
ক্লান্তিকে সবচেয়ে ভালো বর্ণনা করা যায় আলস্য ও অবসাদ হিসেবে। যাদের মধ্যে এই উপসর্গগুলো এবং নিদ্রালুভাব দেখতে পাওয়া যায় তাদের ক্লান্ত বলা যায়। এই নিষ্ক্রিয়তা এবং আলস্য হতে পারে মানসিক অথবা শারীরিক, যা ওই ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শারীরিক বা মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। মাইউপচার অবলম্বনে জানাচ্ছেন মো. রাকিব
ক্লান্ত ব্যক্তি সাধারণত একটু অন্যমনস্ক থাকেন এবং খুব ধীরে চলাফেরা করেন। অন্যান্য যে উপসর্গ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো- মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, শ্রান্তি, জীবনীশক্তির অভাব এবং দুর্বল চিন্তাশক্তি। এ ছাড়া ক্লান্ত ব্যক্তির মধ্যে তৎপরতার অভাবও দেখতে পাওয়া যায়।
প্রধান কারণ
শারীরিক কিছু অসুস্থতা, যেমন- জ্বর বা ফ্লু, দুর্বলতা এবং ক্লান্তিভাব সাধারণভাবেই দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য যেসব অসুখের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায় সেগুলো হলো- হাইপারথাইরয়েডিসম বা উচ্চ থাইরয়েডের সমস্যা অথবা হাইপোথাইরয়েডিসম বা নিম্ন থাইরয়েডের সমস্যা। এ ছাড়া স্ট্রোক, গর্ভাবস্থা, অত্যধিক মদ্যপান, জ্বর, মেনিনজাইটিস ও মস্তিষ্কে আঘাত। পাশাপাশি কিডনির সমস্যা, লাইম রোগ, শরীরে পানিশূন্যতা, কম ঘুম বা অসম্পূর্ণ পুষ্টি থেকেও এটা হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক সমস্যা যেমন- বিষণ্নতা, উদ্বেগ, গর্ভাবস্থা-পরবর্তীকালীন বিষণ্নতা বা প্রি-মেনস্ট্রুয়্যাল সিনড্রোম বা মাসিকচক্রের পূর্ববর্তীকালীন সমস্যা এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও অন্যান্য কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে ক্লান্তি আসতে পারে।
রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা
ক্লান্তি নির্ণয়ের জন্য রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসাগত ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা প্রয়োজন। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের পরীক্ষাও করা হতে পারে। এ ছাড়া চিকিৎসক রোগীর মানসিক সচেতনতা এবং অন্ত্রের শব্দ ও ব্যথার পরীক্ষা করতে পারেন। সম্ভাব্য কোনো অসুখের জন্য রোগী ক্লান্তিতে ভুগছেন, তা জানতে একাধিক টেস্ট ও ইমেজিং স্টাডি বা প্রতিবিম্বকরণ করা হয়ে থাকে।
ক্লান্তির চিকিৎসা করার আগে এর অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয় করা প্রয়োজন। কারণ জানা গেলে তার ওপর নির্ভর করে এর চিকিৎসা শুরু করা যায়। চিকিৎসক এর জন্য ওষুধ দিতে পারেন, যেমন- মানসিক সমস্যার কারণে ক্লান্তি হলে এন্টিডিপ্রেসেন্ট দেওয়া হয়। পরিমাণমতো পানি পান, পরিমিত ঘুম, সুষম খাদ্যগ্রহণ ও মানসিক চাপ কমানোর মতো কিছু সহজ পদ্ধতি ক্লান্তি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কলি