ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিনিয়ররা ভোগায়নি, সহযোগিতা করেছে: সুমন

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
সিনিয়ররা ভোগায়নি, সহযোগিতা করেছে: সুমন
ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচক কমিটির সদস্য হিসেবে টানা কয়েক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে এটিই ছিল তার প্রথম সম্পৃক্ততা। নতুন করে বিসিবি নির্বাচক হিসেবে তার সঙ্গে আর মেয়াদ বাড়ায়নি। কিন্তু তাই বলে ক্রিকেট ছাড়তে পারেননি হাবিবুল বাশার সুমন। বিসিবি তাকে নতুন করে দায়িত্ব দিয়েছে মেয়েদের ক্রিকেটের দেখভাল করার জন্য। দায়িত্ব পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে আজ হচ্ছে হাবিবুল বাশার সুমনের কর্মকাণ্ড। পুরোনো দায়িত্বের সঙ্গে নতুন দায়িত্ব নিয়ে খবরের কাগজের সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে অনেক কথাই বলেছেন তিনি। যার প্রথম পর্ব ছাপা হয়েছিল গতকাল মঙ্গলবার। আজ ছাপা হলো দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ রায়। 
 
খবরের কাগজ: আপনাদের দায়িত্বকালীন হারিয়ে যাওয়া এমন কেউ আছেন, যারা আসলে জাতীয় দলকে লম্বা সময় সার্ভিস দেওয়ার মতো সামর্থ্যবান ছিলেন?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: শুরু থেকে যদি আমি বলি, একটা ছেলের অনেক দূরে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সে নাসির হোসেন। আমার দেখা সেরা ফিনিশার। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলতে যে টেম্পারমেন্ট লাগে, সেটা ওর মধ্যে খুব ভালো ছিল। মোসাদ্দেক হোসেন, সাব্বির রুম্মন এরা যদি থাকত, তাহলে দলটা আরও স্ট্রং থাকত। দেখুন, যারা হারিয়ে গেছে দোষটা কিন্তু সম্পূর্ণ তাদের দেব। এখানে ইন্টারন্যাশন্যাল এমন একটা জায়গা, যেখানে নিজেকে নিজের মতো করে প্রস্তুত রাখতে হবে। কেউ বলতে পারবে না সুযোগ পায়নি। কমবেশি সুযোগ পেয়েছে। বাট জাতীয় দল এমন একটা জায়গা, যেখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে পারফর্ম করে টিকে থাকতে হবে। আপনাকে সুযোগ দেওয়া হবে, বাট সুযোগ যদি সব সময় কাজে না লাগান, আলটিমেটলি নতুন কেউ এসে আপনার জায়গা নিয়ে নেবে। ব্যাপারটা আসলে এ রকম। আরও অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা আসলে নিজেকে নিজের জায়গায় রাখতে পারেনি। যার জন্য হারিয়ে গেছে। আপনি যখন দলের বাইরে চলে যান, তখন দলের ভেতর যারা আছে তারা যদি পারফর্ম করে, তখন তো আপনি ঢুকতে পারবেন না। ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেট আসলে এমনই। নিজের জায়গাটা নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। সাকিব-তামিমের জায়গা নিয়ে তো কখনো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। মুশফিকের জায়গা নিয়ে তো কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। তারা তাদেরই সিলেকশন করেছে। অন্য কাউকে তাদের সিলেকশন করতে হয়নি। 
 
খবরের কাগজ: ইমরুল কায়েস কি একটু আনলাকি?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: অবশ্য সে আনলাকি। ইমরুল কায়েস গেম প্ল্যান বলেন, টিম প্ল্যান বলেন সেখানে ছিল না। আমি পারসোনালি মনে করি, ও খুব ভালো খেলোয়াড়, পারফর্মার। ও যখন সুযোগ পেয়েছে পারফর্ম করেছে। হয়তো অন্য কাউকে মনে হয়েছে যে সে পারফর্ম করার পাশাপাশি এক্সট্রা অন্যকিছু ছিল, সে জন্য সে দলে এসেছে। বাট এ রকম দু-একজন আছেন, যারা একটু আনলাকি অবশ্যই। 
 
খবরের কাগজ: জুনিয়রদের মধ্যে কাকে কাকে লম্বা রেসের ঘোড়া মনে হয়?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: এটা অনেকখানি ইন্ডিভিজুয়ালের ওপর ডিপেন্ড করে যে তিনি নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন, প্রস্তুত করছেন। এটা কিন্তু প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করার বিষয়। আজকে ভালো খেললেন, কালকে ভালো খেলতে পারলেন না, পরশু ভালো খেলতে পারলেন না, তারপরের দিন কিন্তু ভালো খেলতেই হবে। আমাদের এখনকার ছেলেরা কিন্তু অনেক বেশি ট্যালেন্টেড আগের ছেলেদের চেয়েও। বাট তাদের একটু প্রস্তুত হতে হবে। মনে করতে হবে যে ভালো করার কোনো শেষ নেই। এটা ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট আমি নিজেকে কোথায় দেখতে চাচ্ছি। আমি কিছু ছেলেকে দেখেছি যে চান্স পাওয়ার পর খুশি হয়ে যায়, বেশি দূর এগোতে পারে না। এটা একটা বড় বিষয় যে আমাদের নতুন ছেলেদের সামনে কিন্তু এক্সাম্পল আছে। আমরা যখন খেলতাম, তখন এক্সাম্পল খুঁজতে কিন্তু বাইরে তাকাতে হতো। এখন কিন্তু আমাদের নতুন ছেলেদের সামনে সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, মাশরাফি অনেক খেলোয়াড় আছে, যাদের রোল মডেল হিসেবে তারা নিতে পারবে। তারা কীভাবে তাদের ক্রিকেটটা এগিয়েছে, এটা তাদের চোখের সামনে আছে। তো তাদের এত বেশি সমস্যা হওয়ার কথা না। এখনো সাকিব-তামিমের খেলার প্রতি যে নিবেদন, মুশফিকের যতখানি ডেডিকেশন, মাহমুদউল্লাহ যেভাবে হার্ডওয়ার্ক করে এর থেকে ভালো এক্সাম্পল তো আর কিছু হতে পারে না। নতুন যারা আসছে তাদের টিকে থাকতে হলে পারফর্ম করতে হবে। ট্যালেন্টেড অনেকে আছে, বাট শুধু ট্যালেন্ট নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে সারভাইভ করা যায় না।
 
খবরের কাগজ: আলিসকে কেন টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হলো?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: আমরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটু মিস্ট্রি বোলার, কিন্তু কদর বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তো বোলারদের প্রথম বল থেকেই মারতে চায়। দেখবেন যে মিস্ট্রি বোলারদের সাকসেস রেটটা বেশি হয়। অফ স্পিনার বলেন, বাঁহাতি স্পিনার বলেন- সবাই অর্থোডক্স বোলার। আমাদের তো চায়না ম্যানও নেই। তো আলিস একটু ডিফারেন্ট টাইপের বল করে থাকে। এই ধরনের বোলার আসলে আমাদের আগে কখনো ছিল না। বাট আমি চাইব যে আলিস এখন যেমন মিস্ট্রি নিয়ে আছে, শুধু একটা মিস্ট্রি না ওর বোলিংয়ে যেন আরও দু-একটা জিনিস অ্যাড করে। কারণ মিস্ট্রি বোলারদের জন্য একটা বড় ব্যাপার যে তাদের কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হয়। ওই মিস্ট্রিটা যদি একবার পড়ে ফেলে ব্যাটসম্যানরা, তারপর তাদের খেলাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এই ব্যাপারে সে কিছু না কিছু অ্যাড করে নিজের বোলিংয়ে। যদি বেশি দিন ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেটে খেলতে চায়।
 
খবরের কাগজ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স কেমন প্রভাব দেখছেন?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: টু বি অনেস্ট খুব বেশি খেলোয়াড়কে দেখিনি বিপিএলটিকে ব্যবহার করতে। নির্বাচকদের চ্যালেঞ্জ করতে যে আমি ভালো করছি, আমাকে নিতে হবে। 
 
খবরের কাগজ: আপনাদের সময়ে পরিকল্পনা সফল হয়েছে। এমন সিরিজ কোনগুলো?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: অনেকগুলো সিরিজ আছে। মাঝেমধ্যে আমি শুনি, অনেকেই বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি মাঝেমধ্যে বুঝতে পারি না কেন এই কথাটা বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট কিছু জিনিস অ্যাচিভ করেছে এই আট বছরে, যা আগে কখনো হয়নি। বাংলাদেশ কখনো নিউজিল্যান্ডে গিয়ে জেতেনি। বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে। নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে জিতেছে, যা আগে কখনো দেখেনি। টি-টোয়েন্টি জিতেছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সিরিজ জিতেছে। আমরা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছি। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি। আমাদের খেলার গ্রাফ কিন্তু খুবই ভালো। এই বিশ্বকাপের আগে কিন্তু অসাধারণ খেলছিলাম। বাইলেটারাল সিরিজে পরপর চার-পাঁচটি সিরিজ জিতেছিলাম। ওয়ার্ল্ডকাপে গিয়েছিলাম থার্ড হিসেবে। তার পরও বাংলাদেশ ক্রিকেটে কেন এগোয় না তা আমি জানি না (হাসি)। অবশ্যই কিছু ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দলটাকে, সেটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের যে টপ ফাইভ খেলোয়াড় আছেন, তারা একসঙ্গে চলে গেলে কিন্তু শূন্যস্থানে যারা আসবে তাদের জন্য কাজ ডিফিকাল্ট। সে ক্ষেত্রে দু-একজনকে বিশ্রাম দিয়ে নতুন কাউকে ট্রাই করতে হয়েছে। তারা থাকতে থাকতে তাদের রেডি করা, এই জিনিসটা অনেকে বুঝতে পারেন না, বুঝতে চান না। বাট সো ফর কয়েকটা সিরিজে তো চ্যালেঞ্জ ছিল, বিশেষ করে ওয়ার্ল্ডকাপগুলো। এবারের ওয়ার্ল্ডকাপটা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। ভালো হয়নি।
 
খবরের কাগজ: সাকিব না থাকলে দল তৈরি করাটা কঠিন হতো কি না?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: সাকিব খেললে সুবিধা একজন ব্যাটার কিংবা একজন বোলার বেশি নিয়ে খেলতে পারি। বাট যখন খেলে না, তখন আমরা কখনোই এটা নিয়ে ভাবি না। আমরা যে নিউজিল্যান্ডে সিরিজটা (টেস্ট) জিতেছি সেখানে তামিমও ছিল না, সাকিবও ছিল না। ভেবেছি, তার জায়গায় যাকে সুযোগ দিয়েছি সে যদি ভালো করে, তাহলে দলের ফিউচারের জন্য ভালো হবে। 
 
খবরের কাগজ: শোনা যায় সিনিয়র ক্রিকেটাররা দল নির্বাচনে বেশ ভোগাতেন? বিশেষ করে সাকিব শেষ মুহূর্তে খেলবেন না জানিয়ে।
 
হাবিবুল বাশার সুমন: না টুয়েলভথ আওয়ারে গিয়ে হয়নি। মোটামুটি আগেই হয়ে গেছে। ভুগিয়েছে বলব না। তারা আমাদের সাহায্য করেছেন। তাদের উপস্থিতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য। বাট এখন পর্যন্ত এমন হয়নি যে তারা আমাদের খুব বিপদে ফেলেছেন। 
 
খবরের কাগজ: আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন দেখেন?
 
হাবিবুল বাশার সুমন: এবারের বিশ্বকাপ একটা ভিন্ন জায়গায় খেলা হচ্ছে। আমেরিকায় খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজে আছে। কন্ডিশনটা কেমন হয়, সেটা আসলে আমরা জানি না। হয়তো বাংলাদেশ দল একটু আগে আগে যাবে, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। বিশ্বকাপ কঠিন হবে, অনেক কঠিন। কারণ বাকি দলগুলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এগিয়ে গেছে, যদিও আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আমরা ভালো করছি। আমি আশা করছি যে আগের বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো হবে। তার থেকে খারাপ হবে না (হাসি)।

১৭ দফা দাবি নিয়ে মিরপুরে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
১৭ দফা দাবি নিয়ে মিরপুরে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা
ছবি : সংগৃহীত

নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছাড়ার পর নতুন বোর্ড সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। নতুন বোর্ড সভাপতি আসার পর প্রতিদিনই মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে কেউ না কেউ।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে দাবি দাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে আন্দোলন করেছে দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। আন্দোলনে তারা নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ ও নতুন পরিচালক হওয়া নাজমুল আবেদীন ফাহিমের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে তারা এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। 

একাডেমি ভবনের সামনে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করেন তারা। পরে ফুল দিয়ে পরিচালক ফাহিমকে শুভেচ্ছা জানান তারা। শুভেচ্ছা জানানোর পর ১৭ দফা দাবির কথা জানান তারা নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। এর মধ্যে ছিল ম্যাচ ফি বৃদ্ধি করার মতো দাবি। 

উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো, ঢাকা বিভাগের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণেরই টুর্নামেন্ট থাকতে হবে। ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামোরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

দাবি জানিয়েছেন তারা ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) ঢেলে সাজানোরও। স্বাধীনভাবে কোয়াব যেন কাজ করতে পারে সেই নিশ্চয়তা চেয়েছেন ক্রিকেটাররা।

পরিচালক ফাহিম তাদের ১৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান
ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। সব দল পাকিস্তান সফরে সম্মতি জানালেও এখনও কিছু জানায় নি ভারত। তারা রাজি না থাকায় ২০২৩ সালের এশিয়া কাপও হয়েছিল হাইব্রিড পদ্ধতিতে। তবে এবার ভারত পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে আসবে বলে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।

তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিবের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোট অংশ নিতে যাচ্ছে ৮টি দল। সবগুলো দলের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছেও বলে এই সাক্ষাৎকারে জানান তিনি, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলোর বোর্ডের সাথেও আমাদের যোগাযোগ চলছে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচিতে ভারতের সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে লাহোরকে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বর্তমানেও চলছে আধুনিকায়নের কাজ। মাঠের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নাকভি জানান, ‘গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বেসমেন্টের কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি ফ্লোর তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে। সামনের ভবনটি একটি স্টিলের কাঠামো নিয়ে নির্মিত হবে। স্টেডিয়ামের মূল ভবনের কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত। বাকিসব দলগুলো পাকিস্তানে যেতে রাজি হলেও ভারত এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তাই শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এই টুর্নামেন্ট পুরোটাই কি পাকিস্তানে হবে নাকি ২০২৩ এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড পদ্ধতিতে হবে।

নতুন রূপে সাজছে বিপিএল

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
নতুন রূপে সাজছে বিপিএল
ছবি : সংগৃহীত

বেশ কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দায়িত্ব উঠতে পারে ফাহিম সিনহার কাঁধে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে বিসিবি অফিসে আসেন এই পরিচালক। এর কিছুক্ষণ পর বিসিবিতে আসেন প্রসাধনী ব্র্যান্ড হারলান ও ওরিয়ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা। পরে জানা যায়, আসন্ন বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান দুটি বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতির ফারুক আহমেদের সঙ্গে। ফারুক আহমেদ, ফাহিম সিনহা ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিচালক মাহবুব আনাম ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এ ছাড়া বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন উপস্থিত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বিসিবির বৈঠকে। হারলান ও ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করল বিসিবি।

বিপিএল নিয়ে প্রতিবছরই নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা থাকে। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ এসব সমস্যার সমাধান করে বিপিএলের পুরোনো জৌলুশ ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। এরই অংশ হিসেবে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক শুরু করেছেন। গত আসরে অংশ নেওয়া বিপিএলের ৭ দলের মধ্যে ৫টি আসন্ন আসরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি দুই দল কুমিল্লা ও ঢাকার জন্য নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজছে বিসিবি। মূলত এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির নেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে এসেছে হারলান ও ওরিয়ন।

বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হারলানের নির্বাহী পরিচালক চিত্রনায়ক ইমন। তিনি জানান, তারা বিসিবির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে হারলান দল পাবে কি না। তবে দল পেলে ভালোভাবে চালানো হবে বলে জানান। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। হারলানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব কী তাহলে হারলানের নেওয়া দলের হয়ে খেলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমন জানান, কোন কোন খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানো হবে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

হারলান ও ওরিয়ন ছাড়া বিপিএলে দল কেনার লড়াইয়ে আছে মিসরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওরাসকম কনস্ট্রাকশন। এ ছাড়া ২০১২ বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসের মালিকানায় থাকা এসকিউ স্পোর্টসও দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহী।

বিপিএলের সবশেষ আসরের আগে রাজস্ব ভাগাভাগি মডেল নিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বিসিবি রাজস্ব ভাগাভাগিতে রাজি ছিল না। শেষ পর্যন্ত বিপিএলের রাজস্বের ভাগ পায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গুঞ্জন আছে, চলতি বছর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিবি। এ ছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিপিএলের এবারের আসরে প্লেয়ার ড্রাফট আয়োজন করা হবে। সব সিদ্ধান্ত আসবে বিসিবি ও বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বৈঠকের পর। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষ করবে বিসিবি।

‘ফাইনাল’ জয়ের আনন্দ নিতে চান জামালরা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
‘ফাইনাল’ জয়ের আনন্দ নিতে চান জামালরা
ছবি : সংগৃহীত

কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে হলে মনে তাড়না থাকতে হয়। তাহলে কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ভুটান সফরে নিজেদের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের ফুটবলারদের অন্তত তাড়নার অভাব নেই। তাই তো ৮ বছর আগে যে চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশের ফুটবলকে, সেই মাঠে ফের খেলতে নেমে জয় তুলে নিতে কষ্ট হয়নি হাভিয়ের কাবরেরার দলের।

গত বৃহস্পতিবার সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য এবার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া। দল এতটাই উদগ্রীব যে, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া প্রীতি ম্যাচটিকেও ফাইনাল হিসেবে ঘোষণা দিতে দ্বিতীয়বার ভাবছেন না।

থিম্পুর চাংলিমিথাংয়ে আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবেন জামাল-তপুরা। প্রথম প্রীতি ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এই ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও ভালো ফল করা। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে জামাল তো এভাবেই বলেছেন, ‘আমরা আমাদের মিশনের ৫০ শতাংশ শেষ করতে পেরেছি। এখন আরও ৫০ শতাংশ বাকি আছে। আগামীকাল (আজ) দলের জন্য ফাইনাল। কারণ আমরা প্রথম জিতেছি এবং আরও তিন পয়েন্ট নিতে চাই। তাই লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। সেটা করতে পারলে বাংলাদেশে আমরা খুশি মনে ফিরতে পারব।’

এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৪তম) থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকা দল ভুটান (১৮২)। তবে শক্তিতে তারা যে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে, এটা বলার উপায় নেই। পরিসংখ্যানই আসলে বলে দেয় দুই দলের ব্যবধান। এখন পর্যন্ত ১৫ মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় ১২টিতেই। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে, ভুটান জিতেছে মাত্র একটি। ভুটানের সেই একটি জয়ই বাংলাদেশের ফুটবলে অন্ধকার নামিয়ে দিয়েছিল। ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপের প্লে অব ম্যাচটি হারার পর প্রায় ২ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। তীব্র হতাশায় ডুবে ছিল লাল-সবুজের ফুটবল।

পরে সেই হতাশা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়েছে দল। সেই হারের পর চলতি সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচটি দিয়ে ভুটানের বিপক্ষে আরও পাঁচবার খেলল বাংলাদেশ। জিতেছে সবগুলোতেই। আজকেও তাই ফলাফল ভিন্ন কিছু হলে সেটা হবে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য চরম ব্যর্থতা।

তুলনায় সমশক্তির বা কিছুটা পিছিয়ে থাকা দল হওয়ার পরও সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে ভুটানকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশ। এর বড় কারণ, দুটি ম্যাচেই যেন জয় আসে। সেটা হলে র্যাঙ্কিংয়ে আগানো যাবে। যার পুরস্কার হিসেবে এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বের তুলনায় কিছুটা সহজ গ্রুপে পরার সম্ভাবনা বাড়বে।

বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ ও সাবেক অধিনায়ক হাসান আল মামুন গতকালও বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন। ‘আপনারা জানেন এখানে আমরা এসেছি মূলত ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য। আমরা যেহেতু আগে বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলেছি, এখন আমাদের থেকে যারা একটু ছোট বা সমশক্তির, তাদের সঙ্গে আমরা জিততে চাই। আমাদের দল মানসিকভাবে সেভাবেই তৈরি হচ্ছে’- বলেন মামুন।

তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার দেশ হওয়ায় ভুটানে খেলাটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেই সঙ্গে থিম্পুতে খেলা হয় টার্ফে। এটাতেও অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশের ফুটবলাররা। মামুন এই চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করে বলছেন, ‘আমরা অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। আশাকরি কালকে (আজ) একটা বেটার ম্যাচ খেলবে দল। প্রথম ম্যাচে ছোটখাটো যে সমস্যাগুলো ছিল, সেই সমস্যাগুলো এই ম্যাচে কাটিয়ে বিজয়ী হয়ে ফিরব ইনশাআল্লাহ।’ 

প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়া ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনকে যে এ ম্যাচে পাওয়া যাবে না, তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। গতকাল মামুন নিশ্চিত করেছেন, রাকিব আজ খেলছেন না। তবে স্বস্তির কথাও শুনিয়েছেন তিনি, ‘ইনজুরিটা এত ব্যাপক না যে তাকে লম্বা সময়ের জন্য বসিয়ে রাখবে। আশাকরি খুব দ্রুতই সে দলের সঙ্গে ফিরবে।’

কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ
ছবি : সংগৃহীত

জমে উঠেছে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার ওভাল টেস্ট। বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩২৫ রানেই থেমে গেছে ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ১১৪ রানে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের দ্য ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় উইকেটে পেসারদের জন্য বেস সুবিধা ছিল। আলোকস্বল্পতায় খেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়ে যায়। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে পেসারদের বোলিংয়ের সুযোগ না থাকায় ওকসের একটি ওভারের শেষ পর্যায়ের চারটি বল স্পিন করতে হয় তাকে। সেই চার বলের মধ্যে একটি বাউন্ডারি হজম করেছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়লে হাল ধরেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুইজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।

এই দুই ব্যাটারের জুটিতে চাপ সামাল দিয়ে দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান। ধনাঞ্জয়া ৬৪ আর কামিন্দু ৫৪ রানে আপরাজিত।