ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দেশে নির্মিত প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসছে ২০২৪ সালের মার্চে

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৭ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৪ এএম
দেশে নির্মিত প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসছে ২০২৪ সালের মার্চে
প্রতিকী ছবি: সংগৃহীত

ইলেকট্রিক পরিবহন উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। ম্যাংগো টেলিসার্ভিসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ দেশে প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করছে। কারখানা স্থাপনে ১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ এই ধরনের বড় আকারের বিনিয়োগে টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থাসমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আগাচ্ছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত এই কারখানাটি আগামী বছরের মার্চ নাগাদ বাজারে ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে আসবে। গাড়ির বডি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণ স্থাপিত কারখানায় তৈরি হবে। গাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের উপকরণ বাইরে থেকে আমদানি করা হবে। ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মাসুদ কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কারখানাটি স্থাপনে খরচ হচ্ছে ৭৯০ কোটি টাকা। দুইটি আর্থিক জোট গঠনের মাধ্যমে ১০টি ব্যাংক এই অর্থের বড় একটি অংশের যোগান দিচ্ছে। বাকি মূলধন দেবেন উদ্যোক্তারা। ইতোমধ্যে এর অবকাঠামো স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ১০০ একর জমিতে এখন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ বসানো হচ্ছে।

মোট বিনিয়োগের প্রায় ৭৫ শতাংশ গাড়ির বডি, ব্যাটারি, মোটর ও চার্জার উৎপাদন কাঠামো তৈরিতে বিনিয়োগ করা হবে। বাকি ২৫ শতাংশ খরচ হবে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের উপকরণ বাইরে থেকে আমদানি করার জন্য। সেডান, এসইউভি ও বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের বডি এই কারখানাতেই তৈরি করা হবে।

ব্যাটারি তৈরির জন্য আরেকটি আলাদা কারখানা তৈরি করা হবে। যার নাম বাংলাদেশ লিথিয়াম ব্যাটারি লিমিটেড। এই কারখানায় উৎপাদিত ব্যাটারি ইলেকট্রিক যানবাহনসহ সৌরশক্তি, ডেটা সেন্টার ও ইউপিএসেও ব্যবহার করা হবে। ম্যাংগো টেকনোলজিস লিমিটেড নামে আরেকটি কারখানায় মোটর কন্ট্রোল ও চার্জিং সিস্টেম তৈরি করা হবে।

এই কারখানায় বর্তমানে পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরে ৬০ হাজার টু হুইলার, ৪০ হাজার থ্রি হুইলার ও ৩০ হাজার ফোর হুইলার নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই কারখানাগুলোয় দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। পরবর্তীতে উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৫ হাজার পর্যন্ত জনবল বৃদ্ধি করা হতে পারে।

উদ্যোক্তারা জানান, এই যানবাহনগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার মতো করে নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পণ্য এবং দেশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি উপকরণগুলোর নির্ভুল সমন্বয় ঘটানোর মাধ্যমে কোম্পানিটি বিশ্বসেরা গাড়ি তৈরি করবে।

মোহনা

শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি বুগাটি ট্যুরবিলন

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি বুগাটি ট্যুরবিলন
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে নতুন হাইপার কার উন্মোচন করেছে বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি বুগাটি। ২০১৬ সালের পর সম্প্রতি উন্মোচিত বুগাটির প্রথম নতুন মডেলটি হচ্ছে ‘বুগাটি ট্যুরবিলন ২০২৬’। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি। গাড়িটির বড় বিশেষত্ব হলো এর শক্তিশালী ১৮০০ হর্স পাওয়ারের (এইচপি) ইঞ্জিন। একটা স্পোর্টস কারে যেসব ফিচার থাকে, তার সবই রয়েছে এই মডেলে।

২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে এ গাড়িটি। যেমন আধুনিক ডিজাইন, তেমনই তাক লাগানো ইঞ্জিন রয়েছে গাড়িটিতে। এই হাইপার কার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি বলে দাবি করেছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে সংস্থাটির অন্যতম জনপ্রিয় সুপারকার ‘বুগাটি চিরন সুপার স্পর্ট’, যার সর্বোচ্চ গতি ৪৮৯ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। এই হাইপার কার মাত্র ২ দশমিক ২ সেকেন্ডে  প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে। এই গাড়ির তুলনায় গতির দিকে পিছিয়ে রয়েছে বুগাটি ট্যুরবিলন। তবে এটি পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে।

ডিজাইনের দিক থেকেও নতুনত্ব রয়েছে বুগাটি ট্যুরবিলনে। হাইপার কারটির সামনের দিকে একটি বড় গ্রিল রয়েছে। এর দুই পাশে রয়েছে কোয়াড এলইডি হেডল্যাম্প। পাশের দিকেও যোগ হয়েছে নজরকাড়া নতুন নকশা। পেছনে আর মাঝে বুগাটি অক্ষরসহ চওড়া একটি এলইডি টেললাইট রয়েছে।

বুগাটির নতুন এই গাড়ির ভেতরে সম্পূর্ণ নতুন কেবিন এবং ড্যাশবোর্ড লেআউট রয়েছে। সুইস ঘড়ি নির্মাতাদের সহায়তায় ডিজাইন করা হয়েছে ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। বুগাটি জানিয়েছে, এই ক্লাস্টার ৬০০টিরও বেশি অংশ দিয়ে তৈরি। টাইটানিয়ামের পাশাপাশি এতে ব্যবহার করা হয়েছে নীলকান্তমণি ও রুবির মতো মূল্যবান রত্নপাথর। এ ছাড়া সেন্টার কনসোলটি পলিশ করা ক্রিস্টাল গ্লাস ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। গাড়ির ভেতরে দেখতে রেট্রো ডিজাইন।

আকর্ষণীয় ডিজাইনের সঙ্গে বুগাটি ট্যুরবিলন হাইপার কারের রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ট্যুরবিলনে প্রতি ঘণ্টায় ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করতে সময় লাগে মাত্র ২ সেকেন্ড। প্রতি ঘণ্টা ২০০ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করে মাত্র ৩ সেকেন্ডে।

ট্যুরবিলনে রয়েছে একটি ৮ দশমিক ৩ লিটারের ভি১৬ হাইব্রিড ইঞ্জিন। এর আইস ইঞ্জিন একাই ১০০০ হর্স পাওয়ার এবং ৯০০ এনএম টর্ক তৈরি করে। ইঞ্জিনের সঙ্গে তিনটি বৈদ্যুতিক মোটর সংযুক্ত করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ সেটআপের মাধ্যমে হাইপার কার মোট ১৮০০ হর্স পাওয়ার শক্তি উৎপন্ন করে। গাড়িতে ইলেকট্রিক উৎস হিসেবে রয়েছে ২৫ কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক।
নতুন পাওয়ারট্রেনটি একটি এইট-স্পিড ডুয়াল-ক্লাচ অটো গিয়ারবক্সের সঙ্গে সংযুক্ত। বুগাটি দাবি করেছে, শুধু ২ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১০০কিলোমিটার নয়, ০ থেকে ২৯৯ কিলোমিটার গতি উঠতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় নেয় ট্যুরবিলন। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৪৫ কিলোমিটার।

গাড়ির ডাউনফোর্স বাড়ানোর জন্য এতে একটি বিশেষ চাবি রয়েছে। এটি প্রয়োগ করে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪৫ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করতে পারে। তবে এই পারফরম্যান্স পুরোটাই পাওয়া যাবে পেট্রল ইঞ্জিন থেকে। গাড়িটি যদি শুধু ইলেকট্রিক মোডে চালানো হয়, তা হলে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। তবে এতে বিশেষ ফাস্ট চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। এর মাধ্যম অল্প কয়েক মিনিটেই গাড়ি ফুল চার্জ করা যাবে।

বুগাটি ট্যুরবিলনের দাম শুরু হয়েছে ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার থেকে। প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ২৫০ ইউনিট এই মডেলের গাড়ি তৈরি করবে। ২০২৬ সালের প্রথম দিকে গাড়িগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ শুরু করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: সিএনএন 

/আবরার জাহিন

শহুরে যানজটের সহজ সমাধান স্কুটার

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
শহুরে যানজটের সহজ সমাধান স্কুটার
ছবি: সংগৃহীত

যানজটের কবলে পড়ে শহুরে জীবন হয়ে উঠেছে বিরক্তিকর। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই বিকল্প যানবাহনের কথা ভাবছেন। আর এ ক্ষেত্রে স্কুটার হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় একটি বিকল্প বাহন। শহরের যানজটে আটকে থাকার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এখন স্কুটার ব্যবহার করছেন। নারী-পুরুষ সকলের কাছেই সহজ বাহন হিসেবে স্কুটার দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। হালকা ও চালানো সহজ এই বাহনের উল্লেখযোগ্য সুবিধা তুলে ধরা হলো আজকের আয়োজনে।

চালানো সহজ
স্কুটার চালানো অত্যন্ত সহজ। বাইকের মতো গিয়ার ও ক্লাচের ঝামেলা নেই। যারা সাইকেল চালাতে জানেন, তাদের জন্য স্কুটার শেখা আরও সহজ হবে। ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলেই মূলত স্কুটার চালানো শেখা শেষ। রাস্তায় চলাচলের অভ্যাস অর্জনে কিছুদিন সময় লাগবে।

আরামদায়ক
স্কুটারে আরাম করে বসা যায়। সামনের আসনে পা রাখার জন্য প্রশস্ত জায়গা রয়েছে। পেছনের আসনের যাত্রীও সহজে এই বাহনে চড়তে পারেন। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য স্কুটার বাইকের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। কারণ বাইকের পেছনের আসন অনেক সময় সরু ও উঁচু হয়, যা বয়স্কদের জন্য চড়তে অসুবিধাজনক হয়। 

নিরাপদ
বাইকের তুলনায় স্কুটার নিরাপদ কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সাধারণভাবে স্কুটারকে বেশি নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া হয়। কারণ স্কুটারের গতি বাইকের তুলনায় কম থাকে, যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমায়। স্কুটারে পা রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকে, যা দুর্ঘটনার সময় আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। বাইকে পা রাখার জন্য এমন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। এর উচ্চতা কম থাকে, এজন্য বাইকের তুলনায় সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে স্কুটারে বাইকের তুলনায় সুরক্ষা সরঞ্জাম কম থাকে। স্কুটার বাইকের তুলনায় নিরাপদ হতে পারে, তবে সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করা এবং সাবধানে চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জায়গা
স্কুটারে সিটের নিচে এবং পায়ের কাছে বেশ জায়গা থাকে। সিটের নিচের অতিরিক্ত জায়গায় হেলমেট রাখা যায়। পায়ের কাছে জিনিসপত্র বহন করাও সুবিধাজনক। তবে বাজারে কিছু স্পোর্টি স্কুটার এসেছে, যেগুলোতে পায়ের কাছে জায়গা থাকে না।

ভ্রমণ
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশে ভ্রমণের জন্য স্কুটারের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে স্কুটারে দেশের ভেতর ও বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে অর্থ ও সময় দুটোই বাঁচবে।

যানজটের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে ঝামেলামুক্ত যাতায়াতের জন্য স্কুটার একটি আদর্শ সমাধান হতে পারে। চালানো সহজ, আরামদায়ক, নিরাপদ ও ভ্রমণ উপযোগী এই সকল দিক বিবেচনা করে শহুরে জীবনে স্মার্ট সমাধান স্কুটার।

/আবরার জাহিন

 

বাজাজের বিশ্বের  প্রথম সিএনজিচালিত মোটরবাইক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
বাজাজের বিশ্বের  প্রথম সিএনজিচালিত মোটরবাইক
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় মোটরবাইক নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বাজাজ বিশ্বের প্রথম সিএনজিচালিত বাইক উন্মোচন করেছে। ‘বাজাজ ফ্রিডম ১২৫ সিএনজি’ নামে বাজাজ এটিকে পরিচয় করিয়েছে। এই বাইক ঘিরে বাইকপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। কোনো স্টাইলিশ গঠন কিংবা অন্য কিছু নয়। এই বাইক ঘিরে আগ্রহের মূল কারণ এটি সিএনজি অর্থাৎ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসে চালানো যাবে। এই জ্বালানির মূল্য পেট্রলের থেকে অনেক কম। ফলে জ্বালানি বাবদ খরচ সাশ্রয় হবে।

ফ্রিডম সিএনজি বাইকে রয়েছে ১২৫ সিসি এয়ার কুলড সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এটি সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ হর্সপাওয়ার এবং ৯ দশমিক ৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। ইঞ্জিনটি একটি ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বাইকটির ইঞ্জিন ১২৫ সিসির হলেও পারফরম্যান্স দেবে ১০০ সিসির। এটি একটি বাই-ফুয়েল মোটরসাইকেল। অর্থাৎ বাইকটিতে দুই ধরনের জ্বালানির সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি সিএনজির পাশাপাশি পেট্রলেও চলবে। পেট্রল ও সিএনজি জ্বালানির বিকল্প খুব সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব। বাইকটির বাঁ দিকের হ্যান্ডেলবারে এই জন্য একটি সুইচ দেওয়া হয়েছে। এক সুইচেই সিএনজি থেকে পেট্রোলে চালানো যায় এই বাইক।

বাইকটিতে সিএনজি সিলিন্ডার কোথায় রয়েছে অনুমান করা কঠিন। এই বাইকের জন্য বাজাজ একটি ইউনিক দুই কেজি সিএনজি ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক ডিজাইন করেছে, যা এটির সিটের নিচে রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে একটি দুই লিটার ধারণক্ষমতার পেট্রল ট্যাঙ্ক। 
বাজাজের দাবি, ফ্রিডম ১২৫ সিএনজিতে ২১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। পেট্রোল ট্যাঙ্কে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। সম্মিলিতভাবে এই বাইকের রেঞ্জ হবে ৩৩০ কিলোমিটার।

বাজাজের এই নতুন সিএনজিচালিত বাইক একটি ট্রেলিস ফ্রেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা এই সেগমেন্টে প্রথম। সামনে রয়েছে টেলিস্কপিক ফর্ক ও মোনো শক রিয়ার সাসপেনশন। ফ্রন্টে ১৭ ইঞ্চি টায়ারটিতে একটি ২৪০ মিলিমিটারের ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। বাইকটির হুইলবেস ১৩৪০ মিলিমিটার, সিটের উচ্চতা ৮২৫ মিলিমিটার ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৭০ মিলিমিটার। এই বাইকে সামনে রাউন্ড হেডল্যাম্প, ব্লুটুথ, ডিজিটাল মিটার এবং রিভার্স এলইডি কনসোলের মতো অত্যাধুনিক ফিচারও রয়েছে। এতে রয়েছে এলইডি হেডলাইট।

এই বাইকে ৭৮৫ মিলিমিটার দীর্ঘ সিট রয়েছে। বাইকটির মজবুত ট্রেলিস ফ্রেম, এটিকে হালকা ও শক্তিশালী করেছে। কোম্পানি বলছে, বাইকটি ইন্ডাস্ট্রির ১১টি বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, এটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করে তুলেছে। বাইকটিকে সামনে, পাশ, ওপর থেকে এমনকি ট্রাকের নিচে পিষ্ট করেও পরীক্ষা করা হয়েছে।

তিনটি সংস্করণে পাওয়া যাবে হাইব্রিড বাইকটি। সংস্করণগুলো হলো ড্রাম, ড্রাম এলইডি ও ডিস্ক এলইডি। বেসিক সংস্করণের দাম ধরা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৯৫ হাজার রুপি এবং টপ-এন্ড সংস্করণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার রুপি।

বাজাজের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে ভারতে ফ্রিডম ১২৫-এর বুকিং শুরু হয়েছে। এই মোটরসাইকেল প্রথমে দেশটির গুজরাট ও মহারাষ্ট্র রাজ্যে বিক্রি শুরু হবে, এর পর পাওয়া যাবে গোটা ভারতে। বাজাজ এই সিএনজিচালিত বাইক মিসর, তানজানিয়া, পেরু, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করবে।। মোট সাতটি রঙে এই বাইক পাওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যারিবিয়ান ব্লু, এবোনি ব্ল্যাক-গ্রে, পিউটার গ্রে-ব্ল্যাক, রেসিং রেড, সাইবার হোয়াইট, পিউটার গ্রে-ইয়েলো, আবলুস কালো-লাল রং। বাজাজ দাবি করছে, এই বাইক চলানোর খরচ যেকোনো পেট্রলচালিত বাইক থেকে অনেক কম হবে। দৈনিক ব্যবহারের সময় এর অপারেশন খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যাবে। এতে বাইকটি ৫ বছর ব্যবহারে প্রায় ৭৫ হাজার রুপি সাশ্রয় হবে।

/আবরার জাহিন

নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ির ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করবে ফেরারি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ির ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করবে ফেরারি
ফেরারি। ছবি: সংগৃহীত

বিলাসবহুল স্পোর্টস গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেরারি গাড়ির কার্যক্ষমতা ও বাজারমূল্য ধরে রাখতে ব্যাটারি প্রতিস্থাপন প্রকল্প চালু করেছে। গত সোমবার ব্যাটারি প্রতিস্থাপন প্রকল্পের ঘোষণা দেয় ফেরারি।

হাইব্রিড মডেলের গাড়ির জন্য দুটি নতুন ওয়ারেন্টি সেবার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফেরারি। এর আওতায় নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ির ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন হাইব্রিড গাড়ির মালিকরা। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ফেরারি গাড়ির পুনঃবিক্রয় মূল্য ধরে রাখতে সাহায্য করা। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের গাড়ির ব্যাটারির সক্ষমতা কমে যায়। আর বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম নির্ধারণে প্রাধান্য পায় ব্যাটারি।

ফেরারি জানিয়েছে, তাদের নতুন ওয়ারেন্টি সেবা হাইব্রিড ও পাওয়ার হাইব্রিড প্রোগ্রামের আওতায় গাড়িগুলোতে অষ্টম ও ১৬তম বছরে হাইভোল্টেজ ব্যাটারি প্যাক প্রতিস্থাপন করবে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি হাইব্রিড পাওয়ার ট্রেনের যন্ত্রাংশের জন্য পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি সেবা চালু করেছে।

স্পোর্টস গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, এই দুটি সেবা পরবর্তী মালিকের কাছে স্থানান্তরযোগ্য হবে। অর্থাৎ ওয়ারেন্টির সময়কালের মধ্যে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন হলেও পরবর্তী যেকোনো মালিক সেবাগুলো ফেরারির কাছে থেকে পাবেন। এটি দীর্ঘ মেয়াদে হাইব্রিড ফেরারি গাড়িগুলোর কার্যকারিতা ও উৎকর্ষ ধরে রাখতে চালু করেছে। ফেরারি আরও বলেছে, ভবিষ্যতে ব্যাটারি প্রযুক্তি উন্নত করতে প্রতিস্থাপিত এইচভিবি ব্যাটারির নতুন ও আধুনিক উপাদান হবে, যা মূল ব্যাটারির মতো একই কার্যকারিতা নিশ্চিত করবে।

এই প্রোগ্রামগুলো পুরো গাড়ি এবং গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার ট্রেন উপাদানগুলোর জন্য ওয়ারেন্টি দেবে। এগুলো দুই থেকে চার বছরের জন্য নবায়নযোগ্য প্যাকেজে যাবে। 
গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার জন্য খরচ হবে প্রায় ৭ হাজার ইউরো বা মার্কিন মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৫৩০ ডলার। এই সুবিধা আগামী বছরে আসন্ন ফেরারির সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক মডেলেও পাওয়া যাবে।

ফেরারি পেট্রল ইঞ্জিনের জন্য বিখ্যাত। তবে ২০১৯ সাল থেকে হাইব্রিড বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করছে। ২০২৫ সালের শেষের দিকে তাদের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

/আবরার জাহিন

টাটা মোটরস আনছে নতুন ৩ গাড়ি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
টাটা মোটরস আনছে নতুন ৩ গাড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরস চলতি বছরের বাজারে বেশ কয়েকটি নতুন মডেলের গাড়ি এনেছে। এ বছরে আরও ৩টি নতুন গাড়ি আনছে টাটা মোটরস, যার মধ্যে রয়েছে দুটি এসইউভি ও একটি হ্যাচব্যাক। এই গাড়িগুলোর মধ্যে একটি সিএনজিচালিত, অন্যটি বিদ্যুৎচালিত।

টাটা নেক্সন সিএনজি
টাটা এ বছরের জানুয়ারি মাসে উন্মোচন করেছে ‘টাটা নেক্সন সিএনজি’। এই গাড়িতে অটোমেটিক ট্রান্সমিশনযুক্ত সিএনজি সুবিধা থাকবে। তবে এর আগে ভারতে প্রথম অটোমেটিক ট্রান্সমিশনযুক্ত সিএনজি গাড়ি উন্মোচন করে প্রতিষ্ঠানটি। সেই গাড়ি হলো টাটা টিয়াগো ও টাইগার সিএনজি। দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় কম্প্যাক্ট এসইউভি টাটা নেক্সন। এতে থাকবে ফ্যাক্টরি ফিটেড টারবো চার্জ সিএনজি প্রযুক্তি, যা পারফরম্যান্সের সঙ্গে বেশি মাইলেজ দিতে সাহায্য করবে। এতে ১ দশমিক ২ লিটার পেট্রল ইঞ্জিনের সঙ্গে থাকবে টারবো চার্জ সিএনজি সিলিন্ডার। এই গাড়িতে টাটা নেক্সনের সব ফিচার পাওয়া যাবে। বর্তমান মডেলের তুলনায় দাম প্রায় ১ লাখ টাকা বেশি হতে পারে।

টাটা কার্ভ
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাজারে আসতে পারে ‘টাটা কার্ভ’। এই গাড়িতে বেশ কিছু নতুনত্ব যোগ করেছে টাটা মোটরস। ক্যুপে ডিজাইনের সঙ্গে পাওয়া যাবে স্মার্ট ফিচার্স। টাটা কার্ভ পেট্রল-ডিজেল ইঞ্জিনের পাশাপাশি বিদ্যুৎচালিত (ইভি) গাড়ি হিসেবেও বিক্রি হবে। এতে ১ দশমিক ২ লিটার পেট্রল ইঞ্জিন থাকবে, যা সর্বোচ্চ ১২৫ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করবে। গাড়িতে টারবো পেট্রল ইঞ্জিন পাওয়া যাবে। সঙ্গে মিলবে ১ দশমিক ৫ লিটার ডিজেল ইঞ্জিন। ইলেকট্রিক সংস্করণটি ফুল চার্জে ৪৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার চলবে। এ বছরে না এলেও আগামী বছরের প্রথম দিকে বাজারে আসবে টাটা কার্ভ।

টাটা অলট্রোজ রেসার
এ বছর ‘টাটা অলট্রোজ রেসার’ গাড়িটি উন্মোচন করেছে টাটা। হ্যাচব্যাক ধাঁচের এই গাড়ি স্পোর্টস সংস্কারে বাজারে আসবে। এতে ১ দশমিক ২ লিটার টারবো পেট্রল ইঞ্জিন পাওয়া যাবে, যা সর্বোচ্চ ১২০ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করবে। এটি স্ট্যান্ডার্ড মডেলের তুলনায় ১০ হর্সপাওয়ার বেশি হবে। এতে থাকবে ৬ স্পিড অটোমেটিক ট্রান্সমিশন। শিগগির গাড়িটি বাজারে পাওয়া যাবে।

/আবরার জাহিন