সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল লামা ৩ ও ইমেজ জেনারেটর উন্মোচন করেছে। এগুলো সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সবার সামনে এনেছে। এই ইমেজ জেনারেটর ব্যবহারকারীদের নির্দেশ লেখার সময় রিয়েল টাইমে ছবি আপডেট করতে পারে। লামা ৩ মডেল প্রশিক্ষণে নতুন কম্পিউটার কোডিং দক্ষতা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই মডেলগুলোকে মেটার ভার্চুয়াল সহকারী ‘মেটা এআই’য়ের সঙ্গে একত্রিত করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় এমন অন্যান্য এআই মডেলের তুলনায় মেটা এআই সবচেয়ে জটিল কাজগুলো করতে পারে। বর্তমানে মেটা এআই চ্যাটবট বেসিক চ্যাটজিপিটির চেয়ে উন্নত বলে বিশ্বাস করে প্রতিষ্ঠানটি। কোডিং ও সৃজনশীল লেখার মতো বিষয়গুলোতে এর কর্মক্ষমতা তুলনা করে দেখা গেছে, এটি ফরাসি স্টার্টআপ মিস্ট্রাল এআইসহ অন্যদের থেকে এগিয়ে।
মেটা এআই মডেল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার অ্যাপগুলোতে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া এই মডেলের জন্য একটি নতুন স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট চালু করা হচ্ছে। মেটা তাদের আগের বেশির ভাগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার মতোই লামা ৩ মডেলকেও সবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করছে। এটি গুগল এবং ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রাখবে। মেটা মনে করে, এই সিস্টেমটি সবার জন্য উন্মুক্ত করলে নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনীকে উৎসাহিত করা যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন কাজে এআই ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
মেটা কয়েক বিলিয়ন ব্যবহারকারীকে লক্ষ করে জেনারেটিভ এআই পণ্য বাজারে আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ওপেনএআইয়ের মতো শীর্ষস্থানীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। এজন্য মেটা তাদের কম্পিউটিং অবকাঠামোর ব্যয়বহুল সংস্কার এবং পৃথক থাকা প্রযুক্তি ও গবেষণা দলগুলোকে একত্রিত করছে।
প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার কৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি এআই অ্যাপ তৈরি করে এমন ডেভেলপারদের জন্য লামা মডেলগুলো ওপেন-সোর্স হিসেবে প্রকাশ করছে। তবে সমালোচকরা এই বিষয়ে নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ জানিয়েছেন। কারণ খারাপ উদ্দেশ্যে এই মডেল ব্যবহার করা হতে পারে, সে বিষয়ে তাদের আশঙ্কা রয়েছে।
কলি