জাপানের গাড়ি নির্মাতা দুই প্রতিষ্ঠান হোন্ডা ও নিশান যৌথভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তির উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি একে অপরের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিতে এ চুক্তি করেছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখে দেশটির রাজধানী টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে নিশান ও হোন্ডার প্রধান নির্বাহীরা একসঙ্গে উপস্থিত হয়ে এ ঘোষণা দেন।
তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি মানতে কারও কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। এখনই বিশদভাবে চুক্তিটি চূড়ান্ত করা হচ্ছে না। কোম্পানিগুলো একসঙ্গে মূল প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করবে, তবে তাদের পণ্যগুলো আলাদা থাকবে।
নিশানের প্রধান নির্বাহী মাকোতো উচিদা বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনের গতি খুবই জরুরি। হোন্ডা ও নিশানের মধ্যে একই ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমরা এই চুক্তিতে পৌঁছেছি, এটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
হোন্ডার প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো মিবে বলেছেন, ‘কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাধারণ মূল্যবোধ রয়েছে। আমরা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’
এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে নতুন এক লড়াইয়ে নামছে। ইভির মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবনকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে কৌশলগত অংশীদারত্ব গড়েছে তারা। প্রতিষ্ঠান দুটি সহযোগিতার অংশ হিসেবে গাড়ির উপাদান ও নতুন সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করবে। চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে জাপানের এই দুই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কৌশলগত এ অংশীদারত্ব গঠন করেছে। এ ঘোষণার মধ্যদিয়ে গাড়ি তৈরির খরচ কমাতে ও বাজারে প্রভাব বাড়াতে চায় তারা।
বিওয়াইডি ও লি অটোর মতো চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে ইভির বাজার দখল করেছে। নিশান প্রথম থেকে ইভি নিয়ে কাজ করলেও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে। ২০০৯ সালে নিশান সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে লিফ মডেল নকশা করে ও বাজারজাত করে।
মাকোতো উচিদা আরও বলেন, উদীয়মান গাড়ি নির্মাতারা খুব আগ্রাসী ও অবিশ্বাস্য গতিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারজাতে কাজ করছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আগের ধারণা নিয়ে খুব বেশি এগোনো যাবে না।
রেনল্ট ও মিতসুবিশি মোটরসের সঙ্গে নিশানের বিদ্যমান সম্পর্ক থাকলেও নতুন চুক্তি তেমন প্রভাব পড়বে না। হোন্ডা ২০৪০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহন ও তেলনির্ভর গাড়ি তৈরির অনুপাত সমান করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এ.জে/জাহ্নবী