ঢাকা ২১ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ০৪ মে ২০২৫

প্যারিস ওপেনে খেলতে চান ওসাকা

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
প্যারিস ওপেনে খেলতে চান ওসাকা
ছবি: সংগৃহীত

প্যারিস ওপেনে খেলতে হলে একটি আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে নাওমি ওসাকাকে। যদি তার আবেদনে সাড়া দেন টেনিস প্রধানরা, তাহলেই ২০২৪ অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবেন সাবেক নাম্বার ওয়ান নারী টেনিস তারকা। আপাতত নিজের ইচ্ছেটা জানিয়ে রাখলেন তিনি। ওসাকা বলেছেন, প্যারিস ওপেনে খেলতে চান তিনি।

২০২১ সালে করোনার কারণে বিলম্বে শুরু হওয়া টোকিও গেমসের মশাল জ্বালিয়েছিলেন ওসাকা। সে বছর টেনিসে তৃতীয় রাউন্ডে থেমেছিল তার যাত্রা। এরপর মা হন তিনি। ১৫ মাসের মাতৃত্বকালীন বিরতির পর গত বছরের শেষের দিকে টেনিসে ফিরেছেন। তিনি জাপানকে বিজেকে কাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করার পরে টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ‘যদি তারা (টেনিস প্রধানরা) আমাকে অনুমতি দেয়’ তবে তিনি প্যারিসে খেলবেন।

চারবারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন ওসাকার ভাষ্য ছিল এমন, ‘টিভিতে অলিম্পিক দেখে বড় হয়ে আমি অনুভব করেছি যে এটি খেলাধুলার একটি উদযাপন। আশা করি যে আমি প্যারিস গেমসে খেলতে পারব। এবং যদি আমি খেলি, আমার নিজের একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে। আশা করি যে আমি সত্যিই ভালো করতে পারব এবং একটি পদক পাব।’

নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত রাখার ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ১২:০৪ এএম
ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত রাখার ঘোষণা
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সদস্যরা। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের কোনো কিছুই এখন আর রাজনীতিমুক্ত নয়। এমন কী ক্রীড়াঙ্গনও। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তাদের অনুসারীরাই ক্রীড়াঙ্গনের হর্তাকর্তা হয়ে যান। এতে করে বিরোধী মতাদর্শের যোগ্য ও তৃণমূল পর্যায়ের ক্রীড়া সংগঠকরা অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় তাদের অনুসারীরাই ক্রীড়াঙ্গনে প্রবল দাপটের সঙ্গে বিচরণ করেছেন। এভাবে সময়ের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতার পালবদলের সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনেও পালাবদল হয়েছে। কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনে যেভাবে উন্নতি হওয়ার প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। ক্ষেত্রবিশেষে পিছিয়ে পড়েছে। কোনো কোনো খেলা ঝিমিয়ে পড়েছে। আবার যেসব খেলায় প্রবল সম্ভাবনা আছে বা সামাজিক মর্যাদা আছে, সেসব খেলায় নিজেদের মাঝে অন্তকলহে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আবার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও ছিল বেশি। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী লীগ ঘরানার ক্রীড়া সংগঠকরা নেই। কেউ দেশ ছেড়েছেন, কেউ বা আত্মগোপনে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ নিজেরাই সরে গিয়ে নীরব হয়ে পড়েছেন। এ সময় আবার জেগে উঠেছেন বিএনপি ঘরানার ক্রীড়া সংগঠকরা। তারা নতুন করে হাল ধরতে চান ক্রীড়াঙ্গনে। রাখতে চান দলীয় প্রভাবমুক্ত। এ লক্ষ্য নিয়ে শনিবার (৩ মে) ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। যেখানে আহ্বায়ক করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের মো. শরিফুল আলমকে। সদস্যসচিব হয়েছেন বগুড়ার সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজলকে। শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মিলনায়তনে সারা দেশ থেকে আসা কয়েক শ ক্রীড়া সংগঠকের উপস্থিতিতে কমিটির নাম ঘোষণা করেন আগের কমিটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বুলবুল।

সদস্য সচিব সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান (বায়ে), আহ্বায়ক মো. শরিফুল আলম (ডানে) 

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক গোলরক্ষক এবং বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনিপর স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, ক্রীড়া সংগঠক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ব্রাদার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, জাতীয় হকি দলের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রীড়া সংগঠক সাজেদ এ আদেল। অনুষ্ঠানটি অনেকটা ক্রীড়াঙ্গনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল।  জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, খালেদ মাসুদ পাইলট, উপস্থিত ছিলেন বিসিবির সাবেক পরিচালক মঈনউদ্দিন চৌধুরী কামরু, আসাদুজ্জামান খসরু,জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, শফিকুল ইসলাম মানিক, জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের সাবেক খেলোয়াড় কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল, সাবেক সাঁতারু মাহফুজা রহমান তানিয়া, জাতীয় হকি দলের সাবেক খেলোয়াড় প্রিন্স, মিতুল, শুটার শারমিন আক্তার রত্না, সাবেক অ্যাথলেট ফরহাদ জেসমিন লিটি, শামীমা সাত্তার মিমু, বিসিবির সাবেক পরিচালক মাঈন, সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহআলমসহ আরও অনেকে।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি আশা করব, এই সংগঠন দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। খেলাধুলার শ্রীবৃদ্ধি ঘটাবে।’ দেশের ফুটবল ক্লাবগুলোর নাম পরিবারের নামে করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশের প্রত্যেকটি ফুটবল দলের নাম ওই শহরের নামে। যেমন লিভারপুল, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদের নাম হয়েছে ওই শহরের নামে। অথচ আমাদের দেশে ক্লাবের নাম হয়েছে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলের নামে। দেশের খেলাধুলা তাহলে কীভাবে এগুবে।’ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম রাজনৈতিক কারণে তামিম ইকবালকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র তামিম ইকবাল। কিন্তু শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণেই জাতীয় দল থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যদিও বিএনপি কখনোই দলীয়করণ করেনি। আমিও ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর ছিলাম। ওই সময় দলীয়করণ করা হয়নি। যার প্রমাণ গাজী গোলাম দস্তগীরও (বীর প্রতীক) নির্বাচিত হয়ে এসেছিলেন। ফুটবলের কাজী সালাউদ্দিনকে আমরাই নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সে বিদায় নেওয়ার পর আজ পর্যন্ত ফুটবলের ক্ষেত্র ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে পারেনি। সার্চ কমিটি নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের দিয়ে ফেডারেশন করছে। এদেরও এক দিন জবাব দিতে হবে। গত ৭-৮ মাসে ক্রীড়াঙ্গন আরও পিছিয়ে পড়েছে।’ ব্রাদার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের কথা, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াকে আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দেশের যুবসমাজকে মাদকের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করবেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের দলগুলোকে ভালো ফল বয়ে আনতে সহায়তা করবেন, এটাই আপনাদের কাছে আমার চাওয়া। বিএনপিকে বাদ দিয়ে মন্ত্রণালয়ে বসে প্রতিনিধি নির্ধারণ করলে, তা বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বাদ পড়েছেন ত্যাগী ও দক্ষ সংগঠকরা। তাই ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি যে, প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগে যে কমিটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাই জেলা প্রশাসকের কাছে যাবেন, যাদের দিয়ে কাজ হবে তাদের নিয়ে কমিটি পাঠাবেন। জেলা-বিভাগের কমিটিতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট-দোসর ছাড়া যে কাউকে নিয়ে কমিটি হতে পারে। ক্রীড়াঙ্গনকে আমরা রাজনীতিমুক্ত রাখতে চাই।’ আহ্বায়কের দায়িত্ব নিয়ে মো.শরিফুল আলম বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরে যারা সুবিধাভোগী ছিলেন তাদের অনেকেই এখনো আছেন। আবার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা জেলা-বিভাগীয় সংগঠকরা কাজ করব। প্রশাসন এবং সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করব।’

আহ্বায়ক কমিটি

আহ্বায়ক- মো. শরীফুল আলম (কিশোরগঞ্জ), যুগ্ম আহ্বায়ক (২০ জন)- কাজি মহিউদ্দিন বুলবুল (চট্টগ্রাম), মীর শাহে আলম (বগুড়া), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া).আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী (সিলেট), কাজী সায়েদুল আলম বাবুল (গাজীপুর), ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল (চট্টগ্রাম), মিফতা সিদ্দিকি (সিলেট), মো. ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপি (লক্ষ্মীপুর), আবু দাউদ শামসুজ্জোহা চৌধুরী ডন (ঠাকুরগাঁও), সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকি লাবলু (ফরিদপুর), আব্দুস সালাম (বাগেরহাট), আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান (জামালপুর), আলী ইমাম তপন (ঢাকা), রোম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির (ঢাকা), মাহবুবুল আলম চপল (কুমিল্লা), আসাদুজ্জামান খসরু (বরিশাল), শহিদুজ্জামান শহিদ (গাইবান্ধা), জাহিদুল ইসলাম ধলু (নওগাঁ), কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল (ঢাকা), সদস্যসচিব- সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজল (বগুড়া), সদস্য (২২ জন)- অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম (ময়মনসিংহ), সাজেদ এ এ আদেল (ঢাকা), ফাহিমা হুসেইন জুবলী (ঢাকা), সৈয়দ জাহিদ হোসেন (খুলনা), ইসরাফিল খসরু (চট্টগ্রাম), ফয়সাল দস্তগীর (চট্টগ্রাম), জসিমউদ্দিন খসরু (গোপালগঞ্জ), রবিন চৌধুরী (ভোলা), ইকরামুল করিম মিলটন (খুলনা), এস এম আসাদুজ্জামান মুরাদ (খুলনা), মাহবুবুর রহমান শাহিন (চাঁদপুর), মো. রিয়াজ উদ্দিন (ঢাকা), সেলিম মিয়া (মুন্সীগঞ্জ), আনোয়ার হোসেন আনু (ঢাকা), হাজী ইসরাইল মিয়া (কিশোরগঞ্জ), শারমীন আক্তার রত্না (মাগুরা), মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ (লক্ষ্মীপুর), রেজাউর রহমান চৌধুরী সুমন (সিলেট), জাহেদ পারভেজ চৌধুরী (ঢাকা), বশির উদ্দিন আহমেদ (মুন্সীগঞ্জ), মো. সামসুজ্জামান সামু (রংপুর), শায়রুল কবীর খান (নেত্রকোনা)।

 

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সিরিজে আবারও এগিয়ে গেল বাংলাদেশের যুবারা

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সিরিজে আবারও এগিয়ে গেল বাংলাদেশের যুবারা
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার যুবাদের বিপর্যস্ত করে সিরিজে  ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের যুবারা। জয় পেয়েছে ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।

শনিবার (৩ মে) কলম্বো জাওয়াদ আবরারের ১১৩ রানের শতকে বাংলাদেশের বোর্ড জমা হয় ৩৩৬ রানে। এই রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে দুশো রানের আগেই দলীয় ১৯০ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ফলে ১৪৬ রানের এগিয়ে গেল সিরিজে। 

বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৫ রান যোগ করেন জাওয়াদ আবরার ও রিজান হাসান। জাওয়াদ আদায় করে নেন দাপুটে শতক। তার ব্যাটে আসে ১১৩ রান। রিজানের ব্যাটে আসে ৮২ রান। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ৩৩৬ রানের বড় সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

৩৩৭ রানের পাহাড় টপকাতে নেমে  আল ফাহাদ-আজিজুল হাকিম তামিমদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩৮.৪ ওভারে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। 

৩৩৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটার সে রকম কোনো ইনিংসই খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে অধিনায়ক ভিমাত দিনসারার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ফাহাদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। আগামী সোমবার সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

মেয়েদের র‌্যাঙ্কিং আয়ারল্যান্ডের কাছে জায়গা হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
আয়ারল্যান্ডের কাছে জায়গা হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা
ছবি : সংগৃহীত

গেল মাসেই নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েদের অবস্থান তুলনামূলক ভালো হলেও টি-টোয়েন্টিতে অবস্থান সুবিধার নয়।

সংক্ষিপ্ত সংস্করণে যে ভালো করতে পারছে না সেটির ছাপ স্পষ্ট র‌্যাঙ্কিংয়েও। আয়ারল্যান্ড ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের।

গতকাল (শুক্রবার) নারীদের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বার্ষিক হালনাগাদকৃত দলীয় র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আইসিসি। শীর্ষ আটে থাকা দলগুলোর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শীর্ষ দশের শেষ দুই অবস্থানে এসেছে পরিবর্তন। বাংলাদেশ এক ধাপ পিছিয়ে দশম অবস্থানে আর নবম স্থানে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ড। 

এই র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ম্যাচ এবং এরপর থেকে এখন পর্যন্ত শতভাগ অনুষ্ঠিত ম্যাচকে হিসাব করা হয়েছে।

এই সময়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ৯টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে মাত্র একটিতে (প্রতিপক্ষ পাকিস্তান) জিতেছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ড্র করে সিরিজ। বাকি ৭ সিরিজেই হেরেছে জ্যোতির দল। ঘরের মাঠে গেল বছরের ডিসেম্বরে ধবলধোলাই হয়েছিল আইরিশদের কাছে। 

এই বছরের শুরুতে জানুয়ারই-ফেব্রুয়ারিতে প্রথবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সফর করে সেখানে সাদা বলের দুই সিরিজেই পরাজিত হতে হয়েছে। হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে। এমন বাজে পারফরম্যান্সের ফলাফলই পাওয়া গেছে আইসিসির বার্ষিক র‌্যাঙ্কিংয়ে।

মেজর হাফিজ বললেন, উপদেশটা না শুনে সাকিব বিপদে পড়েছে

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
মেজর হাফিজ বললেন, উপদেশটা না শুনে সাকিব বিপদে পড়েছে
ছবি : সংগৃহীত

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের একটি উপদেশ না শুনে বিপদে পড়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ঢাকায় আজ (৩ মে) এক অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন নিজেই এ মন্তব্য করেছেন।

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে আজ। মেজর (অব.) হাফিজ অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি খেলোয়াড় থাকা অস্থায় কারও রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন। আর এই সময়ই সাকিবের উদাহরণ তুলে ধরেন।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ‘সাকিব আল হাসান একদিন আমার বাসায় এসেছিল। আমার পরিচিত সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাকে নিয়ে এসেছিল। বলল, আপনার সঙ্গে দেখা করবে। আপনার পরামর্শ নিতে চায়। আমি বললাম, আমি তো বিরোধী দল করি। সে তো নিশ্চয়ই বিরোধী দলে যোগ দেওয়ার জন্য আসবে না।’

তবে সাকিব ঠিকই সাবেক ফুটবলার ও রাজনীতিবীদ মেজর (অব.) হাফিজের বাসায় যান। অনেক আলোচনাও হয় তাদের মাঝে। মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ‘এক ফাঁকে, তাকে একটা উপদেশ দিয়েছি। যেটি যে গ্রহণ না করে বিপদে পড়েছে। তাকে আমি বলেছি- যাই করো না করো, আওয়ামী লীগ কোনো দিন করবে না। সে এটা শুনে সে বিমর্ষ হলো। তার ধারণা আওয়ামী লীগে গেলে মন্ত্রী হবে, এটা হবে, সেটা হবে; এমপি তো হবেই। আমি তাকে বললাম, আমিও তোমার মতোই খেলোয়াড় ছিলাম। আমাদেরও পরিচিতি ছিল। পাকিস্তান জাতীয় দলে এক সময় আমি একাই বাঙালী ছিলাম। অনেক সুযোগ-সুবিধা নিতে পারতাম আমরা। খেলোয়াড়ী অবস্থায়, জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া আমার মনঃপুত হচ্ছে না।’

সাকিবকে মেজর (অব.) হাফিজ আরও বলেছিলেন, ‘তোমার অনেক নাম হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে তোমাকে দেখছি। এখন তুমি রাজনীতিতে যেও না। আর গেলেও এই দলটির আর বেশি দিন আয়ু নাই।’

মেজর (অব.) হাফিজের কথায়, ‘সে (সাকিব) চুপচাপ খানিক পর চলে গেল। যদি সে আমার কথা শুনতো এবং এভাবে রাজনীতিতে না যেত, এই ডামি নির্বাচনের মধ্যে না যেত, আজকে সে অনেক সম্মানের সাথে ঢাকার রাজপথে বিচরণ করতে পারত। এখন তো তার বাড়ি আসাই মুশকিল হবে।’

বোর্ড পরিচালকদের সমালোচনায় তামিম ইকবাল

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
বোর্ড পরিচালকদের সমালোচনায় তামিম ইকবাল
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও ক্রিকেট নিয়ে এখনও সরব রয়েছেন তামিম ইকবাল। ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চেষ্টা করছেন ভূমিকা রাখার।

শনিবার (৩ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলতায়নে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক সমিতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কথা বলেছেন দেশের ক্রিকেটের সংকট নিয়ে।

নিজের বক্তব্যে তামিম সমালোচনা করেছেন বোর্ডের পরিচালকদের। যারা কিনা নির্বাচিত হওয়ার নিজের জেলার প্রতি দায়িত্ব ভুলে যান।

তামিম বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বিনীত অনুরোধ, জেলা বা বিভাগ থেকে যেন শুধুমাত্র তারাই নির্বাচিত হন, যাদের সত্যিকার অর্থে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং স্বপ্ন আছে। ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে যারা নিবেদিত প্রাণ, তারাই যেন বোর্ডে জায়গা পান।’

তামিম প্রশ্ন তুলেছেন বোর্ডের সঙ্গে জড়িতদের ক্রিকেট সচেতনতা নিয়ে ‘ক্রিকেট বোর্ডে কারা আমাদের পলিসি মেকার? কারা আমাদের ডিসিশন মেকার? কারা আমাদের রিপ্রেজেন্ট করছে? যারা বোর্ড পরিচালক, তাদের স্বপ্ন কী আমাদের নিয়ে। তাদের ক্রিকেটিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং কী আমাদের নিয়ে। এগুলো প্রতিটি জিনিস জড়িত থাকে বাংলাদেশের ভালো খেলা, জেতা, ভালো না খেলা, সবকিছুর সঙ্গে।’

বরাবরই বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা হয়। তামিম নিজেও কথা বলেছেন সেই অব্যবস্থাপনা নিয়ে, ‘সম্প্রতি আমি কয়েকটি জেলা সফর করেছি, যেমন বরিশাল। সেখানে গিয়ে দেখলাম, একটা মানসম্মত ক্রিকেট লিগ পর্যন্ত হচ্ছে না। অবস্থা এমন যে, কোথাও ক্রিকেটই নেই বললেই চলে।’

নিজ জেলার ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়নে যাদের অবদান নেই তাদের ক্রিকেট বোর্ডে থাকার যোগ্যতা নেই বলে উল্লেখ করেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ‘ক্রিকেট আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। অন্যান্য খেলাকে সম্মান রেখেই বলছি—যদি এই খেলারই এমন দুরবস্থা হয়, তাহলে বোর্ডে থাকা সেইসব পরিচালকদের বোর্ডে থাকার অধিকার নেই, যারা নিজ এলাকার ক্রিকেটের উন্নয়নে কিছুই করছেন না।’

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।