সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিশুদের দক্ষ, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই হবে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক সংকল্প।’
গত ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত শিশু কিশোর সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে ও বাঙালিদের জন্য পৃথক একটি রাষ্ট্র গঠনের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ এবং বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান বিধৃত করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ, নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে এবং বাঙালিদের সম্মান ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অনড় অবস্থান তাঁকে সমকালীন অন্যান্য নেতা থেকে স্বতন্ত্র করেছিল। ফলশ্রুতিতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন নেতা মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু। বাঙালির সাংস্কৃতিক জাতিসত্তা সংরক্ষণে এবং এ জাতির জন্য পৃথক রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক আন্দোলনে যুগপৎ নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।
মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিশু দিবস পালনের ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শিশুবৎসল দিকটি তুলে ধরেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে তিনজন প্রতিনিধিও বক্তব্য রাখেন।
দিবসটি উপলক্ষে মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার শুরুতে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশুদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শিশু-কিশোর সমাবেশে বয়সভিত্তিক গ্রুপে চিত্রাঙ্কন ও বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ উপজীব্য করে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আলোচনাসভা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে আনন্দমুখর করে তোলে।
শিশুরা কেক কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ইফতার ও নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়।
অমিয়/