চলতে চলতেই পথ তৈরি করেছেন তিনি। তাই কোনো বাধাই তার কাছে বাধা নয়। নিজেকেও এমনভাবে তৈরি করেছেন যাতে অন্যের জন্য কিছু করা যায়। তা কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। একে তো তিনি ছিলেন রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। তার ওপর মাত্র আট মাস বয়সে পোলিও আক্রান্ত হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার। শারীরিক অবস্থা মেনে নিয়েই ছোটবেলা থেকে আঁখি সিদ্দিকা নিজেকে স্বাবলম্বী নারী হিসেবে গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন মায়ের সহযোগিতায়। এই সংগ্রামী নারীর গল্প জানাচ্ছেন সুলতানা লাবু
নিজেকে স্বাবলম্বী নারী হিসেবে তৈরি করা
পরিবারে সবার অমতে স্কুলে ভর্তি করালেও পঞ্চম শ্রেণির পর লেখাপড়া বন্ধের সিদ্ধান্ত এল। তাকে লেখাপড়া করানো মানে অহেতুক টাকা-পয়সা নষ্ট করা। অথচ রেজাল্ট তার বরাবরই ভালো। সবসময় ক্লাসে প্রথম হতেন। তবুও বন্ধ হয়ে গেল লেখাপড়ার খরচ। কিন্তু লেখাপড়া তিনি বন্ধ করলেন না। খরচ জোটাতে নেমে পড়লেন মা-মেয়ে। কাগজের খরচ বাঁচাতে প্রথমে পেনসিল দিয়ে খাতায় লিখতেন। তারপর এর ওপর কলম দিয়ে লিখতেন। খাতার ব্যবহার কিন্তু তখনো শেষ হয়নি। সেই কাগজ দিয়ে ঠোঙা বানিয়ে বিক্রি করতেন। সে টাকা দিয়ে আবার নতুন খাতা কেনা হতো। ধীরে ধীরে ওপরের ক্লাসে উঠতে থাকলেন। খরচও বাড়তে থাকল। যা আয় হতো তা দিয়ে লেখাপড়ার পুরো খরচ চলছিল না। তাই বাড়ির বারান্দায় তিনটা বেঞ্চ পেতে চক আর ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে একটা কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থা করলেন। সাইন বোর্ডে বড় করে লিখলেন ‘আত্মবিশ্বাস কোচিং সেন্টার’। সঙ্গে একটা স্লোগানও লিখে দিলেন। ‘মেধা তোমাদের, বিকশিত করার দায়িত্ব আমার’। তখন তিনি সপ্তম শ্রেণিতে পড়েন। কোচিং থেকে প্রথম আয় হলো ১০ টাকা। কোচিংয়ের আয় দিয়ে চলতে লাগল নিজের খরচ। সেই সঙ্গে ছোট বোনের খরচ, বাগান করার খরচ, এমনকি ছয়টি মুরগিও কিনে ফেললেন। দশম শ্রেণিতে উঠে মায়ের সঙ্গে সেলাই শিক্ষা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়ে কিনে ফেললেন সেলাই মেশিন। মাছ আর মুরগির খামারের ওপর একটা প্রশিক্ষণও নিয়ে ফেললেন তিনি। তার এগিয়ে চলার খবর জেনে গেল সিটি করপোরেশন। আর তখনই তিনটি স্কুলের দায়িত্ব পেলেন তিনি। একটি হলো বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র- ‘মুকুলিত খুলনা’, একটি হার্ড টু রিচ প্রোগ্রামের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের, আরেকটি হলো একটি এনজিওর পথশিশুদের স্কুল। বাড়িতে ঘর তুলেই স্কুলগুলো চালাতে শুরু করলেন। আর নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন।
শিক্ষার মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করা
নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার কাজটিও শুরু করেছিলেন নিজের ঘর থেকেই। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া ছোট বোনোর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়ে ভর্তি করালেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকি ভাইবোনদেরও একে একে বাংলা মিডিয়ামের সাধারণ লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনলেন। অনার্স প্রথমবর্ষেই ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) যোগদান করেন। চাকরির পাশাপাশি নিজের লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন। তারপর ধীরে ধীরে কাজ শুরু করলেন সমাজের অসহায় অন্য নারীদের নিয়ে।
গ্রামের নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা
সুন্দরবনের ঢাংমারি গ্রামের নারীরা মাছ ধরার কাজ করত। কিন্তু মাছ ধরতে গিয়ে লবণ পানিতে নারীদের জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি ভাবলেন জীবিকার জন্য যেহেতু তাদের কাজ করতেই হচ্ছে, সেহেতু মাছ ধরার বাইরে তাদের অন্য কাজে যুক্ত করতে হবে। ‘গ্রিন ভয়েস’ নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামের নারীদের জন্য সেলাই মেশিন কেনার ব্যবস্থা করলেন। গ্রামের একটি মেয়ে সেলাই কাজ জানত। তাকে নিয়েই কাজ শুরু করলেন। তিনি তাদের জন্য একটা নিয়ম তৈরি করে দিলেন। সেলাই কাজ করে তার এবং তার সহযোগিতাকারীদের যে টাকা লাভ হবে, তা তারা সবাই ভাগ করে নেবে এবং লাভের একটা অংশ জমিয়ে তারা আরেক নারীকে সেলাই মেশিন কিনে দেবে। এভাবে গ্রামের নারীরা অন্য কাজে যুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে শুরু করে। এরপর সেই গ্রামে ইকো রিসোর্ট তৈরি করে নারীদের নানা কাজে যুক্ত করতে শুরু করেন। কর্মসংস্থানের নানা ক্ষেত্র তৈরি করে তিনি গ্রামের নারীদের ঝুঁকিপূর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর কাজ থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হন। খুলনা শহরেও যখন ‘এবং খিচুড়ি’ রেস্টুরেন্ট চালু ছিল তখন যাতে গ্রামের নারীদের কিছু উপার্জন হয়, সেজন্য দূর গ্রামের নারীদের কাছ থেকে রেস্টুরেন্টের কাঁচামাল সংগ্রহ করতেন।
দূরে থেকে জুড়ে থাকি, সংকোচ দূরে রাখি
এই স্লোগান নিয়ে করোনা মহামারি মোকাবিলায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আঁখি সিদ্দিকা। যেকোনো দুর্যোগে ত্রাণের তালিকায় নারীর জন্য স্যানিটারি প্যাড যুক্ত থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। ক্ষুধার কথা বলা যায়। দু-মুঠো চাল চাওয়া যায়। কিন্তু মেয়েদের অতি প্রয়োজনীয় স্যানিটারি প্যাডের কথা কাউকে বলা যায় না। তখন ঘর থেকে বাইরে যাওয়া যেত না, দোকানপাটও খোলা থাকত সীমিত। আবার স্যানিটারি প্যাড কেনার জন্য ডোনেশন জোটার আশাও ছিল না। তাই তিনি বাড়িতে বাড়িতে ফোনে যোগাযোগ করে সবার কাছ থেকে দু-চারটি করে প্যাড চাইলেন। অনেকেই বাড়ির সামনে এসে তাদের প্যাড থেকে দু-চারটি প্যাড রেখে যেতেন। পাঁচটি প্যাড দিয়ে একটি করে প্যাকেট বানাতেন। তারপর প্যাকেটগুলো দিয়ে দিতেন খুলনা এলাকায় বাড়ি বাড়ি ত্রাণ বিতরণের জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করা দলগুলোর কাছে। প্রত্যেক পরিবারে নারীর সংখ্যা অনুযায়ী প্যাডের প্যাকেট দেওয়া হতো। তার এই উদ্যোগে প্রায় ১ হাজার প্যাড বিলি হয়েছিল। অফিস আদালত, সিনেমা, থিয়েটার সব জায়গায় মেয়েদের জন্য স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
মধু আপা
সুন্দরবনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন ২০০৮ সাল থেকে। গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। ছিল না ভালো রাস্তাঘাট। তিনি ছুটতে শুরু করলেন বিভিন্ন সংগঠনের কাছে। তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা এনে প্রান্তিক মানুষগুলোর উপকারের জন্য শুরু করলেন ইকো ট্যুরিজম, ভিলেজ ট্যুরিজম এবং রিভার ট্যুরিজম। এই উদ্যোগুলোর মাধ্যমে তিনি গ্রামের মানুষগুলোকে বন ও নদীর ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হলেন। তাদের বোঝাতে সক্ষম হলেন বনকে বাঁচাতে হবে, নদী বাঁচাতে হবে। তবেই গ্রামের মানুষগুলো বাঁচবে, দেশ বাঁচবে। তাই এখন তারা আর বিষ দিয়ে মাছ ধরে না। আবার তাদের আহরিত মধু, মাছ, কাঁকড়া, সজনেপাতা এগুলো বাজারজাতকরণে তিনি তাদের সাহায্য করে চলেছেন। গ্রামের মানুষ ভালোবেসে তাকে মধু আপা বলে ডাকেন।
সবুজায়ন বাংলাদেশ
সবুজ বাংলাদেশ দেখতে কার না ভালো লাগে। তিনিও বাংলাদেশকে সাজাতে নেমে পড়লেন। গাছ কিনলেন। তারপর ভ্যানে করে সেই গাছ নিয়ে ছুটে চললেন শহরে, গ্রামে, বাড়ির উঠানে, রাস্তার ধারে। ফলদ গাছ লাগানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু তাই বলে এ দেশের নতুন প্রজন্ম দেশি ঋতুভিত্তিক ফুল চিনবে না তা তো হতে পারে না। ঋতুভিত্তিক ফুলগুলোকেও তো বাংলাদেশে টিকিয়ে রাখতে হবে। নইলে বাংলাদেশের পাখিরা থাকবে কোথায়, খাবে কী? তাই ফলদ গাছের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক রোপণ করতে থাকলেন কদম, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুল, শিমুল, সজনে। ‘ফলদ বাংলাদেশ’ ও ‘গ্রিন ভয়েস’-এর সঙ্গে এনিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছেন আঁখি সিদ্দিকা।
রক্তদান
মানুষের জন্য কাজ করা তার নেশা। সারাক্ষণ তিনি খুঁজতে থাকেন মানুষের জন্য আর কী করা যায়। রক্তের অভাবে কেউ প্রাণে বাঁচবে না তা তো হতে পারে না। ব্লাড ডোনার হিসেবে কাজ শুরু করলেন বিভিন্ন রক্তদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ৫৫ বার রক্তদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডোনার ক্লাব বাঁধন তাকে পুরস্কৃত করেছে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা প্রচলন
খুলনা সোনাডাঙায় ‘এবং খিচুড়ি’ নামের লোক ঐতিহ্যবাহী একটি রেস্টুরেন্টের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই রেস্টুরেন্ট কিন্তু শুধুই রেস্টুরেন্ট ছিল না। এখানে সব ঋতুকে উৎসবের মাধ্যমে বরণ করা ও পালন করার একটা রেওয়াজ তিনি তৈরি করেছিলেন। ঋতুর পাশাপাশি গান-বাজনার মাধ্যমে পালন হতো পূর্ণিমা উৎসবও। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে উজ্জীবিত রাখতেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আজ ওদের দিন
‘এবং খিচুড়ির’ মাধ্যমে তিনি আরও একটি রেওয়াজ চালু করেছিলেন। ‘আজ ওদের দিন’ এই নাম দিয়ে সপ্তাহে কিংবা ১৫ দিনে একদিন পথশিশুদের জন্য রেস্টুরেন্টটি খোলা থাকত। সেদিন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা (সচ্ছল পরিবারের) পথশিশুদের আপ্যায়ন করত। সেই সঙ্গে দুই পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে চলত সাংস্কৃতিক চর্চা, গল্প বলা, গল্প শোনা ইত্যাদি। এতে দুই পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে চমৎকার এক সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পথশিশুদের গল্প শুনে সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা খাবার অপচয় রোধ শিখেছিল, খাবার নিয়ে বাছবিচার করাও ছেড়ে দিয়েছিল। পথশিশুদের মধ্যেও তৈরি হয়েছিল নানান রকম সৃজনশীল কাজের আকাঙ্ক্ষা। উপকৃত হচ্ছিল উভয় সমাজের শিশুই।
ফুডব্যাংক
খুলনায় তিনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করলেন। আর দেখলেন প্রচুর পরিমাণে খাবার অপচয় হচ্ছে। তিনি একটা উদ্যোগ নিলেন। উদ্যোগের নাম ‘ফুডব্যাংক’। প্রতি রাতে প্রত্যেকটা রেস্টুরেন্টে যে পরিমাণ খাবার বেঁচে যায়, সব এনে এই ফুড ব্যাংকে জমা করা হবে। তারপর সেটা রাতে রাতেই পথমানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তার এই উদ্যোগ বেশ সাড়া জাগিয়েছে এবং দেশের অনেক জায়গায় এরকম ‘ফুডব্যাংক’ চালুও হয়েছে।
বাল্যবিয়ে রোধ
বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও শুরু করেছিলেন পরিবার থেকে। প্রতিবাদ করেও মেজো বোন ও সেজো বোনের বাল্যবিয়ে আটকাতে পারেননি বলে তার মধ্যে ভীষণ জেদ তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি কঠিনভাবে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করেন। প্রথমে আত্মীয়স্বজনের মধ্যকার বাল্যবিয়েগুলো বন্ধ করতে শুরু করলেন। তারপর নিজের এলাকা খুলনার বাঘমারা, ফুলতলা গ্রাম, মহেশ্বর পাশা, খালিশপুরসহ আরও কিছু অঞ্চলে তিনি বাল্যবিয়ে রোধের জন্য কাজ করেছেন। সব জায়গাতেই তিনি বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে বোঝান। কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না। যারা বুঝতে চায় না, তাদের জন্য প্রয়োজনবোধে তিনি কঠোর হয়ে ওঠেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সহযোগিতা, সাংবাদিকদের সহযোগিতা আবার কখনো পুলিশের সহযোগিতা নিয়েও বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষা এবং গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে দেখলেন সেখানেও একই সমস্যা। এখানেও শুরু করলেন বাল্যবিয়ে রোধের কাজ। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে তিনি সুন্দরবন নিয়ে কাজ করছেন। সুন্দরবনের ঢাংমারি গ্রামে বাল্যবিয়ে এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। দু-একটা বাল্যবিয়ে যদি তার অগোচরে হয়েও থাকে তা তিনি সামাল দেন অন্য কৌশলে। বিয়ে হয়ে গেলেও সেই কিশোরীর লেখাপড়া তিনি বন্ধ হতে দেন না। শর্ত জুড়ে দেন। পুলিশের ভয় দেখান। আদর করে বোঝান। কিশোরীর মনে স্বপ্ন ঢেলে দেন। নারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি এগিয়ে চলেছেন।
হাওরের সমস্যা ও সংকট নিয়ে কাজ
দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা সমস্যাগুলো খুঁজতে গিয়ে তিনি পেয়ে গেলেন হাওরের নানা সমস্যা। আর তাই ‘দি আর্থ সোসাইটি’র সঙ্গে শুরু করেছেন হাওরের সমস্যা ও সংকট মোকাবিলার কাজ।
লেখালেখি
লেখক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় ছোট বোনকে নিয়ে ছড়া লেখার মধ্য দিয়েই তার লেখালেখির শুরু। এরপর স্কুল ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রপত্রিকা ও ভারতের পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। মাত্র অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই খুলনা বার্তা নেটওয়ার্কের শিশু সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ধীরে ধীরে আরও অনেক সম্পাদনার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। লিটল ম্যাগ ‘মলাট’ সম্পাদনা করে চলেছেন ২০০৯ সাল থেকে। এ ছাড়া তার কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস মিলে প্রায় ১৫-১৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
জাহ্নবী