জুনের ১৪ তারিখ পালন করা হয় বিশ্ব গোসল দিবস। তুমি হয়তো অবাক হচ্ছ যে, গোসলেরও দিবস আছে! অবাক হওয়ার কিছু নেই। ২০১৬ সাল থেকে জাতিসংঘ দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়। যাতে মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। আর গোসল মানেই হচ্ছে সারা দিনের যত ক্লান্তি, যত ব্যস্ততা- সবকিছুকে দূরে সরিয়ে নিজেকে নিজে যত্ন করা এবং গোসলকে উপভোগ করা। তো বিশ্ব গোসল দিবসে গোসল সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য জানাচ্ছেন আহমেদ রিয়াজ
গোসল মানেই আরাম
এই যে এত গরম পড়েছে, তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, সারা দিন বাইরে কাটিয়ে, ঘেমে একাকার হয়ে ঘরে ফেরার পর গোসলের চেয়ে আরাম আর কিছু কি হতে পারে? চর্মরোগ এবং ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গোসলের মাধ্যমে ‘ভালো অনুভূতি’ সৃষ্টির হরমোন যাকে এন্ডোরফিনস বলা হয়, সেটা নিঃসৃত হয়। কাজেই ভালো অনুভূতি চাইলে ঝাঁপ দাও পানিতে কিংবা মাথা পেতে দাও ঝরনাতলায়।
গোসল মানেও জিম করা
গোসলকে যদিও অনেকে কাজ হিসেবে দেখতে রাজি নন, তবু গোসল করাও কিন্তু একটা কাজ। আর কাজ মানেই শরীরের ক্যালরি ক্ষয় করা। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোসল করলে গড়ে ১৩০ ক্যালরি ক্ষয় হয়। তার মানে গোসল মানেও জিম করা।
আয় ঘুম আয়
অনেকের আবার ঘুম না আসার রোগ আছে। রাতে বিছানায় ছটফট করেন, এ পাশ-ও পাশ করেন। তারা যদি হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন তাহলে তাদের মাংসপেশি শিথিল হবে। শরীর শিথিল হওয়া মানেই ঘুমের জন্য শরীর উপযুক্ত হওয়া।
শুষ্ক ত্বকের মহৌষধ
অনেকে শীতের সময় গোসল করতে চান না। গোসল করলে নাকি শীত আরও বেশি অনুভূত হয়। আসলে তা নয়। বরং যত কড়া শীতই পড়ুক, গোসল করলে শীতটা কমই অনুভূত হয়। আর যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের জন্য গোসল তো মহৌষধ। এমনিতেই আমাদের ত্বক শীতের সময়ে আর্দ্রতা হারায়। তার ওপর শুষ্ক ত্বক যাদের, তাদের এই আর্দ্রতা হারানোর মাত্রা তখন আরও বেড়ে যায়। ফলে একজিমা, সোরিয়াসিসসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হয়। নিয়মিত গোসল এসব চর্মরোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
গোসল মানেই সুস্থতা
গোসল যে আমাদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় এটা কি আমরা জানি? হৃদয় বা হার্ট আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করে যায় প্রতিনিয়ত। গরম পানিতে গোসল করলে হৃদয়ের জন্য কাজটা একটু কঠিন হয়ে যায়। সে কারণে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করাই উত্তম। আর গোসলের কারণে হৃদযন্ত্রেরও ব্যায়াম হয়ে যায়। সে কারণে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। গোসল আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে এতটাই প্রশান্তি এনে দেয় যে, একটা সুন্দর গোসলের পর আমাদের মন বলে ওঠে- আহ্! কাজেই গোসল মানেই সুস্থতা।
মেজাজও ঠিক রাখে গোসল
বাবা বকা দিয়েছে? শিক্ষকের ঝারি খেয়েছ? বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে? নানান কারণে আামদের মেজাজ খারাপ হতেই পারে। কিন্তু কোনোভাবেই যদি মেজাজ ঠিক রাখতে না পার, তবে সোজা চলে যাও গোসলে। গোসল আমাদের মেজাজমর্জির হালও ধরে রাখতে পারে।
জাহ্নবী