ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

রিঅ্যাডমিশন ইফেক্ট

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:১৪ এএম
রিঅ্যাডমিশন ইফেক্ট

ছোটবেলা থেকেই পত্রিকা পড়ার অভ্যাস। তখন থেকে ইচ্ছা ছিল সাংবাদিক হব। সেই ইচ্ছা থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স পড়ার স্বপ্ন দেখতাম। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর আমার প্রথম ঢাকায় আসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং করার উদ্দেশ্যে। স্কুল-কলেজ লাইফের ফাঁকিবাজির ধারা কোচিং টাইমেও বজায় রাখলাম। ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাপের টাকার শ্রাদ্ধ করে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সবগুলো ভার্সিটির ফরম তুললাম। পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেশ ভ্রমণ করাও হলো। এতকিছুর ভিড়ে মূল কাজটাই হচ্ছিল না। প্রতিটি ভার্সিটির রেজাল্ট বের হওয়ার পর দেখতাম, আমার রোলটা ওয়েটিং লিস্টের লেজের দিকে। শেষ পর্যন্ত ঢাকাতেই এমন একটা সাবজেক্টে চান্স পেলাম, যেটাকে আমি আজীবন ভয় পেতাম।

মান বাঁচাতে ভর্তি হলেও মনের মধ্যে জিদ চেপে থাকল। বাংলাতে আমাকে পড়তেই হবে। তাই ক্লাসে সেভাবে উপস্থিত না হয়ে পরবর্তী সেশনে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে থাকলাম। আমার ফাটা কপাল আরেকটু ফাটিয়ে নেক্সট ভর্তি পরীক্ষার আগে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইম অ্যাডমিশনের নিয়মটাই তুলে দিল। ততদিনে আমি আমার অনার্সের রেগুলার কোর্স থেকে নন কলেজিয়েট হয়ে গেছি। কপালের পিণ্ডি চটকিয়ে অপছন্দের সেই বিষয়েই রি-অ্যাডমিশন নিতে বাধ্য হলাম।

নতুন জুনিয়র ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করতে হলেও নিজের সিনিয়র মুড ধরে রাখতাম সবার সঙ্গে। ওরা ফ্রেন্ডলি মিশতে চাইলেও নিজেকে বড় ভাই হিসেবে উপস্থাপন করতাম। এভাবেই আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সামনে চলে এল।

ক্লাসের পড়াশোনায় আমার মনোযোগ ঠিকঠাক কোনোকালেই ছিল না। তাই পরীক্ষার আগে টেনশনে আমার মাথা ঘুরাত, বমি পেত। হাতে-পায়ে শক্তি পেতাম না।

প্রথম পরীক্ষার দিন হলে ঢুকে পজিশনমতো একটা সিটে বসলাম। মানে যেখান থেকে অন্য কারও খাতা কপি করা সহজ হয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২০ মিনিট আগে একটা ছেলে খুব ফিটফাট হয়ে হাতে কয়েকটা পেপার নিয়ে পরীক্ষার হলে এল। প্রতি বেঞ্চে গিয়ে নিজের রোল খুঁজতে লাগল। একটু ভ্যাবলামতো দেখে আমার সিনিয়রিটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। একটু র‌্যাগ দিয়ে বাজিয়ে দেখতে ইচ্ছে হলো। আমি তাকে কাছে ডাকলাম, এই এদিকে আয়।

কাছে এলে বললাম, নতুন আইটেম নাকি রে? পড়াশোনা কিছু করেছিস? আমার পাশে বস। দুজন মিলিয়ে লিখব।

সে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বের হয়ে গেল। আমি ভাবলাম খুব ভয় পেয়েছে। আজ মনে হয় পরীক্ষা দেবে না।

আমাকে অবাক করে দিয়ে ছেলেটা একটু পরই রুমে ফিরে এল। এবার তার হাতে আমাদের জন্য অ্যান্সার স্ক্রিপ্ট এবং প্রশ্নপত্র। এসেই লেকচার ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ডিয়ার স্টুডেন্টস, আপনারা নির্দিষ্ট সিটে বসবেন দয়া করে। আমি এখনই আপনাদের পরীক্ষার খাতাগুলো দিয়ে দেব। আপনারা ঠিক ঠিক নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ফেলবেন।

৪৪০ ভোল্টের শক খেয়ে আমি খিঁচ মেরে গেলাম। পুরো পরীক্ষার সময়টা খাতা থেকে চোখ তুলতে পারলাম না। পরে শুনলাম স্যার আমাদের লেকচারার হিসেবে জয়েন করেই এমফিল করার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। সাত দিন আগে দেশে ফিরেছেন।

জাহ্নবী

আজকের সেরা জোকস: আত্মজীবনী

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: আত্মজীবনী
ছবি এআই

▶ ভক্ত: আপনার আত্মজীবনীটা পড়ে খুব ভালো লাগল। 
লেখক: ধন্যবাদ। 
ভক্ত: এ রকম আরও কয়েকটা লিখুন না। 

 

▶ খুব যেখানে বৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাটে কাদা-পানি থাকে; সে সব জায়গায় তুই যদি জুতা কিনতে যাস, দেখবি জুতার দোকানদার পায়ের মাপ না নিয়ে তোর বগলের মাপ নেবে! 
- কেন? 
- কারণ সেসব এলাকার মানুষ পায়ে জুতা দেওয়ার কোনো স্কোপই পায় না! জুতা বগলে নিয়ে ঘোরে। 

আজকের সেরা জোকস: দুই বন্ধু

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
আজকের সেরা জোকস: দুই বন্ধু
ছবি এআই

▶ বন্ধুদের সঙ্গে এক ছেলে আড্ডা দেওয়ার সময় বলল, গতকাল রাতে আমার স্বপ্নে আমির খান এসেছিল। এমন ভাব দেখাল যেন ও আমাকে চেনেই না। 

▶ এক দর্জি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে। পথে তার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, এটা কি তোমার ছোট ছেলে, না কি বড় ছেলে? 
দর্জি বলল: বড়। 
লোকটি আবার প্রশ্ন করল: ছোটটি কত ছোট? 
দর্জি উত্তর দিল: এর থেকে দুই গিরা ছোট।

আজকের সেরা জোকস: বানর থেকে মানুষ

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
আজকের সেরা জোকস: বানর থেকে মানুষ
ছবি এআই

▶ ক্লাসে শিক্ষক পড়াচ্ছে...
শিক্ষক: বানর থেকে মানুষ হতে লেগেছে বিশ লাখ বছর।
ছাত্র: এটা কীভাবে সম্ভব, এতদিন কেউ বাঁচে নাকি!

▶ হোটেলের রুম থেকে রিসিপশনে ফোন করে এক লোক জিজ্ঞেস করে, ভাই বাংলাদেশের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সময় পার্থক্য কত? 
রিসিপশন থেকে বলল: স্যার, এক সেকেন্ড প্লিজ। 
ওই প্রান্ত থেকে থ্যাংক ইউ বলে ফোন রেখে দিল। 

আজকের সেরা জোকস: সংকর মুরগি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
আজকের সেরা জোকস: সংকর মুরগি
ছবি এআই

▶ গ্রামের এক জ্ঞানী লোক একটি টিয়া পাখি আর একটি মুরগির সংকর করে, এক বিশেষ জাতের মুরগির জন্ম দিয়েছে। একদিন ওই লোক বাসায় বসে টিভি দেখতেছে। মুরগিটা সামনে এসে বলল..
মুরগি: ওই দরজার সামনে ডিম পাইরা আইসি, নিয়া আসেন।

 

▶ এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে, দোস্ত তোর মাথায় যদি আমাকে ৩টি ডিম ভাঙতে দিস তাহলে তোকে ১০০ টাকা দেব।
দ্বিতীয় বন্ধু: আচ্ছা ভাঙ।
প্রথম বন্ধু দুটি ডিম ভেঙে বসে পড়ল।
দ্বিতীয় বন্ধু: কীরে আরেকটা ভাঙলি না?
প্রথম বন্ধু: না, আর একটা ভাঙলে তো ১০০ টাকা দেওয়া লাগবে।

আজকের সেরা জোকস: দুই মাতাল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৬ পিএম
আজকের সেরা জোকস: দুই মাতাল
ছবি এআই

▶ দুই মাতালকে ধরেছে পুলিশ। 
পুলিশ: তোর ঠিকানা বল।
প্রথম মাতাল: আমার কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।
পুলিশ: আর তোর?
দ্বিতীয় মাতাল: আমি ওর উপরের ফ্ল্যাটে থাকি।

 

▶ রফিক: শুনলাম তোমার বাসা থেকে নাকি চোর ফ্রিজ নিয়ে পালিয়েছে। তা টের পেয়েও বাধা দাওনি কেন?
আনিস: পাগল হইছো! বাধা দেব, পরে যদি ফ্রিজটা ধরতে বলত...যে ওজন।