ধানের ঘ্রাণ
হাফিজুর রহমান
শিষ হেলেছে ধান পেকে
সোনালি রং গায় মেখে
দুলছে মৃদু হাওয়ায়,
হাসছে কৃষান খুশি মনে
গাইছে পাখিরা গান বনে
দারুণ ঘ্রাণ পাওয়ায়।
ফসল উঠবে গোলা-ঘরে
স্তূপ করানো ধানের খড়ে
সূর্যের ছড়ানো রোদে,
ক্লান্তি আসে না কৃষকের
ঘাম ঝরান তা বৈশাখের
অন্যরকম সুখ বোধে।
গ্রীষ্মকালের ফল
জহিরুল হক বিদ্যুৎ
গ্রীষ্মকালে নানান রকম
ফলের বাহার দেখি,
বৃক্ষ ডালে আম ও জামে
মুগ্ধ করে আঁখি।
কাঁঠাল, লিচু, বেল ও কলা
ঝুলে আছে গাছে,
তরমুজ, বাঙ্গি, আনারসেও
খেত যে ভরা আছে।
লাল ও সাদা জামরুল খেলে
মুখ ভরে যায় রসে,
পেয়ারাও বেশ দারুণ স্বাদের
রস ভরা টসটসে।
আরো দেখি বনবাদাড়ে
লেবু, বৈঁচি, চুকুর,
পেকে আছে গোছা গোছা
হলুদ রঙের ডুমুর।
পাকা পেঁপে তালের শাসও
খেতে দারুণ লাগে,
গ্রীষ্মকালে ফল খেলে তাই
শরীর ভালো থাকে।
মজার দেশ
শারমিন নাহার ঝর্ণা
এক যে ছিল মজার দেশ
জাদুর বাতি জ্বলে,
গাছের পাতা হেসে হেসে
মিষ্টি কথা বলে।
ফুলে ফুলে প্রজাপতি
খলখলিয়ে হাসে,
জলের উপর পাখির বাসা
কী যে সুখে ভাসে।
কুমির ছানা ডাঙ্গায় বসে
খেলে জাদুর খেলা,
মাছেরা সব ডাঙ্গায় বসে
সাজায় মজার মেলা।
মজার দেশে জাদুর খেলা
দিনে রাতে চলে,
মজার দেশে জাদুর রাজা
মজার কথা বলে।
মাছে মজা
হাফিয রেদওয়ান
মাথা বড় কাতলা
ঝোল মজা, পাতলা।
পেটি বড় চিতল
খেয়ে মন শীতল।
ইলিশ ভাজা সরষে
মুখে পুরি হরষে।
শিং টেংরা কৈ
আহা! স্বাদ, হই হই।
মায়ের মতো
কাব্য কবির
মাগো তোমার আঁচল তলে
শান্তি খুঁজে পাই,
এমন পরশ স্বর্গ ছাড়া
আর কোথাও নাই।
কোথায় আছি, কেমন আছি
নাও যে তুমি খোঁজ,
দুধ, কলা, ভাত আদর করে
মেখে খাওয়াও রোজ।
কাঁদো তুমি রবের কাছে
আমার অসুখ হলে,
কেঁদে কেঁদে ভাসো তুমি
দুই নয়নের জলে।
মুক্ত পাখি
আব্দুস সাত্তার সুমন
মুক্ত পাখি মুক্ত হয়ে
দূর আকাশের বুকে,
সাদা সাদা মেঘের ভেলায়
থাকবে মহাসুখে।
প্রাণ পাখিটি বলবে গিয়ে
মুক্ত হতে চাই,
সবুজ ঘেরা ওই বনেতে
দেবে আমায় ঠাঁই?
স্বাধীন পাখি স্বাধীন হয়ে
সুখী হবে নীড়ে,
সুখে-দুঃখে থেকো তুমি
শত পাখির ভিড়ে।
উড়ে উড়ে রঙিন ডানায়
যাবে গহিন বনে,
যেথায় থেকো সুস্থ থেকো
রাখবে আমায় মনে?