ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৮ এএম
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৮ এএম
অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র
প্রথম অধ্যায়
মৌলিক মানবিক চাহিদা
 
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
 
৪৮. বাংলাদেশে বস্ত্রের চাহিদা কীভাবে পূরণ করা হয়?
ক. তুলা আমদানি করে খ. পুরোনো কাপড় আমদানি করে
গ. নতুন কাপড় আমদানি করে
ঘ. টেক্সটাইল মিল প্রতিষ্ঠা করে
৪৯. মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় কেন?
ক. আর্থসামাজিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে
খ. সাংস্কৃতিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে
গ. মতাদর্শের ভিন্নতার কারণে
ঘ. পারিপার্শ্বিক ভিন্নতার কারণে
৫০. বাংলাদেশে কীসের প্রভাবে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ন্যূনতম খাদ্যগ্রহণে সক্ষম হচ্ছে না?
ক. খাদ্য ঘাটতির
খ. বাজেট ঘাটতির
গ. অর্থের ঘাটতির
ঘ. সম্পদের ঘাটতির
৫১. বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য আমদানি করার যথার্থ কারণ কী?
ক. ঘাটতি অনুধাবন
খ. খাদ্য ঘাটতি পূরণ
গ. গুদামজাতকরণ
ঘ. ব্যবসায়করণ
৫২. বাংলাদেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাওয়ার যথার্থ কারণ কী?
ক. জনসংখ্যা হ্রাস
খ. জনসংখ্যা বৃদ্ধি
গ. কৃষিভূমি হ্রাস
ঘ. কৃষক হ্রাস
৫৩. বর্তমানে বস্ত্র খাত কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে?
ক. ব্যক্তি মালিকানায়
খ. সরকারি মালিকানায়
গ. অংশীদারি মালিকানায়
ঘ. যৌথ মালিকানায়
৫৪. বাংলাদেশে নারীদের সাক্ষরতার হার কত?
ক. ৭০.৯% খ. ৭১.৯%
গ. ৭২.৯% ঘ. ৭৩.৯%
৫৫. বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়টি?
ক. ১,৩২,০০২টি
খ. ১,৩৩,০০২টি
গ. ১,৩৪,০০২টি
ঘ. ১,১৩,০০২টি
৫৬. কত সাল থেকে বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরে শতভাগ নতুন বই দেওয়া হচ্ছে?
ক. ২০০৫ সাল
খ. ২০০৭ সাল
গ. ২০১০ সাল
ঘ. ২০১২ সাল
৫৭. বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে প্রতি ১০০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা কত?
ক. ৫০ জন
খ. ৪৯ জন
গ. ৫১ জন
ঘ. ৫২ জন
৫৮. বাংলাদেশে অজ্ঞ ও অদক্ষ বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার যথার্থ কারণ কী?
ক. নিরক্ষরতার হার বৃদ্ধি
খ. নিরক্ষরতার হার হ্রাস
গ. শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি
ঘ. শিক্ষিতের হার হ্রাস
৫৯. দেশে সরকারি নার্সিং কলেজ কয়টি?
ক. ১২টি খ. ১৩টি
গ. ১৪টি ঘ. ১৫টি
৬০. বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা বেশির ভাগ কোথায় দেওয়া হয়ে থাকে?
ক. গ্রামে খ. মহল্লায়
গ. উপজেলায় ঘ. শহরে
৬১. আকাশ সংস্কৃতি উন্মুক্ত করা হয় কখন?
ক. ১৯১৯ সাল
খ. ১৯৯২ সাল
গ. ১৯৯৩ সাল
ঘ. ১৯৯৪ সাল
৬২. চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারের অনুদান প্রদান জনগণের কোন চাহিদা পূরণে সহায়ক?
ক. শিক্ষার চাহিদা
খ. চিত্তবিনোদন চাহিদা
গ. জৈবিক চাহিদা
ঘ. বাসস্থানের চাহিদা
৬৩. বাংলাদেশে চিত্তবিনোদনের চাহিদা পূরণ কীরূপ?
ক. সন্তোষজনক
খ. ক্রমশ প্রসারমান
গ. আশাব্যঞ্জক
ঘ. হতাশাজনক
৬৪. বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির যৌক্তিক কারণ হলো-
i. জনসংখ্যা বৃদ্ধি
ii. প্রাকৃতিক দুর্যোগ
iii. ভূমির খণ্ড-বিখণ্ডতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
৬৫. আমাদের প্রতি বছরই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়-
i. পাট  
ii. সুতা 
iii. কাঁচা তুলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৬৬. গলগণ্ড রোগ হয় কীসের মাধ্যমে?
ক. ভিটামিন এ
খ. ভিটামিন বি
গ. ভিটামিন সি
ঘ. আয়োডিন
৬৭. খাদ্যের অপূরণজনিত প্রধান সমস্যা কোনটি?
ক. পুষ্টিহীনতা খ. শিক্ষার সমস্যা
গ. অপরাধপ্রবণতা ঘ. নিরক্ষরতা
৬৮. সমাজে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার যৌক্তিক কারণ কোনটি?
ক. খাদ্যদানে ব্যর্থতা
খ. ব্যক্তিগত ব্যর্থতা
গ. রাষ্ট্রের ব্যর্থতা
ঘ. চাহিদা পূরণে ব্যর্থতা
৬৯. অপুষ্টির ক্ষেত্রে শিশুদের পরেই কাদের স্থান?
ক. কিশোরদের
খ. যুবকদের
গ. বৃদ্ধদের
ঘ. মহিলাদের
৭০. নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতার মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ?
ক. অগভীর
খ. গভীর
গ. নেতিবাচক
ঘ. হতাশাজনক
৭১. বাংলাদেশের বুকে চেপে বসেছে কী?
ক. সামাজিক বিশৃঙ্খলা
খ. রাজনৈতিক অস্থিরতা
গ. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র
ঘ. দুর্নীতি
৭২. মৌল মানবিক চাহিদার অপূরণজনিত সমস্যা হলো-
i. পুষ্টিহীনতা  
ii. নিরক্ষরতা
iii. প্রাকৃতিক দুর্যোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. ii ও iii
গ. i ও iii ঘ. i, ii ও iii
 
উত্তর: ৪৮. খ, ৪৯. ক, ৫০. ক, ৫১. খ, ৫২. গ, ৫৩. ক, ৫৪. গ, ৫৫. খ, ৫৬. গ, ৫৭. গ, ৫৮. ক, ৫৯. খ, ৬০. খ, ৬১. গ, ৬২. খ, ৬৩. খ, ৬৪. ঘ, ৬৫. গ, ৬৬. ঘ, ৬৭. ক, ৬৮. ঘ, ৬৯. খ, ৭০. খ, ৭১. গ, ৭২. ক।
 
লেখক: 
প্রভাষক, সমাজকর্ম বিভাগ
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
 
জাহ্নবী

স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা
ফাইল ফটো

চলমান এইচএসসি ও সমমানের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ে তিনটি এবং আগস্টে একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

অমিয়/

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্থগিত করা ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চার দিনের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।’

আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত ১৮ জুলাই সকালে ছিল ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র এবং বিকেলে ছিল উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, আরবি প্রথম পত্র, পালি প্রথম পত্র পরীক্ষা। 

২১ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র, ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র।
 
২৩ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র। 

আর ২৫ জুলাই সকালে ছিল অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন এবং ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র।

আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অমিয়/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে, সেগুলোর এক রকম পরিস্থিতি। আবার অন্য যে জেলাগুলো আছে, সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। এসব আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদেরকে তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। তবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা। আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই-সেই করা হবে। তবে এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন, তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটাই অনুরোধ করব।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী আনিস আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃবিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বিষয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে, কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মাননীয় আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’

আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা করে, সংঘাত-সহিংসতা মুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়, এমন সব কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। সেসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। চলমান অবস্থা দীর্ঘায়িত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’