গুগলের ‘পিক্সেল নাইন’ সিরিজে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ফিচার । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

গুগলের ‘পিক্সেল নাইন’ সিরিজে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ফিচার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ এএম
গুগলের ‘পিক্সেল নাইন’ সিরিজে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ফিচার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ‘পিক্সেল’। এই ব্র্যান্ডের লাইনআপে যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘পিক্সেল নাইন’ সিরিজ। এই সিরিজের স্মার্টফোনগুলোয় প্রতিষ্ঠানটি স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা যোগ করবে। এর আগে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে এই সিরিজ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। গুগলের আসন্ন পিক্সেল নাইন সিরিজ এই বছরের শেষের দিকে উন্মোচন করার কথা রয়েছে। এর আগে পিক্সেলের কোনো ফোনে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থার ফিচার ছিল না।

গুগল পিক্সেল নাইন সিরিজে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ফিচারের জন্য ব্যবহার করা হবে স্যামসাং মডেম। গুগলের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির রিপোর্ট বলা হয়েছে, পিক্সেল নাইনে নতুন স্যামসাং মডেম ৫৪০০ ব্যবহার করা হবে, যা এটিকে ফাইভ জি নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এনটিএন) এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম করবে। ফলে যেখানে সেল ফোন সেবা পাওয়া যায় না, এমন দূরবর্তী অবস্থান থেকে জরুরি বার্তা পাঠানো যাবে।

প্রাথমিকভাবে এই সেবাটি দেবে ‘টি-মোবাইল’, যা স্পেসএক্সের স্টারলিংকের ‘ডাইরেকট টু সেল’ নেটওয়ার্কের সাহায্য নেবে। এর সাহায্যে প্রাথমিকভাবে ব্যবহারকারীরা টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারবেন। তবে কল করতে পারবেন না।

স্পেসএক্স সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপকভাবে সেলুলার স্টারলিংক পরীক্ষা করার জন্য এফসিসির অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি রাজ্যে পরীক্ষা ও বিশ্বব্যাপী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি।

এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে স্পেসএক্স পিক্সেল নাইনসহ শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন উৎপাদনকারীদের ফোনে সেলুলার স্টারলিংক সেবার সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি জানিয়েছে, পিক্সেল নাইনের জরুরি টেক্সট বার্তা পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশাবলি থাকবে। এটি জরুরি পরিষেবায় যোগাযোগ আরও সহজ করবে। এটি অনেকটা আইফোনে অ্যাপলের জরুরি এসওএস ফিচারের মতো।

কলি

 

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহবান বিএসএ’র

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহবান বিএসএ’র
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাত দিন দিন বড় হচ্ছে। যদিও দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর এখনও লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারে আগ্রহী রয়েছে। আর এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায় নেতৃবৃন্দের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৮ মে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বাংলাদেশে লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারের ব্যবহার বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সফটওয়্যার বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ। সাইবার ঝুঁকি এড়াতে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর তরুণ সাওনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার তথ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। যার ফলে সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি ও ম্যালওয়্যার আক্রমণের শঙ্কা বেড়ে যায়। এসব ঘটনা গ্রাহক, অংশীদার ও সহযোগীদের বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়া এটি যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনী ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি ‍সুনাম নষ্টের কারণ হতে পারে। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন, যার ফলে যে কোন  সংস্থা বা সংগঠন মামলা, জরিমানা অথবা আইনি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।

বিএসএ-এর তথ্যে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের অনেক কোম্পানিই লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। যার মধ্যে আছে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, খুচরা ও বড় ব্যবসা, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংকিং, আর্থিক পরিষেবা এবং স্থাপত্য ও প্রকৌশলসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর বলেন, ‘লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষতি শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর কারণে  মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনও বাধাগ্রস্ত হয়।’

বিএসএ বাংলাদেশের বড় আকারে ব্যবসায়িক কাজে যাতে বৈধভাবে সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করা হয়, সে জন্য  বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মতো সরকারি সংস্থার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকি তুলে ধরে বাংলাদেশের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এটি সাইবার হুমকির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধুমাত্র ঝুঁকি কমানোর জন্য নয় বরং একটি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত সাইবার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর উচিত বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এই সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা নিয়মিতই ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোকে বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহার ও নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন করার পরামর্শ দিই। বিএসএ-এর মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা এই বিষয়ক সচেতনতা এবং বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এসব উদ্যোগ কার্যকরভাবে সাইবার নিরাপত্তার হুমকি কমাতে ভূমিকা রাখবে।’

২০১৯ সাল থেকে সংস্থাটি প্রায় ১০ লাখ পিসিতে বৈধ ও নিরাপদ সফটওয়্যার ইনস্টল করার জন্য ‘লিগ্যালাইজ অ্যান্ড প্রোটেক্ট’ নামের আঞ্চলিক প্রচারভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অবৈধ সফটওয়্যারের ব্যবহার এখনও চালু থাকায় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন করতে, বিশ্বব্যাপী বিএসএ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চায় সংস্থাটি।

বিএসএ বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার খাতকে তুলে ধরতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হিসেবে পরিচিত। এর সদস্যদের মধ্যে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো। যারা যে কোন ধরণের ছোট-বড় ব্যবসার আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধির জন্য সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান তৈরি করে। সংস্থাটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। ৩০ টিরও বেশি দেশে বিএসএ’র কার্যক্রম চালু রয়েছে।

মাইক্রোসফটের সাবস্ক্রিপশন পরিষেবায় ‘কল অব ডিউটি’ গেম

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
মাইক্রোসফটের সাবস্ক্রিপশন পরিষেবায় ‘কল অব ডিউটি’ গেম

প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট জনপ্রিয় গেম ‘কল অব ডিউটি’-এর আসন্ন সংস্করণ নিজস্ব সাবস্ক্রিপশন পরিষেবায় প্রকাশের পরিকল্পনা করছে। এটি গেমটির বিক্রয় পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন। এতদিন ‘কল অব ডিউটি’ আলাদাভাবে কেনা যেত। গেমটির সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি জানিয়েছে।

গত শুক্রবার এ নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৯ জুন মাইক্রোসফটের বার্ষিক ‘এক্সবক্স গেমস শোকেস’ অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানটির কাছে রয়টার্স এ নিয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে গত বছরের শেষের দিকে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডকে কেনার মধ্য দিয়ে ‘কল অব ডিউটি’ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি অধিগ্রহণ করে মাইক্রোসফট। এই ভিডিও গেম এখন পর্যন্ত ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে। গত কয়েক বছরে অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড প্রতিটি নতুন সংস্করণ প্রায় ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি করেছে।

এর কিছুদিন আগে এক্সবক্স বিভাগের প্রেসিডেন্ট সারাহ বন্ড এক সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি তাদের সব নতুন এক্সবক্স গেম প্রকাশের দিনই গেম পাস প্রকাশ করবে। মাইক্রোসফটের একটি সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা হচ্ছে গেম পাস। এটির মাধ্যমে গ্রাহকরা মাসিক ফি দিয়ে এক্সবক্স ও অন্যান্য ডেভলপারদের গেম খেলতে পারবেন। জাপানি প্রতিদ্বন্দ্বী সনি করপোরেশনের প্লেস্টেশন কনসোলের আধিপত্য কমাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য তারা আগামী বছরগুলোতে নেটফ্লিক্সের মতো গেম সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, গেম পাসের গ্রাহক সংখ্যা ৩৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কল অব ডিউটি গেমের বড় ধরনের জনপ্রিয়তা আছে। তাই গেম পাস এটিকে আরও বেশি গ্রাহক আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে। তবে এর ফলে গেমটির সামগ্রিক বিক্রি কমতে পারে।

 

অ্যান্ড্রয়েড ১৫: ফোন চুরি হলেও ডেটা থাকবে সুরক্ষিত

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
অ্যান্ড্রয়েড ১৫: ফোন চুরি হলেও ডেটা থাকবে সুরক্ষিত
ছবি: সংগৃহীত


প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল এবারের ‘গুগল আই/ও ২০২৪’ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গত বুধবার অ্যান্ড্রয়েড ১৫-এর দ্বিতীয় ডেটা সংস্করণ উন্মোচন করেছে। এর সঙ্গে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচারও প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি জায়ান্টটি। গত মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা প্রকাশের মধ্য দিয়ে গুগলের এ আয়োজন শুরু হয়েছে।

স্মার্টফোনের জন্য আগে ঘোষণা করা হয়নি এমন বেশ কিছু নিরাপত্তা ফিচার প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে চুরি শনাক্তের ব্যবস্থা, ‘গুগল প্লে ফ্রড ডিটেকশন’সহ অনেক কিছু।

অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেমে নতুন ফিচার ‘থেফট ডিটেকশন লক’। এটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোন চুরির শনাক্ত করার চেষ্টা করে ও সে অনুযায়ী ফোন লক হয়ে যায়। গুগল দাবি করেছে, তাদের অ্যালগরিদম ফোন ধরে দৌড়ানো, সাইকেলে বা গাড়িতে করে দ্রুত দূরে চলে যাওয়ার মতো চুরির সঙ্গে সম্পর্কিত গতিবিধি শনাক্ত করতে পারে। চুরি শনাক্ত হলে ফোনের স্ক্রিন লক হয়ে যাবে। যেন চোর ফোনের ডেটা অ্যাকসেস করতে না পারে।

এ ছাড়া থাকবে ‘রিমোট লক’ ফিচার। যে ফোনে থেফট ডিটেকশন লক ফিচার চালু করা হয়নি, এমন ফোন চুরি হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে কাজ করবে রিমোট লক ফিচার। এর মাধ্যমে কেবল ফোন নম্বর ও একটি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ পার করে, দূর থেকে যেকোনো ডিভাইস দিয়ে চুরি যাওয়া ফোনের স্ক্রিন লক করতে পারবেন ব্যবহারকারী। এটি এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য নকশা করা হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারী ফোন হারিয়ে ফেলার পর ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ ফিচারে প্রবেশ করতে গিয়ে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন বা জানেন না।

ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও স্ক্রিন লক করা যাবে ‘অফলাইন ডিভাইস লক’ ফিচারের মাধ্যমে। ফোন আনলক করার জন্য অথেনটিকেশনের প্রয়োজন হবে। চোর ফোন চুরি করে দ্রুত অফলাইন করে দিলেও ডেটা সুরক্ষিত থাকবে।

এই অপারেটিং সিস্টেমে ফোন রিসেট করার পরও ব্যবহারকারীর অথেনটিকেশনের প্রয়োজন হবে ‘ফ্যাক্টরি রিসেট প্রটেকশন’ ফিচার থাকায়। এটি ফোন চুরির প্রবণতা কমাতে সাহায্য করবে।

এমনকি ফাইন্ড মাই ডিভাইস ফিচার বন্ধ করা বা ফোনের স্ক্রিন টাইমআউটের সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীর তথ্যের প্রয়োজন হবে। ফলে ডিভাইস লক হওয়ার আগে ডিভাইসটিকে রিসেট করার উদ্দেশ্যে চোরদের ব্যবহার করা কৌশল কাজে আসবে না। সূত্র: এনগ্যাজেট

/আবরার জাহিন

 

 

 

গুগলের এআই প্রযুক্তির চালিকাশক্তি হবে জেমিনাই ন্যানো

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:২৬ এএম
গুগলের এআই প্রযুক্তির চালিকাশক্তি হবে জেমিনাই ন্যানো

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারদের নিয়ে বার্ষিক সম্মেলন ‘গুগল আই/ও ২০২৪’ গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ভিডিওচিত্র দেখানোর মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এই ভিডিওচিত্রে প্রযুক্তি জায়ান্টটির বিভিন্ন পণ্য ও সেবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করছে, তা দেখানো হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ে শোরলাইন অ্যাম্ফিথিয়েটারে প্রতিষ্ঠানটির এই বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অনলাইন ও গুগলের ইউটিউব চ্যানেলে সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
ভিডিও দেখানোর পর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই মঞ্চে হাজির হন। সম্মেলনে সশরীর উপস্থিত ব্যক্তিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনে অংশ নেওয়া সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, গুগল বর্তমানে জেমিনাই যুগে রয়েছে। ধারণা দেন জেমিনাই যুগ সম্পর্কে। নির্মাতা, ডেভেলপার, উদ্ভাবনী উদ্যোগ বা স্টার্টআপের উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ তৈরিই জেমিনাই যুগ। গুগলের এআই প্রযুক্তির চালিকাশক্তি হবে কোম্পানিটির নতুন জেমিনাই ন্যানো মডেল। 
আগামীতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গুগলের এআইভিত্তিক যেসব ফিচার আসবে তা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভ বার্ক। গুগল সার্চ হবে আরও বেশি এআইভিত্তিক। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হলেও পরে অন্য দেশের ব্যবহারকারীরাও এই সুবিধা পাবেন। সার্কেল টু সার্চ ফিচারের মাধ্যমে সহজেই যেকোনো তথ্য অনুসন্ধান করা যাবে।  ভিডিও, ছবি বা লেখার ওপরে সার্কেলিং, হাইলাইটিং, স্ক্রিবলিং বা ট্যাপ করা হলে, সে সম্পর্কিত তথ্য গুগল সার্চের পপআপের মাধ্যমে নিচে দেখাবে। ইতোমধ্যেই স্যামসাং গ্যালাক্সি ও গুগল পিক্সেল ফোন ব্যবহারকারীরা ফিচারটি উপভোগ করছেন। তবে শিগগিরই সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনেও ফিচারটি পাওয়া যাবে। এটি কোনো কিছু সম্পর্কে অনলাইনে দ্রুত সার্চ করার সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতেও সাহায্য করতে পারবে। 
গুগল ফটোজেও জেমিনাই এআই যুক্ত করে ‘আসক এআই’ ফিচার চালু করা হবে। এই ফিচারের মাধ্যমে গুগল ফটোজ থেকে খুব সহজেই ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ওয়ার্কস্পেস ল্যাবে জেমিনাই ১.৫ প্রো মডেল চালুর বিষয়টিও জানানো হয়েছে। এ বছরের মাঝামাঝিতে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ১৫ উন্মোচন করা হবে। তবে আপডেটটি সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি প্রযুক্তি জায়ান্টটি।
সম্মেলনে আরও তুলে ধরা হয় গুগলের নতুন এআই মডেল জেমিনাই ন্যানো সম্পর্কে। এটি একটি ডিভাইসভিত্তিক মডেল। এটি গুগলের টেনসর প্রসেসিং ইউনিটের (টিপিইউ) মাধ্যমে কাজ করবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গুগলের এআই টেক্সট, ইমেজ, অডিও ও ভিডিওর মতো বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের পরিবর্তে জেমিনাই ব্যবহার করা হবে।
কোনো ছবিতে কী রয়েছে তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করতে পারবে গুগলের টক-ব্যাক ফিচার। এর মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিরা সাহায্য পাবেন। এই ফিচার ইন্টারনেট ছাড়াও ব্যবহার করা যাবে। এ ফিচারেও যুক্ত থাকবে জেমিনাই ন্যানো মডেল। গুগল জানিয়েছে, এ বছরের শেষদিকে ফিচারটি চালু হবে।
প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপ ডায়ালারেও পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে স্ক্যাম বা ভুয়া কল শনাক্ত করা যাবে। ফিচারটি লাইভ কাজ করবে এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার সুরক্ষা দিতে সাহায্য করবে। তবে কবে নাগাদ ফিচারটি চালু হবে তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: এনগ্যাজেট

আবরার জাহিন

হাসতে ও গান গাইতে পারে ওপেনএআইয়ের নতুন এআই মডেল

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
হাসতে ও গান গাইতে পারে ওপেনএআইয়ের নতুন এআই মডেল

প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন তোলা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই ‘জিপিটি-৪ও’ নামে নতুন এআই মডেল উন্মোচন করেছে। এই নতুন মডেল যেকোনো ধরনের অডিও, ভিশন ও টেক্সট একসঙ্গে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে, আবার তিনটিই ফরম্যাটে আউটপুট দিতে পারে। প্রতিষ্ঠাটির দাবি, জিপিটি-৪ও মডেল মানুষের মতো কথা বলতে, হাসতে, গান গাইতে ও দেখতে পারে। এটি মানুষ ও কম্পিউটারের মধ্যে বাস্তবসম্মত মিথস্ক্রিয়ার অনেক বেশি কাছাকাছি। এই মডেল মানুষের অনুভূতি শনাক্ত করতে পারে, কারও কথা বলার মাঝখানে বাধা দেয় ও কথোপকথনের সময় মানুষের মতো প্রায় দ্রুত সাড়া দেয়।
গত সোমবার ১৩ মে বিশেষ আয়োজনে এই নতুন মডেল নিয়ে হাজির হয় প্রতিষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠানে ওপেনএআইয়ের সিটিও মিরা মুরতি জানান, ‘জিপিটি-৪ও-এর বিশেষ দিক হলো এটি সবার জন্য, এমনকি আমাদের বিনামূল্যে ব্যবহারকারীদের জন্যও ‘জিপিটি-৪ লেভেলের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আসছে। ব্যবহারের সহজলতার ক্ষেত্রে এটি আমাদের বড় ধরনের প্রথম পদক্ষেপ।’
ওপেনএআই ডটকম থেকে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন, এই নতুন মডেল ইংরেজি ও ইতালিয়ান ভাষা অনুবাদ করছে। আবার একজন গবেষককে কাগজে একটি রৈখিক সমীকরণ সমাধানে সহায়তা করছে। এ ছাড়া কেবল শ্বাস শোনার মাধ্যমে আরেকজন ওপেনএআই নির্বাহীকে শ্বাস নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। জিপিটি-৪ও মডেলের ‘ও’ অক্ষরটি মডেলের মাল্টিমোডাল সক্ষমতাকে বুঝায়। ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৪ও মডেলকে অডিও, ভিশন ও টেক্সটের ওপর প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। যার মানে সব ইনপুট ও আউটপুট একই নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠানটির আগের এআই মডেল জিপিটি-৩.৫ ও জিপিটি-৪-এর থেকে আলাদা। এই মডেলগুলো কেবল চ্যাটবট হিসেবে কাজ করেছে।
ওপেনএআই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিনামূল্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীসহ সবার জন্য নতুন মডেলটি উন্মুক্ত করবে। আয়োজনটিতে প্রাথমিকভাবে ম্যাকের জন্য চ্যাটজিপিটির একটি ডেস্কটপ সংস্করণও প্রকাশ করছে। সূত্র: এনগ্যাজেট