ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস ক্যানসার প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য রোগ

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
ক্যানসার প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য রোগ

আগে বলা হতো, ক্যানসার মানে নো অ্যানসার, অর্থাৎ ক্যানসারের কোন চিকিৎসা নেই এবং মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু এখন সে কথা প্রযোজ্য নয়। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এই ক্যানসারকে প্রতিরোধ করা যায়। এমনকি সঠিক চিকিৎসা করালে রোগীও সুস্থ হয়।

সারা বিশ্বেই ক্যানসার একটি জটিল রোগ। পরিসংখ্যান বলছে, ক্যানসারের কারণে প্রায় ১৩ ভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এ জন্য নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে মৃত্যুর হার কমানোর চেষ্টা চলছে।

ক্যানসার কী?

যখন দেহের কোনো স্থানে অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোষ বৃদ্ধি হয়ে চাকা বা পিণ্ডের সৃষ্টি হয়, তখনই ক্যানসার রূপ ধারণ করে এবং রক্তনালি ও লসিকানালির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে মানুষকে অকালমৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

গঠন

মানুষের শরীর বা দেহ গঠিত হয়েছে কোটি কোটি কোষের সমন্বয়ে। এসব কোষের মধ্যে কিছু কিছু কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে দেহের অন্য স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে যে জটিলতা তৈরি হয়, সেটিই ক্যানসার। দেহের প্রায় সব প্রান্তে এই রোগ ছড়িয়ে জীবন সংকটময় করে তুলতে পারে।

শরীরের বৃদ্ধির সামঞ্জস্যতা, গঠন, চুল ও চোখের রং সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। এই জিনের সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যকারিতার জন্যই মানুষ ছোট থেকে বড় হয়।

আবার একপর্যায়ে বৃদ্ধি হওয়াও থেমে যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী কোষসংখ্যা বৃদ্ধিতে যে জিনগুলো ভূমিকা পালন করে থাকে, তার মধ্যে একটি জিন ‘পটোঅনকোজিন’, যা ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ। যেমন- ভাইরাস, রাসায়নিক পদার্থ (কার্সিনোজেন) ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে অনকোজিনে রূপান্তরিত হলে সেই কোষের বৃদ্ধি অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলতে থাকে।

আবার অপ্রয়োজনীয় কোষ সৃষ্টিতে বাধাদানকারী আরেক ধরনের জিন আছে, যার নাম ‘ক্যানসার সাপ্রেসরজিন’। মূলত এই সাপ্রেসরজিনের কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় হলেই ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

কারণ: সুনির্দিষ্ট কোনো কারণে ক্যানসার হয় না। ক্যানসার সৃষ্টিতে অনেক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণ থাকে। তবে বংশগত ও পরিবেশগত কারণকেই ক্যানসারের জন্য মূলত দায়ী করা হয়।

বংশগত : প্রমাণ পাওয়া গেছে, ক্যানসারের সঙ্গে জিনগত বা বংশগত সম্পর্ক রয়েছে। তাই পরিবারের কেউ যদি ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তাহলে অন্যদেরও ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বংশগত কারণে সাধারণত যেসব ক্যানসার হয়, তার মধ্যে স্তন ক্যানসার, বৃহদন্ত্রে ক্যানসার, শিশুদের চোখের ক্যানসার, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কলোরেক্টাল ক্যানসার ইত্যাদি।

পরিবেশগত: পরিবেশগত কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—

ভৌত কারণ: রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ ছাড়া এক্স-রে, গামা-রে অন্যতম কারণ।

রাসায়নিক পদার্থ: রঙের কারখানা, রাবার বা গ্যাসের কাজে যারা নিয়োজিত, তারা এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এ ছাড়া ধূমপানের ধোঁয়ায় বিদ্যমান ক্ষতিকর পদার্থ (কারসিনোজেন), রঞ্জক পদার্থ অসম্পূর্ণভাবে পোড়া আমিষ, শর্করা বা চর্বিজাতীয় খাদ্য ইত্যাদিও দায়ী।

ভাইরাস: কিছু কিছু ভাইরাস ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী। যেমন- হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস, হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস, এপেস্টেইন বার ভাইরাস ইত্যাদি। জরায়ুমুখের ক্যানসারের জন্য দায়ী করা হয় হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসকে। লিভার ক্যানসার হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে। আবার এপেস্টেইন বার ভাইরাস দ্বারা গলার ক্যানসার ও লসিকাগ্রন্থির ক্যানসার হয়।

অন্যান্য কারণ: কিডনি বা পিত্তথলির পাথর থেকেও ক্যানসার হতে পারে। সার্ভিক্স বা বোনের ক্রনিক ইনফেকশন থেকে জরায়ু ও বোনের ক্যানসার হয়। রাসায়নিক বা কেমিক্যাল এজেন্ট, যেমন- এনিলিন ডাইয়ে মূত্রথলির ক্যানসার হয়। খাদ্যে ব্যবহৃত ফরমালিন (পচনরোধক পদার্থ) স্টমাক বা পাকস্থলীর ক্যানসার সৃষ্টি করে। চুলের কলপের ব্যবহারে স্কিন ক্যানসার হতে পারে।

চিকিৎসা

ক্যানসারের ধরন অনুযায়ী শল্যচিকিৎসা, রেডিওথেরাপি বা বিকিরণ চিকিৎসা, কেমোথেরাপি, হরমোন চিকিৎসা ও ইমিউনোথেরাপি, টারগেটেড থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে সমন্বিতভাবে চিকিৎসা প্রদান করা যায়।

শল্যচিকিৎসা (সার্জারি): স্তন, প্রস্টেট ক্যানসারসহ কিছু চিকিৎসায় সার্জারি রোগীকে বেশি আরোগ্য করে। শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়া টিউমারের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অবশ্য নগণ্য।

রেডিওথেরাপি : অপারেশনের পরও খালি চোখে দেখা যায় না- এমন কিছু ক্যানসার কোষের সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে দেওয়া হয় রেডিওথেরাপি। বিশেষ করে এ রোগ মস্তিষ্ক বা হাড়ে ছড়িয়ে পড়লে জরুরিভাবে প্রশমন করার জন্য রেডিওথেরাপির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রেডিওথেরাপি দেওয়া যায় বলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা খুবই কম থাকে।

কেমোথেরাপি ও হরমোন : ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও হরমোনথেরাপি প্রয়োগ করা যায়। সামগ্রিকভাবে শরীরের সর্বত্রই এ রোগের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এর ব্যবহার অপরিহার্য। দেখা গেছে, খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণীত হলে এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসা নিলে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ রোগী ১০ বছরেরও বেশি বেঁচে থাকে। মাঝ পর্যায়ে নির্ণীত হলে এই হার ৫০ থেকে ২৫ শতাংশে নেমে আসে এবং শেষ পর্যায়ে ভালো কিছু করার সুযোগ প্রায় থাকেই না।

অনুলিখন: আতাউর রহমান

কলি

হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে যা করবেন

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে যা করবেন

হৃদরোগে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। মানুষের দেহের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অণুজীব মাইক্রোবায়োম যদি সুস্থ থাকে এবং কোমরের আকার যদি খুব বেশি বেড়ে না যায়, পাশাপাশি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখা যায় তাহলেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিবিসি অবলম্বনে জানাচ্ছেন মেহেদী

বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া
যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে সেসব খাবার খেতে হবে। এসব খাবারের কারণে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া। বেশি আঁশ আছে এরকম সবজির মধ্যে রয়েছে শিম ও মটরশুঁটি জাতীয় সবজি, কলাই ও ডাল জাতীয় শস্য এবং ফলমূল। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন, আলু এবং শেকড় জাতীয় সবজি খোসাসহ রান্না করলে সেগুলো থেকেও প্রচুর আঁশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তারা হোলগ্রেইন আটার রুটি এবং বাদামি চাল খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলা
যেসব খাবারে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি থাকে সেসব খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। চিজ, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কুট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে স্যাচুরেটেড নয় এমন চর্বি খেতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে তেল সমৃদ্ধ মাছ, বাদাম ও বীজ। দিনের সাধারণ রান্নায় অলিভ অয়েল, রেপসিড, সানফ্লাওয়ার, কর্ন এবং ওয়ালনাট তেল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

দুধের বেলায় স্কিমড বা সেমি-স্কিমড (দুধ থেকে চর্বি সরিয়ে নেওয়া) দুধ খেতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে খাবারে যাতে বাইরে থেকে চিনি মেশানো না থাকে। লাল মাংসের বদলে খেতে হবে মুরগির মাংস। 

লবণকে বিদায় জানানো
লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। দিনে সর্বোচ্চ ৬ গ্রাম (এক চা চামচের পরিমাণ) লবণ খাওয়া যেতে পারে। লবণ কম-বেশি খাওয়া একটি অভ্যাসের ব্যাপার। লবণ যত কম খাওয়া হবে, তার চাহিদাও তত কমে যাবে। এই অভ্যাস বদলাতে মাত্র চার সপ্তাহের মতো সময় লাগে। এ সময় পার হওয়ার পর দেখা যাবে আপনি যে খাবারের সঙ্গে লবণ খাচ্ছেন না, সেটি আপনি বুঝতেই পারবেন না। খাদ্য বিশেষজ্ঞের মতে, লবণের পরিবর্তে মসলা দিয়ে খাবার প্রস্তুত করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।

ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
যেসব খাবারে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে সেগুলো আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েটের মাধ্যমেই এসব ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া সম্ভব। এসবের জন্যে ট্যাবলেটের ওপর নির্ভর করতে হবে না। তবে তার মধ্যে ব্যতিক্রম হচ্ছে ভিটামিন-ডি। কারও শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব থাকলে প্রতিদিন পাঁচটি ফল বা সবজি খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে ছোট্ট এক গ্লাস জুস। শিম ও ডাল জাতীয় শস্যও খাওয়া যায়। বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে থাকে ভিটামিন-ই।

মাছ, দুগ্ধজাত খাবার ও হোলগ্রেইনে পাওয়া যায় ভিটামিন-বি। কলা, আলু এবং মাছে পটাশিয়াম। ডাল ও হোলগ্রেইনে ম্যাগনেসিয়াম। দুগ্ধজাত খাবার ও সবুজ পাতার সবজি থেকে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম।

বেশি মোটা হলে ক্যালরি কমিয়ে দিন
শরীর মোটা হলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমা হলে। পুরুষের কোমর যদি ৩৭ ইঞ্চি আর নারীর কোমর ৩১ দশমিক ৫ ইঞ্চির বেশি হয় তাহলে ওজন কমাতে হবে। ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

 কলি 

পিঠের ব্যথা কমাবেন যেভাবে

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
পিঠের ব্যথা কমাবেন যেভাবে

পিঠব্যথা প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি হলো পিঠের ওপর চাপ কমানো। তাই দৈনন্দিন চলাফেরা এবং কাজকর্মের সময় দেহভঙ্গির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু কাজ আছে যেগুলোকে দৈনন্দিন জীবনে অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে পিঠে ব্যথা বা ব্যাকপেইন থেকে সহজেই দূরে থাকা সম্ভব। চলুন এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিই। করোনা ডটগভ ডটবিডি অবলম্বনে লিখেছেন ফখরুল ইসলাম

কম ওজন বহন করা 
ভারী ব্রিফকেস, ল্যাপটপ ব্যাগ, স্যুটকেস কিংবা বাজারের ব্যাগ- এগুলো ঘাড় এবং মেরুদণ্ডে অপ্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করতে পারে। তাই শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসই বহন করতে হবে। এমন ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে যা পিঠে, ঘাড়ে, কাঁধে সমানভাবে ভর বিতরণ করে। যেমন ব্যাকপ্যাক। এটা দুই কাঁধে এক সঙ্গে নিতে হয় বলে ভর পুরো শরীরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভারী কিছু বহন করতে হলে চাকাওয়ালা ব্যাগ ব্যবহার করা ভালো।

ব্যায়াম করা
পেট এবং পিঠের চারপাশের পেশীগুলো আমাদের সোজা থাকতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পুরো শরীরের ভার বহন করতে সহায়তা করে। তাই এগুলোকে শক্তিশালী করলে পিঠে ব্যথা বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার পেট ও পিঠের ব্যায়াম করা ভালো।

সোজা হওয়া
সঠিক দেহভঙ্গি মেরুদণ্ডকে সুস্থ রাখে। দেহভঙ্গি সঠিক না হলে তা মেরুদণ্ডে অপ্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করে। যারা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন, তাদের ব্যাকপেইন হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। তাই চেয়ারে বসার সময় সোজা হয়ে বসতে হবে। দাঁড়ানোর সময়ও সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। কম্পিউটারের মনিটর প্রয়োজনে উঁচু করে নিতে হবে যেন মাথা ও শিরদাঁড়া সোজা রেখে কাজ করা যায়।


টেবিলে ঝুঁকে কাজ না করা
অফিসের চেয়ারে বসার সময় কিংবা দাঁড়ানোর সময় ঝুঁকে যাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যারা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন বা ‘ডেস্ক জব’ করেন তাদের ঠিকভাবে বসা, বিশেষ করে পিঠকে পেছন থেকে সঠিকভাবে চাপ দিয়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

চেয়ার ভালো হওয়া খুব জরুরি। এমন চেয়ার বেছে নিতে হবে যেটা পিঠের নিচের দিককে সঠিকভাবে চাপ দিয়ে রাখতে পারবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বসলে হাঁটু নিতম্বের থেকে একটু উঁচুতে থাকে।

একটানা দাঁড়িয়ে অথবা বসে না থাকা
দীর্ঘসময় ধরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা, বসা বা শুয়ে থাকা পিঠের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। তাই যখন সম্ভব বসা থেকে ওঠা, হাঁটাহাঁটি করা এবং হাল্বা স্ট্রেচ করে পেশী, হাড় এবং মেরদণ্ডকে চাপ থেকে মুক্তি দিতে হবে। এটি পিঠে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং সুস্থ রাখে।


হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমান
উপুড় হয়ে বা চিৎ হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। ঘুমের সময় পা সামান্য উঁচু করে রাখলে পিঠের এই চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে পিঠের ওপর চাপ অর্ধেক কমে ফেলা সম্ভব।

আপনার ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান
পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে মেরুদণ্ডের হাড় মজবুত থাকে। ক্যালসিয়াম অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, যা নারীদের পিঠে ব্যথার একটি বড় কারণ। দুধ, দই, শাকে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি পাওয়া যায় চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, গরুর কলিজা এবং পনিরে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়াম বড়ি পাওয়া যায়, যা কার্যকর। তবে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

ধূমপান বাদ
ধূমপান ব্যাকপেইন বাড়িয়ে দিতে পারে। নিকোটিন মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলোতে রক্তপ্রবাহকে সীমিত করে দেয়, যার ফলে তারা শুকিয়ে যায় বা ফেটে যায়। ধূমপান রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও হ্রাস করে। ফলে পেশীতে কম পুষ্টি পৌঁছায়। এই দুর্বল, অসুস্থ পিঠ দুর্ঘটনাজনিত স্ট্রেন এবং পিঠে ব্যথা সৃষ্টিকারী টানগুলোর জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

জুতা বদলানো
হাই-হিলের জুতা পিঠের ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে তা যদি কেউ নিয়মিত ব্যবহার করে। তাই অল্প উচ্চতার সমান তলিওয়ালা জুতা - স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে।

 কলি  

মাংসপেশিতে টান  কারণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
মাংসপেশিতে টান  কারণ ও চিকিৎসা

মাংসপেশিতে টানপড়া বা শরীরের কোনো অংশ মচকানো একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা এটাকে মাসলপুল, মাসল সোরনেস, স্ট্রেইন, স্প্রেইন, ক্র্যাম্প, স্প্যাজম ইত্যাদি বলে থাকেন। মাংসপেশিতে অতিরিক্ত টান খেলে অথবা টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। এতে শরীরের ওই অংশটিতে ভীষণ ব্যথা হয়। ল্যাকটিক অ্যাসিড নিঃসরণের জন্য জ্বালাপোড়া করে। এ কারণে মাংসপেশি নাড়াচাড়া করা যায় না। বিবিসি অবলম্বনে জানাচ্ছেন মো. রাকিব

মাসলপুল হয় যে কারণে
১. শরীরের যেকোনো একটি মাংসপেশি অনেকক্ষণ ধরে ব্যবহৃত হতে থাকলে। 
২. ব্যায়াম, খেলাধুলা বা যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে ওয়ার্মআপ বা শরীর গরম না করলে।
৩. পেশি ক্লান্ত থাকা অবস্থায় আকস্মিক নড়াচড়া করলে।
৪. হঠাৎ অতিরিক্ত ভারী কিছু উঠালে।
৫. পেশির অতিরিক্ত ও অনুপযুক্ত ব্যবহার করলে।
৬. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা করলে।
৭. অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বিশেষ করে পানি কম খেলে এবং শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব দেখা দিলে।

যারা অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করে থাকেন যেমন অ্যাথলেটরা মাসলপুলের সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
যারা দীর্ঘসময় ধরে কম্পিউটারের সামনে কিংবা চেয়ারে বসে কাজ করেন কিংবা লম্বা সময় যানবাহন চালান, তাদের কাঁধ, ঘাড়, পিঠের মাংসপেশিতে টানপড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

কখন বুঝবেন মাসলপুল হয়েছে:
১. যদি পেশিতে অনেক ব্যথা হয়। পেশি অনেক দুর্বল হয়ে যায়।
২. আঘাতপ্রাপ্ত জায়গাটি যদি ফুলে ওঠে বা লালচে দাগ পড়ে যায়।
৩. যদি আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে স্বাভাবিক ওজন নিতে কষ্ট হয়।
৪. মাংসপেশি আপনা আপনি অনেক শক্ত হয়ে যায়।

মাসলপুল হলে কী করবেন:
ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার তথ্য মতে, মাংসপেশিতে টান খাওয়ার প্রথম কয়েকদিন চারটি ধাপে এর চিকিৎসা করতে হবে। যাকে সংক্ষেপে রাইস থেরাপি বলা হয়। এর মাধ্যমে ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
রাইস থেরাপির ৪টি ধাপ হলো: রেস্ট, আইস, কমপ্রেশন ও এলিভেট।
১. রেস্ট বা বিশ্রাম: সব ধরনের শারীরিক ব্যায়াম বা ক্রিয়াকলাপ বন্ধ রাখতে হবে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কখনো কোনো ওজন নেয়া যাবে না।
২. আইস বা বরফ : আঘাতের স্থানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিটের জন্য বরফের ব্যাগ দিয়ে রাখতে হবে।
৩. কমপ্রেশন বা সংকোচন : আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটির নাড়াচাড়া নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে।
৪. এলিভেট বা উঁচু করা অর্থাৎ আঘাতের স্থানটি যতটা সম্ভব বালিশের উপরে উঠিয়ে রাখতে হবে।
মাংসপেশির ফুলে ওঠা প্রতিরোধে কোনো অবস্থাতেই আঘাত পাওয়ার প্রথম কয়েকদিন ওই স্থানে গরম সেক দেওয়া বা গরম পানি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া আঘাতের স্থানে কোনো অবস্থাতেই মালিশ করা যাবে না।

চিকিৎসা
মাংসপেশিতে টান পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত । বিশেষ করে, মাংসপেশিতে অতিরিক্ত ব্যথা হলে, ব্যথায় জ্বর উঠে গেলে, কয়েকদিন পরও সেই ব্যথা না কমলে, মাংসপেশির ফুলে ওঠা না কমলে বা বাড়লে, শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, মাথা ঘুরতে থাকলে, শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে কাঁপতে থাকলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

মাসলপুল হওয়ার পর পেশির ওই অংশ যদি টান করতে গিয়ে ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে সেই চেষ্টা আর করা যাবে না। এতে পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হতে পারে। অনেক সময় মচকানোর এই প্রভাব সাত দিন থেকে শুরু করে ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

মাসলপুল এড়াতে কী করবেন
যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে বা ভারী কিছু তোলার আগে অবশ্যই ওয়ার্মআপ করে মাংসপেশিগুলোকে সচল করে নিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ না বসে, ৪০ মিনিট বা এক ঘণ্টা পর পর কয়েক মিনিটের জন্য পায়চারি করতে হবে।

 কলি 

ডায়াবেটিস: প্রতিরোধই রক্ষাকবচ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৩ পিএম
ডায়াবেটিস: প্রতিরোধই রক্ষাকবচ

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন, নিজেকে রক্ষা করুন- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে দেশে দেশে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় আফ্রিকার দেশগুলোর পর সবচেয়ে বেশি ডায়াবেটিসের রোগী বাড়ছে। আইডিএফের ২০২১ সালের সমীক্ষা মোতাবেক, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশেই ডায়াবেটিস রোগীর প্রাবল্য সবচেয়ে বেশি। টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং জটিলতাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনটি ধাপে এই প্রতিরোধ করা যায়।

প্রাথমিক প্রতিরোধ
ডায়াবেটিস হতে না দেওয়াই প্রাথমিক প্রতিরোধের লক্ষ্য। এ কাজে যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি সেগুলো চিহ্নিত করে প্রতিরোধের চেষ্টা করা। স্বাভাবিক ওজন ধরে রাখা এবং প্রতিদিন কিছু শারীরিক পরিশ্রমের লক্ষ্যে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

দুটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ করা সম্ভব। একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীকে সামনে রেখে তাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যায় কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়, যা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং অন্যান্য অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সমান সহায়ক।

যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি তাদের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ মূলত তিনটি ধাপে করা হয়ে থাকে। যেমন ১. উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করণ।  এই ধাপে সাধারণ জনগোষ্ঠী থেকে ব্যবহারিক, স্বল্প ব্যয়ে করা সম্ভব এমন সহজ কিছু বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করা হয়। ২. ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণ। এই ধাপে চিহ্নিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সকলের গ্লুকোজ খাইয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার পরীক্ষা করা হয়। ৩. ডায়াবেটিস প্রতিরোধের চেষ্টা। এই ধাপে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে ওজন স্বাভাবিক রাখা ও প্রতিদিন ব্যায়াম করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হয়, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু যারা জীবনযাত্রার যথেষ্ট পরিবর্তন করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো ওষুধ (মেটফরমিন, গ্লিটাজোন) ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপের প্রতিরোধ
ডায়াবেটিস দ্রুত নির্ণয় এবং এর জটিলতা প্রতিরোধ করা দ্বিতীয় ধাপের প্রতিরোধের অন্তর্ভুক্ত। দ্রুত নির্ণয় করার জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর একটি নির্দিষ্ট বিরতিতে ডায়াবেটিস আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। তাছাড়া কম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে ৩৫ বছর বয়সের পর ডায়াবেটিস নির্ণয়ের পরীক্ষা করে দেখা উচিত। দ্রুত নির্ণয়ের পাশাপাশি ডায়াবেটিসের সঠিক নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস জনিত জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ব্যাপারে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও রক্তের চর্বি, ওজন, রক্তচাপ নির্দিষ্ট মাত্রার ভেতর রাখা জরুরি।

তৃতীয় ধাপের প্রতিরোধে
ডায়াবেটিক ব্যক্তির জটিলতা প্রতিরোধ করে অথবা কমিয়ে রেখে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন তৃতীয় ধাপের এর উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে ডায়াবেটিক ব্যক্তিদের কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী রাখার চেষ্টা করাও এর অংশ। আর তাই, তৃতীয় ধাপের রোগের চিকিৎসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং এ ব্যাপারে চিকিৎসকই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তৃতীয় ধাপের জন্য রক্তের গ্লুকোজের সঠিক নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি জটিলতা অনুসারে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ আস্থাশীল যে, যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সমর্থ হলে, নিদেন পক্ষে ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হাত থেকে আজীবনের জন্য রক্ষা করা সম্ভব। তাই এ ডায়াবেটিস সেবা দিবসে সবাইকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক,এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

 কলি

 

দেশে প্রথমবার অপারেশন ছাড়া হার্টের অ্যাওর্টিক ভালভ প্রতিস্থাপন

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
দেশে প্রথমবার অপারেশন ছাড়া হার্টের অ্যাওর্টিক ভালভ প্রতিস্থাপন
ছবি : সংগৃহীত

দেশে হৃদযন্ত্রের রক্তনালি সুরক্ষিত (করোনারি প্রটেকশন) করে হৃদযন্ত্রে ইন্টারভেনশনাল পদ্ধতিতে অ্যাওর্টিক ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে হৃদযন্ত্রের চিকিৎসায় দেশে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হলো। অপারেশন ছাড়াই অ্যাওর্টিক ভালভ প্রতিস্থাপন একটি জটিল পদ্ধতি। 

প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আফজালুর রহমানের নেতৃত্বে গত ১১ জুলাই এ সাফল্য আসে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আফজালুর রহমানের বর্তমান কর্মস্থল রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে এ চিকিৎসা হয়।

ডা. মো. আফজালুর রহমান রবিবার (১৪ জুলাই) খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই নিয়মিত ইন্টারভেনশনাল পদ্ধতিতে হৃদযন্ত্রে কৃত্রিম ভালভ প্রতিস্থাপন করে আসছি। তবে হৃদযন্ত্রের প্রধান রক্তনালি সুরক্ষিত করে দেশে এবারই প্রথম আমরা সাফল্যের সঙ্গে অপারেশন ছাড়া হৃদযন্ত্রে অ্যাওর্টিক ভালভ প্রতিস্থাপন করলাম। এই চিকিৎসা নেওয়া রোগী সুস্থ আছেন। রোগীর বয়স ৭৫ বছর।’