন, ‘আমি যখন তোকে আদেশ করলাম, তখন তুই কেন সিজদা করলি না?’(সুরা আরাফ, ১২)

জবাবে ইবলিস বলেছিল, ‘আমি আদমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে।’

এই আয়াতগুলো সরাসরি কথোপকথনের ইঙ্গিত দেয়। তবে বহু আলেমের মতে, এই কথাবার্তা হয়েছে ফেরেশতাদের মাধ্যমে। যেমন- ইমাম সুয়ুতি তাঁর গ্রন্থ লুকতুল মারজান ফি আহকামিল জান-এ ইবনু আকিল হাম্বলির বরাতে বলেন, ইবলিস কখনো আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলেনি। বরং সব কিছু হয়েছে ফেরেশতাদের মাধ্যমে।’

তবে অধিকাংশ তাফসিরবিদ ও কোরআনের সরল পাঠ অনুসারে এই সংলাপ হয়েছিল সরাসরি, তবে তা ঘটেছে ইবলিস অভিশপ্ত ও বিতাড়িত হওয়ার আগেই। তখন সে ছিল মর্যাদাসম্পন্ন, এমনকি ফেরেশতাদের সর্দারদের একজন হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু আল্লাহর আদেশ অমান্য করে অহংকারে ডুবে যাওয়ায় সে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়। এর পর আর কখনোই সে আল্লাহর সান্নিধ্য পায়নি।

এ থেকেই শিক্ষা, আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া কোনো গুণ বা পদমর্যাদার কারণে স্থায়ী হয় না, বরং তা নির্ভর করে আনুগত্য, বিনয় ও বিনম্রতার ওপর।

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

পশু জবাইয়ের সময় দয়া দেখানো কতটা জরুরি?

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:০০ পিএম
পশু জবাইয়ের সময় দয়া দেখানো কতটা জরুরি?
কোরবানির পশু জবাই করার ছবি। সংগৃহীত

ঈদুল আযহা এলে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে কোরবানি করা হয়। এটি একটি মহান ইবাদত। তবে এই ইবাদত পালনের সময় পশুর প্রতি সহানুভূতি ও দয়া প্রদর্শন করা ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। কোরবানি মানেই শুধু জবাই করা নয়, বরং তা হতে হবে সর্বোত্তম পন্থায়, যাতে পশুর কষ্ট ন্যূনতম হয়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এই বিষয়ে অত্যন্ত জোরালো নির্দেশনা দিয়েছেন। শাদ্দাদ ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা সকল কিছুর ওপর অনুগ্রহকে অপরিহার্য করেছেন। অতএব, যখন তোমরা (শরিয়ত মোতাবেক হদ বা কিসাস হিসেবে) হত্যা করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করো, যখন জবাই করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করো। এবং প্রত্যেকে তার ছুরিতে শান দেবে, যেন জবাইয়ের প্রাণীর বেশি কষ্ট না হয়।’(মুসলিম, ১৯৫৫; আবু দাউদ, ২৮১৫; নাসায়ী, ৪৪০৫) 

এই হাদিস থেকে আমরা কয়েকটি বিষয় পরিষ্কারভাবে জানতে পারি:

ক. অনুগ্রহ ও দয়া: ইসলাম সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়। পশুর প্রতিও এই দয়া প্রযোজ্য।

খ. উত্তম পদ্ধতি: জবাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এর অর্থ হলো, দ্রুত ও নিখুঁতভাবে জবাই সম্পন্ন করা, যাতে পশু অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না পায়।

গ. ছুরিতে শান দেওয়া: ধারালো ছুরি ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক। ভোঁতা ছুরি পশুর কষ্টকে দীর্ঘায়িত করে, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ধারালো ছুরি পশুর জন্য দ্রুত ও কম যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু নিশ্চিত করে।

কোরবানির সময় পশুকে অহেতুক টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া, অন্যদের সামনে জবাই করা, কিংবা একটি পশুর সামনে অন্য পশুকে জবাই করা থেকেও বিরত থাকা উচিত। এটি পশুর মানসিক কষ্টের কারণ হয়।

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

যেসব পশু কোরবানি করা জায়েজ নয়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
যেসব পশু কোরবানি করা জায়েজ নয়
গরুর ছবি । সংগৃহীত

বারা ইবনে আযেব (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, চার প্রকারের পশু কোরবানি করা জায়েজ নয়। যথা : পশুর উভয় বা কোনো এক চোখের দৃষ্টিহীনতা স্পষ্ট হলে, কোনো এক পা খোড়া হলে, অতি রুগ্ন হলে এবং এত শীর্ণ পশু, যার অস্থিমজ্জা সারশূন্য হয়ে পড়েছে। (ইবনে হিব্বান, ৫৯২১; আবু দাউদ, ২৮০২; নাসায়ী, ৪৩৬৯; ইবনে মাজাহ, ৩১৪৪)
আলি ইবনে আবি তালেব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কানের অগ্রভাগ কাটা প্রাণী, কানের গোড়া থেকে কেটে ঝুলে আছে এমন প্রাণী, কান ফেটে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়া প্রাণী, কানে গোল ছিদ্রবিশিষ্ট প্রাণী ও কান বা নাক একেবারে কেটে গেছে- এমন প্রাণী কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, ৩১৪২; মুসনাদে আহমাদ, ৬০৯)

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

 

জবাইয়ের সময় ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলা কেন জরুরি?

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
জবাইয়ের সময় ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলা কেন জরুরি?
পশু জবাইয়ের পূর্বের ছবি । সংগৃহীত

ঈদুল আযহা এলে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে পশু কোরবানি করে থাকেন। এই মহান ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-কানুন রয়েছে, যা মেনে চলা আবশ্যক। এর মধ্যে অন্যতম হলো পশু জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলা। এটি কেবল একটি বাক্য নয়, বরং মহান আল্লাহর নাম ও মহিমা ঘোষণার মাধ্যমে এই ইবাদতকে পূর্ণাঙ্গ করার একটি অপরিহার্য অংশ।

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বড় শিংবিশিষ্ট সাদা-কালো বর্ণের দুটি নর দুম্বা কোরবানি করতেন, তখন তিনি বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলতেন। বর্ণনাকারী আরও বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে পশুর ঘাড়ের ডানপাশে পা রেখে নিজ হাতে যবাই করতে দেখেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, ১১৯৬০, ১২১৪৭)। এই হাদিস থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, কোরবানি বা যেকোনো হালাল পশু যবাইয়ের পূর্বে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নাম উচ্চারণ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এবং এর মাধ্যমে যবাইকৃত পশু হালাল হয়।

বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলার অর্থ হলো, আল্লাহর নামে শুরু করছি, আল্লাহ মহান। এর মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং স্বীকার করে যে, এই কোরবানি কেবল তাঁরই জন্য। এটি শুধু পশু জবাইয়ের একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি আত্মিক সংযোগের বহিঃপ্রকাশ। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই তাসমিয়া (বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার) বাদ দেয়, তবে সে পশু হালাল হবে না বলে অধিকাংশ ফকিহগণ অভিমত দিয়েছেন।

কাজেই, কোরবানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পালনের সময় আমাদের সকলের উচিত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করা এবং পূর্ণাঙ্গ সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে সঠিক নিয়ম মেনে বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলে পশু কোরবানি করা। এটি শুধু কোরবানিকে বৈধই করে না, বরং ইবাদতের মান ও গুরুত্বকেও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

ঈদের দিনে মোরগ কোরবানি করার শরয়ী বিধান কী?

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ঈদের দিনে মোরগ কোরবানি করার শরয়ী বিধান কী?
মোরগের ছবি । সংগৃহীত

ঈদুল আযহা এলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে ঈদের দিন মোরগ কোরবানি করার একটি প্রচলন দেখা যায়, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে না জায়েজ।

এখানে বিষয়টা হলো, ঈদের দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়। আপনি প্রয়োজনে বা খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোরগ জবাই করতেই পারেন। তবে এটিকে কোরবানির নিয়তে করা যাবে না। অর্থাৎ, ঈদের যে কোরবানি, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা হয়, সেই ইবাদতের উদ্দেশ্যে মোরগ কোরবানি বৈধ নয়।

এর কারণ হলো, ইসলামে কোরবানির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পশুকে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এই পশুগুলোই কোরবানির জন্য নির্ধারিত এবং এগুলোর দ্বারাই কোরবানি আদায় হয়। মোরগ বা অন্য কোনো পাখি দ্বারা কোরবানি আদায় হয় না, এমনকি তা কোরবানির সওয়াবও বহন করে না।

অতএব, যদি কেউ কোরবানির সওয়াবের আশায় মোরগ জবাই করেন, তবে তিনি সওয়াব তো পাবেনই না, বরং একটি অননুমোদিত কাজ করার কারণে গুনাহগার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত এবং শরীয়তের বিধান মেনেই কোরবানি করা উচিত। মনে রাখতে হবে, ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন।

 

লেখক: আলেম,গবেষক ও সাংবাদিক