ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ডিজিটাল ছিনেমার গল্প: আমি তুমায় বালুবাসি

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১২ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩ এএম
ডিজিটাল ছিনেমার গল্প: আমি তুমায় বালুবাসি

দুই তরুণ-তরুণী একে অপরকে খুব ভালোবাসে। তাদের নাম শুভ ও মাধবী। 

এক দিন শুভ মাধবীর ফেসবুক ওয়ালে লিখল, ‘জানু, আই লাভ ইউ!’ তখন তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা সেই ওয়ালপোস্টে লাইক দিল। লাইকসংখ্যা দেখে মাধবীর সে কী আনন্দ!

আর অন্যদিকে হিংসুটে সমাজ একটা ডিসলাইকের বাটনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করল। আর এই সুযোগে বিরোধীদলীয় ষড়যন্ত্রকারীরা ডিসলাইক বাটনের একটা স্প্যাম লিংক তৈরি করে পুরো ফেসবুকে ছড়িয়ে দিল।

এক দিন মাধবী বলল, ‘ওগো, তুমি আমাকে এত আদর করে ফেসবুকে পোক দাও কেন? আমার এত্ত ভালো লাগে। তোমার পোক পেয়ে আমি বারে বারে শিহরিত হই।’

শুভ খুশি হয়ে বলল, ‘আমার ঘরের দরজা খুলে দেখো, টেবিলের ওপরে আমার পিসির মাউস তো শুধু তোমাকে পোক দেওয়ার জন্যই। যতদিন আমার মাউস অক্ষত থাকবে, ততদিন তোমায় দিয়ে যাব ভালোবাসার পোক, প্রমিজ।’

এভাবে ভালোই চলছিল তাদের প্রেম। সারা দিন ইনবক্স মেসেজিং, দিনে ১০-১২টা ওয়ালপোস্ট, পাঁচটা স্ট্যাটাস, একটা নোট। আহা! একেই তো বলে প্রেম!

শুভর পরিবার মেনে নিলেও হঠাৎ ঝামেলা করল মাধবীর মা-বাবা। তারা কিছুতেই এ সম্পর্ক মেনে নিল না। তাই বাধ্য হয়ে পালিয়ে তারা বিয়ে করে ফেলল। তারা একটা গ্রুপ খুলল। কোলাজড গ্রুপ। মেম্বার শুধু তারা দুজন। সেখানেই তারা ঘরসংসার শুরু করল। গ্রুপের ওয়ালেই সব সাংসারিক কাজকর্ম, ভালোবাসার আদান-প্রদান সম্পন্ন হতে থাকল।

একসময় তাদের পরিবারের সব লোকজন এ খবর জেনে গেল। মাধবীর মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘হায়রে আমার পোড়া কপাল। কত ইচ্ছা ছিল মেয়ের বিয়েতে ফেসবুকে একটা ইভেন্ট খুলব। কত লোককে ইনভাইট করব। কিছুই হলো না রেএএএএ।’

মাধবীর বাবা রেগে গিয়ে বললেন, ‘আমি এ বিয়ে মানি না। বিয়ের প্রমাণ কোথায়? বিয়ের একটা রীতিনীতি আছে। সমাজের কাছে আমি মুখ দেখাব কীভাবে? বিয়ে করতে হলে ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস চেঞ্জ করতে হয়। সেখানে ছেলেমেয়ে উভয়পক্ষকে কনফার্ম করতে হয়। তোমরা তা করোনি।’

শুভ বলল, ‘মাই ডিয়ার ফাদার ইন ল, আমরা তা করেছি! আপনাকে বহু আগে আমরা ব্লক করেছি। তাই আপনি দেখেননি।’

মাধবীর বাবা আরও রেগে বললেন, ‘কী এত বড় স্পর্ধা! কোথায় সেটা? আমাকে দেখাও।’

শুভ নিজের প্রোফাইল গিয়ে হিস্টোরিকাল পোস্টটি দেখাল। মাধবীর বাবা অবজ্ঞার হাসি হেসে বললেন, ‘ছোহ! ওই পোস্টে মাত্র ১১ জন লাইক দিয়েছে। এত কম লাইকে বিয়ে সম্পন্ন হয় না।’

এবার শুভ চিৎকার করে উঠল, ‘ফাদার ইন ল, আমাদের ফ্রেন্ডলিস্ট গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের হৃদয়ে ভালোবাসা আছে। ভুলে যাবেন না, লাইক দিয়ে ভালোবাসা কেনা যায় না!’

মাধবীর বাবা রাগে-ক্ষোভে বললেন, ‘ছোটলোক ফেসবুকার কোথাকার! জাকারবার্গ আমার বন্ধু। আমি এখনি তোমার নামে রিপোর্ট করাব!’

বাবার কথা মাধবী কেঁদে ফেলল, ‘নাআআআ! তুমি আমার নামে রিপোর্ট করো। তবু তোমাদের জামাইয়ের ক্ষতি করো না। আমার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস তুমি মুছে দিও নাআআআ! তোমার দোহাই লাগে...’

মাধবীর বাবা বললেন, ‘ছি! তোর এত অধঃপতন! আমি আজই তোকে আমাদের ফেসবুক ফ্যামিলির ডটার লিস্ট থেকে রিমুভ করব। মাধবীর মা, আমার ল্যাপটপটা নিয়ে এসো।’

মাধবীর মা ভয়ে ভয়ে ল্যাপটপ এনে দিল। সঙ্গে সঙ্গে মাধবীর বাবা ফেসবুকে লগইন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন ল্যাপটপের ওপর।’

মাধবীর মা বললেন, ‘ওগো তুমি শান্ত হও। তোমার ল্যাপটপের শরীর ভালো না। এত অস্থির হলে যদি একেবারে নষ্ট হয়ে যায়!’

এদিকে শুভ মাধবীর হাত ধরে বলল, ‘চলো মাধবী। আমরা আমাদের ছোট্ট গ্রুপে ফিরে যাই। আভিজাত্যের বড়াই থাকলে ভালোবাসা জন্মায় না।’

তারা ফিরে গেল তাদের ছোট্ট গ্রুপে। এরপর এক দিন দুর্বৃত্তরা মাধবীর বাবার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেলল। হ্যাকাররা সেই আইডি ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করতে লাগল। এতে মাধবীর বাবার মান সম্মান ধুলোয় মিশে গেল।

কিছুদিন পরে বহুকষ্টে বন্ধু জাকারবার্গের সহায়তায় আইডি পুনরুদ্ধারে সক্ষম হলেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকে প্রতিদিন লাইক সংখ্যা কমতে লাগল। মাধবীর বাবা বুঝতে পারলেন যে এতদিন তিনি যা পেয়েছেন তা শুধুই খ্যাতি। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তার খ্যাতি শেষ হয়ে গেছে। তিনি কারও ভালোবাসা শ্রদ্ধা পাননি। আসলেই লাইক দিয়ে ভালোবাসা কেনা যায় না।

মাধবীর বাবা তার ভুল স্বীকার করলেন। বুকে টেনে নিলেন শুভ ও মাধবীকে। ফ্যামিলি লিস্টে এ দুজনকে অ্যাড করে নিলেন। এরপর তিনি তার বিশাল বিশাল ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনশিপ দিয়ে দিতে চাইলেন জামাই শুভকে।

তবে শুভ একজন আদর্শ ফেসবুকার। সে জীবনেও মাধবী ছাড়া কোনো নারীকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়নি। তাই নিজ আদর্শে অটুট শুভ হাসিমুখে মাধবীর বাবার এ উপহার প্রত্যাখ্যান করল।

তারপর ফাদার ইন ল আর মাদার ইন ল কে দুইখানা শ্রদ্ধা মেশানো ফেসবুক পোকে দিয়ে বিদায় নিল শুভ।

তারপর সুখে-শান্তিতে ছোট্ট গ্রুপে ঘরসংসার করতে লাগল শুভ আর মাধবী। মাঝে মধ্যে এক মায়াবী সন্ধ্যায় সূর্যের বিদায়ক্ষণে গিটার হাতে মাধবীর প্রোফাইলে চোখ রেখে শুভ গেয়ে ওঠে, 

‘পড়ে না চোখের পলক! 
কী তোমার প্রো পিকের ঝলক!
দোহাই লাগে প্রো পিক তোমার 
একটু হাইড করো!
আমি মরেই যাব
ডিঅ্যাকটিভ হব
লগইন করাতে পারবে না কেউ!’

কলি

তিনটি ছোট গল্প

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
তিনটি ছোট গল্প

রাস্তা দিয়ে মাছওয়ালা হেঁকে চলেছেন, মাছ চাই, জ্যান্ত মাছ। 
এক বৃদ্ধা ব্যালকনি থেকে ডাক দিলেন, ও মাছওয়ালা, এদিকে এসো।
মাছওয়ালা ওপরের দিকে তাকিয়ে বললেন, মাছ নিয়ে যান মাসিমা, একেবারে জ্যান্ত।
বৃদ্ধা প্রশ্ন করলেন, মাছ তাজা তো?

অবাক হয়ে মাছওয়ালা বলল, বলছি জ্যান্ত মাছ, তাজা তো হবেই।
বৃদ্ধা বললেন, ও কথা বলো না বাছা। আমিও তো জ্যান্ত, তাই বলে কি আমি তাজা?

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

মার জন্য কলকাতা থেকে হাঁপানির মিক্সচার পাঠাতাম, আর মাঝে মধ্যে তার এক দাগ আমি নিজেও মারতাম। আমার তখনো হাঁপানি হয়নি। কিন্তু মা বলেছিলেন যে, বাবার সম্পত্তির মতো মায়ের রোগ ছেলেতে বর্তায়। আর সব রোগ তোমায় শুইয়ে দেবে, কিন্তু হাঁপানি বসিয়ে দেবে। কিছুতেই শুতে দেবে না। বসে বসে হাঁপাতে হবে।

খেতে বেশ ওষুধটা। ওতে নাকি গাঁজার নির্যাস দেওয়া থাকত। খেলে একটু মৌতাতের মতো হয় বটে। এখনো খাই মাঝে মধ্যে। খাবার পর মগজ খোলে‚ বুদ্ধি খোলে‚ লেখাও খুলতে থাকে। আমার গল্পগুলো যে নিতান্তই গাঁজাখুরি হয়, তা এ জন্যই কিনা কে জানে!

শিবরাম চক্রবর্তী

একবার এক প্রসূতি সদনের ডাক্তার বাবুকে কথাচ্ছলে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, ডাক্তারি বিদ্যার এত শাখা থাকতে আপনি কেন এই সন্তান জন্মানোর নারীঘটিত ব্যাপারে এলেন, টাকার জন্য?  

ভদ্রলোক বলেছিলেন, জি না, ঠিক তা নয়। দেখুন, ক্যানসারের রোগী দেখলে ভয় হতো, আমারও বুঝি ওরকম হয়েছে। 
টিবির রোগী কাশত, আমিও কাশতাম। যেখানে যে রোগীর যে রোগ দেখতাম, মনে হতো আমারও সে রোগ আছে। সব লক্ষণ মিলে যেত। অবশেষে এই মাতৃসদনে এসে নিশ্চিত হয়েছি, এই রোগ অন্তত আমার হবে না।
তারাপদ রায়

 কলি 

পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

মাননীয় আব্বা, আপনারে সালাম জানিয়ে আমার বাজেট অধিবেশন শুরু করছি। আজ আমি আগামী অর্থবছরের জন্য আমার ব্যক্তিগত বাজেট পেশ করব। আমি আশা করছি, আপনি খুশি হয়েই অনুমোদন দেবেন।

প্রথমেই শিক্ষা খাত
আব্বা শিক্ষা হইলো জাতির মেরুদণ্ড। Education Is the... ইয়ে মেরুদণ্ডের ইংলিশটা ভুইল্লা গেসি। সে যাক, দুইটা বছর ধরে আমি সাফল্যের সহিত অত্যন্ত চমৎকার ফলাফল করে আসছি। এখন পর্যন্ত আমি মাত্র ১৮টা কোর্স রিটেক করেছি। যা কিনা আমার বন্ধুমহলের মধ্যে সর্বনিম্ন! সে অনুপাতে আগামী বছর আমার কমপক্ষে আরও ৯টা রিটেক লাগবে। তাই আপনি কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখবেন।

এরপর খাদ্য খাত
আব্বা গো, দুঃখের কথা কী বলব! দুইটা বছর ধরে ভার্সিটিতে প্রতিদিন মাত্র একটা বার্গার আর একটা হটডগ খেয়ে কোনোমতে বাইচ্চা আছি। এত কম খেয়ে পড়ালেখায় মন কীভাবে দিব গো আব্বা? তাই বলছি, আগামী বছরের জন্য প্রতিদিন ভার্সিটিতে আমি যাতে দুইটা বার্গার, একটা পিৎজা, একটা চিকেন সমুচা, একটা হটডগ খেতে পারি সেই ব্যবস্থা রাখবেন। এ ছাড়া দশটা টাকা বাড়তি দিয়েন গো আব্বা। খাওয়ার পরে বকশিশ না দিলে প্রেস্টিজ থাকে না। কী জইন্য এইডা আর কইলাম না! আর বিকেলে এক কাপ কফি আর হালকা নাশতা না খেলে আমার পক্ষে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা কষ্টকর হবে।

এখন আসি স্বাস্থ্য খাতে
আব্বা, ছয়টা মাস ধরে আমার হার্টের বাম পাশে চিকন চিকন বেদনা। লিজারে যখন দেখি, তখন সেই বেদনা আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই না, লিজার কথা চিন্তা করলেও এই ঘটনা ঘটে। আব্বা গো, আমার দিলের মধ্যে কী যে সুনামি তা আপনে বুঝবেন না। কবির ভাষায় ‘ওরে হারাই হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে।’ এই ভয় থেকে মুক্তি না পেলে আমার অন্তরের বিষ কমবে না। তাই লিজাকে উপযুক্ত গিফটের মাধ্যমে পটাইয়া যাতে আমি এই দুরারোগ্য ব্যাধি হইতে মুক্তি পাই ...সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আপনার হাতে।

ক্রীড়া ও বিনোদন খাত
আব্বা, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে উল্লেখযোগ্য অর্থ বরাদ্দের অভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। কয়েক বছর আগে যে রাজিব ‘পোকার’ খেলায় আমার ধারে-কাছেই আইতে পারত না, সেই পুলার কাছে গত সপ্তাহে আমি ৫০০ টাকা বাজি হারছি! এভাবে চলতে থাকলে আমার ও আমার পরিবারের মান-ইজ্জত ধুলায় মিশে যাবে। আপনি মহল্লায় মুখ দেখাতে পারবেন না। রাজিবের এই সাফল্যের রহস্য হইলো, সে সপ্তাহের সাত দিনই ক্লাবে গিয়ে খেলে আর আমি টাকার অভাবে সপ্তাহে মাত্র তিন-চার দিন খেলতে পারি। আপনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখলে আমি প্রতিদিন খেলে ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই বড়লোকের সন্তানরে হারিয়ে আপনার ও আমার মহল্লার ইজ্জত রক্ষা করতে পারব।

এখন আসি বিনোদনে
বিনোদনের কথা আর কী কমু। বিনোদনের অভাবে আমার এই জীবন মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে গো আব্বা। সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সপ্তাহে একটার বেশি সিনেমা আমি দেখতে পারি না। মাসে ডিভিডি কিনে বড়জোর ১২-১৫টা সিনেমা দেখি। কোনো কোনো মাসে আরও কম। বুঝি আর না বুঝি ইদানীং ইংলিশ ব্যাটাগো মুভি না দেখলে বন্ধুদের কাছে ইজ্জত থাকে না। আমি এই সমস্যার আশু সমাধান কামনা করতেছি।
মাঝে মাঝে আপনার কথা খুব মনে পড়ে। সেই যে ছোটবেলায় আপনি আমাকে পুষ্কুনিতে নামিয়ে গোসল করাতেন। আহ, এইগুলো মনে পড়লে আমার চউক্ষের পানিতেই পুষ্কুনি হয়ে যায়। আমার তখন ইচ্ছা করে পুষ্কুনিতে নেমে গোসল করি। কিন্তু এই ঠাডা পড়া শহরে পুষ্কুনি তো দূরের কথা, বাথরুমের বালতিতেও পানি থাকে না। তাই মাঝে মধ্যে সুইমিং পুলে গিয়ে দুইডা ডুব না দিলে পরাণে শান্তি পাই না গো আব্বা। এ বিষয়েও একটু খেয়াল রাইখবেন।

এরপরে আসি তইথ্য ও পরযুক্তি খাতে
আব্বা দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। এখন হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট যুগ। নেট এত স্লো যে, একবার নেটে বসলে, বসতে বসতে কোমরের নিচ অবশ হইয়া যায়। পেজ লোড হইতে হইতে চউক্ষে ঘুম লোড হয়ে যায়। তাই আগামী অর্থবছরে আমার জন্য একটা ৬ এমবিপিএস স্পিডের নেট লাইনের জন্য ৬০০ টেকা বরাদ্দ রাখবেন। না হইলে ফেসবুক পেজ ‘আমরা বড়লোক বাপের গরিব সন্তান’ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।

এ ছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটারের কারণে ঘরের বাইরে গেলে আমি বহির্বিশ্বের সঙ্গে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে আমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আজ হুমকির মুখে। একটা ল্যাপটপ থাকলে আজ আমার এই দশা হতো না। বিষয়টা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
পরিশেষে, বিগত দিনগুলায় আমি যে দুর্ভোগ-দুর্দশায় ছিলাম, আশা করছি আসছে বছরে এই বাজেট অনুমোদনের মাধ্যমে আমার সেই দুঃখের দিনগুলার অবসান ঘটবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

 কলি

সর্দারজি জোকস

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
সর্দারজি জোকস

সর্দারজি একটি রেডিও কিনেছেন। কিন্তু এক বিশাল সমস্যা নিয়ে ফের হাজির হলেন বিক্রেতার কাছে।

সর্দারজি: আমার সঙ্গে বাটপারি করার মানে কী?
বিক্রেতা: বাটপারি মানে? আপনাকে তো ভালো একটি রেডিওই দিয়েছি।
সর্দারজি: ভালো না ছাই! রেডিওর গায়ে লেখা মেড ইন জাপান। অথচ সারা দিন একটু পরপর বলছে, অল ইন্ডিয়া রেডিও!

সর্দারজি ইন্টারভিউ দিতে গেছেন।
প্রশ্নকর্তা: একটি ইলেকট্রিক মোটর কীভাবে চলে, বলতে পারেন?
সর্দারজি: ঘররররররর...!
প্রশ্নকর্তা: ব্যস ব্যস! হয়েছে, এবার থামুন!
সর্দারজি: ঘররর...ধুপ...ধুপ...ধুপ।

সর্দারজি নেমেছেন ট্যুরিস্ট গাইডের ভূমিকায়।
ভ্রমণার্থী: এই মাথার খুলিটি কার?
সর্দারজি: এক বুড়ো রাজার।
ভ্রমণার্থী: আর এই পাশের ছোটটা?
সর্দারজি: আরে বোকা, ওই রাজারই ছেলেবেলার খুলি এটা!

সর্দারজি: আমার দাদা তো বিশাল যোদ্ধা ছিলেন! ১৮৫৭ সালে করলেন কী, ২৭ জন শত্রু সেনার পা কেটেছিলেন তিনি।
বন্ধু: মাথা ছেড়ে পা কাটলেন কেন?
সর্দারজি: কারণ, মাথা যে আগেই কাটা ছিল।

গণিতের শিক্ষক সর্দারজির ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘যদি ১ হাজার কেজি = টন হয়, তাহলে ৩ হাজার কেজি = কত?’
‘কেন, টন টন টন!’ সর্দারজি-পুত্রের ঝটপট জবাব।

 চমৎকার এক বিকেলে ততোধিক চমৎকার একটা ঘটনা ঘটল। এক সুন্দরী সর্দারজিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসল ধুম করে! কিন্তু সর্দারজির মুখ কালো।
‘ঘটনা কী?’ জিজ্ঞেস করল সেই তরুণী। 
সর্দারজি মুখ ব্যাজার করে বলল, ‘না রে ভাই, আমার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেবে না। কারণ, আমাদের পরিবারে শুধু আত্মীয়দের মধ্যেই বিয়ে হয়। যেমন- আমার বাবা বিয়ে করেছেন আমার মাকে। ভাই করেছে ভাবিকে। আপা করেছে দুলাভাইকে!’

সর্দারজি ও তার বন্ধু গেছেন এক পাঁচতারকা হোটেলে। খাওয়ার টেবিলে বসে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে আসা দুটি স্যান্ডউইচ বের করে খেতে শুরু করলেন তারা। তা দেখে ওয়েটার চেঁচিয়ে উঠল, ‘না না না, এখানে আপনারা নিজেদের কোনো খাবার খেতে পারেন না!’ 
সর্দারজি খানিক ভেবে বললেন, ‘তাহলে আমি আমার বন্ধুরটা খাই, আমারটা বন্ধু খাক। কী বলেন?’

ব্যবসায় লাখ খানেক টাকা খাটিয়ে বিশাল ধরা খেয়ে বসলেন সর্দারজি। কী ব্যবসা ধরেছিলেন জানেন? পাঞ্জাবে একটা চুল-দাড়ি কাটার সেলুন দিয়েছিলেন!

মান্না দে’র বাবার জবাব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
মান্না দে’র বাবার জবাব

‘ও কেন এত সুন্দরী হলো’ মান্না দে’র গাওয়া এই গানটি শুনে তার বাবা কী বলেছিলেন জানেন? চলুন দেখে নিই। লিখেছেন আরাফাত বেলাল

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: অমনি করে ফিরে তাকাল।
বাবা: তুই তাকাস নে... মিটে গেল।

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: লেখাপড়া নেই, গিয়েছ বখে... দেখছ চোখে ফানুস।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: বললাম তো, তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: সবে যখন আকাশজুড়ে মেঘ জমেছে...
বাবা: ছাতা নিয়ে বের হ... চিন্তার কী আছে?

মান্না দে: ঝড় ওঠেনি বাতাসটাতে ঘোর লেগেছে।
বাবা: তোর মাথায় তো দেখছি ভূত চেপেছে।

মান্না দে: ও কেন তখন... উড়িয়ে আঁচল...
বাবা: বলছি ওদিকে তাকাস না গাড়ল।

মান্না দে: খোলা চুলে বাইরে এল?
বাবা: উফফ... ছেলেটা আমার গোল্লায় গেল।

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: এখন বুঝছি, গিয়েছে তোর হুঁশ।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: ওরে বাবা... তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: সবে যখন প্রাণে আমার মন জেগেছে।
বাবা: সর্বনাশটা হলোই বুঝি... এই সেরেছে।

মান্না দে: পৃথিবীটা একটুখানি বদলে গেছে।
বাবা: চোখের মাথা খেয়েছিস? সব আগের মতোই আছে।

মান্না দে: ও কেন তখন... হঠাৎ এমন...
বাবা: ঢং দেখে আর বাঁচি না... হঠাৎ কেমন?

মান্না দে: বিনা কাজে সামনে এল।
বাবা: ওর কাজের খবর তোর কানে কেমনে গেল?

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: ওর দাদা পাড়ার মাস্তান... দেবে তোকে ঢুঁশ।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: তাতে তোর কী এল-গেল?

কলি

তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতি

মমতা দিদি তিস্তায় পানি দিতে রাজি নন। এ অবস্থায় তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতির কথা জানাচ্ছেন মো. রাকিব

তিস্তার পানিকে বরফ বানিয়ে চোরাই পথে ট্রাকে করে আনা যেতে পারে। তারপর সেই বরফ নদীতে ফেলে দিলে আবার পানিতে পরিণত হবে। ফলে তিস্তার পানি বাড়বে।

চেরাগ ঘষে ইচ্ছাপূরণ দৈত্য জিনিকে আনতে হবে। তারপর জিনি যখন ইচ্ছার কথা জানতে চাইবে, তখন তিস্তার পানি এনে দেওয়ার কথা বললেই সে পানি এনে দেবে।

গোপনে মাটির নিচ দিয়ে একটি পাইপ ভারতের তিস্তায় সেট করতে হবে। পাইপের অপর প্রান্তে টিউবওয়েল লাগিয়ে হ্যান্ডেল চেপে চেপে সেই পানি দেশে আনতে হবে।

তান্ত্রিককে দিয়ে তিস্তার পানি বশীকরণ করতে হবে। তাহলে পানি আর কোনো বাধা মানবে না। সব বাঁধ ডিঙিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসবে।

কলি