![সামুদ্রিক ভয়ংকর প্রাণী ববিট ওয়ার্ম](uploads/2024/01/08/1704694586.a2.jpg)
মহাকাশ থেকে গভীর সমুদ্রে কত যে অদ্ভুত আর বৈচিত্র্যময় জীব আছে তার ইয়ত্তা নেই। কৌতূহল আর প্রয়োজনে মানুষ এসবের সন্ধান করে যাচ্ছেন। এই আবিষ্কারের নেশায় বিজ্ঞানীরা খোঁজ চালান সর্বত্র। সেই আবিষ্কার থেকেই উঠে আসে অবাক করা কিছু তথ্য। কখনো কখনো বিজ্ঞানীরা এমন কিছুর মুখোমুখি হন, যা চমকে দেয় সবাইকে। সমুদ্রের গভীরে অনেক প্রাণী সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ তথ্য জানেন না। তবে লাখ লাখ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে ‘ববিট ওয়ার্ম’ নামে প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যাকে সমুদ্রের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। মজার বিষয় হচ্ছে, এই প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে একজন নারীর নামের সঙ্গে মিল রেখে, যিনি নিজের স্বামীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন।
নামকরণের কারণ
সামুদ্রিক এই প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে লরেনা ববিট নামের এক নারীর নামে। যিনি রাগের কারণে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছিলেন। ঐ নারীর নামে সাদৃশ্য রেখে এই প্রাণীর নামও রাখা হয়েছে ববিট ওয়ার্ম (Bobbit Worm)। যদিও এই প্রাণীটিকে স্যান্ড-স্ট্রাইকারও বলা হয়, এটির একটি বৈজ্ঞানিক নাম ইউনিস অ্যাফ্রোডিটোইস।
প্রাণীটি দেখতে কেমন?
এই ভয়ংকর প্রাণীটি দেখতে একটি সাপ এবং একটি সেন্টিপিডের মধ্যে মিশ্রণের মতো। এটি আটলান্টিক এবং ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরের মতো উষ্ণ সমুদ্রের জলে পাওয়া যায়।
দেখতে ছোট হলেও এই ভয়ংকর শিকারি প্রাণীটি তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। অন্য কোনো প্রাণী থেকে নিজেকে আড়াল করতে এক রহস্যময় উপায়ে এর বিশাল আকারের দেহ লুকিয়ে রাখে। সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করার জন্য, এটি নিজেকে সমুদ্রেপৃষ্ঠে এমনভাবে লুকিয়ে রাখে, যেন তাকে দেখতে না পায়। এরপর সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে উঠে এসে দ্রুত তাদের শিকার করে।
কতটা বিপজ্জনক
এই প্রাণীটি দেখতে কিছুটা সামুদ্রিক শৈবালের মতো। তবে খুব মারাত্মক। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি যদি কাউকে কামড়ায়, তবে তাকে পঙ্গু করে দিতে পারে। এই প্রাণীটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর চোখ নেই, তবু এটি তার শিকারকে নিখুঁতভাবে লক্ষ করতে পারে। ববিট ওয়ার্ম নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এমনকি যদি টুকরো টুকরো করা হয়, সেই আহত শরীরের অংশগুলোকে নিজ থেকে জোড়া লাগিয়ে নিতে পারে ববিট ওয়ার্ম । সূত্র: ল্যাডবাইবেল
জাহ্নবী