সিনিয়ররা ভোগায়নি, সহযোগিতা করেছে: সুমন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সিনিয়ররা ভোগায়নি, সহযোগিতা করেছে: সুমন

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
সিনিয়ররা ভোগায়নি, সহযোগিতা করেছে: সুমন
ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচক কমিটির সদস্য হিসেবে টানা কয়েক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে এটিই ছিল তার প্রথম সম্পৃক্ততা। নতুন করে বিসিবি নির্বাচক হিসেবে তার সঙ্গে আর মেয়াদ বাড়ায়নি। কিন্তু তাই বলে ক্রিকেট ছাড়তে পারেননি হাবিবুল বাশার সুমন। বিসিবি তাকে নতুন করে দায়িত্ব দিয়েছে মেয়েদের ক্রিকেটের দেখভাল করার জন্য। দায়িত্ব পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে আজ হচ্ছে হাবিবুল বাশার সুমনের কর্মকাণ্ড। পুরোনো দায়িত্বের সঙ্গে নতুন দায়িত্ব নিয়ে খবরের কাগজের সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে অনেক কথাই বলেছেন তিনি। যার প্রথম পর্ব ছাপা হয়েছিল গতকাল মঙ্গলবার। আজ ছাপা হলো দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ রায়। 
 
খবরের কাগজ: আপনাদের দায়িত্বকালীন হারিয়ে যাওয়া এমন কেউ আছেন, যারা আসলে জাতীয় দলকে লম্বা সময় সার্ভিস দেওয়ার মতো সামর্থ্যবান ছিলেন?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: শুরু থেকে যদি আমি বলি, একটা ছেলের অনেক দূরে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সে নাসির হোসেন। আমার দেখা সেরা ফিনিশার। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলতে যে টেম্পারমেন্ট লাগে, সেটা ওর মধ্যে খুব ভালো ছিল। মোসাদ্দেক হোসেন, সাব্বির রুম্মন এরা যদি থাকত, তাহলে দলটা আরও স্ট্রং থাকত। দেখুন, যারা হারিয়ে গেছে দোষটা কিন্তু সম্পূর্ণ তাদের দেব। এখানে ইন্টারন্যাশন্যাল এমন একটা জায়গা, যেখানে নিজেকে নিজের মতো করে প্রস্তুত রাখতে হবে। কেউ বলতে পারবে না সুযোগ পায়নি। কমবেশি সুযোগ পেয়েছে। বাট জাতীয় দল এমন একটা জায়গা, যেখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে পারফর্ম করে টিকে থাকতে হবে। আপনাকে সুযোগ দেওয়া হবে, বাট সুযোগ যদি সব সময় কাজে না লাগান, আলটিমেটলি নতুন কেউ এসে আপনার জায়গা নিয়ে নেবে। ব্যাপারটা আসলে এ রকম। আরও অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা আসলে নিজেকে নিজের জায়গায় রাখতে পারেনি। যার জন্য হারিয়ে গেছে। আপনি যখন দলের বাইরে চলে যান, তখন দলের ভেতর যারা আছে তারা যদি পারফর্ম করে, তখন তো আপনি ঢুকতে পারবেন না। ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেট আসলে এমনই। নিজের জায়গাটা নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। সাকিব-তামিমের জায়গা নিয়ে তো কখনো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। মুশফিকের জায়গা নিয়ে তো কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। তারা তাদেরই সিলেকশন করেছে। অন্য কাউকে তাদের সিলেকশন করতে হয়নি। 
 
খবরের কাগজ: ইমরুল কায়েস কি একটু আনলাকি?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: অবশ্য সে আনলাকি। ইমরুল কায়েস গেম প্ল্যান বলেন, টিম প্ল্যান বলেন সেখানে ছিল না। আমি পারসোনালি মনে করি, ও খুব ভালো খেলোয়াড়, পারফর্মার। ও যখন সুযোগ পেয়েছে পারফর্ম করেছে। হয়তো অন্য কাউকে মনে হয়েছে যে সে পারফর্ম করার পাশাপাশি এক্সট্রা অন্যকিছু ছিল, সে জন্য সে দলে এসেছে। বাট এ রকম দু-একজন আছেন, যারা একটু আনলাকি অবশ্যই। 
 
খবরের কাগজ: জুনিয়রদের মধ্যে কাকে কাকে লম্বা রেসের ঘোড়া মনে হয়?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: এটা অনেকখানি ইন্ডিভিজুয়ালের ওপর ডিপেন্ড করে যে তিনি নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন, প্রস্তুত করছেন। এটা কিন্তু প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করার বিষয়। আজকে ভালো খেললেন, কালকে ভালো খেলতে পারলেন না, পরশু ভালো খেলতে পারলেন না, তারপরের দিন কিন্তু ভালো খেলতেই হবে। আমাদের এখনকার ছেলেরা কিন্তু অনেক বেশি ট্যালেন্টেড আগের ছেলেদের চেয়েও। বাট তাদের একটু প্রস্তুত হতে হবে। মনে করতে হবে যে ভালো করার কোনো শেষ নেই। এটা ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট আমি নিজেকে কোথায় দেখতে চাচ্ছি। আমি কিছু ছেলেকে দেখেছি যে চান্স পাওয়ার পর খুশি হয়ে যায়, বেশি দূর এগোতে পারে না। এটা একটা বড় বিষয় যে আমাদের নতুন ছেলেদের সামনে কিন্তু এক্সাম্পল আছে। আমরা যখন খেলতাম, তখন এক্সাম্পল খুঁজতে কিন্তু বাইরে তাকাতে হতো। এখন কিন্তু আমাদের নতুন ছেলেদের সামনে সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, মাশরাফি অনেক খেলোয়াড় আছে, যাদের রোল মডেল হিসেবে তারা নিতে পারবে। তারা কীভাবে তাদের ক্রিকেটটা এগিয়েছে, এটা তাদের চোখের সামনে আছে। তো তাদের এত বেশি সমস্যা হওয়ার কথা না। এখনো সাকিব-তামিমের খেলার প্রতি যে নিবেদন, মুশফিকের যতখানি ডেডিকেশন, মাহমুদউল্লাহ যেভাবে হার্ডওয়ার্ক করে এর থেকে ভালো এক্সাম্পল তো আর কিছু হতে পারে না। নতুন যারা আসছে তাদের টিকে থাকতে হলে পারফর্ম করতে হবে। ট্যালেন্টেড অনেকে আছে, বাট শুধু ট্যালেন্ট নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে সারভাইভ করা যায় না।
 
খবরের কাগজ: আলিসকে কেন টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হলো?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: আমরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটু মিস্ট্রি বোলার, কিন্তু কদর বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তো বোলারদের প্রথম বল থেকেই মারতে চায়। দেখবেন যে মিস্ট্রি বোলারদের সাকসেস রেটটা বেশি হয়। অফ স্পিনার বলেন, বাঁহাতি স্পিনার বলেন- সবাই অর্থোডক্স বোলার। আমাদের তো চায়না ম্যানও নেই। তো আলিস একটু ডিফারেন্ট টাইপের বল করে থাকে। এই ধরনের বোলার আসলে আমাদের আগে কখনো ছিল না। বাট আমি চাইব যে আলিস এখন যেমন মিস্ট্রি নিয়ে আছে, শুধু একটা মিস্ট্রি না ওর বোলিংয়ে যেন আরও দু-একটা জিনিস অ্যাড করে। কারণ মিস্ট্রি বোলারদের জন্য একটা বড় ব্যাপার যে তাদের কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হয়। ওই মিস্ট্রিটা যদি একবার পড়ে ফেলে ব্যাটসম্যানরা, তারপর তাদের খেলাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এই ব্যাপারে সে কিছু না কিছু অ্যাড করে নিজের বোলিংয়ে। যদি বেশি দিন ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেটে খেলতে চায়।
 
খবরের কাগজ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স কেমন প্রভাব দেখছেন?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: টু বি অনেস্ট খুব বেশি খেলোয়াড়কে দেখিনি বিপিএলটিকে ব্যবহার করতে। নির্বাচকদের চ্যালেঞ্জ করতে যে আমি ভালো করছি, আমাকে নিতে হবে। 
 
খবরের কাগজ: আপনাদের সময়ে পরিকল্পনা সফল হয়েছে। এমন সিরিজ কোনগুলো?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: অনেকগুলো সিরিজ আছে। মাঝেমধ্যে আমি শুনি, অনেকেই বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি মাঝেমধ্যে বুঝতে পারি না কেন এই কথাটা বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট কিছু জিনিস অ্যাচিভ করেছে এই আট বছরে, যা আগে কখনো হয়নি। বাংলাদেশ কখনো নিউজিল্যান্ডে গিয়ে জেতেনি। বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে। নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে জিতেছে, যা আগে কখনো দেখেনি। টি-টোয়েন্টি জিতেছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সিরিজ জিতেছে। আমরা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছি। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি। আমাদের খেলার গ্রাফ কিন্তু খুবই ভালো। এই বিশ্বকাপের আগে কিন্তু অসাধারণ খেলছিলাম। বাইলেটারাল সিরিজে পরপর চার-পাঁচটি সিরিজ জিতেছিলাম। ওয়ার্ল্ডকাপে গিয়েছিলাম থার্ড হিসেবে। তার পরও বাংলাদেশ ক্রিকেটে কেন এগোয় না তা আমি জানি না (হাসি)। অবশ্যই কিছু ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দলটাকে, সেটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের যে টপ ফাইভ খেলোয়াড় আছেন, তারা একসঙ্গে চলে গেলে কিন্তু শূন্যস্থানে যারা আসবে তাদের জন্য কাজ ডিফিকাল্ট। সে ক্ষেত্রে দু-একজনকে বিশ্রাম দিয়ে নতুন কাউকে ট্রাই করতে হয়েছে। তারা থাকতে থাকতে তাদের রেডি করা, এই জিনিসটা অনেকে বুঝতে পারেন না, বুঝতে চান না। বাট সো ফর কয়েকটা সিরিজে তো চ্যালেঞ্জ ছিল, বিশেষ করে ওয়ার্ল্ডকাপগুলো। এবারের ওয়ার্ল্ডকাপটা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। ভালো হয়নি।
 
খবরের কাগজ: সাকিব না থাকলে দল তৈরি করাটা কঠিন হতো কি না?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: সাকিব খেললে সুবিধা একজন ব্যাটার কিংবা একজন বোলার বেশি নিয়ে খেলতে পারি। বাট যখন খেলে না, তখন আমরা কখনোই এটা নিয়ে ভাবি না। আমরা যে নিউজিল্যান্ডে সিরিজটা (টেস্ট) জিতেছি সেখানে তামিমও ছিল না, সাকিবও ছিল না। ভেবেছি, তার জায়গায় যাকে সুযোগ দিয়েছি সে যদি ভালো করে, তাহলে দলের ফিউচারের জন্য ভালো হবে। 
 
খবরের কাগজ: শোনা যায় সিনিয়র ক্রিকেটাররা দল নির্বাচনে বেশ ভোগাতেন? বিশেষ করে সাকিব শেষ মুহূর্তে খেলবেন না জানিয়ে।
 
হাবিবুল বাশার সুমন: না টুয়েলভথ আওয়ারে গিয়ে হয়নি। মোটামুটি আগেই হয়ে গেছে। ভুগিয়েছে বলব না। তারা আমাদের সাহায্য করেছেন। তাদের উপস্থিতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য। বাট এখন পর্যন্ত এমন হয়নি যে তারা আমাদের খুব বিপদে ফেলেছেন। 
 
খবরের কাগজ: আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন দেখেন?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: এবারের বিশ্বকাপ একটা ভিন্ন জায়গায় খেলা হচ্ছে। আমেরিকায় খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজে আছে। কন্ডিশনটা কেমন হয়, সেটা আসলে আমরা জানি না। হয়তো বাংলাদেশ দল একটু আগে আগে যাবে, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। বিশ্বকাপ কঠিন হবে, অনেক কঠিন। কারণ বাকি দলগুলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এগিয়ে গেছে, যদিও আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আমরা ভালো করছি। আমি আশা করছি যে আগের বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো হবে। তার থেকে খারাপ হবে না (হাসি)।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ তারুণ্য-অভিজ্ঞ মিশ্রণে বলিয়ান স্কটল্যান্ড

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
তারুণ্য-অভিজ্ঞ মিশ্রণে বলিয়ান স্কটল্যান্ড
ছবি- সংগ্রহীত

দলে যেমন আছেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তেমনি আছেন ১৯ বছর বয়সী তরুণও। সব মিলিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের স্কোয়াড তারুণ্য-অভিজ্ঞদের মিশ্রণে দারুণ এক প্যাকেজ। এমন দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ভালো করতে মরিয়া স্কটিশ শিবির।

১৯৯৪ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় স্কটল্যান্ড। এরপর তারা প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে ১৯৯৯ সালে। তিনটা বিশ্বকাপ খেলে ফেলা স্কটল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরেরও সাক্ষী (২০০৭ সালে)। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে স্কটিশদের অংশগ্রহণ চারবার। ক্রিকেটের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের সখ্যতার ইতিহাস সুদীর্ঘ হলেও আসেনি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

ভারসাম্যপূর্ণ দল

স্কটল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াড অনেকটা তারুণ্যে ভরপুর। ১৫ সদস্যের দলে ৩০-এর ওপরের বয়স সাতজনের। বাকি আটজনের বয়স ১৯ থেকে ৩০ এর মধ্যে। বিশ্বকাপ মিশনে স্কটল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন রিচি বেরিংটন। যার বয়স সবচেয়ে বেশি, ৩৭। টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন ৮৭ ম্যাচ। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি তার আছে ১০টি ফিফটিও।

তারুণ্য সমৃদ্ধ দল নিয়ে স্কটল্যান্ডের কোচ ডগ ওয়াটসনের যুক্তি, ‘মাইকেল জোন্স এবং ব্র্যাড হুইলকে দলে নেওয়ার প্রধান কারণ তারা গত বিশ্বকাপে খেলেছে। আসন্ন বিশ্বকাপে দলে তাদের অভিজ্ঞতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। ২৬ বছর বয়সী মাইকেল জোন্স খেলেছে মাত্র চারটি ম্যাচ। সেখানে ২৭ বছর বয়সী পেসার ব্র্যাড হুইল খেলেছেন ১৭ ম্যাচ।

তবে দল থেকে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জশ ডেভি। যিনি স্কটল্যান্ডের জার্সিতে তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার ছিল সরব উপস্থিতি। তবে স্কটিশদের জার্সিতে চতুর্থ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। ২০২১ সালের বিশ্বকাপে ১৩.৬৬ গড়ে ৯ উইকেট নেওয়া ডেভিকে ছাড়া বিশ্বকাপে মাঠে নামবে স্কটল্যান্ড।

তরুণদের ওপর আস্থা

স্কটল্যান্ডের স্কোয়াডে তরুণদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাড কুরি। উদীয়মান এই পেসার খেলেছেন মাত্র ৮ ম্যাচ। তবে কিপার ব্যাটার ম্যাথু ক্রস খেলেছেন ৬৭ ম্যাচ। সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও তার রয়েছে পাঁচটি ফিফটি। দলের ওপেনার অলিভার হ্যারিসের বয়স ৩১। ২২ টি-টোয়েন্টিতে তার রয়েছে একটি সেঞ্চুরি। ফিফটিও একটি। তবে পেসারদের মধ্যে ব্রাড কুরি, জ্যাক জারভিস, কিপার ব্যাটার চার্লি টিয়ারদের ম্যাচ খেলার সংখ্যা খুবই কম। এদের প্রথম বিশ্বকাপই এটি।

স্কটিশ শিবিরে আছে স্পিনার মার্ক ওয়াট। ২৭ বছর বয়সী এই অর্থোডক্স স্পিনার খেলেছেন ৬০ ম্যাচ। উইকেট পেয়েছেন ৭২টি। অন্যদিকে ৩২ বছর বয়সী সাফিয়ান শরিফ ৬৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৭২ উইকেটে। এই বোলারের ওপর দারুণ আস্থা স্কটিশ কোচের। ওপেনার হ্যারিসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে থাকবেন জর্জ মুন্সি। ৩১ বছর বয়সী এই ওপেনার খেলেছেন ৬৫ ম্যাচ। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে তার রয়েছে ১২টি ফিফটি।

সেরা সাফল্যে চোখ

টুয়েলভে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে। প্রথম আসরেই স্কটল্যান্ড পড়েছিল ভারত ও পাকিস্তান গ্রুপে। জয় আসেনি একটিতেও। পরের আসরেও (২০০৯ সালে) জয়শূন্য। এরপর টানা তিন বিশ্বকাপের বাছাই পর্বই পার হতে পারেনি তারা। ২০১৬ বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পায়  স্কটল্যান্ড। বি গ্রুপে থাকা হংকংয়ের বিরুদ্ধে জয় আসে ৮ উইকেটে, তাও বৃষ্টি আইনে। ২০২১ বিশ্বকাপে সেরা সাফল্য স্কটল্যান্ডের। বাংলাদেশকে টপকে বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা। জিতেছিল গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ। সুপার টুয়েলভে পা রাখলেও সেখানে কুলিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। হেরে যায় পাঁচটি ম্যাচেই। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে হারিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। কিন্তু এই ধারা ধরে রাখতে পারেনি তারা। বি গ্রুপে বাকি দুই প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে বি গ্রুপে স্কটল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া ও ওমান। এই গ্রুপ থেকে দুটি দল যাবে সুপার এইটে। সেই হিসেবে সম্ভাব্য দুটি দলের নাম বলাই যায় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সে ক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডের লড়াইটা হবে মূলত বাকি তিন দলের সঙ্গে। আগামী ৪ জুন বার্বাডোজে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে স্কটল্যান্ড। 

রিচি বেরিংটন, অধিনায়ক 
অভিজ্ঞদের সঙ্গে তারুণ্যের মিশেলে আমাদের দলটি এবার বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। বিশ্বকাপে আমাদের লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব। এখানে ভালো করাটাই মুখ্য। ম্যাচ বাই ম্যাচে থাকবে আমাদের চোখ। যেকোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করার দুর্বার মানসিকতা রয়েছে। 

বিশ্বকাপ স্কোয়াড
রিচি বেরিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথু ক্রস, ব্র্যাড কুরি, ক্রিস গ্রিভস, ওলি হেয়ার্স, জ্যাক জার্ভিস, মাইকেল জোন্স, ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন, জর্জ মানসি, সাফিয়ান শরিফ, ক্রিস সোল, চার্লি টিয়ার, মার্ক ওয়াট, ব্র্যাড হুইল, মাইকেল লিস্ক।

টানা চার শিরোপায় সিটির ইতিহাস

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
টানা চার শিরোপায় সিটির ইতিহাস
ছবি : সংগৃহীত

ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবলে কোনো দলের টানা চার শিরোপার কীর্তি এটাই প্রথম।

রবিবার (১৯ মে) ছিল ২০২৩-২৪ মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ড। সব খেলা শুরু হয়েছিল একই সময়ে। তবে সবার চোখ ছিল সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ও আর্সেনাল-এভারটন ম্যাচের দিকে। কারণ শেষ রাউন্ড পর্যন্ত শিরোপার দৌড়ে টিকে ছিল শুধু সিটি ও আর্সেনাল।

আর্সেনালের চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থাকায় শিরোপার ভাগ্যটা সিটির হাতেই ছিল। ওয়েস্ট হ্যামকে হারাতে পারলে কোনো হিসেব ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত তারা। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জয় তুলে নিতে ভুল করেনি পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। জোড়া গোল দলের জয়ের নায়ক ফিল ফোডেন। অন্য গোলটি রদ্রির। ওয়েস্ট হ্যামের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন মোহাম্মদ কুদুস।

এদিকে আর্সেনাল তাদের ঘরের মাঠে এভারটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায়। তবে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। ৩৮ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করল সিটি। ২৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৯।

প্রিমিয়ার লিগ এতিহাসে এনিয়ে দশম বারের মতো লিগের শেষ দিনে নিষ্পত্তি হলো শিরোপার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ নামিবিয়া- ছোট দলের বড় সাহস

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
নামিবিয়া- ছোট দলের বড় সাহস
ছবি- সংগ্রহীত

একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেই ২০০৩ সালে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হয়ে গেছে দুটি। অথচ এই ফরম্যাটে তাদের পথচলা খুব বেশি দিনের নয়, ২০১৯ সাল থেকে। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির ক্রিকেটের বয়স তাই হাতের কর গুনে বলে দেওয়া যায়। তাদের ঐশ্বর্য নেই, নেই কাড়িকাড়ি রেকর্ডস। ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাংক ব্যালেন্সও সমৃদ্ধ নয়। তবে এই খেলাটির প্রতি আছে দেশটির পরম নিবেদন।

দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ২৫ লাখ। ক্রিকেটের চেয়ে এই দেশটিতে ফুটবল, রাগবি কিংবা মাছ ধরার পেশাটাই জনপ্রিয়। এর মধ্যেও ক্রিকেট নামক শব্দটি দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে কিছু ক্রিকেটার। মাত্র ৯টা ক্রিকেট মাঠ, ৫টা ক্লাব আর হাতেগোনা কিছু চুক্তিভিত্তিক ক্রিকেটার। সীমিত সামর্থ্য, বুকভরা সাহস আর অপার স্বপ্ন নিয়ে নামিবিয়ার ক্রিকেটাররা মাঝেমধ্যে লিখেন রূপকথাও।

১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের দুই বছর পরই আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে নাম লেখায় নামিবিয়া। পায় ওয়ানডে স্ট্যাটাস। সেই হিসেবে নামিবিয়ার ক্রিকেট ইতিহাস সুদীর্ঘ হলেও ম্যাচ খেলার সংখ্যা খুবই কম। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিল দলটি ২০০৩ সালে। একই বছরে প্রথম বৈশ্বিক আসরে অংশগ্রহণ। যদিও নতুন হিসেবে সেই আসরে কপালে জুটেছিল ছয় ম্যাচেই হার। সময়ের আবর্তে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণ আর দশটা দেশের মতো নামিবিয়াও ঘটিয়েছে উত্থান। এই ফরম্যাটে মূলত আলো ছড়িয়েছে দলটি। নামিবিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে সুপার টু্য়েলভে জায়গা করে নিয়েছিল আফ্রিকার ঈগলসরা। সেই প্রেরণা নিয়েই এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে নামিবিয়া। 

২০২১ বিশ্বকাপে এ গ্রুপে নামিবিয়ার সঙ্গী ছিল শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হার। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় নামিবিয়া। ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডসকে। এই ম্যাচ দিয়েই আলোচনায় আসেন একসময় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা ডেভিড ভিসা। ৪০ বলে চারটি চার ও পাঁচ ছক্কায় ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। 

ডাচদের হারানোর পর নামিবিয়ার স্বপ্ন আরও চওড়া। চোখ তখন সুপার টুয়েলভে। শারজায় আগে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ৮ উইকেটে করে ১২৫ রান। রূপকথার জন্ম দিয়ে এই ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভে নাম লেখায় নামিবিয়া। জয়ের নায়ক সেই ডেভিড ভিসাই। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৪ বলে খেলেছিলেন ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। বিশ্বকাপে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিরুদ্ধে এটি ছিল তাদের প্রথম জয়। 

সুপার টুয়েলভ পর্বে নামিবিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড। নামিবিয়া জিতেছিল শুধু স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। বাকি ম্যাচগুলো হারলেও আফসোস ছিল না দলটির। কারণ নতুন ইতিহাস গড়ায় এমনিতে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বুঁদ ছিল নামিবিয়া শিবির। সেই দলের অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস এবারের বিশ্বকাপেও থাকছেন নামিবিয়ার নেতৃত্বে। স্কোয়াডে অনুমিতভাবে আছেন তুখোড় অলরাউন্ডার, সেই ডেভিড ভিসাও। সঙ্গে যোগ হয়েছে তরুণ কিছু ক্রিকেটার। 

অভিষেক বিশ্বকাপের মতো নামিবিয়া চমক দেখাতে পারেনি সর্বশেষ ২০২২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। প্রথম পর্বে এ গ্রুপে নামিবিয়ার সঙ্গী ছিল শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও আরব আমিরাত। আমিরাতকে হারাতে পারলেও বাকি সব ম্যাচ হেরে বিসর্জন দিতে হয় সুপার টুয়েলভ পর্বে যাওয়ার স্বপ্ন। 

এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। পাঁচটি করে দল চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে গ্রুপ পর্ব। চার গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে মোট আটটি দল যাবে সুপার এইটে। সেই হিসেবে এবার নামিবিয়ার জন্য সুপার এইট পর্বে পৌঁছানো বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ বি গ্রুপে নামিবিয়ার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। আগামী ২ জুন বার্বাডোজের ব্রাইডটনে ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে নামিবিয়া। ছোট দল হলেও এরাসমাস শিবিরের বুকে আত্মবিশ্বাসীর ঝলকানি। নামিবিয়ার অধিনায়ক যেমন বলেছেন, ‘আমরা ছোট দল। তবে আমাদের রয়েছে প্রবল আত্মবিশ্বাস। বিশ্বকাপের উত্তাপ গায়ে মাখতে চাই।’

গেরহার্ড এরাসমাস, অধিনায়ক
আমরা ছোট দল। তবে আমাদের রয়েছে প্রবল আত্মবিশ্বাস। সুপার এইটের স্বপ্ন আমাদের জন্য অলীক। তবে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রমাণ করতে চাই। আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ-তারুণ্যের মিশেলে দারুণ স্কোয়াড। আছে ডেভিড ভিসের মতো তুখোড় অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপের উত্তাপ গায়ে মাখতে চাই।

বর্তমান টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিং: ১৪তম
প্রথম টি-টোয়েন্টি: ২০ মে ২০১৯, প্রতিপক্ষ ঘানা
ম্যাচ: ৬৪
জয়: ৪২
হার: ২১
পরিত্যক্ত: ১

বিশ্বকাপ দল
গেরহার্ড এরাসমাস (অধিনায়ক), নিকোলাস ডেভিন, জান গ্রিন, জেপি কোটজে, মালান ক্রুগার, ডিলান লিচার, জে জে স্মিট, ইয়ান ফ্রাইলিক, মাইকেল ভ্যান লিনগেন, ডেভিড ভিসে, পিটার-ড্যানিয়েল ব্লিগনাট, জ্যাক ব্রাসেল, তানগেনি লুঙ্গামেনি, বেরনার্ড স্কোলজ, বেনশিকঙ্গো, রুবেন ট্রাম্পপেমান।

ঝড়ের কারণে শঙ্কায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
ঝড়ের কারণে শঙ্কায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ
ছবি : সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনও দেশটিতে গড়ে ওঠেনি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট অবকাঠামো। একই অবস্থা হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট গ্রাউন্ডের। টেক্সাসে হওয়া ঝড়ের কারণে লন্ডভন্ড হয়েছে মাঠের সকল অস্থায়ী স্থাপনা। যেখানে আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। অস্থায়ী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় শঙ্কার মধ্যে পড়েছে দুই দলের সিরিজ মাঠে গড়ানো নিয়ে।

হিউস্টনে পৌঁছানোর পর থেকেই ঝড় বৃষ্টির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। টাইগাররা সেখানে পা রাখার আগের রাতে হয়েছিল তুমুল ঝড়। ওই ঝড়ের কারণে ভেঙে গেছে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সকল স্থাপনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদক পিটার ডেলা পেনা।

এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘২১ মে থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সিরিজ শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হিউস্টনের উপর দিয়ে প্রচন্ড ঝড় বয়ে গেছে। এই ঝড়ের কারণে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সের সকল অস্থায়ী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দেশটির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত খেলা না হওয়ার শঙ্কা সত্যি হলে প্রস্তুতিতে খানিকটা ঘাটতি তৈরি হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

২৫টি স্কোয়াডের বেতনের বেশি বেতন মেসির

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
২৫টি স্কোয়াডের বেতনের বেশি বেতন মেসির
ছবি : সংগৃহীত

প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ছেড়ে লিওনেল মেসি ২০২৩ সালে পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। সেখানে আর্জেন্টাইন তারকার বাৎসরিক বেতন ২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা কিনা আর সবার চেয়ে বেশি। এমনকি ২৫টি ক্লাব তাদের খেলোয়াড়দের যা বেতন দেন তার চেয়েও বেশি।

এমএলএস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন গতকাল এই তথ্য প্রকাশ করেছে। মেসির বেতন আর সবার চেয়ে বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তীর নিট বেতন ১ কোটি ২০ লাখ ডলার। বিভিন্ন বোনাস সহকারে সব মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬৬৭ ডলার।

প্রকাশিত সেই নথিতে অবশ্য তার বাণিজ্যিক চুক্তি, এনডোর্সমেন্ট ও স্পনসর চুক্তি থেকে আয় যোগ করা হয়নি।

মেজর লিগে মেসি যাওয়ার আগে সেখানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেতেন টরন্টো এফসির ইতালিয়ান স্ট্রাইকার লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। বর্তমানে তার অবস্থান দ্বিতীয়তে। কানাডিয়ান ক্লাবটি থেকে বছরে ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেন ইনসিনিয়ে। আয়ের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেসির আরেক সতীর্থ সের্হিও বুসকেটস। ৩৫ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মায়ামিতে ৮৮ লাখ ইউরো আয় করেন।

উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ ও স্প্যানিশ ফুলব্যাক জর্দি আলবা বছরে ১৫ লাখ ডলার করে আয় করেন মায়ামিতে।