বাঙালি জাতির আবেগ-অনুভূতি জড়িয়ে আছে প্রকৃতির রানিখ্যাত সুন্দরবনের সঙ্গে। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, সুন্দরবনের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, রকমারি গাছপালা, বন্য পশুপাখি, গা ছমছম পরিবেশের সঙ্গে সম্প্রতি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। সুন্দরবনের এই বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
উপভোগের পাশাপাশি স্থানগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে ও নিজেদের স্মৃতিপটে তা ধারণ করতে নোট করা, ছবি তোলা, ডকুমেন্টারি বানানো, প্রকৃতির মাঝে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাসহ ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতাকে নিজেদের মোবাইল, ক্যামেরা ও ল্যাপটপে সংরক্ষণ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের নোট, ছবি, ডকুমেন্টারিতে স্থান পেয়েছে সুন্দরবনের কটকা, জামতলা, কচিখালি, ডিমের চর, করমজল, দুবলার চর, সি বিচ, আন্ধারমানিকের মতো দৃষ্টিনন্দন জায়গা। রূপসা নদীর জলে সিঁদুর রং মাখানো আকাশের প্রতিচ্ছবি, পাখিদের চমৎকার আবাসস্থল, চতুর্দিকে সুন্দরী গাছের ছড়াছড়ি এবং প্রকৃতির সাজ ও রূপের দর্শনে আবেগাপ্লুত হন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া হরিণ ও কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র, লবণাক্ত পানির কুমির, ডুব হাঁস, বানর, গুইসাপ, শিয়াল, নদীতে ডলফিনের লাফালাফি ছিল শিক্ষার্থীদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতার ছোঁয়া।
রোমাঞ্চকর এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে শিক্ষার্থীদের জীবনের পাথেয় বলে মনে করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম। সুন্দরবনের নতুন এই অভিজ্ঞতার ছোঁয়া পেয়ে খুশি তাজমুল হক জায়িম, রাকিব রিফাত, মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ, ইমরান মাহমুদ, নিয়ামতুল্লাহ মুনিম, জুয়েল রানা, মাহমুদুল হাসান, মোর্শেদ মামুন, ইদুল হাসান, জামাল উদ্দিন, আবু ওবায়দা, তানিম আহমেদ ও আনিসুর রহমান।
সুন্দরবনের অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
কলি