![স্বাধীনতা দিবস পালন দেশে দেশে](uploads/2024/03/22/1711085435.a3.jpg)
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। দখলদার হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালির ওপর। টানা নয় মাস পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। সে কারণে ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। যদিও পৃথিবীর সব জাতি একই রকমভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেনি। তবু পৃথিবীর অনেক জাতিরই রয়েছে স্বাধীনতা দিবস। একেক দেশ একেক রকমভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। কয়েকটি দেশের স্বাধীনতা দিবস পালনের খবর জানাচ্ছেন আহমেদ রিয়াজ
ঘানা
ঘানার স্বাধীনতা দিবস মার্চের ৬ তারিখ। ১৯৫৭ সালে তারা যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এ দিবসে আতশবাজি, কুচকাওয়াজসহ বেশ কিছু আয়োজন হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্ট্রিট পার্টি।
মেক্সিকো
দেশটির স্বাধীনতা দিবস ১৫ সেপ্টেম্বর। এ দিন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের জমায়েত ঘটে রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে। ভিভা ভিভা আওয়াজে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তোলে জমায়েত হওয়া মানুষ। রাতের বেলা আকাশে শুরু হয় আতশবাজি।
পেরু
একদিনে সম্ভব নয় বলে দুদিন ধরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে পেরু। জুলাই মাসের ২৮ তারিখ পেরুর স্বাধীনতা দিবসের দিন তো উদযাপন করা হয়ই, পরদিন ২৯ তারিখও উদযাপিত হয়। রাজধানী লিমায় আর্চবিশপের নেতৃত্বে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব পালন।
ফ্রান্স
ফ্রান্সের স্বাধীনতা দিবস জুলাইয়ের ১৪ তারিখ। স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ দেশটির ঐতিহ্য। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজের আয়োজন করে থাকে। তবে এই কুচকাওয়াজের শুরুটা হয়েছিল ফ্রান্স থেকেই। দেশের জনগণ নেচেগেয়ে, খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে পার্টি করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে।
বাংলাদেশ
আমরাও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করি বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে। বীর শহিদদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার আয়োজন হয়ে থাকে কোথাও কোথাও। পাশাপাশি দেশের নানান জায়গায় মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্টসহ নানান রকম আয়োজন থাকে।
জাহ্নবী