এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ মাতাবেন আশরাফুল । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ মাতাবেন আশরাফুল

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ মাতাবেন আশরাফুল
মোহাম্মদ আশরাফুল। ছবি : সংগৃহীত

এশিয়ার শীর্ষ পাঁচ দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হচ্ছে এশিয়ান লিজেন্ডস লিগের এবারের আসর। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হতে যাওয়া আসন্ন টুর্নামেন্টটি আগামী ১৩ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ মার্চ। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে লিগ কমিটি।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও লিগ কমিশনার চেতন শর্মা এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দলের আইকন খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করেন। যেখানে সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান খেলবেন ইন্ডিয়ান রয়্যালসে। পাকিস্তান স্টার্সের আইকন দেশটির গতি তারকা মোহাম্মদ ইরফান। শ্রীলঙ্কা লায়ন্সের আইকন হচ্ছে উপল থারাঙ্গা। এ ছাড়াও আফগানিস্তানের আইকন আজগর আফগান ও বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুল।

টুর্নামেন্ট সামনে রেখে চেতন শর্মা বলেছেন, এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ এমন একটি টুর্নামেন্ট যেখানে এশিয়ার বড় পাঁচ দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের আবারও লড়াই করতে দেখা যাবে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে যখন আমরা ক্রিকেট খেলি, আমরা অনেক গর্বিতবোধ করি। কিন্তু এটা সবসময় গর্বের যে আপনি আপনার দেশকে লিজেন্ডস হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।’

ইন্ডিয়ান রয়্যালসের আইকন ইরফান বলেছেন, ‘এতদিন ধরে ধারাভাষ্য করার পর মাঠে খেলতে পারব ভেবে ভালো লাগতেছে। আমাদের প্রথম ভালোবাসা সব সময়ই ক্রিকেট খেলা। এশিয়ান লিজেন্ডসের হয়ে খেলা অনেকগুলো পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে।’

মাশরাফির জন্য ক্যারিয়ার থমকে যায়নি শুভাশিষের

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
মাশরাফির জন্য ক্যারিয়ার থমকে যায়নি শুভাশিষের
২০১৭ সালে বিপিএলে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান শুভাশিষ। ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্নটা শুনেই শুভাশিষ রায় হেসে উঠলেন। ডানহাতি পেসার কণ্ঠে হাসি নিয়েই বললেন, ‘আমি জানি আপনি এই প্রশ্ন করবেন। এ নিয়ে এখনো অনেকে আমার সাক্ষাৎকার নিতে চায়…।’

জাতীয় দলের হয়ে ৪টি টেস্ট ও ১টি ওয়ানডে খেলা শুভাশিষ এখন অনেকটা আড়ালেই চলে গেছেন। সেটা স্বাভাবিকই। সেই ২০১৯ সালের অক্টোবরের পর থেকেই যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে তিনি। কোথায় আছেন, কেমন আছেন, এটা জানতেই ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা। গল্পে গল্পেই একপর্যায়ে এসে যায় প্রসঙ্গটা। যে প্রসঙ্গ শুভাশিষের ক্যারিয়ারের অবিচ্ছেদ্য অংশই হয়ে গেছে বলা চলে। না হলে তিনি কেন বলবেন, ‘আমি জানি আপনি এই প্রশ্ন করবেন।’

২০১৭ বিপিএলে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে উত্তেজনা ছড়ানো একটি ঘটনা আছে শুভাশিষের। দুজনে সেদিন বিবাদে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। মাশরাফি তখন জাতীয় দলের অধিনায়ক। বিপিএলের ওই আসরে রংপুর রাইডার্সের নেতৃত্বেও ছিলেন। আর শুভাশিষ খেলছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে শুভাশিষের বিপক্ষে মাশরাফি ব্যাট করার সময় ঘটে ঘটনাটি। শুভাশিষের ইয়র্কার রুখে দিয়েছিলেন মাশরাফি। নিজের বলে নিজেই ফিল্ডিং করে মাশরাফির দিকে বল ছোড়ার ভঙ্গি করেন শুভাশিষ। মাশরাফিও সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিতভাবে শুভাশিষকে বোলিং প্রান্তে ফিরে যেত ইঙ্গিত করেন। এ নিয়েই বেশ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যদিও ওই ঘটনার পর দিনই একসঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দুজন। এমনকি নিজেদের সম্পর্কে যে এতটুকুও ফাটল ধরেনি, তুলে ধরেছিলেন সেটাও। কিন্তু আজ এতদিন পর এসেও সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনতেই হয় শুভাশিষকে।

শুভাশিষ মনে করেন বাংলাদেশের মানুষ আবেগী বলেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে, ‘ওই দিন যেটা ঘটেছে সেটা আসলে তেমন কিছুই না। আমরা ক্রিকেটাররা যেটা জানি, মাঠের বাইরে আমরা সবাই বন্ধু, ছোটভাই বা অন্য যেকোনো কিছু। কিন্তু মাঠের ভেতরে ঢুকলে সেটা দেখার সুযোগ থাকে না। প্রতিপক্ষ দলে সে যতই আমার ছোট ভাই বা বাবা থাকুক না কেন? এটা খেলারই অংশ। বাংলাদেশের জনগণ একটু ইমোশনাল। তাই অনেকে সেদিনের বিষয়টি অন্যভাবে নিয়েছেন।’ এখানেই থামেননি শুভাশিষ, ‘এখনো অনেকে মনে করেন, এই কারণে আমার ক্যারিয়ার থমকে গেছে। আমি বলি এগুলো কোনো কারণই না। আসল কারণ আমার ইনজুরি।’

হ্যাঁ, ইনজুরির জন্যই এখন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নেই শুভাশিষ। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে তার বাঁ পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। শুভাশিষ মনে করেন, সেই সময় তার পুনর্বাসনটা ঠিকঠাক হয়নি। এ ছাড়াও ডানপায়ে এসিএল ইনজুরিতে পড়েছিলেন একবার। সেই চোটই নাকি এখনো ভোগাচ্ছে বেশি। জানালেন বর্তমানে এটা নিয়েই ট্রেনার-ফিজিওর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছেন। দ্রুত বোলিং ফিটনেস ফিরে পাবেন বলে আশা তার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসছে মৌসুমে মাঠে ফেরারও স্বপ্ন দেখছেন তিনি। শুভাশিষ মনে করেন ইনজুরি তাকে বারবার পিছিয়ে দিয়েছে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সব সময়ে চোটে বা অসুস্থায় পড়তে হয়েছে তাকে। তবে বিপিএলে মাশরাফির সঙ্গে যে আলোচিত ঘটনা, সেটার কোনো প্রভাব তার ক্যারিয়ারে পড়েনি বলেই বিশ্বাস তার।

শুভাশিষের কথায়, ‘জাতীয় দল এমন এক জায়গা, এখানে যোগ্যতা দিয়েই সবাই খেলে। মাশরাফি ভাই ওই ঘটনার কারণে আমাকে নেবে না, এমন কোনো সুযোগ নেই। আমি পারফর্ম করলে আটকানোর পথ নেই। হ্যাঁ, অধিনায়ক থাকলে হয়তো দুজন ১৯-২০ খেলোয়াড়ের বেলায় ১৯-কে তিনি নিতে পারেন। তাই বলে আমার খেলা শেষ করে দেবেন, এমন না। যারা এটা মনে করে, তারা ভুল। ক্রিকেট এত সহজ নয়। এখানে নিজের যোগ্যতাতেই সবাই খেলে।’

ওই ঘটনার পর মাশরাফির সঙ্গে তার সম্পর্কের কি কোনো অবনতি ঘটেছিল? এবারও শুভাশিষ কণ্ঠে হাসি, ‘সেটা কেন হবে? এখানে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার তো কিছু নেই।’ শুভাশিষ বলে যান, ‘মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে আমি তো আজ থেকে খেলি না। আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেও প্রিমিয়ার লিগে একসঙ্গে একই দলে ছিলাম। আমি দেখেছি সে কীভাবে প্রতিপক্ষ দলকে প্রেশারে রাখে বা প্রেশার হ্যান্ডল করে। আমাদের দুজনের মধ্যে যেটা ঘটেছিল, সেটা আসলে এক ধরনের স্লেজিং ছিল। সে আমাকে স্লেজিং করে ডিমোরালাইজড করতে চয়েছিল। উল্টো আমি তাকে স্লেজিং করেছি। ম্যাচটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছি।’ শুভাশিষ মনে করেন, ‘ওই বিষয়টা অনেকে অনেকভাবে নিয়ে নিয়েছেন। যারা বোঝে না, তারা এ নিয়ে তর্ক করবেই। আর যারা ক্রিকেট বোঝার, তারা ঠিকই বুঝবেন। মাঠের মধ্যে অনেক কিছুই তো হতে পারে। তিনি অধিনায়ক দেখে স্লেজিং করতে পারবেন, আমি পারব না, এমন তো কোনো কথাই নেই।’

আবারও মাঠে ফেরার জন্য সংগ্রাম করে যাওয়া শুভাশিষের বিশ্বাস, ফিট হতে পারলে হারানো জায়গা ফিরে পাওয়া তার জন্য কঠিন কিছু হবে না। এখন তার একটাই লক্ষ্য- ‘পরিপূর্ণ ফিট হয়ে যেন ডমিনেট করে খেলতে পারি।’

 

 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ তারুণ্য-অভিজ্ঞ মিশ্রণে বলিয়ান স্কটল্যান্ড

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
তারুণ্য-অভিজ্ঞ মিশ্রণে বলিয়ান স্কটল্যান্ড
ছবি- সংগ্রহীত

দলে যেমন আছেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তেমনি আছেন ১৯ বছর বয়সী তরুণও। সব মিলিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের স্কোয়াড তারুণ্য-অভিজ্ঞদের মিশ্রণে দারুণ এক প্যাকেজ। এমন দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ভালো করতে মরিয়া স্কটিশ শিবির।

১৯৯৪ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় স্কটল্যান্ড। এরপর তারা প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে ১৯৯৯ সালে। তিনটা বিশ্বকাপ খেলে ফেলা স্কটল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরেরও সাক্ষী (২০০৭ সালে)। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে স্কটিশদের অংশগ্রহণ চারবার। ক্রিকেটের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের সখ্যতার ইতিহাস সুদীর্ঘ হলেও আসেনি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

ভারসাম্যপূর্ণ দল

স্কটল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াড অনেকটা তারুণ্যে ভরপুর। ১৫ সদস্যের দলে ৩০-এর ওপরের বয়স সাতজনের। বাকি আটজনের বয়স ১৯ থেকে ৩০ এর মধ্যে। বিশ্বকাপ মিশনে স্কটল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন রিচি বেরিংটন। যার বয়স সবচেয়ে বেশি, ৩৭। টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন ৮৭ ম্যাচ। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি তার আছে ১০টি ফিফটিও।

তারুণ্য সমৃদ্ধ দল নিয়ে স্কটল্যান্ডের কোচ ডগ ওয়াটসনের যুক্তি, ‘মাইকেল জোন্স এবং ব্র্যাড হুইলকে দলে নেওয়ার প্রধান কারণ তারা গত বিশ্বকাপে খেলেছে। আসন্ন বিশ্বকাপে দলে তাদের অভিজ্ঞতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। ২৬ বছর বয়সী মাইকেল জোন্স খেলেছে মাত্র চারটি ম্যাচ। সেখানে ২৭ বছর বয়সী পেসার ব্র্যাড হুইল খেলেছেন ১৭ ম্যাচ।

তবে দল থেকে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জশ ডেভি। যিনি স্কটল্যান্ডের জার্সিতে তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার ছিল সরব উপস্থিতি। তবে স্কটিশদের জার্সিতে চতুর্থ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। ২০২১ সালের বিশ্বকাপে ১৩.৬৬ গড়ে ৯ উইকেট নেওয়া ডেভিকে ছাড়া বিশ্বকাপে মাঠে নামবে স্কটল্যান্ড।

তরুণদের ওপর আস্থা

স্কটল্যান্ডের স্কোয়াডে তরুণদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাড কুরি। উদীয়মান এই পেসার খেলেছেন মাত্র ৮ ম্যাচ। তবে কিপার ব্যাটার ম্যাথু ক্রস খেলেছেন ৬৭ ম্যাচ। সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও তার রয়েছে পাঁচটি ফিফটি। দলের ওপেনার অলিভার হ্যারিসের বয়স ৩১। ২২ টি-টোয়েন্টিতে তার রয়েছে একটি সেঞ্চুরি। ফিফটিও একটি। তবে পেসারদের মধ্যে ব্রাড কুরি, জ্যাক জারভিস, কিপার ব্যাটার চার্লি টিয়ারদের ম্যাচ খেলার সংখ্যা খুবই কম। এদের প্রথম বিশ্বকাপই এটি।

স্কটিশ শিবিরে আছে স্পিনার মার্ক ওয়াট। ২৭ বছর বয়সী এই অর্থোডক্স স্পিনার খেলেছেন ৬০ ম্যাচ। উইকেট পেয়েছেন ৭২টি। অন্যদিকে ৩২ বছর বয়সী সাফিয়ান শরিফ ৬৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৭২ উইকেটে। এই বোলারের ওপর দারুণ আস্থা স্কটিশ কোচের। ওপেনার হ্যারিসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে থাকবেন জর্জ মুন্সি। ৩১ বছর বয়সী এই ওপেনার খেলেছেন ৬৫ ম্যাচ। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে তার রয়েছে ১২টি ফিফটি।

সেরা সাফল্যে চোখ

টুয়েলভে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে। প্রথম আসরেই স্কটল্যান্ড পড়েছিল ভারত ও পাকিস্তান গ্রুপে। জয় আসেনি একটিতেও। পরের আসরেও (২০০৯ সালে) জয়শূন্য। এরপর টানা তিন বিশ্বকাপের বাছাই পর্বই পার হতে পারেনি তারা। ২০১৬ বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পায়  স্কটল্যান্ড। বি গ্রুপে থাকা হংকংয়ের বিরুদ্ধে জয় আসে ৮ উইকেটে, তাও বৃষ্টি আইনে। ২০২১ বিশ্বকাপে সেরা সাফল্য স্কটল্যান্ডের। বাংলাদেশকে টপকে বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা। জিতেছিল গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ। সুপার টুয়েলভে পা রাখলেও সেখানে কুলিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। হেরে যায় পাঁচটি ম্যাচেই। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে হারিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। কিন্তু এই ধারা ধরে রাখতে পারেনি তারা। বি গ্রুপে বাকি দুই প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে বি গ্রুপে স্কটল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া ও ওমান। এই গ্রুপ থেকে দুটি দল যাবে সুপার এইটে। সেই হিসেবে সম্ভাব্য দুটি দলের নাম বলাই যায় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সে ক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডের লড়াইটা হবে মূলত বাকি তিন দলের সঙ্গে। আগামী ৪ জুন বার্বাডোজে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে স্কটল্যান্ড। 

রিচি বেরিংটন, অধিনায়ক 
অভিজ্ঞদের সঙ্গে তারুণ্যের মিশেলে আমাদের দলটি এবার বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। বিশ্বকাপে আমাদের লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব। এখানে ভালো করাটাই মুখ্য। ম্যাচ বাই ম্যাচে থাকবে আমাদের চোখ। যেকোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করার দুর্বার মানসিকতা রয়েছে। 

বিশ্বকাপ স্কোয়াড
রিচি বেরিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথু ক্রস, ব্র্যাড কুরি, ক্রিস গ্রিভস, ওলি হেয়ার্স, জ্যাক জার্ভিস, মাইকেল জোন্স, ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন, জর্জ মানসি, সাফিয়ান শরিফ, ক্রিস সোল, চার্লি টিয়ার, মার্ক ওয়াট, ব্র্যাড হুইল, মাইকেল লিস্ক।

টানা চার শিরোপায় সিটির ইতিহাস

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
টানা চার শিরোপায় সিটির ইতিহাস
ছবি : সংগৃহীত

ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবলে কোনো দলের টানা চার শিরোপার কীর্তি এটাই প্রথম।

রবিবার (১৯ মে) ছিল ২০২৩-২৪ মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ড। সব খেলা শুরু হয়েছিল একই সময়ে। তবে সবার চোখ ছিল সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ও আর্সেনাল-এভারটন ম্যাচের দিকে। কারণ শেষ রাউন্ড পর্যন্ত শিরোপার দৌড়ে টিকে ছিল শুধু সিটি ও আর্সেনাল।

আর্সেনালের চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থাকায় শিরোপার ভাগ্যটা সিটির হাতেই ছিল। ওয়েস্ট হ্যামকে হারাতে পারলে কোনো হিসেব ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত তারা। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জয় তুলে নিতে ভুল করেনি পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। জোড়া গোল দলের জয়ের নায়ক ফিল ফোডেন। অন্য গোলটি রদ্রির। ওয়েস্ট হ্যামের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন মোহাম্মদ কুদুস।

এদিকে আর্সেনাল তাদের ঘরের মাঠে এভারটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায়। তবে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। ৩৮ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করল সিটি। ২৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৯।

প্রিমিয়ার লিগ এতিহাসে এনিয়ে দশম বারের মতো লিগের শেষ দিনে নিষ্পত্তি হলো শিরোপার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ নামিবিয়া- ছোট দলের বড় সাহস

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
নামিবিয়া- ছোট দলের বড় সাহস
ছবি- সংগ্রহীত

একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেই ২০০৩ সালে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হয়ে গেছে দুটি। অথচ এই ফরম্যাটে তাদের পথচলা খুব বেশি দিনের নয়, ২০১৯ সাল থেকে। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির ক্রিকেটের বয়স তাই হাতের কর গুনে বলে দেওয়া যায়। তাদের ঐশ্বর্য নেই, নেই কাড়িকাড়ি রেকর্ডস। ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাংক ব্যালেন্সও সমৃদ্ধ নয়। তবে এই খেলাটির প্রতি আছে দেশটির পরম নিবেদন।

দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ২৫ লাখ। ক্রিকেটের চেয়ে এই দেশটিতে ফুটবল, রাগবি কিংবা মাছ ধরার পেশাটাই জনপ্রিয়। এর মধ্যেও ক্রিকেট নামক শব্দটি দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে কিছু ক্রিকেটার। মাত্র ৯টা ক্রিকেট মাঠ, ৫টা ক্লাব আর হাতেগোনা কিছু চুক্তিভিত্তিক ক্রিকেটার। সীমিত সামর্থ্য, বুকভরা সাহস আর অপার স্বপ্ন নিয়ে নামিবিয়ার ক্রিকেটাররা মাঝেমধ্যে লিখেন রূপকথাও।

১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের দুই বছর পরই আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে নাম লেখায় নামিবিয়া। পায় ওয়ানডে স্ট্যাটাস। সেই হিসেবে নামিবিয়ার ক্রিকেট ইতিহাস সুদীর্ঘ হলেও ম্যাচ খেলার সংখ্যা খুবই কম। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিল দলটি ২০০৩ সালে। একই বছরে প্রথম বৈশ্বিক আসরে অংশগ্রহণ। যদিও নতুন হিসেবে সেই আসরে কপালে জুটেছিল ছয় ম্যাচেই হার। সময়ের আবর্তে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণ আর দশটা দেশের মতো নামিবিয়াও ঘটিয়েছে উত্থান। এই ফরম্যাটে মূলত আলো ছড়িয়েছে দলটি। নামিবিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে সুপার টু্য়েলভে জায়গা করে নিয়েছিল আফ্রিকার ঈগলসরা। সেই প্রেরণা নিয়েই এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে নামিবিয়া। 

২০২১ বিশ্বকাপে এ গ্রুপে নামিবিয়ার সঙ্গী ছিল শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হার। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় নামিবিয়া। ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডসকে। এই ম্যাচ দিয়েই আলোচনায় আসেন একসময় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা ডেভিড ভিসা। ৪০ বলে চারটি চার ও পাঁচ ছক্কায় ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। 

ডাচদের হারানোর পর নামিবিয়ার স্বপ্ন আরও চওড়া। চোখ তখন সুপার টুয়েলভে। শারজায় আগে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ৮ উইকেটে করে ১২৫ রান। রূপকথার জন্ম দিয়ে এই ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভে নাম লেখায় নামিবিয়া। জয়ের নায়ক সেই ডেভিড ভিসাই। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৪ বলে খেলেছিলেন ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। বিশ্বকাপে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিরুদ্ধে এটি ছিল তাদের প্রথম জয়। 

সুপার টুয়েলভ পর্বে নামিবিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড। নামিবিয়া জিতেছিল শুধু স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। বাকি ম্যাচগুলো হারলেও আফসোস ছিল না দলটির। কারণ নতুন ইতিহাস গড়ায় এমনিতে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বুঁদ ছিল নামিবিয়া শিবির। সেই দলের অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস এবারের বিশ্বকাপেও থাকছেন নামিবিয়ার নেতৃত্বে। স্কোয়াডে অনুমিতভাবে আছেন তুখোড় অলরাউন্ডার, সেই ডেভিড ভিসাও। সঙ্গে যোগ হয়েছে তরুণ কিছু ক্রিকেটার। 

অভিষেক বিশ্বকাপের মতো নামিবিয়া চমক দেখাতে পারেনি সর্বশেষ ২০২২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। প্রথম পর্বে এ গ্রুপে নামিবিয়ার সঙ্গী ছিল শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও আরব আমিরাত। আমিরাতকে হারাতে পারলেও বাকি সব ম্যাচ হেরে বিসর্জন দিতে হয় সুপার টুয়েলভ পর্বে যাওয়ার স্বপ্ন। 

এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। পাঁচটি করে দল চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে গ্রুপ পর্ব। চার গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে মোট আটটি দল যাবে সুপার এইটে। সেই হিসেবে এবার নামিবিয়ার জন্য সুপার এইট পর্বে পৌঁছানো বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ বি গ্রুপে নামিবিয়ার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। আগামী ২ জুন বার্বাডোজের ব্রাইডটনে ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে নামিবিয়া। ছোট দল হলেও এরাসমাস শিবিরের বুকে আত্মবিশ্বাসীর ঝলকানি। নামিবিয়ার অধিনায়ক যেমন বলেছেন, ‘আমরা ছোট দল। তবে আমাদের রয়েছে প্রবল আত্মবিশ্বাস। বিশ্বকাপের উত্তাপ গায়ে মাখতে চাই।’

গেরহার্ড এরাসমাস, অধিনায়ক
আমরা ছোট দল। তবে আমাদের রয়েছে প্রবল আত্মবিশ্বাস। সুপার এইটের স্বপ্ন আমাদের জন্য অলীক। তবে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রমাণ করতে চাই। আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ-তারুণ্যের মিশেলে দারুণ স্কোয়াড। আছে ডেভিড ভিসের মতো তুখোড় অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপের উত্তাপ গায়ে মাখতে চাই।

বর্তমান টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিং: ১৪তম
প্রথম টি-টোয়েন্টি: ২০ মে ২০১৯, প্রতিপক্ষ ঘানা
ম্যাচ: ৬৪
জয়: ৪২
হার: ২১
পরিত্যক্ত: ১

বিশ্বকাপ দল
গেরহার্ড এরাসমাস (অধিনায়ক), নিকোলাস ডেভিন, জান গ্রিন, জেপি কোটজে, মালান ক্রুগার, ডিলান লিচার, জে জে স্মিট, ইয়ান ফ্রাইলিক, মাইকেল ভ্যান লিনগেন, ডেভিড ভিসে, পিটার-ড্যানিয়েল ব্লিগনাট, জ্যাক ব্রাসেল, তানগেনি লুঙ্গামেনি, বেরনার্ড স্কোলজ, বেনশিকঙ্গো, রুবেন ট্রাম্পপেমান।

ঝড়ের কারণে শঙ্কায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
ঝড়ের কারণে শঙ্কায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ
ছবি : সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনও দেশটিতে গড়ে ওঠেনি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট অবকাঠামো। একই অবস্থা হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট গ্রাউন্ডের। টেক্সাসে হওয়া ঝড়ের কারণে লন্ডভন্ড হয়েছে মাঠের সকল অস্থায়ী স্থাপনা। যেখানে আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। অস্থায়ী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় শঙ্কার মধ্যে পড়েছে দুই দলের সিরিজ মাঠে গড়ানো নিয়ে।

হিউস্টনে পৌঁছানোর পর থেকেই ঝড় বৃষ্টির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। টাইগাররা সেখানে পা রাখার আগের রাতে হয়েছিল তুমুল ঝড়। ওই ঝড়ের কারণে ভেঙে গেছে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সকল স্থাপনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদক পিটার ডেলা পেনা।

এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘২১ মে থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সিরিজ শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হিউস্টনের উপর দিয়ে প্রচন্ড ঝড় বয়ে গেছে। এই ঝড়ের কারণে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সের সকল অস্থায়ী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দেশটির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত খেলা না হওয়ার শঙ্কা সত্যি হলে প্রস্তুতিতে খানিকটা ঘাটতি তৈরি হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।