ঢাকা ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

দুদকের মামলায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
দুদকের মামলায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
আসলাম চৌধুরী

তিন মাস আগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। সে মামলার রায়ে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৫ মে) চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, আসলাম চৌধুরী কুমিল্লা কারাগারে ছিলেন। দুদকের মামলার শুনানির জন্য আজ তাকে কুমিল্লা কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরেন। আদালত সেটা নাকচ করে দেন। এরপর আইনজীবী আসলাম চৌধুরীর জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেটাও নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২৮ এপ্রিল আসলাম চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন দুদকের এই তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুদক অনুসন্ধানে তথ্য পেয়েছে, আসলাম চৌধুরী ২০০১ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি, সলিমপুর, সোনাইছড়ি, মসজিদ্দা, ভাটেরখীল, টেরিয়াইল, গুলিয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকা এবং চট্টগ্রাম নগরের কাটগড়, মুরাদপুর ও বোয়ালিয়া মৌজায় সবমিলিয়ে ১৪৬টি সাফ কবলার মাধ্যমে মোট ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ১৮৫ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায় ও অংশীদারি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, বিভিন্ন ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ, আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে ৩৬২ কোটি ৭১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেন।

১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত তিনি আয়কর নথিতে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩১ টাকা আয় দেখিয়েছেন। পারিবারিকসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় দেখিয়েছেন ৮ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার ৯১ টাকা। ফলে তার প্রদর্শিত সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৯ কোটি ৩০ লাখ ১৮ হাজার ৭৪০ টাকা। কিন্তু তিনি ঘোষিত সঞ্চয়ের মধ্যে এক কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪০ টাকার আয়ের সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দুদককে দেখাতে পারেননি। এর ফলে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ কোটি ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা।

আসলাম চৌধুরীর নিট সম্পদ ৩৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৬ টাকা। এর বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয় ১৮ কোটি ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা। সে হিসাব করলে আসলাম চৌধুরীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ টাকা। ২০০১ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুনের এ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গ্রেপ্তার হন। দুর্নীতি, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে আট বছর ধরে কারাবন্দি আছেন তিনি।

ইফতেখারুল/জোবাইদা/অমিয়/

মামলা তদন্তকালে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
মামলা তদন্তকালে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকাকালীন একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলাসংশ্লিষ্ট এক নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম চৌধুরী। পরে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে চাকরি হারান সুনামগঞ্জের ছাতক থানার তৎকালীন এই উপপরিদর্শক (এসআই)। 

সাজাপ্রাপ্ত আজিজুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরে। প্রায় ১২ বছরে মামলার বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ধর্ষণ মামলার রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রুকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নান্টু রায় খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার পর আজিজুল ইসলামকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার বিচারকাজ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
র‌্যাব কর্মকর্তা উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ছবি : সংগৃহীত

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, র‌্যাব-২-এ কর্মরত উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। তাকে কমিশন কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তাকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশ পাওয়ার পর ব্যাংক হিসাব থেকে তিনি টাকা তুলে নিয়েছেন। টাকা উত্তোলনের পর তিনি বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দুদক এই কারণে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করেছে। আদালত শুনানি নিয়ে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

সাবেক বিচারপতির দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
সাবেক বিচারপতির দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন এবং তার ছেলে মো. ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞার আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

প্রথম দিনে মামলার বাদী ও কমিশনের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সাক্ষ্য দেন। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে এদিন তার আইনজীবী হাজিরা দেন। আর তার ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক রয়েছেন। আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম দুলাল সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করেন। আদালতকে তিনি জানান, মামলা বাতিল চেয়ে তিনি হাইকোর্টে যাবেন। পরে আদালত আগামী ৩০ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। 

এ মামলায় গত ৩১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত। সেদিন বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার পক্ষের আইনজীবী মামলা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। সেদিন বিচারপতির ছেলে ও মামলার আসামি ফয়সাল আবেদীন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই দুদক মামলা করে। মামলাসূত্রে জানা যায়, মামলার আসামি ও সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের মোট সম্পদ ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ টাকা। তার ১৯৮২-৮৩ করবর্ষ থেকে ২০১০-১১ করবর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদ ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। এর বিপরীতে আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ টাকার। তার আয়ের তুলনায় ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকা বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিচারপতি জয়নুল আবেদীন তার ছেলেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন, যা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

তবে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের আয়কর রিটার্নে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দান এবং ফেরত প্রাপ্তির কোনো তথ্য নেই। বিচারপতির দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে দাখিল করা ব্যাংক স্টেটমেন্টে (২০০৫-০৬ এবং ২০০৬-০৭ অর্থবছর) তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য নেই। ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে তার দায় ক্রমান্বয়ে পরিশোধ দেখানো হলেও বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের কাছে টাকা পরিশোধের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যা থেকে দুদক আদালতে অভিযোগ এনেছে যে মো. জয়নুল আবেদীন অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য ২৬ লাখ টাকা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন।

তা ছাড়া মো. জয়নুল আবেদীন তার স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রাখা এবং ছেলে ফয়সাল আবেদীনকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য দেওয়া ২৬ লাখ টাকা নিজ আয়কর নথিতে ও দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। মো. ফয়সাল আবেদীন পিতার ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২৬ লাখ টাকা জেনেশুনে বৈধ করার জন্য সম্পত্তি ক্রয় ও দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন বলেও মামলায় অভিযোগ করেছে দুদক।

তারেকের এপিএসের মামলায় অভিযোগ শুনানি ২৭ জুন

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
তারেকের এপিএসের মামলায় অভিযোগ শুনানি ২৭ জুন
মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুসহ সাতজনের মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আদালত আগামী ২৭ জুন দিন ধার্য করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রাজধানীর মতিঝিল থানার এই মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন হুন্ডি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান আতিক, নাফিজ ইউনাইটেড করপোরেশনের ম্যানেজার ও স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান ওরফে ফেরদৌস, তার ভাগ্নে এ এম আলী হায়দার ওরফে নাফিজ, আমেনা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সার্ভিসের ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন এবং কর্মচারী আলমগীর হোসেন ও ফায়েজুর রহমান।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর মতিঝিলের সিটি সেন্টারের একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তৎকালীন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ওই অর্থ মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় র‌্যাব-৩-এর নায়েব সুবেদার ইব্রাহিম হোসেন মতিঝিল থানায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেন।

রিজেন্টের সাহেদসহ ৫ জনের বিচার শুরু

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
রিজেন্টের সাহেদসহ ৫ জনের বিচার শুরু
মোহাম্মদ সাহেদ

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর মধ্য দিয়ে করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। 

অন্য চার আসামি হলেন মাসুদ পারভেজ, দিপায়ন বসু, অনিন্দ্য দত্ত ও মো. মিজানুর রহমান। আসামিদের মধ্যে দিপায়ন বসু ও অনিন্দ্য দত্ত মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীরের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের এই আদেশ দেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করা হয়। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন একসিড করপোরেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। ২০২০ সালের ২০ জুলাই এই মামলা করেন তিনি।