ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

আইসিসিবিতে তিন দিনব্যাপী দ্বিতীয় ঢাকা মোটর ফেস্ট শুরু

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
আইসিসিবিতে তিন দিনব্যাপী দ্বিতীয় ঢাকা মোটর ফেস্ট শুরু

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢাকা মোটর ফেস্ট-২০২৪। উইজার্ড শোবিজের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এই মোটর ফেস্টে প্রদর্শিত হচ্ছে মোটরগাড়ি, বাইক ও মোটর এক্সেসরিজের মতো অটোমোবাইলের জিনিসপত্র।

সকাল ১১টায় আইসিসিবির ৫ নম্বর হল ও এক্সপো জোনে এ আয়োজন শুরু হয়। নিত্যনতুন মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেলের সরঞ্জামাদিগুলো আরও নতুনভাবে তুলে ধরতে দ্বিতীয়বারের মতো এটি আয়োজিত হচ্ছে।

ফেস্টের প্রথমদিনে দর্শনার্থীদের জন্য দিনভর ছিল নানা আয়োজন। সন্ধ্যায় ছিল ড্রাইভিং মুভি দেখার ব্যবস্থা। ফেস্টে মডিফাইড কার কালেকশনসহ অনেক আকর্ষণীয় গাড়ি প্রদর্শিত হচ্ছে। এই আয়োজন বাইকার ও গাড়িপ্রেমীদের জন্য দেশে অন্যতম একটি ইভেন্ট। কার স্টান্ট শো’য়ে বিডিআরসির সভাপতি সার্জসহ অনেকেই মনোমুগ্ধকর কার স্টান্ট করেন।

বিডিআরসি মূলত একটি অলাভজনক কার ক্লাব। এর সহসভাপতি সৌমিক বলেন, আমাদের লক্ষ যুবসমাজকে মাদকাসক্তি থেকে বের করে ভালো কিছু করতে উৎসাহিত করা। গাড়ি ভালো শখের জায়গা, যা যুবসমাজকে আকৃষ্ট করে মাদক থেকে দূরে রাখতে পারে।

এই মেলায় মূলত দেশি-বিদেশি লুব্রিক্যান্ট কোম্পানিসহ টায়ার, ফগলাইট ও হেলমেট কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করেছে। তারা মূলত নিজেদের নতুন পণ্যগুলো প্রদর্শন করছে। এসব পণ্যের মধ্যে থাকছে হেলমেট, বাইক ও  বাইক মেকআপের অন্যান্য জিনিসপত্র। মেলায় দেশি-বিদেশি ১৬টি কোম্পানির স্টল রয়েছে। এ ছাড়া মেলায় বাইক স্ট্যান্ডের জন্য ১০টি গ্রুপ ও কার স্ট্যান্ডের জন্য ১০টি গ্রুপ অংশগ্রহণ করছে।

আয়োজন সম্পর্কে উইজার্ড শোবিজের ম্যানেজিং পার্টনার সৌরভ আহমেদ বলেন, ঢাকায় আমরা দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন করছি। এই ফেস্টের মাধ্যমে অটোমোবাইল খাতের সব প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের নিচে আনার চেষ্টা করেছি। এখানে মূলত দেশি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিদেশি ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ থাকছে।

ফেস্টে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন গাড়ির প্রদর্শনী ও স্ট্যান্ড শো-এর পাশাপাশি চলবে জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকাদের লাইভ কনসার্ট। আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে মোটরপ্রেমীদের মন মাতাতে আসছে জনপ্রিয় ব্যান্ড বে অব বেঙ্গল, আর্ক ও এ কে রাহুল। পাশাপাশি ফেস্টের শেষ দিনে মেলাকে রাঙিয়ে তুলতে আসছে জনপ্রিয় ব্যান্ড ব্ল্যাক জ্যাং, আপেক্ষিক, সাবকন্সাস ও কার্নিভাল। কনসার্ট চলবে মেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

উইজার্ড শোবিজের আয়োজনে গতকাল থেকে প্রদর্শনীটি শুরু হলেও শেষ হবে আগামীকাল। মেলার ভেন্যু কাউন্টার থেকে জনপ্রতি মাত্র ২০০ টাকায় মোটরপ্রেমীরা পাচ্ছেন কনসার্ট উপভোগের সুযোগ। উইজার্ড শোবিজের আগে চট্টগ্রামে ছয়বার মোটর ফেস্ট আয়োজন করলেও ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করছে। চট্টগ্রামের ফেস্টে অটোমোবাইল, মোটরসাইকেল, লুব্রিকেন্টসহ অনেক বড় প্রতিষ্ঠান এই ফেস্টে অংশ নিয়েছে। মেলার এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার বিডি কিটজ, বিডিআরসি ও অনলাইন পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাইক বিডি। এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার সময় টেলিভিশন।

জাহ্নবী

ফিয়াট ৫০০ হাইব্রিড আসছে ম্যানুয়াল গিয়ারসহ

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১০:৩২ এএম
ফিয়াট ৫০০ হাইব্রিড আসছে ম্যানুয়াল গিয়ারসহ
চলতি বছরের শেষ দিকে ইউরোপে আসছে ‘ফিয়াট ৫০০’ গাড়ির নতুন হাইব্রিড সংস্করণ। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের শেষ দিকে ইউরোপে আসছে ‘ফিয়াট ৫০০’ গাড়ির নতুন হাইব্রিড সংস্করণ। ইতালিয়ান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফিয়াট সম্প্রতি গাড়িটির হাইব্রিড সংস্করণ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে, যার প্রি-প্রোডাকশন বা পরীক্ষামূলক সংস্করণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এই নতুন মডেলে থাকছে সিক্স-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন।

গাড়িটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে যেটুকু জানা গেছে, তা গিয়ারপ্রেমীদের জন্য রয়েছে বড় চমক। নতুন ৫০০ হাইব্রিড মডেলটিতে থাকছে সিক্স-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স। তবে গিয়ার ট্রান্সমিশন বা হাইব্রিড পাওয়ার ট্রেন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।

বিশ্লেষকদের ধারণা, সাম্প্রতিককালে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক সংস্করণ ৫০০ই-এর ধীরগতির বিক্রির কারণে ফিয়াট নতুন হাইব্রিড সংস্করণ আনার দিকে ঝুঁকছে। গুডকারব্যাডকার ডটকমের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এই বৈদ্যুতিক মডেলটির বিক্রি হয় মাত্র ৯৭০টি, যেখানে ২০১২ সালে ক্ল্যাসিক ৫০০ মডেল বিক্রি হয়েছিল ৪০ হাজারেরও বেশি।

নতুন হাইব্রিড সংস্করণে জ্বালানি ইঞ্জিন যুক্ত করায় বিক্রি বাড়তে পারে বলে আশা করছে ফিয়াট। তবে এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত ইউরোপের জন্য নির্ধারিত হলেও অন্যান্য বাজারও তাদের বিবেচনায় রয়েছে।

ফিয়াট আশা করছে, বাজারে ভালো সাড়া পেলে বছরে এক লাখের বেশি ইউনিট বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে নতুন ৫০০ হাইব্রিড মডেলটির। গাড়িটির উৎপাদন শুরু হবে নভেম্বরে। ম্যানুয়াল গিয়ারবক্সের সঙ্গে গাড়িটি বাজারে আসার পর দেখা যাবে, কতটা বাজার দখল করতে পারে।

টয়োটার নগর যান: যাতায়াতের নতুন ধারণা

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
টয়োটার নগর যান: যাতায়াতের নতুন ধারণা
টয়োটা এফটি-এম কনসেপ্ট। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাটারির রেঞ্জ, উচ্চ মূল্যের বৈদ্যুতিক এসইউভি ও ট্রাকের ভিড়ে এই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে কম খরচে ও সহজে ব্যবহারযোগ্য যানবাহনের চাহিদা বাড়ছে। তাই প্রচলিত বড় ও বিলাসবহুল ইলেকট্রিক গাড়ির চেয়ে এখন অনেক অটোমোবাইল নির্মাতা মাইক্রোমোবিলিটি বা ছোট, হালকা ও কম গতির বাহনের দিকে ঝুঁকছে। এর ধারাবাহিকতায়, জাপানি অটোমোবাইল নির্মাতা টয়োটা নিয়ে আসছে তাদের নতুন মাইক্রোমোবিলিটি ধারণা, যা শহুরে যাতায়াতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

টয়োটা সম্প্রতি বেলজিয়ামে উন্মোচন করেছে ‘টয়োটা এফটি-মি’ কনসেপ্ট। এটি মূলত মাইক্রোমোবিলিটির ধারণা থেকে তৈরি করা হয়েছে। এটি দুই আসনের ছোট যান। এটিকে পুরোপুরি গাড়ি বলা যাবে না, বরং এটি ইউরোপীয় ‘এলসিক্স’ শ্রেণির যানের অধীনে পড়ে। এই শ্রেণির যানগুলো স্কুটার চালানোর লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরাও ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াও এটি চালানো যাবে।

টয়োটা জানিয়েছে, ‘এফটি-মি ধারণা টয়োটার ‘মোবিলিটি ফর অল’ দর্শনকে ধারণ করে, যা তরুণ চালকদের পাশাপাশি পরিবর্তিত শহুরে পরিবেশে ছোট যানের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।’

ফিচার ও কার্যকারিতা
এই যানের দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই গজ, যার সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ২৮ মাইল। এটি শুধু শহরের ভেতরে ও কম গতির রাস্তায় চলাচলের উপযোগী হবে। যেখানে সাধারণ গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ, কিন্তু সাইকেল বা স্কুটার চলাচল করতে পারে, এমন জোনেও চলতে পারবে এটি। এর মূল লক্ষ্য হলো ঘনবসতিপূর্ণ শহরাঞ্চলে গাড়ি ও অন্যান্য ছোট যাতায়াত মাধ্যমের বিকল্প হিসেবে কাজ করা।

যানটিতে নেই কোনো প্যাডেল। সম্পূর্ণভাবে হাতের নিয়ন্ত্রণে চলে। ফলে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরাও এটি ব্যবহার করতে পারবেন। শহরের ক্রমবর্ধমান যানজট ও পার্কিং সমস্যার মাঝে এটি হতে পারে একটি সম্ভাব্য বিকল্প।

টয়োটা বলেছে, ‘শহরগুলোর বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এফটি-মি একটি টেকসই, আধুনিক ও বহুমুখী সমাধান হবে। এটি মানুষ, পণ্য ও অন্যান্য পরিষেবার জন্য এক গতিশীল অর্থনীতি তৈরির দিকে আরও একটি পদক্ষেপ।’

এফটি-মি একবার চার্জে ১০০ কিমি পর্যন্ত চলতে পারবে, যা এটিকে দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। সৌর প্যানেলযুক্ত ছাদ থেকে এতে আরও অতিরিক্ত ৩০ কিলোমিটার রেঞ্জ পাওয়া যেতে পারে। যদিও এটি ইউরোপের কম সূর্যালোকপূর্ণ দেশগুলোতে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

মাইক্রোমোবিলিটির ভবিষ্যৎ
মাইক্রোমোবিলিটির ধারণাটি নতুন নয়। আশির দশকের ‘সিনক্লেয়ার সি৫’ কিংবা সাম্প্রতিক ‘সিট্রোয়েন অ্যামি’ এর মতো মডেল আগে এই ধারা শুরু করেছে। বর্তমান বাস্তবতায় সিট্রোয়েন অ্যামির মতো যানগুলো মাইক্রোমোবিলিটির এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে। ফরাসি এই মাইক্রোহ্যাচ রিচার্ড স্ক্যারি বইয়ের একটি গাড়ির মতো দেখতে, যা এই শ্রেণির যানের একটি সফল উদাহরণ। এটি ইউরোপের বাজারে দারুণ সাড়া ফেলেছে। এটি গাড়ি না হলেও মোটরসাইকেলের চেয়ে এমন যানের চাহিদা বেশি রয়েছে। বিএমডব্লিউর ছোট ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ‘সিই ০৪’ এখন এই মাইক্রোমোবিলিটি ট্রেন্ডের অংশ।

অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে টয়োটার এমন ইভি দেখার সম্ভাবনা কম, যেখানে বড় আকারের গাড়ির চাহিদা বেশি। তবে ইউরোপের শহরগুলোতে এই দশকের শেষ নাগাদ এই ধরনের যানবাহনের প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শহুরে পরিবহনের নতুন যুগে, বড় নয়, বরং ছোটই হতে পারে বড় সমাধান।

বাজাজের সিএনজিচালিত মোটরসাইকেল

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১০:০৯ এএম
বাজাজের সিএনজিচালিত মোটরসাইকেল
বাজাজের সিএনজিচালিত মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাজাজ এবার বাজারে আনতে চলেছে সিএনজিচালিত মোটরসাইকেল। জ্বালানিসাশ্রয়ী এই বাইকটি পরিবেশবান্ধব পরিবহনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কবে নাগাদ এই গ্যাসচালিত বাইক বাজারে আসবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

বাজাজ অটো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব বাজাজ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিএনজিচালিত মোটরসাইকেল তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতে সিএনজিচালিত গাড়ির ওপর বর্তমান জিএসটি (পণ্য ও পরিষেবা কর) কমিয়ে ১৮ শতাংশ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তার মতে, এটি সিএনজিচালিত যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

সিএনজিচালিত বাইকের পাশাপাশি বাজাজ শিগগিরই হাই-এন্ডের নতুন পালসার মডেল বাজারে আনছে। রাজীব বাজাজ জানিয়েছেন, নতুন পালসার মিড-সেগমেন্টে বাজাজের বাজারে অংশীদারত্ব ৩০ শতাংশ থেকে আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। বর্তমানে ১৫০ সিসি থেকে ২০০ সিসি বাইকের বাজার ভারতে দ্রুত বাড়ছে। নতুন পালসার এই ক্রমবর্ধমান বাজারে একটি বড় প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাজাজ পালসার শুধু ভারতে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশ, নেপাল, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, পেরু, মেক্সিকো, তুরস্ক, মিসর ও গুয়াতেমালার মতো দেশগুলোতেও পালসারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাজাজ পালসার সিরিজের অধীনে ১২৫ সিসি থেকে ২৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল বিক্রি করে থাকে, যা বিশ্বব্যাপী বাইকপ্রেমীদের কাছে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

/আবরার জাহিন

বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য নতুন ব্যাটারি আনছে ফোর্ড

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১০:১৬ এএম
বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য নতুন ব্যাটারি আনছে ফোর্ড
লিথিয়াম ম্যাঙ্গানিজ রিচ (এলএমআর) সেলযুক্ত ব্যাটারি তৈরি করছে ফোর্ড। ছবি: সংগৃহীত

বৈদ্যুতিক গাড়ির সক্ষমতা বাড়াতে এবং খরচ কমাতে নতুন ধরনের লিথিয়াম ম্যাঙ্গানিজ রিচ (এলএমআর) সেলযুক্ত ব্যাটারি তৈরি করছে আমেরিকান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, এই নতুন ব্যাটারি ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়ির কর্মক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ফোর্ডের ইলেকট্রিফাইড প্রপালশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক চার্লস পুন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের রোমুলাসে অবস্থিত আয়ন পার্ক ব্যাটারি গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্রে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে এলএমআর ব্যাটারি তৈরি করা হচ্ছে। ফোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এলএমআর ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব নিকেলযুক্ত ব্যাটারির তুলনায় বেশি, যার ফলে এটি বৈদ্যুতিক গাড়িকে আরও দীর্ঘ পথ চলতে সাহায্য করবে।

চার্লস পুন আরও উল্লেখ করেন, ফোর্ড প্রথমে নিকেল-ম্যাঙ্গানিজ-কোবাল্ট (এনএমসি) ব্যাটারি তৈরি করেছিল। এরপর ২০২৩ সালে লিথিয়াম-আয়রন-ফসফেট (এলএফপি) ব্যাটারি নিয়ে আসে। এবার তাদের লক্ষ্য এলএমআর ব্যাটারি। ফোর্ড এই দশকের মধ্যে এলএমআর ব্যাটারির উৎপাদন বাড়াতে চায়। তাদের ভবিষ্যৎ মডেলের গাড়িগুলোতে এই ব্যাটারি ব্যবহারের জন্য কাজ চলছে।
লিথিয়াম ম্যাঙ্গানিজ রিচ ব্যাটারির বিশেষত্ব

‘সায়েন্স ডাইরেক্ট’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, লিথিয়াম-সমৃদ্ধ ম্যাঙ্গানিজভিত্তিক ক্যাথোড উপকরণ প্রায় ৩০ বছর আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে। এই ব্যাটারিগুলোতে নিকেল ও কোবাল্টের অনুপস্থিতির কারণে এসব ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব বেশি হয়।

ফোর্ডের এই নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তি বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এটি গ্রাহকদের জন্য আরও সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘ পাল্লার বৈদ্যুতিক গাড়ির সুবিধা নিশ্চিত করবে।

বর্ষায় নিরাপদে বাইক চালাবেন যেভাবে

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
বর্ষায় নিরাপদে বাইক চালাবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

বর্ষায় বাইক চালানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ভেজা রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়, কমে যায় দৃশ্যমানতা, বাড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এ সময় বাইক চালাতে প্রয়োজন হয় বাড়তি সতর্কতার। আসুন জেনে নেওয়া যাক বৃষ্টির দিনে নিরাপদে বাইক চালানোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

বর্ষার আগে প্রস্তুতি
বর্ষা শুরু হওয়ার আগে বাইকের সম্পূর্ণ সার্ভিসিং করিয়ে নিন। বিশেষ করে ব্রেক, টায়ার, চেইন ও হেডলাইটগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। নিশ্চিত করুন ব্রেকগুলো ঠিকমতো কাজ করছে এবং ব্রেক অয়েল যথেষ্ট পরিমাণে আছে।

এ ছাড়া বৃষ্টির সময় বাইক চালানোর জন্য রেইন স্যুট, হেলমেটের সঙ্গে অ্যান্টি-ফগ গ্লাস ও ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভস ব্যবহার করুন। এগুলো শরীর শুষ্ক রাখতে ও দৃশ্যমানতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
বৃষ্টিতে বাইক চালানোর সময় করণীয়

গতি নিয়ন্ত্রণ: ভেজা রাস্তায় বাইকের গতি সবসময় কম রাখুন। বাঁক নেওয়ার সময় আরও গতি কমিয়ে আনুন। এতে নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি কমে যায়।
দূরত্ব বজায় রাখা: সামনের গাড়ি থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখুন। ভেজা রাস্তায় ব্রেক কষলে বাইক পিছলে যেতে পারে, তাই স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ব্রেকিং দূরত্ব রাখুন। হঠাৎ ব্রেক না কষে ধীরে ধীরে ব্রেক চাপুন। কারণ শুকনা রাস্তার মতো ভেজা রাস্তায় অতি সহজে বাইক থামানো যায় না।
হেলমেট ব্যবহার: সবসময় হেলমেট পরুন। বৃষ্টির সময় হালকা রঙের বা সাদা, হলুদ, কমলা ভাইজারযুক্ত হেলমেট ব্যবহার করলে দৃশ্যমানতা বাড়ে এবং চোখে বৃষ্টির ঝাপটা লাগে না। মনে রাখবেন, চালক ও আরোহী উভয়ের জন্য হেলমেট পরা আইনত বাধ্যতামূলক।
হেডলাইট জ্বালানো: বৃষ্টির সময় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন। এতে অন্য চালকরা আপনাকে সহজে দেখতে পাবে এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে।
রেইনকোট ব্যবহার: ছাতা হাতে বাইক চালানো বিপজ্জনক, তাই রেইনকোট ব্যবহার করুন। এটি বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দেবে এবং বাইক চালানো সহজ করবে।

বাইকের বাড়তি যত্ন
চেইন পরীক্ষা: বৃষ্টির পানিতে চেইনে মরিচা পড়তে পারে বা ময়লা জমতে পারে। তাই নিয়মিত চেইন পরিষ্কার করুন এবং লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করুন।
টায়ার পরীক্ষা: ভালো মানের টায়ার বাইকের রোড গ্রিপ বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ভেজা রাস্তায় ব্রেক কষলেও চাকা পিছলে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
অ্যাকুয়াপ্ল্যানিং এড়িয়ে চলুন: অ্যাকুয়াপ্ল্যানিং হলো এমন একটি অবস্থা, যখন টায়ার পানির ওপর ভাসতে থাকে এবং রাস্তার সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে যায়। এটি এড়াতে গতি কমিয়ে চালান এবং গভীর পানি জমে থাকা রাস্তা এড়িয়ে চলুন।

সঠিক প্রস্তুতি ও সতর্কতা মেনে চললে বর্ষার দিনেও বাইক চালানো হয়ে উঠতে পারে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।