ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

হংকংয়ে ডিপফেক ভিডিও কনফারেন্সে ২৫০০ কোটি টাকার প্রতারণা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
হংকংয়ে ডিপফেক ভিডিও কনফারেন্সে ২৫০০ কোটি টাকার প্রতারণা

হংকংয়ে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। গত শুক্রবার হংকং পুলিশ বাহিনী এক প্রেস বিফিংয়ে প্রতারণার বিষয়টি জানিয়েছে। 

২৯ জানুয়ারি হংকং পুলিশ একটি কোম্পানির এক কর্মীর কাছে থেকে অভিযোগ পায়, ‘কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশে কেউ তাকে কোম্পানির অর্থ স্থানান্তর করতে প্রতারিত করেছে।’ পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, জটিল প্রতারণার মাধ্যমে ওই কর্মীকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণে ফাঁসানো হয়েছে। যেখানে তিনি ভেবেছিলেন, ভিডিও কনফারেন্সে তার প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজন কর্মীও রয়েছেন। আসলে সবাই ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি নকল চেহারা।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারকরা তাকে একটি ভিডিও কনফারেন্সে আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিষ্ঠানের আসল কর্মকর্তাদের মতো দেখাচ্ছিল। ছদ্মবেশে থাকা প্রতারকরা ফার্মের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিষ্ঠানের আড়াই হাজার কোটি টাকা পাঠাতে নির্দেশ দেয়।

প্রতারিত ব্যক্তিটি সেই নির্দেশ অনুসারে টাকা পাঠায়। তিনি প্রতারকদের নির্দেশিত পাঁচটি স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠান। অ্যাকাউন্টগুলোতে ১৫ বারে এই বড় অঙ্কের লেনদেন সম্পন্ন করেন। পরে কোম্পানির সঙ্গে এক সপ্তাহ পরে যোগাযোগ করলে বুঝতে পারে, সে প্রতারণার শিকার হয়েছে। হংকংয়ে এই প্রথম ডিপফেক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের প্রতারণা ঘটনা ঘটেছে।

রাস্ট্রীয় গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, কর্মীটি কোম্পানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার কাছ থেকে গোপন লেনদেনের প্রয়োজনের বিষয়ে জানতে পারেন। অর্থ পাঠানোর পরে কর্মীটি কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানতে পারেন।

বাহিনী আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পরে মামলাটি সাইবারক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে তদন্ত চলছে।

হংকং পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সুপার ব্যারন চ্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতারক আগে থেকে ভিডিও ডাউনলোড করেছিল। তারপরে ভিডিও কনফারেন্সে ব্যবহার করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নকল কণ্ঠস্বর যোগ করেছিল।’

এই ধরনের ডিপফেক স্ক্যামের শিকার হওয়া এড়াতে হংকং পুলিশ সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এ.জে/জাহ্নবী

রিমোটের সব সমস্যার সমাধান

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
রিমোটের সব সমস্যার সমাধান
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিয়ত স্মার্ট টেলিভিশন এবং অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের সংখ্যা বাড়ছে। আর চলমান কারফিউয়ের মধ্যে ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশ-দুনিয়ায় খবর জানতে টেলিভিশনই অন্যতম ভরসা। টেলিভিশনে চ্যানেল পরিবর্তনসহ চালু, বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে রিমোট ব্যবহার করতে হয়। এসব রিমোটে থাকে ব্যাটারি। অনেক সময় দেখা যায়, হঠাৎ রিমোট কাজ করছে না। তখন আপনি মনে করছেন, ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন ব্যাটারি লাগালেন। এবারও রিমোট কাজ করে না। এই সময়টা বিরক্তিকর। মেজাজ খারাপ করে রিমোটে ঠোকাঠুকি, ব্যাটারি অদল-বদল করলেন, লাভ হলো না কিছুই। তবে কেন এমনটা হয় এবং এর সমাধান কী? জানাব আজকের আয়োজনে।

প্রথমেই ব্যাটারি ঠিকমতো ইনস্টল হয়েছে কি না যাচাই করে নিন। পজিটিভ (+) এবং নেগেটিভ (-) টার্মিনালগুলো রিমোটের সংশ্লিষ্ট চিহ্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি নিশ্চিত করতে ব্যাটারিগুলো পরীক্ষা করতে হবে। ব্যাটারির মেয়াদও যাচাই করে নিতে হবে। এর মাধ্যমে এসব কার্যকর অবস্থায় রয়েছে কি না জানা যাবে।

রিমোটের ব্যাটারিগুলো বের করে রিমোটের ভেতরটা দেখতে হবে। ধুলা, ছিদ্র বা ক্ষয়ের চিহ্ন রয়েছে কি না যাচাই করতে হবে। যদি কোনো ত্রুটি থাকে, শুকনো তুলা বা ব্রাশ দিয়ে সেটি পরিষ্কার করে নিন। যদি ব্যাটারিতে মরিচা ধরে ক্ষয়ে যায়- এর জন্য আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলে একটি পরিষ্কার তুলা ডুবিয়ে রাখুন। তা দিয়ে ক্ষয়ের স্থানে পরিষ্কার করলে জমাট থাকা ময়লা সহজেই বেরিয়ে আসবে।

একটানা ডিভাইস চালালে অনেক সময় রিমোট নাও কাজ করতে পারে। যন্ত্র বলে একটানা ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে রিমোটের ত্রুটি না থাকলেও ডিভাইস বিগড়াতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সহজ সমাধান প্লাগ খুলে ডিভাইসটি বন্ধ করুন। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর আবার চালু করুন।

টিভির সামনে একটি রিমোট সেন্সর থাকে। এটি যদি অপরিষ্কার হয়, তাহলেও সমস্যা হতে পারে। তাই সেটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে সেন্সরে যেন ধুলোবালি না লাগে। এটি করার সময় রিমোটের ওপরে সিগন্যাল এমিটারও পরিষ্কার করে নিতে হবে।

রিমোটে নতুন ব্যাটারি লাগানোর পরও যদি রিমোট কাজ না করে, তাহলে ফোনের ক্যামেরাটিকে রিমোটের ওপরে এমিটারের দিকে নির্দেশ করে রিমোটের যেকোনো বাটনে চাপ দিন। আপনার ফোনের স্ক্রিনে একটি আলো দেখা যাবে বা জ্বলে উঠবে। এমন লাইট যদি না জ্বলে এবং আপনি নিশ্চিত হোন যে ব্যাটারি লাগানো ঠিক আছে। তাহলে রিমোটে অন্য কোনো ত্রুটি আছে। এ রকম হলে সম্ভবত রিমোট পরিবর্তন করতে হবে।

/আবরার জাহিন

যেভাবে জানবেন ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
যেভাবে জানবেন ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড
ছবি: সংগৃহীত

তারবিহীন নেটওয়ার্কের জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা। আর এর জন্য ব্যবহৃত অন্যতম ডিভাইস হচ্ছে রাউটার। অফিস, বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার জন্য রাউটারের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে দীর্ঘদিন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন বা ব্যবহার না করার কারণে মনে রাখতে পারেন না অনেকেই। ফলে নতুন কোনো ডিভাইসে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে বেশ সমস্যা হয়। পরিচিত কোনো ব্যক্তি ওয়াই-ফাই ব্যবহারের জন্য পাসওয়ার্ড চাইলে বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। তবে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড জানা যাবে।

প্রথমে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড জানার জন্য ফোনের সেটিংস অপশনে প্রবেশ করুন। এখানে ‘কানেকশনস’-এ ক্লিক করে ওয়াই-ফাই অপশন নির্বাচন করুন। ফোনটি যে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত রয়েছে, সেই নেটওয়ার্কের নাম ‘কারেন্ট নেটওয়ার্ক’ অপশনের নিচে দেখা যাবে। এবার নেটওয়ার্কের নামের পাশে থাকা ‘সেটিংস’ আইকনে ট্যাপ করলেই পরের পৃষ্ঠায় পাসওয়ার্ডের নামের অপশন দেখা যাবে। এরপর ডান দিকে থাকা ‘ওয়াচ’ আইকনে ট্যাপ করে ফোনের পাসওয়ার্ড লিখে নিচে থাকা ‘কনটিনিউ’ বাটনে ট্যাপ করুন। এবার পাসওয়ার্ডের ঘরে ব্যবহৃত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড দেখা যাবে।

/আবরার জাহিন

ওপেনএআইয়ের এআইভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
ওপেনএআইয়ের এআইভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি
সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক আমেরিকান প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এআই নির্ভর সার্চ ইঞ্জিন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিনের নাম ‘সার্চজিপিটি’। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এই সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে আসার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে গুগল ও পারপ্লেক্সিটিসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামল ওপেনএআই।

প্রথম ধাপে সীমিত সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য প্রোটোটাইপ হিসেবে চালু হবে নতুন সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি। পরবর্তীতে এটি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এই এআই চালিত সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেটের বিশাল তথ্যভাণ্ডার থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করবে।

সার্চ ইঞ্জিনে একটি বড় টেক্সট বক্স থাকবে। যেখানে ব্যবহারকারী কোনো বিষয়ে জানাতে চাইতে পারবেন। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তালিকা দেওয়ার পরিবর্তে সার্চজিপিটি সেই তথ্যগুলোকে সাজিয়ে বোধগম্যভাবে উপস্থাপন করবে। ওপেনএআইয়ের একটি উদাহরণে দেখা যায়, সার্চ ইঞ্জিনটি সঙ্গীত উৎসব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, সে সম্পর্কিত তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরে এবং এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ইভেন্টের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়। এ ছাড়া সেখানে উৎসব সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করেছে।

আরেকটি উদাহরণে টমেটো গাছের চারা কখন রোপণ করা হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এখানে টমেটো গাছের চারা রোপণের সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়। এরপর বিভিন্ন ধরনের টমেটো সম্পর্কে তথ্য দেয়। 

কোনো বিষয়ে ব্যবহারকারী প্রশ্নের উত্তর জানার পর আরও প্রশ্ন করতে পারবেন। অথবা সাইডবারে ক্লিক করে সংশ্লিষ্ট লিঙ্কগুলোর মাধ্যমে ওয়েব সাইটগুলোতে ঢুকতে পারবেন। এ ছাড়া ‘ভিজ্যুয়াল অ্যানসারস’ নামে একটি ফিচার রয়েছে, যার বিস্তারিত তথ্য ওপেনএআই প্রকাশ করেনি।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জকে চ্যাটজিপিটির মুখপাত্র কায়লা উড বলেন, সার্চজিপিটি এখনো প্রোটোটাইপ বা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিন জিপিটি-ফোর মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রথম ধাপে মাত্র ১০ হাজার ব্যবহারকারীর জন্য পরীক্ষামূলক উন্মোচন করা হবে।

উড আরও বলেন, থার্ড পার্টি অংশীদারত্বদের সঙ্গে কাজ করছে ওপেনএআই এবং সার্চ ফলাফল তৈরির জন্য সরাসরি কনটেন্ট ফিড ব্যবহার করবে সার্চ ইঞ্জিনটি। চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ফলাফলগুলো একত্রিত করাই কোম্পানিটির চূড়ান্ত লক্ষ্য।ss

হুয়াওয়ের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং ফোন আসতে পারে দুই মাসের মধ্যে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
হুয়াওয়ের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং ফোন আসতে পারে দুই মাসের মধ্যে

চীনা প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আবারও ফোল্ডেবল অর্থাৎ ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের স্মার্টফোনের বাজারে দাপট দেখাতে চলছে। গণমাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে বিশ্বের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং বা তিন ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোর ‘ফিক্সড ফোকাস ডিজিটাল’ নামে পরিচিত এক টিপস্টারের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গিজমোচায়না জানিয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে এই ফোন বাজারে আসতে পারে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, এই আসন্ন ফোল্ডেবল ফোন ব্যয়বহুল হবে। সীমিত সংখ্যায় এ স্মার্টফোনট উৎপাদন করবে হুয়াওয়ে। সূত্রের তথ্যমতে, হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের বাজার দখলের চেয়ে বরং উদ্ভাবনী পণ্যের শক্ত অবস্থান জানান দিতেই আনতে চলেছে এই ট্রাই-ফোল্ডিং।

নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্যের দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তির পরিপূর্ণ উন্নতি ও উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনটি আগামীতে আইপ্যাড ও বর্তমান ফোল্ডেবল ফোনের বিকল্প হতে পারে। তবে দেখার বিষয় এটি সেই জায়গা দখল করতে পারে কি না।
ফোনের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গেছে, ফোনটির মোট স্ক্রিনের আকার প্রায় ১০ ইঞ্চি হবে। এই ফোনে আলাদা তিনটি স্ক্রিন থাকবে। এ ছাড়া ফোল্ডেবল ফোনের স্ক্রিনে ভাঁজের সমস্যা থাকে, তবে এই ফোনে সেটির উন্নত হবে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া আসন্ন ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনের বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি। তবে হুয়াওয়ে অনেক দিন ধরেই ডিসপ্লে তিন ভাঁজ করা যায় এমন ফোন নিয়ে কাজ করছে। তারা ২০২১ সাল থেকে এই প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট করতে শুরু করে। এরপর ২০২২ সালে আরও কিছু পেটেন্ট করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে করা আরেকটি পেটেন্টে দেখা গেছে, একটি ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনে দুটি হিঞ্জ ও একটি নমনীয় স্ক্রিন আছে, যা বাইরের দিকে ভাঁজ হয়।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের ডিজাইনসহ উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে যোগ করতে কাজ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি এবার ট্রাই-ফোল্ডিং বা ডিসপ্লে তিন ভাঁজ করা যায়- এমন স্মার্টফোন বাজারে আনতে চলেছে। ডিভাইসটি ভাঁজ করা অবস্থায় ইংরেজি ‘জেড’ অক্ষরের মতো দেখাবে। ভাঁজের জন্য ডিভাইসে আলাদা দুটি হিঞ্জ সিস্টেম থাকবে। এ ডিভাইসের অন্যতম একটি ফিচার হলো দ্বিতীয় হিঞ্জে থাকা ডিসপ্লেটি বাইরের দিকেও খোলা যাবে। ফলে ডিভাইস ভাঁজ করা থাকলেও ডিসপ্লের তৃতীয় অংশটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে।

 

নতুন স্পেসস্যুটে ৫ মিনিটে মূত্র পানযোগ্য পানিতে রূপান্তর

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
নতুন স্পেসস্যুটে ৫ মিনিটে মূত্র পানযোগ্য পানিতে রূপান্তর
ছবি: সংগৃহীত

মহাকাশযাত্রীদের পানির সমস্যা দূর হচ্ছে। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মহাকাশে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। গবেষকরা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে মূত্র থেকে পানযোগ্য পানি ফিল্টার করতে সক্ষম, এমন একটি প্রোটোটাইপ ফিল্টারেশন সিস্টেম উন্মোচন করেছেন। এর ফলে ভবিষ্যতে নাসার মিশনে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীরা তাদের স্পেসস্যুটের ভেতরে রিসাইকেল করা মূত্র থেকে পানযোগ্য পানি পান করতে পারবেন।

জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনির সিরিজ ‘ডুন’-এর ‘স্টিলস্যুট’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই স্পেসস্যুট তৈরি করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মানুষকে আবার চাঁদের মাটিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামে স্পেসস্যুটটি ব্যবহার করা হতে পারে।

বর্তমানে স্পেসস্যুট পরে মহাকাশচারীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অস্বস্তিকর ও অস্বাস্থ্যকর ডায়াপারের মতো পোশাক পরতে হয়। তবে নতুন এই সিস্টেম অসমোসিস প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মূত্র থেকে দূষিত পদার্থগুলো আলাদা করে তা পানযোগ্য পানিতে রূপান্তরিত করে।

ওয়েইল কর্নেল মেডিসিন ও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা সোফিয়া এটলিন বলেন, ‘এই নকশায় একটি ভ্যাকুয়াম-ভিত্তিক বাহ্যিক ক্যাথেটার রয়েছে, যা একটি কম্বাইন্ড ফরোয়ার্ড-রিভার্স অসমোসিস ইউনিটের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অবিরাম পানযোগ্য পানি সরবরাহ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মহাকাশচারীদের স্পেসস্যুটের পানীয় ব্যাগে মাত্র এক লিটার পানি থাকে। এটি পরিকল্পিত ও দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্র অভিযানের জন্য যথেষ্ট নয়; যা দশ ঘণ্টা, এমনকি জরুরি পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।’ গবেষকরা এখন বাস্তব মহাকাশ মিশনে এটি ব্যবহার করার আগে সিমুলেটেড মাইক্রোগ্রাভিটি পরিস্থিতিতে ডিজাইনটি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন।

গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন স্পেস টেকনোলজি’ জার্নালে নতুন স্পেসস্যুটের ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এক গবেষণাপত্রে। গবেষকরা গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘মহাকাশযানের বাইরে কার্যকলাপ চলাকালে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, কর্মক্ষমতা ও কাজের দক্ষতার ক্ষেত্রে মহাকাশযাত্রীদের সমস্যার সমাধানে, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের স্পেসস্যুটের জন্য নতুনভাবে মূত্র সংগ্রহ এবং ফিল্টারেশন সিস্টেম ডিজাইন করেছি।’