ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

২১২৪ সালের এক দিন

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
২১২৪ সালের এক দিন

গাছপালা কাটার কারণে পরিবেশ যেভাবে চেঞ্জ হচ্ছে তাতে ১০০ বছর পর এমন ঘটনা ঘটতেও পারে। লিখেছেন মো. রাকিব

দর্শকমণ্ডলী, বার্তাকক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি মিস মর্জিনা। আপনারা এরই মধ্যে শুনেছেন, আজ বিকেলে বৃষ্টি আসবে। বৃষ্টি আসার দৃশ্য দেখানোর জন্য এখন আমরা সরাসরি চলে যাচ্ছি আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অফিসে। সেখানে আছেন আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি বক্কর।

মর্জিনা: আপনি কি আমাকে শুনতে পাচ্ছেন?

বক্কর: সরি মর্জিনা, আমি আপনাকে শুনতে পাচ্ছি না। কিন্তু আপনার কথা শুনতে পাচ্ছি।

মর্জিনা: বৃষ্টি আসার সর্বশেষ খবর আমাদের জানান।

বক্কর: মর্জিনা আমি তো এখনো বৃষ্টির খবর জানতে পারিনি। ঠিক আছে। আমাকে বলতে দিন। আপনি জানেন যে আবহাওয়া অফিসের একজন কর্মকর্তা আজ সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ বিকেলে বৃষ্টি আসবে।’ সে খবর শুনে দুপুরের পর থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা আগারগাঁওয়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন। এখানে এখন সাংবাদিকদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।

মর্জিনা: আমি বৃষ্টি আসার খবর জানতে চেয়েছিলাম।

বক্কর: সেটাই বলছি। কবি বলেছেন, ‘তুমি এলে, অনেক দিন পরে আজ বৃষ্টি এলো।’ হ্যাঁ, আজ আসবে সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি, সেই বহুল প্রত্যাশিত বৃষ্টি। যার মুখের দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছে পুরো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ বৃষ্টিতে সিক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করবে।

মর্জিনা: কিন্তু বক্কর, বৃষ্টি আসার কোনো লক্ষণ কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন? আকাশে কি কোনো মেঘ জমেছে?

বক্কর: আমি এই মুহূর্তে মাথার ওপরের আকাশ বাদে আর কোনো আকাশকে দেখতে পাচ্ছি না। চারদিকে শুধু উঁচু উঁচু দালান। তবে একটু উঁকি মেরে চেষ্টা করা যায়। আমি আমাদের ক্যামেরাম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ক্যামেরাটা একটু ওই কোনার দিকে ঘোরান। হ্যাঁ, ওই কোনে হালকা মেঘ দেখা যাচ্ছে। ওই কোনাটা কি ঈশান কোণ?

মর্জিনা: ঈশান কোণ আবার কী?

বক্কর: এই মুহূর্তে ঠিক বলতে পারছি না। আমরা এটা জানার জন্য এর পরে কোনো একজন ভাষাবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। 
মর্জিনা: এই মুহূর্তে আগারগাঁওয়ের পরিস্থিতি কী?

বক্কর: পরিস্থিতি ভয়াবহ। সব সংবাদকর্মী ভিজে গেছেন। না, বৃষ্টিতে নয়, ঘামে। তবু তারা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন কখন বৃষ্টি আসবে। বৃষ্টি এলে সেই দৃশ্য আমরা দর্শকদের দেখাব। খরায় কাতর লোকজনের অনুভূতি জানতে চাইব। অনুভূতি জানতে চাইব তপ্ত রাজপথের, শুকনো গাছপালার। মর্জিনা, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আবহাওয়া অফিসের সেই কর্মকর্তা বের হয়ে আসছেন। তিনি আমাদের জানাবেন সর্বশেষ খবর।

কর্মকর্তা: নতুন কোনো খবর নেই। আরও দু-তিন দিন খরা অব্যাহত থাকবে। আপনারা সরে দাঁড়ান। আমাকে যেতে দেন। আমি এয়ারপোর্টে যাব। আমার মেয়ে বৃষ্টি আজ আসবে আমেরিকা থেকে।

কলি 

তিনটি ছোট গল্প

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
তিনটি ছোট গল্প

রাস্তা দিয়ে মাছওয়ালা হেঁকে চলেছেন, মাছ চাই, জ্যান্ত মাছ। 
এক বৃদ্ধা ব্যালকনি থেকে ডাক দিলেন, ও মাছওয়ালা, এদিকে এসো।
মাছওয়ালা ওপরের দিকে তাকিয়ে বললেন, মাছ নিয়ে যান মাসিমা, একেবারে জ্যান্ত।
বৃদ্ধা প্রশ্ন করলেন, মাছ তাজা তো?

অবাক হয়ে মাছওয়ালা বলল, বলছি জ্যান্ত মাছ, তাজা তো হবেই।
বৃদ্ধা বললেন, ও কথা বলো না বাছা। আমিও তো জ্যান্ত, তাই বলে কি আমি তাজা?

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

মার জন্য কলকাতা থেকে হাঁপানির মিক্সচার পাঠাতাম, আর মাঝে মধ্যে তার এক দাগ আমি নিজেও মারতাম। আমার তখনো হাঁপানি হয়নি। কিন্তু মা বলেছিলেন যে, বাবার সম্পত্তির মতো মায়ের রোগ ছেলেতে বর্তায়। আর সব রোগ তোমায় শুইয়ে দেবে, কিন্তু হাঁপানি বসিয়ে দেবে। কিছুতেই শুতে দেবে না। বসে বসে হাঁপাতে হবে।

খেতে বেশ ওষুধটা। ওতে নাকি গাঁজার নির্যাস দেওয়া থাকত। খেলে একটু মৌতাতের মতো হয় বটে। এখনো খাই মাঝে মধ্যে। খাবার পর মগজ খোলে‚ বুদ্ধি খোলে‚ লেখাও খুলতে থাকে। আমার গল্পগুলো যে নিতান্তই গাঁজাখুরি হয়, তা এ জন্যই কিনা কে জানে!

শিবরাম চক্রবর্তী

একবার এক প্রসূতি সদনের ডাক্তার বাবুকে কথাচ্ছলে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, ডাক্তারি বিদ্যার এত শাখা থাকতে আপনি কেন এই সন্তান জন্মানোর নারীঘটিত ব্যাপারে এলেন, টাকার জন্য?  

ভদ্রলোক বলেছিলেন, জি না, ঠিক তা নয়। দেখুন, ক্যানসারের রোগী দেখলে ভয় হতো, আমারও বুঝি ওরকম হয়েছে। 
টিবির রোগী কাশত, আমিও কাশতাম। যেখানে যে রোগীর যে রোগ দেখতাম, মনে হতো আমারও সে রোগ আছে। সব লক্ষণ মিলে যেত। অবশেষে এই মাতৃসদনে এসে নিশ্চিত হয়েছি, এই রোগ অন্তত আমার হবে না।
তারাপদ রায়

 কলি 

পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

মাননীয় আব্বা, আপনারে সালাম জানিয়ে আমার বাজেট অধিবেশন শুরু করছি। আজ আমি আগামী অর্থবছরের জন্য আমার ব্যক্তিগত বাজেট পেশ করব। আমি আশা করছি, আপনি খুশি হয়েই অনুমোদন দেবেন।

প্রথমেই শিক্ষা খাত
আব্বা শিক্ষা হইলো জাতির মেরুদণ্ড। Education Is the... ইয়ে মেরুদণ্ডের ইংলিশটা ভুইল্লা গেসি। সে যাক, দুইটা বছর ধরে আমি সাফল্যের সহিত অত্যন্ত চমৎকার ফলাফল করে আসছি। এখন পর্যন্ত আমি মাত্র ১৮টা কোর্স রিটেক করেছি। যা কিনা আমার বন্ধুমহলের মধ্যে সর্বনিম্ন! সে অনুপাতে আগামী বছর আমার কমপক্ষে আরও ৯টা রিটেক লাগবে। তাই আপনি কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখবেন।

এরপর খাদ্য খাত
আব্বা গো, দুঃখের কথা কী বলব! দুইটা বছর ধরে ভার্সিটিতে প্রতিদিন মাত্র একটা বার্গার আর একটা হটডগ খেয়ে কোনোমতে বাইচ্চা আছি। এত কম খেয়ে পড়ালেখায় মন কীভাবে দিব গো আব্বা? তাই বলছি, আগামী বছরের জন্য প্রতিদিন ভার্সিটিতে আমি যাতে দুইটা বার্গার, একটা পিৎজা, একটা চিকেন সমুচা, একটা হটডগ খেতে পারি সেই ব্যবস্থা রাখবেন। এ ছাড়া দশটা টাকা বাড়তি দিয়েন গো আব্বা। খাওয়ার পরে বকশিশ না দিলে প্রেস্টিজ থাকে না। কী জইন্য এইডা আর কইলাম না! আর বিকেলে এক কাপ কফি আর হালকা নাশতা না খেলে আমার পক্ষে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা কষ্টকর হবে।

এখন আসি স্বাস্থ্য খাতে
আব্বা, ছয়টা মাস ধরে আমার হার্টের বাম পাশে চিকন চিকন বেদনা। লিজারে যখন দেখি, তখন সেই বেদনা আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই না, লিজার কথা চিন্তা করলেও এই ঘটনা ঘটে। আব্বা গো, আমার দিলের মধ্যে কী যে সুনামি তা আপনে বুঝবেন না। কবির ভাষায় ‘ওরে হারাই হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে।’ এই ভয় থেকে মুক্তি না পেলে আমার অন্তরের বিষ কমবে না। তাই লিজাকে উপযুক্ত গিফটের মাধ্যমে পটাইয়া যাতে আমি এই দুরারোগ্য ব্যাধি হইতে মুক্তি পাই ...সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আপনার হাতে।

ক্রীড়া ও বিনোদন খাত
আব্বা, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে উল্লেখযোগ্য অর্থ বরাদ্দের অভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। কয়েক বছর আগে যে রাজিব ‘পোকার’ খেলায় আমার ধারে-কাছেই আইতে পারত না, সেই পুলার কাছে গত সপ্তাহে আমি ৫০০ টাকা বাজি হারছি! এভাবে চলতে থাকলে আমার ও আমার পরিবারের মান-ইজ্জত ধুলায় মিশে যাবে। আপনি মহল্লায় মুখ দেখাতে পারবেন না। রাজিবের এই সাফল্যের রহস্য হইলো, সে সপ্তাহের সাত দিনই ক্লাবে গিয়ে খেলে আর আমি টাকার অভাবে সপ্তাহে মাত্র তিন-চার দিন খেলতে পারি। আপনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখলে আমি প্রতিদিন খেলে ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই বড়লোকের সন্তানরে হারিয়ে আপনার ও আমার মহল্লার ইজ্জত রক্ষা করতে পারব।

এখন আসি বিনোদনে
বিনোদনের কথা আর কী কমু। বিনোদনের অভাবে আমার এই জীবন মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে গো আব্বা। সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সপ্তাহে একটার বেশি সিনেমা আমি দেখতে পারি না। মাসে ডিভিডি কিনে বড়জোর ১২-১৫টা সিনেমা দেখি। কোনো কোনো মাসে আরও কম। বুঝি আর না বুঝি ইদানীং ইংলিশ ব্যাটাগো মুভি না দেখলে বন্ধুদের কাছে ইজ্জত থাকে না। আমি এই সমস্যার আশু সমাধান কামনা করতেছি।
মাঝে মাঝে আপনার কথা খুব মনে পড়ে। সেই যে ছোটবেলায় আপনি আমাকে পুষ্কুনিতে নামিয়ে গোসল করাতেন। আহ, এইগুলো মনে পড়লে আমার চউক্ষের পানিতেই পুষ্কুনি হয়ে যায়। আমার তখন ইচ্ছা করে পুষ্কুনিতে নেমে গোসল করি। কিন্তু এই ঠাডা পড়া শহরে পুষ্কুনি তো দূরের কথা, বাথরুমের বালতিতেও পানি থাকে না। তাই মাঝে মধ্যে সুইমিং পুলে গিয়ে দুইডা ডুব না দিলে পরাণে শান্তি পাই না গো আব্বা। এ বিষয়েও একটু খেয়াল রাইখবেন।

এরপরে আসি তইথ্য ও পরযুক্তি খাতে
আব্বা দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। এখন হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট যুগ। নেট এত স্লো যে, একবার নেটে বসলে, বসতে বসতে কোমরের নিচ অবশ হইয়া যায়। পেজ লোড হইতে হইতে চউক্ষে ঘুম লোড হয়ে যায়। তাই আগামী অর্থবছরে আমার জন্য একটা ৬ এমবিপিএস স্পিডের নেট লাইনের জন্য ৬০০ টেকা বরাদ্দ রাখবেন। না হইলে ফেসবুক পেজ ‘আমরা বড়লোক বাপের গরিব সন্তান’ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।

এ ছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটারের কারণে ঘরের বাইরে গেলে আমি বহির্বিশ্বের সঙ্গে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে আমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আজ হুমকির মুখে। একটা ল্যাপটপ থাকলে আজ আমার এই দশা হতো না। বিষয়টা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
পরিশেষে, বিগত দিনগুলায় আমি যে দুর্ভোগ-দুর্দশায় ছিলাম, আশা করছি আসছে বছরে এই বাজেট অনুমোদনের মাধ্যমে আমার সেই দুঃখের দিনগুলার অবসান ঘটবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

 কলি

সর্দারজি জোকস

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
সর্দারজি জোকস

সর্দারজি একটি রেডিও কিনেছেন। কিন্তু এক বিশাল সমস্যা নিয়ে ফের হাজির হলেন বিক্রেতার কাছে।

সর্দারজি: আমার সঙ্গে বাটপারি করার মানে কী?
বিক্রেতা: বাটপারি মানে? আপনাকে তো ভালো একটি রেডিওই দিয়েছি।
সর্দারজি: ভালো না ছাই! রেডিওর গায়ে লেখা মেড ইন জাপান। অথচ সারা দিন একটু পরপর বলছে, অল ইন্ডিয়া রেডিও!

সর্দারজি ইন্টারভিউ দিতে গেছেন।
প্রশ্নকর্তা: একটি ইলেকট্রিক মোটর কীভাবে চলে, বলতে পারেন?
সর্দারজি: ঘররররররর...!
প্রশ্নকর্তা: ব্যস ব্যস! হয়েছে, এবার থামুন!
সর্দারজি: ঘররর...ধুপ...ধুপ...ধুপ।

সর্দারজি নেমেছেন ট্যুরিস্ট গাইডের ভূমিকায়।
ভ্রমণার্থী: এই মাথার খুলিটি কার?
সর্দারজি: এক বুড়ো রাজার।
ভ্রমণার্থী: আর এই পাশের ছোটটা?
সর্দারজি: আরে বোকা, ওই রাজারই ছেলেবেলার খুলি এটা!

সর্দারজি: আমার দাদা তো বিশাল যোদ্ধা ছিলেন! ১৮৫৭ সালে করলেন কী, ২৭ জন শত্রু সেনার পা কেটেছিলেন তিনি।
বন্ধু: মাথা ছেড়ে পা কাটলেন কেন?
সর্দারজি: কারণ, মাথা যে আগেই কাটা ছিল।

গণিতের শিক্ষক সর্দারজির ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘যদি ১ হাজার কেজি = টন হয়, তাহলে ৩ হাজার কেজি = কত?’
‘কেন, টন টন টন!’ সর্দারজি-পুত্রের ঝটপট জবাব।

 চমৎকার এক বিকেলে ততোধিক চমৎকার একটা ঘটনা ঘটল। এক সুন্দরী সর্দারজিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসল ধুম করে! কিন্তু সর্দারজির মুখ কালো।
‘ঘটনা কী?’ জিজ্ঞেস করল সেই তরুণী। 
সর্দারজি মুখ ব্যাজার করে বলল, ‘না রে ভাই, আমার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেবে না। কারণ, আমাদের পরিবারে শুধু আত্মীয়দের মধ্যেই বিয়ে হয়। যেমন- আমার বাবা বিয়ে করেছেন আমার মাকে। ভাই করেছে ভাবিকে। আপা করেছে দুলাভাইকে!’

সর্দারজি ও তার বন্ধু গেছেন এক পাঁচতারকা হোটেলে। খাওয়ার টেবিলে বসে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে আসা দুটি স্যান্ডউইচ বের করে খেতে শুরু করলেন তারা। তা দেখে ওয়েটার চেঁচিয়ে উঠল, ‘না না না, এখানে আপনারা নিজেদের কোনো খাবার খেতে পারেন না!’ 
সর্দারজি খানিক ভেবে বললেন, ‘তাহলে আমি আমার বন্ধুরটা খাই, আমারটা বন্ধু খাক। কী বলেন?’

ব্যবসায় লাখ খানেক টাকা খাটিয়ে বিশাল ধরা খেয়ে বসলেন সর্দারজি। কী ব্যবসা ধরেছিলেন জানেন? পাঞ্জাবে একটা চুল-দাড়ি কাটার সেলুন দিয়েছিলেন!

মান্না দে’র বাবার জবাব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
মান্না দে’র বাবার জবাব

‘ও কেন এত সুন্দরী হলো’ মান্না দে’র গাওয়া এই গানটি শুনে তার বাবা কী বলেছিলেন জানেন? চলুন দেখে নিই। লিখেছেন আরাফাত বেলাল

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: অমনি করে ফিরে তাকাল।
বাবা: তুই তাকাস নে... মিটে গেল।

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: লেখাপড়া নেই, গিয়েছ বখে... দেখছ চোখে ফানুস।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: বললাম তো, তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: সবে যখন আকাশজুড়ে মেঘ জমেছে...
বাবা: ছাতা নিয়ে বের হ... চিন্তার কী আছে?

মান্না দে: ঝড় ওঠেনি বাতাসটাতে ঘোর লেগেছে।
বাবা: তোর মাথায় তো দেখছি ভূত চেপেছে।

মান্না দে: ও কেন তখন... উড়িয়ে আঁচল...
বাবা: বলছি ওদিকে তাকাস না গাড়ল।

মান্না দে: খোলা চুলে বাইরে এল?
বাবা: উফফ... ছেলেটা আমার গোল্লায় গেল।

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: এখন বুঝছি, গিয়েছে তোর হুঁশ।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: ওরে বাবা... তাতে তোর কী এল-গেল?

মান্না দে: সবে যখন প্রাণে আমার মন জেগেছে।
বাবা: সর্বনাশটা হলোই বুঝি... এই সেরেছে।

মান্না দে: পৃথিবীটা একটুখানি বদলে গেছে।
বাবা: চোখের মাথা খেয়েছিস? সব আগের মতোই আছে।

মান্না দে: ও কেন তখন... হঠাৎ এমন...
বাবা: ঢং দেখে আর বাঁচি না... হঠাৎ কেমন?

মান্না দে: বিনা কাজে সামনে এল।
বাবা: ওর কাজের খবর তোর কানে কেমনে গেল?

মান্না দে: দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই... আমি তো মানুষ!
বাবা: ওর দাদা পাড়ার মাস্তান... দেবে তোকে ঢুঁশ।

মান্না দে: ও কেন এত সুন্দরী হলো?
বাবা: তাতে তোর কী এল-গেল?

কলি

তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতি

মমতা দিদি তিস্তায় পানি দিতে রাজি নন। এ অবস্থায় তিস্তায় পানি আনার বিকল্প পদ্ধতির কথা জানাচ্ছেন মো. রাকিব

তিস্তার পানিকে বরফ বানিয়ে চোরাই পথে ট্রাকে করে আনা যেতে পারে। তারপর সেই বরফ নদীতে ফেলে দিলে আবার পানিতে পরিণত হবে। ফলে তিস্তার পানি বাড়বে।

চেরাগ ঘষে ইচ্ছাপূরণ দৈত্য জিনিকে আনতে হবে। তারপর জিনি যখন ইচ্ছার কথা জানতে চাইবে, তখন তিস্তার পানি এনে দেওয়ার কথা বললেই সে পানি এনে দেবে।

গোপনে মাটির নিচ দিয়ে একটি পাইপ ভারতের তিস্তায় সেট করতে হবে। পাইপের অপর প্রান্তে টিউবওয়েল লাগিয়ে হ্যান্ডেল চেপে চেপে সেই পানি দেশে আনতে হবে।

তান্ত্রিককে দিয়ে তিস্তার পানি বশীকরণ করতে হবে। তাহলে পানি আর কোনো বাধা মানবে না। সব বাঁধ ডিঙিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসবে।

কলি