তৃতীয় অধ্যায়
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
২৬. লালবাগ কেল্লা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত।
২৭. লালবাগ কেল্লা কত সালে নির্মাণ করা হয়?
উত্তর: ১৬৭৮ সালে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়।
২৮. লালবাগ কেল্লার নির্মাণকাজ কে শুরু করেন?
উত্তর: আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ লালবাগ কেল্লার নির্মাণকাজ শুরু করেন।
২৯. লালবাগ কেল্লা কীসের তৈরি?
উত্তর: লালবাগ কেল্লা সম্পূর্ণ ইটের তৈরি।
৩০. আহসান মঞ্জিল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
৩১. আহসান মঞ্জিল কে নির্মাণ করেন?
উত্তর: মুঘল আমলে জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতুল্লাহ আহসান মঞ্জিল প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।
৩২. কার নামানুসারে প্রাসাদটির নাম আহসান মঞ্জিল রাখা হয়?
উত্তর: খাজা আব্দুল গণির পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে ভবনটির নামকরণ আহসান মঞ্জিল রাখা হয়।
৩৩. কত সালের ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিল ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর: ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিল ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৩৪. কীভাবে আহসান মঞ্জিল তার হারানো গৌরব ফিরে পায়?
উত্তর: ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে আহসান মঞ্জিল তার হারানো গৌরব ফিরে পায়।
৩৫. আহসান মঞ্জিল কাদের রাজপ্রাসাদ ছিল?
উত্তর: আহসান মঞ্জিল বাংলার নবাবদের রাজ প্রাসাদ ছিল।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত? মৌর্য আমলে মহাস্থানগড় কী নামে পরিচিত ছিল? মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত ৪টি নিদর্শনের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে মহাস্থানগড় অবস্থিত। মৌর্য আমলে মহাস্থানগড় ‘পুণ্ড্রনগর’ নামে পরিচিত ছিল।
মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত ৪টি নিদর্শনের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো-
ক. চওড়া খাদবিশিষ্ট প্রাচীন দুর্গ।
খ. প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি।
গ. মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ভগ্নাবশেষ।
ঘ. ৩ দশমিক ৩৫ মিটার লম্বা ‘খোদাই পাথর’।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা
জাহ্নবী