![বৈদ্যুতিক গাড়ি কি সত্যিই পরিবেশবান্ধব?](uploads/2024/03/15/1710478791.a6.jpg)
জ্বালানিসাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের সব বড় বড় গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির দিকে ঝুঁকছে। এ ধরনের যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় না বলে পরিবেশবান্ধব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় বাতাসে বেশি বিষাক্ত কণা নিঃসরণ করে, যা গ্যাসচালিত গাড়ির তুলনায় পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।
এ বিষয়ে ‘এমিশন অ্যানালিটিকস’ নামে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল ২০২২ সালে প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্টদের নজরে এড়িয়ে যায়। তবে এই গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করে সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক গাড়ির চাকা ও ব্রেক গ্যাসচালিত গাড়ির টেইলপাইপের তুলনায় ১ হাজার ৮৫০ গুণ বেশি ক্ষতিকর কণা বাতাসে নিঃসরণ করে। টেইলপাইপে ফিল্টার থাকায় গ্যাসচালিত গাড়ি তুলনামূলক কম ক্ষতিকর কণা নির্গত করে। ব্যাটারির কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ির ওজন সাধারণ গ্যাসচালিত গাড়ির তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। এর ফলে টায়ার ও ব্রেক দ্রুত ক্ষয় হয় এবং বাতাসে বিষাক্ত কণার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
গবেষণাটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেশাম রাখা বলেন, ‘গবেষণার তথ্য আংশিকভাবে সঠিক। বৈদ্যুতিক গাড়ির ওজন বেশি হওয়ার কারণে এর চাকা থেকে বাতাসে বেশি পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক নির্গত করে। তবে এসইউভি গাড়ির ক্ষেত্রেও এটি হয়ে থাকে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ির চাকা থেকে ঠিক কী পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক নিঃসরণ হয়, তা জানা বেশ কঠিন কাজ।’ তার ধারণা, বাতাসে বিষাক্ত কণা নির্গমনের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ির মধ্যে পার্থক্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি ও গ্যাসচালিত গাড়ি থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত কণার পরিমাণ শনাক্তের জন্য নতুন করে গবেষণা শুরু করেছে ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে নতুন গবেষণার ফলাফলের অপেক্ষা করছে বিশ্ব।
এ.জে/জাহ্নবী