![এইডস থেকে বাঁচতে সতর্কতাই যথেষ্ট](uploads/2023/11/30/1701319552.f2.jpg)
দুই ধরনের ভাইরাসের কারণে এইডস হতে পারে। তারা হচ্ছে এইচআইভি ১ এবং এইচআইভি ২। এইচআইভি ১ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া ভাইরাস। অন্যদিকে এইচআইভি ২ পশ্চিম আফ্রিকাতে পাওয়া যায়। লিব্রাটি অবলম্বনে জানাচ্ছেন রাকিব।
এইডস যেভাবে ছড়ায়
ভ্যাজাইনাল, অ্যানাল এবং ওরাল সেক্স
এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌনসঙ্গমের ফলে ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তির শরীরে চলে আসে। এই ভাইরাস কারো শরীরে চুম্বনের দ্বারাও আসতে পারে কিন্তু এর সম্ভাবনা অনেক কম। কারণ থুতুতে থাকা এইচআইভি ভাইরাস দুর্বল হয়। চুম্বন করার সময় কমপক্ষে ১ থেকে ২ লিটার থুতু একে অপরের দেহে চলে এলে তবেই সম্ভাবনা থাকে এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার।
মায়ের দ্বারা
শিশু জন্মের সময় মায়ের দেহে এইচআইভি ভাইরাস থাকলে সেই ভাইরাস শিশুর শরীরেও আসতে পারে। যদি জন্ম দেওয়ার পরে কোনো কারণে মায়ের এইচআইভি ভাইরাস চলে নাও আসে, তাহলে স্তন্যদানের মাধ্যমেও শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে।
ইনজেকশন
এইডস রোগীর দেহে ব্যবহার করা সুচ সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ব্যবহার করলেও তার শরীরেও এইডস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
শল্য চিকিৎসা
শল্য চিকিৎসা বা অপারেশনের সময় এইডস রোগীর শরীরে ব্যবহার করা কাঁচি, ছুরি ভালো করে না ধুয়ে অন্য কোনো রোগীর শরীরে ব্যবহার করা হলে তার শরীরেও এইডস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সংক্রমিত রক্ত
এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত সুস্থ কারও দেহে ব্যবহার করা হলে তার শরীরেও এইডস ছড়াতে পারে। এইডস ছড়ানোর যে কারণগুলো উল্লেখ করা হলো, সেই কারণে এইডস হবেই, এমনটা বলা যায় না। এটা নির্ভর করে এইচআইভি ভাইরাসটা কতটা শক্তিশালী। যদি দুর্বল ভাইরাস কারও শরীরে চলে যায় তাহলে তার দেহে এইডস নাও হতে পারে।
যেভাবে এইডস ছড়ায় না
পোকামাকড় কামড়ালে এইডস ছড়ায় না। এ ছাড়া এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির মূত্র এবং ঘামের মাধ্যমে, একই টয়লেট অথবা সুইমিং পুলের ব্যবহার করলে, এইডস আক্রান্ত মানুষের তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করলে, এইডস রোগীদের ছুঁলে বা একসঙ্গে কাজ করলে এবং এইডস রোগীদের সঙ্গে এক থালায় খেলে এইডস ছড়ায় না। এইডস রোগীর হাঁচি-কাশি থেকেও এইডস ছড়ানোর সুযোগ নেই।
জাহ্নবী