ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

স্বাধীনতা দিবস পালন দেশে দেশে

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ১১:৩০ এএম
স্বাধীনতা দিবস পালন দেশে দেশে
ফ্রান্স

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। দখলদার হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালির ওপর। টানা নয় মাস পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। সে কারণে ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। যদিও পৃথিবীর সব জাতি একই রকমভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেনি। তবু পৃথিবীর অনেক জাতিরই রয়েছে স্বাধীনতা দিবস। একেক দেশ একেক রকমভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। কয়েকটি দেশের স্বাধীনতা দিবস পালনের খবর জানাচ্ছেন আহমেদ রিয়াজ

ঘানা


ঘানার স্বাধীনতা দিবস মার্চের ৬ তারিখ। ১৯৫৭ সালে তারা যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এ দিবসে আতশবাজি, কুচকাওয়াজসহ বেশ কিছু আয়োজন হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্ট্রিট পার্টি।

মেক্সিকো


দেশটির স্বাধীনতা দিবস ১৫ সেপ্টেম্বর। এ দিন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের জমায়েত ঘটে রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে। ভিভা ভিভা আওয়াজে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তোলে জমায়েত হওয়া মানুষ। রাতের বেলা আকাশে শুরু হয় আতশবাজি।

পেরু
একদিনে সম্ভব নয় বলে দুদিন ধরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে পেরু। জুলাই মাসের ২৮ তারিখ পেরুর স্বাধীনতা দিবসের দিন তো উদযাপন করা হয়ই, পরদিন ২৯ তারিখও উদযাপিত হয়। রাজধানী লিমায় আর্চবিশপের নেতৃত্বে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব পালন।

ফ্রান্স
ফ্রান্সের স্বাধীনতা দিবস জুলাইয়ের ১৪ তারিখ। স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ দেশটির ঐতিহ্য। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজের আয়োজন করে থাকে। তবে এই কুচকাওয়াজের শুরুটা হয়েছিল ফ্রান্স থেকেই। দেশের জনগণ নেচেগেয়ে, খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে পার্টি করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে।

বাংলাদেশ
আমরাও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করি বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে। বীর শহিদদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার আয়োজন হয়ে থাকে কোথাও কোথাও। পাশাপাশি দেশের নানান জায়গায় মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্টসহ নানান রকম আয়োজন থাকে।

জাহ্নবী

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আমরা আঁকি

দেবনীল চেীধুরী
কেজি ওয়ানৎ স্কলার্সহোম প্রিপারেটরি
পাঠানটুলা, সিলেট।
/আবরার জাহিন

 

আমরা আঁকি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আমরা আঁকি

নাজিবাহ ইবনাত প্রান্তি
নবম শ্রেণি 
আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

/আবরার জাহিন

নীল সাগরের তিমি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
নীল সাগরের তিমি

ইউরোপের একটি ছবির মতো সুন্দর দেশ নরওয়ে। মানুষগুলো ছিমছাম, নির্ভেজাল ও হাসিখুশি। নরওয়ের রয়েছে বিশাল সমুদ্র উপকূল। এ দেশের অনেক মানুষ তাই মাছ ধরে। এজন্য নরওয়েকে জেলেদের দেশ বলা হয়।

নরওয়ের খোলা সাগরে ভেসে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে তিমির দল। মাঝে মাঝে উপকূলে ঢু দিয়ে যায়। তারা সমুদ্রে খেলা করে। অবাক করার মতো হলেও এটা সত্যি যে, তারা গানও গায়। সে গান অন্য তিমিরাও শুনতে পায় বহু বহু  দূর থেকে। বিজ্ঞানীরা তো এ-কথাও বলেন যে, তিমিদের নিজস্ব ভাষাও আছে। তারা সে ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথাও বলে। আর যখন তখন সমুদ্রের বুকে ডিগবাজি খায়। 9তিমিরা দল বেঁধে চলে। অবাক করার মতো কথা হলো, তাদের পরিবারও আছে। মা তিমি তার সন্তানকে পনেরো বছর পর্যন্ত নিজের কাছে রাখে। তার পর ছেড়ে দেয় স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য।

তো আমাদের এ গল্পের তিমি শিশুটির নাম অ্যাবে। তার মা সিলোনি তাকে খুব আদর করত। খুব ভালোবাসত। কিন্তু যখন অ্যাবের বয়স পনেরো হয়ে গেল, তখন তার মা সিলোনি তাকে স্বাধীন করে দিল। সত্যি সত্যিই, সিলোনি এটা চায়নি। কিন্তু সমাজের নিয়ম বলে কথা! তাই ছেলেকে না ছেড়ে তার উপায় ছিল না। অ্যাবে কয়েকদিন কান্না করতে করতে সমুদ্রে ভেসে বেড়াল। ধীরে ধীরে সমুদ্রের নানা রকম মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীর সঙ্গে তার পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে ভেসে বেড়িয়ে, গল্প করে তার সময় ভালোই কাটতে লাগল। ভালো লাগল সমুদ্রের প্রাণীদের সঙ্গে খেলা করতে। এমনি করতে করতে একদিন একটা রে-ফিসের সঙ্গে সাঁতরাতে সাঁতরাতে সে চলে এল নরওয়ের সমুদ্র উপকূলের খুব কাছে। সেখানে নরওয়ের রাজা হ্যানসনের রাজকীয় জাহাজ এমভি মার্টিনা নোঙর করা ছিল। রাজা এই জাহাজে চড়ে তার ভীষণ অসুস্থ ছেলে হ্যানসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যাবেন উন্নত চিকিৎসা করাতে।

জাহাজটি এক সপ্তাহের মধ্যেই রওনা হবে। ছোট্ট তিমি অ্যাবে আগে কখনো জাহাজ দেখেনি। সে বিস্মিত হলো। আনন্দে সে বড় করে দম নিয়ে সমুদ্রে ডুব দিল, একটু পরেই ভুস করে ভেসে উঠে আকাশের দিকে লাফ দিল পানি ছিটাতে ছিটাতে। তখন অ্যাবেকে মনে হচ্ছিল একটা উড়ন্ত পানির ফোয়ারা। রাজপুত্র হ্যানসন তখন জাহাজের খোলা ডেকে দাঁড়িয়ে ছিল। খালাসিরা ছোটাছুটি করে জাহাজে প্রয়োজনীয় মালপত্র ওঠাচ্ছিল। হ্যানসন তিমিটাকে দেখে ফেলল আর ওকে খুব ভালোবেসে ফেলল। সে তিমিটার উদ্দেশে গান গেয়ে উঠল। গানটা কিন্তু ছোট্ট তিমি অ্যাবের খুব ভালো লাগল। সে প্রতিদিন রাজপুত্র হ্যানসনের সঙ্গে দেখা করতে আসতে লাগল।

একদিন রাজার সেনাপতি রবরয় তিমিটিকে দেখে ফেলল। সে হারপুন গান দিয়ে তিমিটির দিকে গুলি ছুড়ল। ছোট্ট তিমির চারপাশে রক্তে লাল হয়ে গেল পানি। ধীরে ধীরে সে সমুদ্রে তলিয়ে গেল। রাজপুত্র হ্যানসন ডেক থেকে সবকিছু দেখে চিৎকার করে সমুদ্রে দিল ঝাঁপ। সে সাঁতার জানত না, তাই সেও সমুদ্রে তলিয়ে গেল।

সমুদ্রে স্কুবা ডাইভার পাঠিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাজপুত্রকে আর পাওয়া গেল না। শোনা যায় আজও নরওয়ের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, তখন তারা কখনো কখনো রাজপুত্রের করুন কণ্ঠের গান শোনে। জেলেদের মন তখন রাজপুত্রের কথা ভেবে বিষণ্ন হয়ে ওঠে।

/আবরার জাহিন

বৃষ্টিঝরা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
বৃষ্টিঝরা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

মেঘ গুরগুর ডাকছে দেয়া
আকাশ কালো করে,
ঠাণ্ডা হাওয়ার ডানায় চড়ে
নামল বৃষ্টি জোরে।
তা-ধিন তা-ধিন সোনাব্যাঙে
নাচছে খালে বিলে,
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ভাঙা সুরেই
ডাকছে সবাই মিলে।
শিশু-কিশোর উঠোনজুড়ে
করছে লুটোপুটি,
কেউবা বিলে বড়শি পেতে
ধরছে ট্যাংরা পুঁটি।
কদম ফুলের পাপড়ি মেলে
বর্ষা ওঠে হেসে,
নদী-নালা পায় ফিরে প্রাণ
রূপসী বাংলাদেশে।

বাদলা দিনে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
বাদলা দিনে
ছবি: সংগৃহীত

ঝুপঝুপাঝুপ বৃষ্টি ঝরে 
ভরেছে ওই ঝিল,
শব্দ ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ 
নদী ও খালবিল!

জলের নাচন দেখবে খোকন 
ভাল্লাগে না ঘরে,
টইটম্বুর ডোবা পুকুর
জল থইথই করে!

বাদলা দিনে করতে মানা
এমন ছোটাছুটি,
ওই দেখো মা জলে ভাসে 
টেংরা, বেলে, পুঁটি!

শুনব না আজ কোনো বাধা 
ধরব মাগুর কই,
ধুম পড়েছে বিলের মাঝে
মাছ ধরার হইচই!