তীব্র তাপপ্রবাহে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনের, তখন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের জীবনে অল্প সময়ের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০ সেশনের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মোল্লা সাগর। তীব্র গরমের মধ্যে বোতলজাত ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নেন তারা। প্রতিদিন ৩৬০ বোতল পানি ও একই পরিমাণে স্যালাইন বিতরণ করে আসছেন তারা। শিক্ষার্থীরা টিউশনি ও হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে ছিন্নমূল-খেটে খাওয়া লোকদের পানি-স্যালাইন বিতরণ করছেন। যতদিন না বৃষ্টি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালানোর ইচ্ছা রয়েছে তাদের।
তীব্র তাপপ্রবাহে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকায় অনলাইনে ক্লাস চলছে ঢাবিতে। ঢাকায় গরমের তীব্রতা একটুও কমেনি। আর তাই মানবিকতাবোধ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল, শহিদ মিনার, ভিসি চত্বর, শাহবাগসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় রোদের খরতাপে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি-স্যালাইন বিতরণ করতে দেখা গেছে এই শিক্ষার্থীদের। মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন তারা।
এ উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাহিদ হাসান বলেন, অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকায় গরমে শিক্ষার্থীদের কিছুটা স্বস্তি মিললেও শহরের খেটে-খাওয়া মানুষ বেশ কষ্টে দিন পার করছে। মূলত সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্যই এ উদ্যোগ হাতে নেওয়া। আমরা প্রতিদিন ৩৬০টি বোতলজাত ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় রিকশাচালক ও পথচারী- যারাই আসেন তাদের মধ্যে এসব বিতরণ করছি।
আরেক শিক্ষার্থী মোল্লা সাগর বলেন, তীব্র গরমে রাস্তায় বের হওয়া পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করে যাচ্ছি। এই খাবার পানি ও স্যালাইন হয়তো খুব বড় কিছু না, তবে এই গরমে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের পানিশূন্যতা দূর করার জন্য যথেষ্ট। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।’
কলি