শিরায় ব্যথা হলে কী করবেন । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

শিরায় ব্যথা হলে কী করবেন

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ পিএম
শিরায় ব্যথা হলে কী করবেন
ছবি: বিং আই

শিরায় ব্যথা এমন একটি অবস্থাকে বোঝায় যেখানে স্নায়ুকলায় আঘাত বা ক্ষতির ফলে ব্যথা সৃষ্টি হয়। ওয়েব এমডি অবলম্বনে জানাচ্ছেন মো. রাকিব

ব্যথাটি শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে। যেমন- পেলভিক অঞ্চলে বা শ্রোণী অঞ্চলে ব্যথা, পেশিকঙ্কালে ব্যথা এবং চোয়ালের আশপাশের অংশে ব্যথা। প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র ব্যথা। এ ছাড়া আক্রান্ত অঞ্চলের চারপাশে কাঁটা ফোটার মতো অনুভূতি, যেখানে ব্যথার কারণ ঘটেনি সেখানেও ব্যথার অনুভূতি এবং উচ্চ সংবেদনশীলতা।

কারণ
শিরায় ব্যথার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচার বা আঘাতের কারণে স্নায়ুর মধ্যে চাপ সৃষ্টি। এর সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ, বিকৃত রক্তবাহী শিরা এবং বিপাকীয় অবস্থা এই ব্যথার জন্য দায়ী। মেরুদণ্ড বা মস্তিষ্কের ক্ষত বা রোগগ্রস্ত অবস্থাও শিরায় ব্যথার কারণ হতে পারে।

কীভাবে এটি নির্ণয় করা হয়
প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসাগত ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইতে পারেন। ব্যথার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ণয় করা হতে পারে। চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যথার ধরনের ওপর ভিত্তি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষত স্থানগুলোর স্নায়বিক পরীক্ষা করা হতে পারে। ব্যথা নির্ধারক গণনা পদ্ধতিও ব্যবহার করা হতে পারে। অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন টুথপিক ব্যবহার করা হতে পারে স্নায়ুর সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করার জন্য, ইমেজিং বা প্রতিবিম্বকরণ পদ্ধতি যেমন এমআরআই অথবা ত্বকের বায়োপসি করা হতে পারে স্নায়ুর কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য।

চিকিৎসা
শিরায় ব্যথা কার্যকরীভাবে দূর করা যায় না। তবে প্রাথমিক যত্ন নেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত হলো ব্যথা উপশম এবং পরবর্তীকালীন জটিলতা এড়ানো। প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস ব্যবহারের পর অ্যানেস্থেটিকস এবং আফিমজাতীয় ওষুধ সেবন। যদিও এগুলো সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ওষুধ ছাড়া অন্যান্য যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি আছে সেগুলো হলো শারীরিক থেরাপি। এ ছাড়া জ্ঞান সম্বন্ধনীয় আচরণগত থেরাপি, চিত্তবিনোদন ও ধ্যান।

কলি

যদি সবসময় ক্লান্ত থাকেন

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০২:০২ পিএম
যদি সবসময় ক্লান্ত থাকেন

ক্লান্তিকে সবচেয়ে ভালো বর্ণনা করা যায় আলস্য ও অবসাদ হিসেবে। যাদের মধ্যে এই উপসর্গগুলো এবং নিদ্রালুভাব দেখতে পাওয়া যায় তাদের ক্লান্ত বলা যায়। এই নিষ্ক্রিয়তা এবং আলস্য হতে পারে মানসিক অথবা শারীরিক, যা ওই ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শারীরিক বা মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। মাইউপচার অবলম্বনে জানাচ্ছেন মো. রাকিব

ক্লান্ত ব্যক্তি সাধারণত একটু অন্যমনস্ক থাকেন এবং খুব ধীরে চলাফেরা করেন। অন্যান্য যে উপসর্গ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো- মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, শ্রান্তি, জীবনীশক্তির অভাব এবং দুর্বল চিন্তাশক্তি। এ ছাড়া ক্লান্ত ব্যক্তির মধ্যে তৎপরতার অভাবও দেখতে পাওয়া যায়।

প্রধান কারণ
শারীরিক কিছু অসুস্থতা, যেমন- জ্বর বা ফ্লু, দুর্বলতা এবং ক্লান্তিভাব সাধারণভাবেই দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য যেসব অসুখের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায় সেগুলো হলো- হাইপারথাইরয়েডিসম বা উচ্চ থাইরয়েডের সমস্যা অথবা হাইপোথাইরয়েডিসম বা নিম্ন থাইরয়েডের সমস্যা। এ ছাড়া স্ট্রোক, গর্ভাবস্থা, অত্যধিক মদ্যপান, জ্বর, মেনিনজাইটিস ও মস্তিষ্কে আঘাত। পাশাপাশি কিডনির সমস্যা, লাইম রোগ, শরীরে পানিশূন্যতা, কম ঘুম বা অসম্পূর্ণ পুষ্টি থেকেও এটা হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক সমস্যা যেমন- বিষণ্নতা, উদ্বেগ, গর্ভাবস্থা-পরবর্তীকালীন বিষণ্নতা বা প্রি-মেনস্ট্রুয়্যাল সিনড্রোম বা মাসিকচক্রের পূর্ববর্তীকালীন সমস্যা এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও অন্যান্য কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে ক্লান্তি আসতে পারে।

রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা
ক্লান্তি নির্ণয়ের জন্য রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসাগত ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা প্রয়োজন। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের পরীক্ষাও করা হতে পারে। এ ছাড়া চিকিৎসক রোগীর মানসিক সচেতনতা এবং অন্ত্রের শব্দ ও ব্যথার পরীক্ষা করতে পারেন। সম্ভাব্য কোনো অসুখের জন্য রোগী ক্লান্তিতে ভুগছেন, তা জানতে একাধিক টেস্ট ও ইমেজিং স্টাডি বা প্রতিবিম্বকরণ করা হয়ে থাকে।

ক্লান্তির চিকিৎসা করার আগে এর অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয় করা প্রয়োজন। কারণ জানা গেলে তার ওপর নির্ভর করে এর চিকিৎসা শুরু করা যায়। চিকিৎসক এর জন্য ওষুধ দিতে পারেন, যেমন- মানসিক সমস্যার কারণে ক্লান্তি হলে এন্টিডিপ্রেসেন্ট দেওয়া হয়। পরিমাণমতো পানি পান, পরিমিত ঘুম, সুষম খাদ্যগ্রহণ ও মানসিক চাপ কমানোর মতো কিছু সহজ পদ্ধতি ক্লান্তি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কলি

কান বন্ধ হয়ে গেলে করণীয়

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০২:০০ পিএম
কান বন্ধ হয়ে গেলে করণীয়

কানের মধ্যভাগ নাকের পেছনের দিকে ইউস্টেকিয়ান টিউব নামক টিউব বা নল দ্বারা সংযুক্ত থাকে। এটির মধ্যে প্রতিবন্ধকতা ঘটলে কান বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় কানে ভরাটভাব বা চাপ অনুভূত হয়। বিভিন্ন কারণে এ নলটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে আছে কানে ময়লা জমা হওয়া। কেয়ার হাসপাতাল অবলম্বনে জানাচ্ছেন ফারজানা আলম

রোগের লক্ষণ
নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো কান বন্ধের ক্ষেত্রে দেখা যায়। যেমন- মাথা ঘোরা, কাশি, কানে ব্যথা এবং কান ভরাট থাকার অনুভূতি, আক্রান্ত কানে চুলকানি বোধ হওয়া, কান থেকে তরল নির্গমন বা দুর্গন্ধ বের হওয়া। এ ছাড়া কোনো বহিরাগত শব্দের উৎস ছাড়াই কানের মধ্যে গুঞ্জন (কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ) ধ্বনিত হওয়া বা ফটফট শব্দ হওয়া। আক্রান্ত কানের কারণে শ্রবণে অসুবিধা বা কম শোনা, যা দিন দিন আরও খারাপ হতে পারে। যখন একজন ব্যক্তি কানের ব্যথা বা কম শোনা অনুভব করেন, ডাক্তার কানের অন্য কোনো সমস্যা ইঙ্গিত করতে পারেন যেটিতে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, যেমন- ক্ষতিগ্রস্ত কর্ণপটহের ক্ষেত্রে।

কারণ
কানের নালির বাইরের দিকটি ত্বকের দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে, যার মধ্যে কানের ময়লা নিঃসরণের গ্রন্থি রয়েছে। কানের গভীর অংশ, যেমন- কর্ণপটহকে ময়লা এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চুল ধুলা ও অন্য বাইরের কণাগুলোর দ্বারা ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখে। এই ময়লার একটি ছোট পরিমাণ নিয়মিত কানের বাইরের অংশের দিকে বের করে দেওয়া হয় আর নতুন ময়লা তার স্থান নেয়। তবে, যদি এই ময়লা অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসরণ হয় বা উপযুক্তভাবে পরিষ্কার করা না হয়, তখন এটি জমতে শুরু করে। ফলে কানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। এটি সেসব ব্যক্তির মধ্যে খুবই সাধারণ, যারা নিজেদের কান নিজেরাই বলপয়েন্ট পেন এবং পিন ইত্যাদি দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্য সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাইনাস, সংক্রমণ, ঠাণ্ডা লাগা বা অ্যালার্জির কারণে ইউস্টেকিয়ান টিউবে ফোলাভাব। তরল জমা হওয়া। কানে সংক্রমণ। গাড়ি চালানো, বিমানে ভ্রমণ ইত্যাদি সময়ে বায়ুর চাপের পরিবর্তন।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
কান বন্ধ হওয়া নির্ণয় করতে সাধারণত অটোস্কোপ নামে একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এটি আলো ব্যবহার করে এবং অভ্যন্তরীণ কানকে বড়ভাবে দেখতে সাহায্য করে, ফলে ডাক্তার রোগীর কান সহজে পরীক্ষা করতে পারেন।

যদি ঠাণ্ডা লাগার কারণে অথবা উচ্চতার কারণে ইউস্টেকিয়ান টিউবটি অবরুদ্ধ থাকে, তবে নিম্নলিখিতভাবে প্রচেষ্টা করা যেতে পারে।

চিনিমুক্ত চিউয়িংগাম চিবানো বা খেয়ে ফেলা, ফলে যে সঞ্চালন হয় পেশির তাতে ইউস্টেকিয়ান টিউব খুলতে সাহায্য হয়। যদি উপরোক্ত প্রতিকার কাজ না করে, তাহলে আবার চেষ্টা করুন আপনার নাক ও মুখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার। একটি ফটফট শব্দ হলে বোঝা যাবে নলটি উন্মুক্ত হয়েছে।

ময়লা জমার কারণে যদি কানের নল বা গহ্বর বন্ধ হয়ে থাকে, তবে নিচের পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা যায়-

অতিরিক্ত ময়লা চিকিৎসক দ্বারা একটি ছোট, বাঁকা যন্ত্র ব্যবহার করে পরিষ্কার করা। চিকিৎসক ময়লা অপসারণ করতে শোষণ চাপ দেওয়ার যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। একটি কুসুম গরম পানিতে ভরা রাবার বাল্ব সিরিঞ্জ বা গাঁইতির মতো যন্ত্র ব্যবহার করে চিকিৎসক কানের ময়লা ধুয়ে বের করতে পারেন।

কান বন্ধ হওয়ার ঘটনা বারবার ঘটলে, চিকিৎসক ময়লা অপসারণের জন্য ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন, ফলে কানের ময়লা নরম হয়ে যায় এবং তারপর একটি তুলার কাঠি ব্যবহার করে কান পরিষ্কার করা যেতে পারে।

যে রোগীদের অ্যালার্জি আছে, স্টেরয়েড ওষুধের দ্বারা রোগের চিকিৎসা করা হয় যা নাকে স্প্রে করা হয় বা ডিকনজেস্টেনটস বা জমাটবাঁধা রোধকারী (মৌখিক বা নাকের স্প্রে হিসেবে দেওয়া হয়) দেওয়া হয়, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবরোধকে পরিষ্কার করে দেয়।

সংক্রমণের ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ইউস্টেকিয়ান টিউবে প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়।

কলি 

 

সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকুন

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকুন

যখন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু কারও শরীরে আক্রমণ করে তখন তারা নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে নানা রকম উপসর্গ এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, একে সংক্রমণ বা ইনফেকশন বলে। সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস এবং পরজীবীর কারণে হয়, যা শরীরের ভেতরে ও বাইরে হতে পারে। ওয়েবএমডি অবলম্বনে জানাচ্ছেন ফখরুল ইসলাম

সংক্রমণের উপসর্গগুলো সাধারণত সংক্রমণের স্থানের ওপর এবং যে জীবাণু এই সংক্রমণের কারণ তার ওপর নির্ভর করে। প্রধান উপসর্গগুলো হলো- ফুলে যাওয়া এবং লাল হয়ে যাওয়া। এ ছাড়া ব্যথা, জ্বর, পেট খারাপ, লাল লাল ফুসকুড়ি, নাক দিয়ে পানি পড়া বা সর্দি এবং কাশি থাকতে পারে। পাশাপাশি নড়াচড়া বা চলাফেরা করতে অসুবিধা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

প্রধান কারণ
রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো হলো- ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস এবং প্যারাসাইট বা পরজীবী, যেমন- দাদ, কেঁচোকৃমি, উকুন, মাছি এবং এঁটেল পোকা। এগুলো নানাভাবে আমাদের শরীরে ছড়ায়। যেমন- ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি, পশু থেকে ব্যক্তি, মায়ের থেকে গর্ভে থাকা শিশুর মধ্যে। এ ছাড়া দূষিত খাদ্য এবং পানি থেকে, পোকার কামড় থেকে, সংক্রমিত ব্যক্তি ছুঁয়েছে এরকম কোনো জিনিস ব্যবহার করলে জীবাণু ছড়ায়। পাশাপাশি ইয়াট্রোজেনিক সংক্রমণ (সংক্রমিত চিকিৎসার যন্ত্রপাতির কারণে) ও নসকমিয়াল সংক্রমণ (হাসপাতাল থেকে আসা) থেকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে।

রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা
রোগ নির্ণয় করার জন্য নানা ধরনের পরীক্ষা করতে হতে পারে। যেমন- শারীরিক পরীক্ষা, মাইক্রোবায়োলজিকাল পরীক্ষা, ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, যেমন- রক্তের নমুনা, মূত্র, মল, গলার ভেতর এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা। এ ছাড়া ছবি পরীক্ষা, যেমন- এক্স-রে এবং এমআরআই, বায়োপসি, পিসিআর (পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ভিত্তিক পরীক্ষা।

একবার যদি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর পরিচয় পাওয়া যায়, তাহলে চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়। সংক্রমণের জন্য নিম্নলিখিত চিকিৎসাগুলো সহজেই করা যায়, যেমন- ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা। এ পদ্ধতিতে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগস, এন্টিপ্রোটোজোয়াল ড্রাগস, অ্যান্টিফাঙ্গালস ও টিকাকরণ ওষুধ দেওয়া হয়।

পরিচ্ছন্নতা এবং খাদ্যাভ্যাস
নিয়মমাফিক হাত ধুতে হবে খাদ্য প্রস্তুত করার আগে (খাবার কাটাকুটির আগেও) এবং থালাবাসন ধোয়ার আগে (খাওয়ার আগে তো অবশ্যই)। ফিতা কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে আধা সেদ্ধ মাংস ও কাবাবজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। অপরিষ্কার হাত চোখে দেবেন না। হাত দিয়ে নাকের ময়লা পরিষ্কার করলে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নখ বড় রাখবেন না। চিরুনি, নেইল কাটার, ব্লেড ও রেজারের মতো ব্যক্তিগত ব্যবহারসামগ্রী একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করবেন না। প্রতিবার খাওয়ার পর কুলকুচি করুন। দুই বেলা ব্রাশ করুন। খালি পায়ে মাটিতে হাঁটবেন না। পায়ে কাদাপানি ছিটে গেলে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন যত দ্রুত সম্ভব। ধুতে দেরি হলে প্রথমে মুছে ফেলুন। হাত-পা ভেজা রাখবেন না।

মশা-মাছি এবং ইঁদুরও বয়ে আনে জীবাণু। তাই খাবার ঢেকে রাখুন। মশারি ব্যবহার করুন দিনে ও রাতে। কালাজ্বরপ্রবণ এলাকায় অবশ্যই স্যান্ডফ্লাইয়ের কামড় থেকে বাঁচতে চেষ্টা করুন। ঘরে ইঁদুর থাকলে তাড়ানোর ব্যবস্থা করুন। ফাঁদ বা ইঁদুরকলে ইঁদুর ধরা কিংবা মারার বিষ ব্যবহার করা যুক্তিসংগত নয়। ইঁদুর তাড়ানোর দারুণ উপায় হলো কয়েকটি বিড়াল পোষ্য করে নেওয়া।

টিকা নিন
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় শিশুদের টিকা দিন। ৬৫ পেরোনো ব্যক্তিদেরও নির্ধারিত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। পশুর কামড় বা আঁচড় লাগলে অধিক ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ভালোভাবে জায়গাটুকু ধোয়ার পর জলাতঙ্কের টিকা নিয়ে নিন। নিজের পোষা প্রাণীকে নিয়মমাফিক টিকা দিন।

সামাজিক মেলামেশা
ব্যবহৃত টিস্যু, রুমাল বা মাস্ক যেখানে-সেখানে রাখবেন না। কফ-থুতু যত্রতত্র ফেলা যাবে না। টাকা বা বইয়ের পৃষ্ঠা ধরার আগে আঙুলে থুতু দেবেন না। করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু প্রতিরোধে মাস্ক পরুন। কখনো কখনো বিক্রেতারা ফুঁ দিয়ে পলিব্যাগের মুখ খোলেন কিংবা ফুঁ দিয়ে কোনো কৌটার ওপর থেকে ধুলা সরান। এসব অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। শিশুর খেলনা জীবাণুমুক্ত রাখুন, তাছাড়া খেলনা মুখে দিলে তা জীবাণুমুক্ত না করে অন্যকে দেওয়াও উচিত নয়।

কলি

শিশুর খিঁচুনি হলে

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
শিশুর খিঁচুনি হলে

লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু নিউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু

মস্তিষ্ক কোষ বা নিউরনের ত্বরিত বেগের অস্বাভাবিকতার কারণে যেকোনো ধরনের ক্ষণস্থায়ী শারীরিক প্রতিক্রিয়া বা বাহ্যিক লক্ষণকে খিঁচুনি বলা হয়। যদি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বা ততোধিকবার খিঁচুনি হয়, তাহলে এটিকে মৃগীরোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এটি স্নায়ুতন্ত্রের একটি দীর্ঘস্থায়ী জটিল রোগ। যেকোনো বয়সের পুরুষ ও নারী এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশুদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

ধরন
সারা শরীরে খিঁচুনি- জেনারেলাইজড এপিলেপসি।
শরীরের বিশেষ কোনো দিকের খিঁচুনি- ফোকাল এপিলেপসি।
শরীরের এক জায়গা থেকে শুরু হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে যাওয়া খিঁচুনি, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে সিনড্রোম আকারে খিঁচুনি রোগ আসতে পারে।

কারণ
পরিবারে খিঁচুনির ইতিহাস থাকলে বা বংশগত কারণ।
গর্ভকালীন জটিলতা।
খুব কম ওজন নিয়ে জন্মলাভ।
জন্মের পরই শ্বাসনালিতে কষ্ট।
জন্মের সময় মাথায় আঘাত লাগা।
জন্মের পরই জন্ডিসের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া।
ছোটবেলায় কোনো কারণে মস্তিষ্কে ইনফেকশন। এ ছাড়া অনেক অজানা কারণেও খিঁচুনি রোগ হতে পারে।

চিকিৎসা
ফেনোবারবিটল, ফেনিটয়েন, ভ্যালপ্রোয়েট ইত্যাদি ওষুধ প্রায় সব ধরনের খিঁচুনি রোগের জন্যই কার্যকর হলেও এসব ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বর্তমানে নতুন ধরনের খিঁচুনিরোধক কিছু ওষুধ বাজারে এসেছে, যেগুলো অধিকতর কার্যকর এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। তবে এসব ওষুধ অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। এজন্য করণীয় হলো-
নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়ানো।
জ্বর, ঠাণ্ডা বা কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসা করানো।
আগুন ও পানি থেকে দূরে রাখা।
পুকুরে ডুব দিয়ে গোসল করতে না দেওয়া, বাসায় বাথরুমে গোসল করলে দরজা লক বা ছিটকিনি বন্ধ না করা।
কমপক্ষে দু-তিন বছর ওষুধ সেবন করা। তবে খিঁচুনি বন্ধ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ বন্ধ করা যেতে পারে।
খিঁচুনি রোগীদের সঙ্গে সবসময় একটা কার্ড রাখা, যাতে রোগীর ও রোগের নাম, ওষুধের নাম ও পরিমাণ এবং পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ থাকবে।

প্রতিরোধ
শিশুর জন্মের আগে গর্ভাবস্থায় মাকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেকআপ করানো।
গর্ভকালীন জটিলতা দূর করার জন্য ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে প্রসব করানো।
পরিবারে এ ধরনের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত চেকআপ করানো।

কখন হাসপাতালে নিতে হবে
কারও খিঁচুনি পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে অথবা একনাগাড়ে অনেকক্ষণ ধরে খিঁচুনি চলতে থাকলে।
একবার খিঁচুনির পর জ্ঞান না ফিরলে আবার কিংবা বারবার খিঁচুনি হতে থাকলে।
ওষুধ দিয়েও মারাত্মক খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণে না এলে।

জরুরি অবস্থায় করণীয়
রোগীকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া।
জোরপূর্বক দাঁত খোলার চেষ্টা না করা।
শর্ট বা টাইট কাপড় পরা থাকলে যথাসম্ভব ঢিলা করে দেওয়া।
রোগীর পাশে থাকা আগুন, পানি, ধারালো জিনিস সরিয়ে ফেলা।
পানি পান করানোর চেষ্টা না করা।
ফ্যান বা পাখার মাধ্যমে শরীরকে ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করা।
আক্রান্ত ব্যক্তির চারদিকে ভিড় না করা।
মনে রাখতে হবে, বেশির ভাগ খিঁচুনি হঠাৎ শুরু হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর থেমে যায়।

অনুলিখন হৃদয় জাহান

কলি

 

পেটে যখন গ্যাস জমে

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২০ পিএম
পেটে যখন গ্যাস জমে

পেটে গ্যাস জমা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এটা থেকে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয় না। নানা কারণে এটি হতে পারে। মাই উপচার অবলম্বনে জানাচ্ছেন ফখরুল ইসলাম

পেটে গ্যাস কী
মানুষের পেটের বায়ু সৃষ্টি হয় পরিপাক বা হজমের নালিতে (গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল ট্র্যাক্ট)। পেটে থাকা জীবাণু যখন খাবার ভাঙতে শুরু করে তখন গ্যাস জমে। আবার অনিচ্ছাকৃতভাবে বাতাস গিলে ফেলার কারণে এটা হতে পারে। ফলে পেট ফুলে যায়। অনেক সময় ঢেঁকুর সৃষ্টি হয়। অন্ত্রে প্রায় ২০০ এমএল গ্যাস থাকে। যেখানে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ এমএল গ্যাস প্রতিদিন শরীর থেকে বাতকর্ম রূপে বেরিয়ে যায়। পেট ফাঁপা একটা স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া। পেটে বায়ুর পরিমাণ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়। এটা অস্বস্তিকর এবং লজ্জাকর হতে পারে। পেটের বায়ুতে হাইড্রোজেন, মিথেন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো গ্যাস থাকে।

পেটে গ্যাসের উপসর্গ
অত্যধিক আন্ত্রিক গ্যাসের সৃষ্টি হলে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।

যেমন-

ঢেঁকুর তোলা: প্রধানত পরিপাক (হজম) নালির ওপরের অংশগুলোয় বিশেষ করে পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্র অন্ত্র অত্যধিক বায়ু জমা থেকে এটা ঘটে।
পেট ফাঁপা: এটা প্রধানত বৃহদন্ত্রে গ্যাস বা বায়ু জমার কারণে হয়। প্রধান কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গেঁজিয়ে ওঠা খাবার বা উদ্ভিজ্জ তন্তু (ফাইবার) অথবা মিশ্রিত কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) ভাঙা। কোনো কোনো সময় খাবারের অসম্পূর্ণ হজমের কারণে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে।

পেট ফুলে ওঠা: এটা আন্ত্রিক গ্যাসের খুব বেশি জমা হওয়া ছাড়াই পেট ভরা ভরা লাগার একটা অনুভূতি। অনেকে প্রায় সময়ই পেটভার অনুভব করেন এবং সৃষ্ট গ্যাস ঢেঁকুর তোলা বা বাতকর্মের দ্বারা বের করতে সক্ষম হন না।

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ
পেটে গ্যাসের প্রধান কারণ হলো খাবার। কিছু খাবার অত্যধিক আন্ত্রিক গ্যাস সৃষ্টি করে। যেমন- ডাল, বিন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকোলি, ব্রাসেল স্প্রাউটসের মতো কপি জাতীয় শাকসবজি, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি। এ ছাড়া ফ্রাক্টোজের মতো কার্বোহাইড্রেট অথবা সরবিটলের মতো চিনির বিকল্পগুলো, সোডা এবং বিয়ারের মতো বায়ুভরা পানীয়, মদ, আলু এবং ভাতের মতো শ্বেতসারজাতীয় খাবার। পাশাপাশি চুইং গাম এবং ধূমপান থেকেও এটা হতে পারে।

এসব ছাড়াও কখনো কখনো কিছু রোগের কারণে পেটে গ্যাস জমতে পারে। যেমন প্যানক্রিয়াটাইটিস। এটা প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) একটা প্রদাহ। 
জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজঅর্ডার থেকেও এটা হতে পারে। এই রোগ হলে পাকস্থলীর খাবারগুলো খাদ্যনালির মধ্যে উল্টো দিকে বেয়ে এসে অত্যধিক উদ্গার বা ঢেঁকুর তোলার কারণ ঘটায়।

ডায়াবেটিসের কারণেও এটা হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্ত শর্করা বিলম্বিত মলত্যাগের কারণ সৃষ্টি করে, যা একটা পেটভরা থাকার অনুভূতি দেয়। পাশাপাশি এটা পেট ফাঁপা এবং গ্যাস উৎপাদন করে। পেপটিক আলসার হলে পাকস্থলী বা অন্ত্রগুলোয় সুরক্ষামূলক পর্দার ক্ষতির কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেও পেট ফাঁপা হতে পারে।

পেটে গ্যাসের প্রতিকার
পেট ফাঁপার প্রতিকার হতে পারে ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের নানা সমস্যা, পেট ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সহজেই। হজম ভালো হয় বলে মলত্যাগও সহজ হয়। মানসিক চাপ কমে অনেকটাই। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করা জরুরি।

পেট ফাঁপা দূর করতে প্রতিদিনের খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। পেটের সমস্যা ডেকে আনতে পারে এমন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কিছু খাবার আছে যেগুলো পেটের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। বাদাম, তৈলাক্ত খাবার, পনির, শিম ইত্যাদি সহ্য হয় না অনেকের। তাদের এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কমলা, কফি, চা, টমেটো এসব খেলে যদি পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় তবে তা বাদ দিন।

মদ্যপান কিংবা ধূমপান সবসময়ই শরীরের জন্য খারাপ। তাই এই অভ্যাস কখনো গড়ে তোলা উচিত নয়। এরপরও যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে তবে বাদ দিন।

অনেকে তাড়াহুড়ো করে খাবার খান। এটি ঠিক নয়। ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান। এতে পেটে বাতাস ঢুকে পেট ফাঁপার সমস্যা হবে না। কখনোই গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না। অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার, ভাজাভুজি, চিপস, আচার যতটা সম্ভব কম খাবেন; পেট ফাঁপার সমস্যার জন্য ততটাই ভালো। চেষ্টা করুন সবসময় লবণ কম খেতে।

অনেকের পেটেই দুধ সহ্য হয় না। দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার হজম হতে চায় না অনেকের। এ জাতীয় খাবার খেলে যদি পেটে গ্যাস জমে তবে তা এড়িয়ে চলুন। দুধের বদলে দই বা সয়া মিল্ক খেতে পারেন।

অনেকে একটুতেই ওষুধ খেয়ে নেন। যেকোনো অসুখের ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাই পেট ফাঁপার সমস্যায়ও নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাবেন না। বরং ওষুধ যদি খেতেই হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খান।

কলি