![রোজায় মেনে চলুন সঠিক খাদ্যাভ্যাস](uploads/2024/04/04/1712208237.----.jpg)
রমজান মাস এলেই আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ধুম পড়ে যায়। মানুষ অস্থির হয়ে পড়ে কী খাবে, কী খাবে না। স্বল্প ভোজনের বদলে চলে অতিভোজনের আয়োজন। অন্য সময়ের চেয়ে তৈলাক্ত, ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে, যা অস্বাস্থ্যকর। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই রমজানে দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাস। জানাচ্ছেন দ্য লিভার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মবিন খান। অনুলিখন হৃদয় জাহান
ইফতারে যা খাবেন
রমজানে অনেক মুখরোচক খাবার বানিয়ে বিক্রি করা হয়। এসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে কি না কিংবা ভেজাল তেল, বেসন ও কৃত্রিম রং মেশানো হয়েছে কি না, সে দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাই পারতপক্ষে দোকানের তৈরি ইফতারি ও সাহরি না খাওয়াই ভালো।
যে তেলে খাবার ভাজা হয়, সেই তেল একবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ একই তেল বারবার আগুনে ফুটালে তা থেকে পলি নিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। যার মধ্যে বেনজা পাইরিন নামের পদার্থটি ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া অপরিষ্কারভাবে ইফতারি তৈরি করলে পেটের পীড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুস্থভাবে বাঁচার জন্য খোলা খাবার না খাওয়াই উচিত। এটা স্বাস্থ্যসম্মতও নয়।
খুব কম ফলই পাওয়া যাবে যা কেমিক্যালমুক্ত। তাছাড়া শরবতের পানি বিশুদ্ধ কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইফতারের জন্য তৈরি প্রায় সব খাবার তেল ও উচ্চ চর্বিযুক্ত। সাধারণত বেশি মুনাফার আশায় এসব খাবার মানসম্মত তেলে ভাজা হয় না। ভাজার সময় সঠিক নিয়মও মেনে চলা হয় না। তাই এসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
রোজাদারের জন্য ইফতারে খেজুর, ঘরের তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, কচি শসা, পিঁয়াজু, বুট, ফরমালিন অথবা ক্যালসিয়াম কার্বাইডমুক্ত মৌসুমি ফল থাকা ভালো। কারণ ফলে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, সহজে হজম হয়।
বাসায় রান্না করা নুডলস খেতে পারেন।
বেশি ভাজা-ভুনা, তেহারি, হালিম না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে বদহজম হতে পারে।
রুচি পরিবর্তনের জন্য দু-একটি জিলাপি খেতে পারেন।
এখন প্রচণ্ড গরমকাল বলে পরিমাণমতো বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত।
এশা ও তারাবির নামাজের পর অভ্যাস অনুযায়ী পরিমাণমতো ভাত, মাছ অথবা মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি খাবেন।
সাহরিতে যা খাবেন
শরীর সুস্থ রাখার জন্য সাহরি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাহরির খাবার মুখরোচক, সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া প্রয়োজন। বেশি তেল, ঝাল ও চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ, মাংস অথবা ডিম, ডাল থাকা প্রয়োজনীয়।
পাকস্থলীতে অস্বস্তি সৃষ্টি করে এমন খাবার খাওয়া ঠিক নয়। কারণ গুরুপাক খাবার খেলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বেড়ে যায়।
বেশি চর্বিজাতীয় খাবার খেলে রোজাকালীন শরীর অসুস্থ লাগতে পারে, ক্লান্তি কিংবা ঘুম আসতে পারে।
রমজান মাস ওজন কমানোর জন্য সুবর্ণ সুযোগ মেদবহুল মোটা মানুষের জন্য। রমজান মাসের রোজাগুলো রেখে এই সুযোগ অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
যারা ধূমপানে অভ্যস্ত, তাদের জন্য রমজানই ধূমপান ছাড়ার উপযুক্ত সময়।
কলি