![রবীন্দ্রনাথ সংকটের আশ্রয় : রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা](uploads/2024/02/04/1707035279.banna.jpg)
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জীবনদর্শনের কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন গানে গানে৷ তাই রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনায় অনুভব ও নিষ্ঠা দুইয়ের সম্মিলন ঘটাতে হয়৷
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন৷
ভারতের বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়ার পর বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যজন আতাউর রহমান।
সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি ড. বিশ্বজিৎ রায় এবং বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র শীল।
সম্মাননাপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘আমি নিমিত্ত, সম্মানটা রবীন্দ্রনাথের এবং বাংলাদেশের সব মানুষের। এ সম্মাননা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, মানুষের প্রতি ভালোবাসার দায় তৈরি করবে৷’
নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীকে স্মরণ
বাংলাদেশের নৃত্যচর্চার প্রবাদপুরুষ বুলবুল চৌধুরীর ১০৫তম জন্মদিনে নানা আয়োজনে তাকে স্মরণ করেছে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালানার সেমিনার কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনা’ শীর্ষক বুলবুল চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন গবেষক-প্রাবন্ধিক সুভাষ সিংহ রায় ও নৃত্যজন নিগার চৌধুরী।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে আজীবন সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশেপদক প্রাপ্ত নৃত্যগুরু আমানুল হক।
এদিন ফারহানা চৌধুরী বেবীর পরিচালনায় বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস পরিবেশন করে নৃত্য প্রযোজনা ‘সালাম বাংলাদেশ’; সামিনা হোসেন প্রেমার পরিচালনায় ভাবনা পরিবেশন করে ‘জয়ও তবো বিচিত্র আনন্দ’; হাসান ইশতিয়াক ইমরানের পরিচালনায় রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশন করে ‘মেঘের ডমরু’; সেলিনা হকের দল নৃত্যসুর পরিবেশন করে ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে’; জাহাঙ্গীর আলম স্বপনের পরিচালনায় ঝংকার ললিত কলা একাডেমি পরিবেশন করে ‘লীলাবালি লীলাবালি’; অনিক বোসের দল স্পন্দন পরিবেশন করে ‘শ্যামকে আনো দেখি’; সালমা মুন্নীর দল নৃত্যাক্ষ পরিবেশন করে ‘সৃজন ছন্দে’; এম আর ওয়াসেকের পরিবেশনায় নন্দন কলাকেন্দ্র পরিবেশন করে ‘নদীর নাম মধুমতি’।
এদিন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্যদল পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বীরপুরুষ’ ও মঞ্জুর আহমেদের পরিচালনায় বেনুকা ললিত কলাকেন্দ্র পরিবেশন করে ‘সূরে্যাদয়ে তুমি সূর্যাস্তও তুমি’; বেনজির সালামের দল নৃত্যছন্দ পরিবেশন করে ‘মেঘপল্লবী’। অনুষ্ঠান শেষ হয় নৃত্যগুরু মুনমুন আহমেদের পরিবেশনায়।
জয়ন্ত সাহা/অমিয়/