![সংযুক্ত আরব আমিরাতের অজানা কিছু তথ্য](uploads/2024/05/04/bi-r-1714805614.jpg)
অফুরান তেলের খনি, প্রাচুর্য ও আভিজাত্যে অতুলনীয় এক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। মুসলিম বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম শীর্ষ দেশ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩১তম দেশ। আরব আমিরাতে রয়েছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন ও গগনচুম্বী ভবন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত সাতটি স্বাধীন আমিরাতের একটি ফেডারেশন। সাতটি আমিরাতের নাম হলো আবুধাবি, আজমান, দুবাই, আল ফুজাইরাহ, রা-আস আল খাইমাহ, আশ শারজাহ্ এবং উম্ম আল ক্বাইওয়াইন। আবুধাবি শহর ফেডারেশনের রাজধানী ও দুবাই দেশের বৃহত্তম শহর।
যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিষ্ঠিত হয়। সাতটি আমিরাতের মধ্যে ছয়টি ওই দিন সংযুক্ত হয়। সপ্তমটি, রা-আস আল খাইমাহ, ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান করে।
প্রতিটি আমিরাত একটি উপকূলীয় জনবসতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত এবং ওই লোকালয়ের নামেই এর নাম। আমিরাতের শাসনকর্তার পদবি আমির।পশ্চিম এশিয়ার ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগর ঘেরা এই দেশ বিশ্বের কাছে যেন ঠিক এক স্বপ্নপুরী। চলুন জেনে নিই সেই স্বপ্নপুরী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য-
১. সাতটি আমিরাতকে সংযুক্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে আরব দুনিয়ার এই দেশ। দেশের রাজধানী আবুধাবি হলো বৃহত্তম আমিরাত। গোটা দেশের আয়তনের ৮৭ শতাংশ রাজধানীর দখলে। ক্ষুদ্রতম হলো আজমান, মাত্র ২৫৯ কিমি. যার আয়তন।
২. যদিও আবুধাবি বৃহত্তম, তবুও জনসংখ্যায় এগিয়ে দুবাই আমিরাত। আর ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে দুবাই-ই হলো অন্যতম একটি জনপ্রিয় স্থান।
৩. দেশে ভিনদেশিদেরই আধিক্য বেশি। আরব দুনিয়ার বাসিন্দা এখানে সংখ্যায় নগণ্য। আমিরাতে ভিনদেশিদেরই আধিক্য বেশি। মোট জনসংখ্যার ২৭.১৫ শতাংশ ভারতীয়, ১২.৫৩ শতাংশ পাকিস্তানি, ১১.৩২ শতাংশ আমিরাতি, ৭.৩১ বাংলাদেশি, ৩.১৩ শ্রীলঙ্কান ও অন্যান্য জাতির লোক ৩৮.৫৬ শতাংশ।
৪. আমিরাতের পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানো বেশ কঠিন কাজ। কারণ, দুবাই পুলিশের কাছে আছে ল্যামবর্ঘিনি, বেন্টলি এবং ফেরারির মতো ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস গাড়ি।
৫. এই দেশে আছে গোল্ড এটিএম। হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন- সোনা। সেই এটিএম-এ টাকা ঢোকালেই মিলবে দামি গয়না ও সোনার ঘড়ির মতো জিনিস।
৬. দেশটিতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ খলিফা। এর ৮০ তলার ওপরে যারা বাস করেন তাদের রমজানের সময় অতিরিক্ত ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ইফতারের জন্য। কারণ, উঁচুতে সূর্যকে বেশ কিছুক্ষণ দেখতে পান তারা।
৭. আবুধাবির মাসদার শহর পুরোপুরি সৌরশক্তি ও অন্যান্য বিকল্প শক্তিতে নির্ভরশীল। প্রাইভেট গাড়ি এ শহরে নিষিদ্ধ। পরিবহন ব্যবস্থা এখানে ইলেকট্রিক গাড়ি, পরিশুদ্ধশক্তির গাড়ি এবং ব্যক্তিগত পড কারের ওপরই টিকে রয়েছে। এখানে দূষণের কোনো নামগন্ধ নেই।
৮. বুর্জ খলিফার নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল বুর্জ দুবাই। কিন্তু এই বিল্ডিং নির্মাণে আবুধাবি সাহায্য করেছিল বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নামে এর নামকরণ হয়।
৯. আবুধাবিতেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ইনডোর বিনোদন পার্ক ফেরারি ওয়ার্ল্ড।
১০. বিশ্বের কর্মরত ক্রেনের ২৫ শতাংশই দেখা যাবে দুবাইয়ে। এই দেশ অনবরত নির্মীয়মাণ। উন্নতির যেন কোনো বিরাম নেই!
কলি