চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে । খবরের কাগজ
ঢাকা ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করেছেন আদালত। আগামী ৯ মে রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্ত্তী এই নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহীনুর আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে ঘটনার পরপরই।

তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর দায়ের করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত করেন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী। তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই তিনি ৯জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

পরে ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। তবে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত ওলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

কনডেম সেলে রাখা নিয়ে রায় স্থগিত

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
কনডেম সেলে রাখা নিয়ে রায় স্থগিত
ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

বুধবার (১৫ মে) রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রায় স্থগিত ঘোষণা করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বক্তব্য উপস্থাপন করেন। 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না এবং কেন জেল কোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত বছর ৫ এপ্রিল রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রুলের শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ এবং জেল কোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক উল্লেখ করে গত সোমবার রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের সাধারণ সেলে আনতে দুই বছর সময় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ। 

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে দুই বছর আগে এ রিট করেন আইনজীবী শিশির মনির। অপর দুই বন্দি হলেন সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। রিটে মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে হত্যা, ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে হত্যা, ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মোবাইলফোন দোকানের সেলসম্যানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১৫ মে) রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে ও মাসুদ রানা (২৬) বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। এ ছাড়া মেহেদী হাসান রকি (২৫) নামে অপর এক আসামিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত জহুরুল ইসলাম (২৩) বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিকসের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আমবাগানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বিক্রি করা স্মার্টফোনের পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এরপর মোবাইল ফোনগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।

তিনি আরও জানান, ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রাম থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/সালমান/

মৌলভীবাজারে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
মৌলভীবাজারে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো. সোলায়মান এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মৌলভীবাজারের রাজনগরের ছিক্কা এলাকার আবারক মিয়া (২২) ও দক্ষিণ কাসিমপুরের জয়নাল মিয়া (৪০)।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ ও আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন।

মামলার সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ মে বিকেল ৩টার দিকে ভুক্তভোগী রাশেদা বেগম (৩০) বালাগঞ্জের অইয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে থেকে ধান কিনতে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে রাজনগরের উদ্দেশে বের হন। সন্ধ্যার পরও বাড়িতে না যাওয়ায় বোন রায়শা বেগম রাশেদাকে ফোন দিয়ে জানতে পারেন তিনি রাজনগরে আবারক মিয়া নামে তার পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে যাচ্ছেন। এরপর থেকে রাশেদার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর দুই দিন পর মাছু গাঙ্গে (খালে) রাশেদার মরদেহ পাওয়া যায়।

পরে ২০১৮ সালের ২ জুন রাশেদার ভাই আব্দুল খালিদ বাদী হয়ে রাজনগর থানায় মামলা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাাইব্যুনাল আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পুলক/পপি/অমিয়/

খুলনায় স্ত্রী হত্যায় ফাঁসির আদেশ

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
খুলনায় স্ত্রী হত্যায় ফাঁসির আদেশ
স্বামী নুরুন্নবী শেখ

খুলনায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামী নুরুন্নবী শেখকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, যৌতুকের দাবিতে ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট রাতে খুলনা মহানগরীর বেলায়েত হোসেন সড়কের বাসভবনে আসামী নুরুন্নবী তার স্ত্রী জোহরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ও শিশু সন্তানকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ রেখে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় জোহরার ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট খুলনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মাকসুদ রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ছবি : খবরের কাগজ

জয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় প্রায় ২০ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

জয়পুরহাট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়ে তাহেরাকে বিয়ের পর সেখানে ঘরজামাই থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও সন্ধান পাননি। সে রাতেই আসামীরা পারিবারিক বিরোধের জেড়ে বুলুকে গলাকেটে হত্যা করে। পরদিন ৪ এপ্রিল ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাসের ট্যাংকের উপর তার গলাকাটা দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। 

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।

পপি/অমিয়/