![শিরায় ব্যথা হলে কী করবেন](uploads/2024/04/18/1713420000.1709791879.nira-jabe-45.jpg)
শিরায় ব্যথা এমন একটি অবস্থাকে বোঝায় যেখানে স্নায়ুকলায় আঘাত বা ক্ষতির ফলে ব্যথা সৃষ্টি হয়। ওয়েব এমডি অবলম্বনে জানাচ্ছেন মো. রাকিব
ব্যথাটি শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে। যেমন- পেলভিক অঞ্চলে বা শ্রোণী অঞ্চলে ব্যথা, পেশিকঙ্কালে ব্যথা এবং চোয়ালের আশপাশের অংশে ব্যথা। প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র ব্যথা। এ ছাড়া আক্রান্ত অঞ্চলের চারপাশে কাঁটা ফোটার মতো অনুভূতি, যেখানে ব্যথার কারণ ঘটেনি সেখানেও ব্যথার অনুভূতি এবং উচ্চ সংবেদনশীলতা।
কারণ
শিরায় ব্যথার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচার বা আঘাতের কারণে স্নায়ুর মধ্যে চাপ সৃষ্টি। এর সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ, বিকৃত রক্তবাহী শিরা এবং বিপাকীয় অবস্থা এই ব্যথার জন্য দায়ী। মেরুদণ্ড বা মস্তিষ্কের ক্ষত বা রোগগ্রস্ত অবস্থাও শিরায় ব্যথার কারণ হতে পারে।
কীভাবে এটি নির্ণয় করা হয়
প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসাগত ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইতে পারেন। ব্যথার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ণয় করা হতে পারে। চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যথার ধরনের ওপর ভিত্তি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষত স্থানগুলোর স্নায়বিক পরীক্ষা করা হতে পারে। ব্যথা নির্ধারক গণনা পদ্ধতিও ব্যবহার করা হতে পারে। অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন টুথপিক ব্যবহার করা হতে পারে স্নায়ুর সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করার জন্য, ইমেজিং বা প্রতিবিম্বকরণ পদ্ধতি যেমন এমআরআই অথবা ত্বকের বায়োপসি করা হতে পারে স্নায়ুর কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য।
চিকিৎসা
শিরায় ব্যথা কার্যকরীভাবে দূর করা যায় না। তবে প্রাথমিক যত্ন নেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত হলো ব্যথা উপশম এবং পরবর্তীকালীন জটিলতা এড়ানো। প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস ব্যবহারের পর অ্যানেস্থেটিকস এবং আফিমজাতীয় ওষুধ সেবন। যদিও এগুলো সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ওষুধ ছাড়া অন্যান্য যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি আছে সেগুলো হলো শারীরিক থেরাপি। এ ছাড়া জ্ঞান সম্বন্ধনীয় আচরণগত থেরাপি, চিত্তবিনোদন ও ধ্যান।
কলি