বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রিডি প্রিন্টারে মাত্র ৮০ ঘণ্টায় একটি বাড়ি তৈরি করা যায়। এ ছাড়া তাত্ত্বিকভাবে এটি সামরিক যানবাহন, সেতুসহ আরও অনেক কিছু নির্মাণ করতে পারে। চলতি মাসের ২৩ তারিখে এমনই এক অসাধারণ পলিমার থ্রিডি প্রিন্টার চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেইন।
‘ফ্যাক্টরি অব দ্য ফিউচার ১.০ (এফওএফ ১.০)’ নামের এই নতুন প্রিন্টার ৯৬ ফুট লম্বা, ৩২ ফুট চওড়া ও ১৮ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বস্তু প্রিন্ট করতে পারে। তুলনামূলকভাবে এটি মানুষের থেকে বেশ দ্রুত কাজ করে। এটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২২৭ কেজি (৫০০ পাউন্ড) পর্যন্ত প্রিন্ট করতে পারে। এটি জটিল কাজের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে মিল রেখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রিন্টিং পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারে। প্রিন্টারটি আকারে ছোট-বড় করা যায়।
এতে রোবট আর্মের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলো প্রিন্টারটিকে আবাসন, অবকাঠামো ও সামরিক যানবাহনের উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি শিল্পে ব্যবহারের জন্য উপযোগী করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাডভান্সড স্ট্রাকচারস অ্যান্ড কম্পোজিট সেন্টারের ডিরেক্টর ড. হাবিব দাঘের বলেছেন, ‘প্রিন্টারটি দিয়ে তৈরি করা বেশির ভাগ জিনিসই পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। চাইলে কোনো কিছু তৈরি করে আবার ভেঙে ফেলতে পারেন। পুনরায় তৈরি করতে পারেন।’
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই প্রযুক্তি দ্রুতগতিতে প্রচুর পরিমাণে সাশ্রয়ী মূল্যের ঘর তৈরি করতে কাজে আসবে। এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ে অনেক বাড়ি তৈরি করা যাবে। প্রায় ৮০ ঘণ্টার মধ্যে একটি সাধারণ একতলা বাড়ি তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে এটির।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাক্টরি অব দ্য ফিউচার ১.০-এর মতো আরেকটি প্রিন্টার রয়েছে, যা ছিল এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রিডি প্রিন্টারের রেকর্ডধারী। ৬০০ বর্গফুটের একটি বাড়ি তৈরিতে ইতোমধ্যেই এটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে নতুন প্রিন্টারটি আগেরটার থেকে আকারে চার গুণ বড়। দুটিই একই প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে এক সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে।
কলি