ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বৈদ্যুতিক গাড়ি কি সত্যিই পরিবেশবান্ধব?

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
বৈদ্যুতিক গাড়ি কি সত্যিই পরিবেশবান্ধব?

জ্বালানিসাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের সব বড় বড় গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির দিকে ঝুঁকছে। এ ধরনের যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় না বলে পরিবেশবান্ধব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় বাতাসে বেশি বিষাক্ত কণা নিঃসরণ করে, যা গ্যাসচালিত গাড়ির তুলনায় পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।

এ বিষয়ে ‘এমিশন অ্যানালিটিকস’ নামে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল ২০২২ সালে প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্টদের নজরে এড়িয়ে যায়। তবে এই গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করে সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক গাড়ির চাকা ও ব্রেক গ্যাসচালিত গাড়ির টেইলপাইপের তুলনায় ১ হাজার ৮৫০ গুণ বেশি ক্ষতিকর কণা বাতাসে নিঃসরণ করে। টেইলপাইপে ফিল্টার থাকায় গ্যাসচালিত গাড়ি তুলনামূলক কম ক্ষতিকর কণা নির্গত করে। ব্যাটারির কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ির ওজন সাধারণ গ্যাসচালিত গাড়ির তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। এর ফলে টায়ার ও ব্রেক দ্রুত ক্ষয় হয় এবং বাতাসে বিষাক্ত কণার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

গবেষণাটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেশাম রাখা বলেন, ‘গবেষণার তথ্য আংশিকভাবে সঠিক। বৈদ্যুতিক গাড়ির ওজন বেশি হওয়ার কারণে এর চাকা থেকে বাতাসে বেশি পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক নির্গত করে। তবে এসইউভি গাড়ির ক্ষেত্রেও এটি হয়ে থাকে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ির চাকা থেকে ঠিক কী পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক নিঃসরণ হয়, তা জানা বেশ কঠিন কাজ।’ তার ধারণা, বাতাসে বিষাক্ত কণা নির্গমনের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ির মধ্যে পার্থক্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ি থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত কণার পরিমাণ শনাক্তের জন্য নতুন করে গবেষণা শুরু করেছে ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে নতুন গবেষণার ফলাফলের অপেক্ষা করছে বিশ্ব।

এ.জে/জাহ্নবী

বিশ্বের প্রথম আধুনিক সুপার কার

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
বিশ্বের প্রথম আধুনিক সুপার কার
মার্সিডিজ বেঞ্জ ৩০০ এসএল গালউইং। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের প্রথম আধুনিক সুপার কার তৈরি করেছিল জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেঞ্জ। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে ‘ডব্লিউ ১৯৪’ মডেলের স্পোর্টস গাড়ি বাজারে আনে। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি আমদানিকারক ম্যাক্সিমিলিয়ান হফম্যান তৎকালীন মার্সিডিজ গাড়ির নির্মাতা ডাইমলার বেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদকে পরবর্তী সংস্করণের রেসিং স্পোর্টস গাড়ি তৈরির অনুরোধ জানায়।

একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রির জন্য ১ হাজার গাড়ি কেনার অগ্রিম অর্ডার দেন। হফম্যানের এ প্রস্তাবের মাত্র পাঁচ মাস পর ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাজারে আসে মার্সিডিজ বেঞ্জ ৩০০ এসএল গালউইং। বিশ্বের প্রথম আধুনিক সুপার কার হিসেবে এটি স্বীকৃতি পায়। গাড়িটি নিউইয়র্কের ইন্টারন্যাশনাল মোটর স্পোর্টস শোতে প্রদর্শন করা হয়।

নকশায় ও আভিজাত্যে গাড়ির স্পেসিফিকেশন সেই সময় অবাক করে দেয় ৩০০ এসএল গলউইং। তথ্যমতে, ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত উৎপাদন হওয়া এসএল গলউইংয়ের ৮০ শতাংশ গাড়িই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয়েছে। ক্রেতাদের তালিকায় ছিলেন সে সময়কার তারকারাও।

এই গাড়িই বিশ্বের প্রথম ফোর স্ট্রোক যাত্রীবাহী গাড়ি। ২১৫ এইচপি বা ১৫৮ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়িটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এটিই সে সময়ের দ্রুততম গতির গাড়ি ছিল। শুধু গতি বা চোখধাঁধানো নকশা নয়, গাড়িটির ওজনও ছিল বেশ কম, যা মাত্র ৫০ কেজি। গাড়ির ওজন কমাতে গাড়িতে ব্যতিক্রম ধরনের দরজা ব্যবহার করা হয়। প্রচলিত দরজার চেয়ে ভিন্নধর্মী এ দরজা ওপর থেকে খুলে যেত। এ কারণে গাড়ির নামকরণ করা হয় গলউইং। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে এই গাড়িকে স্পোর্টস কার অব দ্য সেঞ্চুরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।  সূত্র: মার্সিডিজ বেঞ্জ

/আবরার জাহিন

শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি বুগাটি ট্যুরবিলন

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি বুগাটি ট্যুরবিলন
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে নতুন হাইপার কার উন্মোচন করেছে বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি বুগাটি। ২০১৬ সালের পর সম্প্রতি উন্মোচিত বুগাটির প্রথম নতুন মডেলটি হচ্ছে ‘বুগাটি ট্যুরবিলন ২০২৬’। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি। গাড়িটির বড় বিশেষত্ব হলো এর শক্তিশালী ১৮০০ হর্স পাওয়ারের (এইচপি) ইঞ্জিন। একটা স্পোর্টস কারে যেসব ফিচার থাকে, তার সবই রয়েছে এই মডেলে।

২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে এ গাড়িটি। যেমন আধুনিক ডিজাইন, তেমনই তাক লাগানো ইঞ্জিন রয়েছে গাড়িটিতে। এই হাইপার কার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইব্রিড গাড়ি বলে দাবি করেছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে সংস্থাটির অন্যতম জনপ্রিয় সুপারকার ‘বুগাটি চিরন সুপার স্পর্ট’, যার সর্বোচ্চ গতি ৪৮৯ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। এই হাইপার কার মাত্র ২ দশমিক ২ সেকেন্ডে  প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে। এই গাড়ির তুলনায় গতির দিকে পিছিয়ে রয়েছে বুগাটি ট্যুরবিলন। তবে এটি পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে।

ডিজাইনের দিক থেকেও নতুনত্ব রয়েছে বুগাটি ট্যুরবিলনে। হাইপার কারটির সামনের দিকে একটি বড় গ্রিল রয়েছে। এর দুই পাশে রয়েছে কোয়াড এলইডি হেডল্যাম্প। পাশের দিকেও যোগ হয়েছে নজরকাড়া নতুন নকশা। পেছনে আর মাঝে বুগাটি অক্ষরসহ চওড়া একটি এলইডি টেললাইট রয়েছে।

বুগাটির নতুন এই গাড়ির ভেতরে সম্পূর্ণ নতুন কেবিন এবং ড্যাশবোর্ড লেআউট রয়েছে। সুইস ঘড়ি নির্মাতাদের সহায়তায় ডিজাইন করা হয়েছে ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। বুগাটি জানিয়েছে, এই ক্লাস্টার ৬০০টিরও বেশি অংশ দিয়ে তৈরি। টাইটানিয়ামের পাশাপাশি এতে ব্যবহার করা হয়েছে নীলকান্তমণি ও রুবির মতো মূল্যবান রত্নপাথর। এ ছাড়া সেন্টার কনসোলটি পলিশ করা ক্রিস্টাল গ্লাস ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। গাড়ির ভেতরে দেখতে রেট্রো ডিজাইন।

আকর্ষণীয় ডিজাইনের সঙ্গে বুগাটি ট্যুরবিলন হাইপার কারের রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ট্যুরবিলনে প্রতি ঘণ্টায় ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করতে সময় লাগে মাত্র ২ সেকেন্ড। প্রতি ঘণ্টা ২০০ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করে মাত্র ৩ সেকেন্ডে।

ট্যুরবিলনে রয়েছে একটি ৮ দশমিক ৩ লিটারের ভি১৬ হাইব্রিড ইঞ্জিন। এর আইস ইঞ্জিন একাই ১০০০ হর্স পাওয়ার এবং ৯০০ এনএম টর্ক তৈরি করে। ইঞ্জিনের সঙ্গে তিনটি বৈদ্যুতিক মোটর সংযুক্ত করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ সেটআপের মাধ্যমে হাইপার কার মোট ১৮০০ হর্স পাওয়ার শক্তি উৎপন্ন করে। গাড়িতে ইলেকট্রিক উৎস হিসেবে রয়েছে ২৫ কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক।
নতুন পাওয়ারট্রেনটি একটি এইট-স্পিড ডুয়াল-ক্লাচ অটো গিয়ারবক্সের সঙ্গে সংযুক্ত। বুগাটি দাবি করেছে, শুধু ২ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১০০কিলোমিটার নয়, ০ থেকে ২৯৯ কিলোমিটার গতি উঠতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় নেয় ট্যুরবিলন। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৪৫ কিলোমিটার।

গাড়ির ডাউনফোর্স বাড়ানোর জন্য এতে একটি বিশেষ চাবি রয়েছে। এটি প্রয়োগ করে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪৫ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করতে পারে। তবে এই পারফরম্যান্স পুরোটাই পাওয়া যাবে পেট্রল ইঞ্জিন থেকে। গাড়িটি যদি শুধু ইলেকট্রিক মোডে চালানো হয়, তা হলে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। তবে এতে বিশেষ ফাস্ট চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। এর মাধ্যম অল্প কয়েক মিনিটেই গাড়ি ফুল চার্জ করা যাবে।

বুগাটি ট্যুরবিলনের দাম শুরু হয়েছে ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার থেকে। প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ২৫০ ইউনিট এই মডেলের গাড়ি তৈরি করবে। ২০২৬ সালের প্রথম দিকে গাড়িগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ শুরু করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: সিএনএন 

/আবরার জাহিন

শহুরে যানজটের সহজ সমাধান স্কুটার

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
শহুরে যানজটের সহজ সমাধান স্কুটার
ছবি: সংগৃহীত

যানজটের কবলে পড়ে শহুরে জীবন হয়ে উঠেছে বিরক্তিকর। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই বিকল্প যানবাহনের কথা ভাবছেন। আর এ ক্ষেত্রে স্কুটার হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় একটি বিকল্প বাহন। শহরের যানজটে আটকে থাকার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এখন স্কুটার ব্যবহার করছেন। নারী-পুরুষ সকলের কাছেই সহজ বাহন হিসেবে স্কুটার দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। হালকা ও চালানো সহজ এই বাহনের উল্লেখযোগ্য সুবিধা তুলে ধরা হলো আজকের আয়োজনে।

চালানো সহজ
স্কুটার চালানো অত্যন্ত সহজ। বাইকের মতো গিয়ার ও ক্লাচের ঝামেলা নেই। যারা সাইকেল চালাতে জানেন, তাদের জন্য স্কুটার শেখা আরও সহজ হবে। ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলেই মূলত স্কুটার চালানো শেখা শেষ। রাস্তায় চলাচলের অভ্যাস অর্জনে কিছুদিন সময় লাগবে।

আরামদায়ক
স্কুটারে আরাম করে বসা যায়। সামনের আসনে পা রাখার জন্য প্রশস্ত জায়গা রয়েছে। পেছনের আসনের যাত্রীও সহজে এই বাহনে চড়তে পারেন। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য স্কুটার বাইকের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। কারণ বাইকের পেছনের আসন অনেক সময় সরু ও উঁচু হয়, যা বয়স্কদের জন্য চড়তে অসুবিধাজনক হয়। 

নিরাপদ
বাইকের তুলনায় স্কুটার নিরাপদ কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সাধারণভাবে স্কুটারকে বেশি নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া হয়। কারণ স্কুটারের গতি বাইকের তুলনায় কম থাকে, যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমায়। স্কুটারে পা রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকে, যা দুর্ঘটনার সময় আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। বাইকে পা রাখার জন্য এমন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। এর উচ্চতা কম থাকে, এজন্য বাইকের তুলনায় সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে স্কুটারে বাইকের তুলনায় সুরক্ষা সরঞ্জাম কম থাকে। স্কুটার বাইকের তুলনায় নিরাপদ হতে পারে, তবে সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করা এবং সাবধানে চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জায়গা
স্কুটারে সিটের নিচে এবং পায়ের কাছে বেশ জায়গা থাকে। সিটের নিচের অতিরিক্ত জায়গায় হেলমেট রাখা যায়। পায়ের কাছে জিনিসপত্র বহন করাও সুবিধাজনক। তবে বাজারে কিছু স্পোর্টি স্কুটার এসেছে, যেগুলোতে পায়ের কাছে জায়গা থাকে না।

ভ্রমণ
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশে ভ্রমণের জন্য স্কুটারের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে স্কুটারে দেশের ভেতর ও বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে অর্থ ও সময় দুটোই বাঁচবে।

যানজটের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে ঝামেলামুক্ত যাতায়াতের জন্য স্কুটার একটি আদর্শ সমাধান হতে পারে। চালানো সহজ, আরামদায়ক, নিরাপদ ও ভ্রমণ উপযোগী এই সকল দিক বিবেচনা করে শহুরে জীবনে স্মার্ট সমাধান স্কুটার।

/আবরার জাহিন

 

বাজাজের বিশ্বের  প্রথম সিএনজিচালিত মোটরবাইক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
বাজাজের বিশ্বের  প্রথম সিএনজিচালিত মোটরবাইক
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় মোটরবাইক নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বাজাজ বিশ্বের প্রথম সিএনজিচালিত বাইক উন্মোচন করেছে। ‘বাজাজ ফ্রিডম ১২৫ সিএনজি’ নামে বাজাজ এটিকে পরিচয় করিয়েছে। এই বাইক ঘিরে বাইকপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। কোনো স্টাইলিশ গঠন কিংবা অন্য কিছু নয়। এই বাইক ঘিরে আগ্রহের মূল কারণ এটি সিএনজি অর্থাৎ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসে চালানো যাবে। এই জ্বালানির মূল্য পেট্রলের থেকে অনেক কম। ফলে জ্বালানি বাবদ খরচ সাশ্রয় হবে।

ফ্রিডম সিএনজি বাইকে রয়েছে ১২৫ সিসি এয়ার কুলড সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এটি সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ হর্সপাওয়ার এবং ৯ দশমিক ৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। ইঞ্জিনটি একটি ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বাইকটির ইঞ্জিন ১২৫ সিসির হলেও পারফরম্যান্স দেবে ১০০ সিসির। এটি একটি বাই-ফুয়েল মোটরসাইকেল। অর্থাৎ বাইকটিতে দুই ধরনের জ্বালানির সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি সিএনজির পাশাপাশি পেট্রলেও চলবে। পেট্রল ও সিএনজি জ্বালানির বিকল্প খুব সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব। বাইকটির বাঁ দিকের হ্যান্ডেলবারে এই জন্য একটি সুইচ দেওয়া হয়েছে। এক সুইচেই সিএনজি থেকে পেট্রোলে চালানো যায় এই বাইক।

বাইকটিতে সিএনজি সিলিন্ডার কোথায় রয়েছে অনুমান করা কঠিন। এই বাইকের জন্য বাজাজ একটি ইউনিক দুই কেজি সিএনজি ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক ডিজাইন করেছে, যা এটির সিটের নিচে রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে একটি দুই লিটার ধারণক্ষমতার পেট্রল ট্যাঙ্ক। 
বাজাজের দাবি, ফ্রিডম ১২৫ সিএনজিতে ২১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। পেট্রোল ট্যাঙ্কে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। সম্মিলিতভাবে এই বাইকের রেঞ্জ হবে ৩৩০ কিলোমিটার।

বাজাজের এই নতুন সিএনজিচালিত বাইক একটি ট্রেলিস ফ্রেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা এই সেগমেন্টে প্রথম। সামনে রয়েছে টেলিস্কপিক ফর্ক ও মোনো শক রিয়ার সাসপেনশন। ফ্রন্টে ১৭ ইঞ্চি টায়ারটিতে একটি ২৪০ মিলিমিটারের ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। বাইকটির হুইলবেস ১৩৪০ মিলিমিটার, সিটের উচ্চতা ৮২৫ মিলিমিটার ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৭০ মিলিমিটার। এই বাইকে সামনে রাউন্ড হেডল্যাম্প, ব্লুটুথ, ডিজিটাল মিটার এবং রিভার্স এলইডি কনসোলের মতো অত্যাধুনিক ফিচারও রয়েছে। এতে রয়েছে এলইডি হেডলাইট।

এই বাইকে ৭৮৫ মিলিমিটার দীর্ঘ সিট রয়েছে। বাইকটির মজবুত ট্রেলিস ফ্রেম, এটিকে হালকা ও শক্তিশালী করেছে। কোম্পানি বলছে, বাইকটি ইন্ডাস্ট্রির ১১টি বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, এটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করে তুলেছে। বাইকটিকে সামনে, পাশ, ওপর থেকে এমনকি ট্রাকের নিচে পিষ্ট করেও পরীক্ষা করা হয়েছে।

তিনটি সংস্করণে পাওয়া যাবে হাইব্রিড বাইকটি। সংস্করণগুলো হলো ড্রাম, ড্রাম এলইডি ও ডিস্ক এলইডি। বেসিক সংস্করণের দাম ধরা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৯৫ হাজার রুপি এবং টপ-এন্ড সংস্করণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার রুপি।

বাজাজের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে ভারতে ফ্রিডম ১২৫-এর বুকিং শুরু হয়েছে। এই মোটরসাইকেল প্রথমে দেশটির গুজরাট ও মহারাষ্ট্র রাজ্যে বিক্রি শুরু হবে, এর পর পাওয়া যাবে গোটা ভারতে। বাজাজ এই সিএনজিচালিত বাইক মিসর, তানজানিয়া, পেরু, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করবে।। মোট সাতটি রঙে এই বাইক পাওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যারিবিয়ান ব্লু, এবোনি ব্ল্যাক-গ্রে, পিউটার গ্রে-ব্ল্যাক, রেসিং রেড, সাইবার হোয়াইট, পিউটার গ্রে-ইয়েলো, আবলুস কালো-লাল রং। বাজাজ দাবি করছে, এই বাইক চলানোর খরচ যেকোনো পেট্রলচালিত বাইক থেকে অনেক কম হবে। দৈনিক ব্যবহারের সময় এর অপারেশন খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যাবে। এতে বাইকটি ৫ বছর ব্যবহারে প্রায় ৭৫ হাজার রুপি সাশ্রয় হবে।

/আবরার জাহিন

নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ির ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করবে ফেরারি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ির ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করবে ফেরারি
ফেরারি। ছবি: সংগৃহীত

বিলাসবহুল স্পোর্টস গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেরারি গাড়ির কার্যক্ষমতা ও বাজারমূল্য ধরে রাখতে ব্যাটারি প্রতিস্থাপন প্রকল্প চালু করেছে। গত সোমবার ব্যাটারি প্রতিস্থাপন প্রকল্পের ঘোষণা দেয় ফেরারি।

হাইব্রিড মডেলের গাড়ির জন্য দুটি নতুন ওয়ারেন্টি সেবার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফেরারি। এর আওতায় নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ির ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন হাইব্রিড গাড়ির মালিকরা। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ফেরারি গাড়ির পুনঃবিক্রয় মূল্য ধরে রাখতে সাহায্য করা। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের গাড়ির ব্যাটারির সক্ষমতা কমে যায়। আর বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম নির্ধারণে প্রাধান্য পায় ব্যাটারি।

ফেরারি জানিয়েছে, তাদের নতুন ওয়ারেন্টি সেবা হাইব্রিড ও পাওয়ার হাইব্রিড প্রোগ্রামের আওতায় গাড়িগুলোতে অষ্টম ও ১৬তম বছরে হাইভোল্টেজ ব্যাটারি প্যাক প্রতিস্থাপন করবে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি হাইব্রিড পাওয়ার ট্রেনের যন্ত্রাংশের জন্য পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি সেবা চালু করেছে।

স্পোর্টস গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, এই দুটি সেবা পরবর্তী মালিকের কাছে স্থানান্তরযোগ্য হবে। অর্থাৎ ওয়ারেন্টির সময়কালের মধ্যে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন হলেও পরবর্তী যেকোনো মালিক সেবাগুলো ফেরারির কাছে থেকে পাবেন। এটি দীর্ঘ মেয়াদে হাইব্রিড ফেরারি গাড়িগুলোর কার্যকারিতা ও উৎকর্ষ ধরে রাখতে চালু করেছে। ফেরারি আরও বলেছে, ভবিষ্যতে ব্যাটারি প্রযুক্তি উন্নত করতে প্রতিস্থাপিত এইচভিবি ব্যাটারির নতুন ও আধুনিক উপাদান হবে, যা মূল ব্যাটারির মতো একই কার্যকারিতা নিশ্চিত করবে।

এই প্রোগ্রামগুলো পুরো গাড়ি এবং গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার ট্রেন উপাদানগুলোর জন্য ওয়ারেন্টি দেবে। এগুলো দুই থেকে চার বছরের জন্য নবায়নযোগ্য প্যাকেজে যাবে। 
গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার জন্য খরচ হবে প্রায় ৭ হাজার ইউরো বা মার্কিন মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৫৩০ ডলার। এই সুবিধা আগামী বছরে আসন্ন ফেরারির সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক মডেলেও পাওয়া যাবে।

ফেরারি পেট্রল ইঞ্জিনের জন্য বিখ্যাত। তবে ২০১৯ সাল থেকে হাইব্রিড বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করছে। ২০২৫ সালের শেষের দিকে তাদের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

/আবরার জাহিন