ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাহাড়ে ইউপিডিএফ কর্মীদের আগুন-ভাঙচুর-গুলি

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
পাহাড়ে ইউপিডিএফ কর্মীদের আগুন-ভাঙচুর-গুলি
ছবি : খবরের কাগজ

পার্বত্য চুক্তিবিরোধী পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ) খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) পুরো জেলায় সকাল-সন্ধ্যা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এদিন পর্যটকবাহী একটি গাড়িতে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া অবরোধকারীরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দেন।

অবরোধের শুরুতে সোমবার ভোরে জেলার মাটিরাঙা ও মানিকছড়ি সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে, রাস্তায় গাছের বড় বড় গুঁড়ি ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন পিকেটাররা। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের গাছবান এলাকায় গাছ কেটে বিছিয়ে দেওয়া হয় সড়কের ওপর। এ ছাড়া মানিকছড়ির পিছলাতলা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী সিএনজিতে আগুন দেন অবেরোধ সমর্থকরা। 

এদিন সকালে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী একটি গাড়িতে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি। একই স্থানে পর্যটকবাহী একটি প্রাইভেট কার, একটি পিকআপ ও একটি মাহেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। অবরোধে জেলা থেকে দূরপ্লাল্লার কোনো যাত্রীবাহী কিংবা পণ্যবাহী পরিবহন ছেড়ে যায়নি। বন্ধ ছিল আন্তউপজেলার সব ধরনের যান চলাচল।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও অবরোধে জেলার কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 

গত ১১ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলার দুর্গম লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফের চার নেতা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত বিপুল চাকমার চাচা নিরুপম চাকমা বাদী হয়ে গত বুধবার পানছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে গত রবিবার পানছড়ি উপজেলায় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা এক মাস পানছড়ি বাজার বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

চট্টগ্রামের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পিএম
চট্টগ্রামের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অটো যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়কগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অটো যানবাহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অবৈধ যানবাহন আটকসহ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে সহায়তা করার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

সালমান/

বরগুনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদকে মারধর

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
বরগুনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদকে মারধর
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর করছেন এক যুবদল নেতা। ভিডিও থেকে নেওয়া

বরগুনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন যুবদলের এক নেতা। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ওই যুবদল নেতার নাম শাওন মোল্লা। তিনি বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদকে চড়থাপ্পড় মারছেন শাওন মোল্লা। এ সময় এক পথচারী তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন শাওন। এরপর সদর থানার এক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গেলে সেখানে থাকা বিএনপি নেতা ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা আমাকে ডেকে বাইরে নিয়ে বকাঝকা ও লাঞ্ছিত করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। এ ঘটনায় আমি আইনি পদক্ষেপে যাব।’

একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও শাওন মোল্লার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। তাই এই বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’

গাজী টায়ার্স কারখানার পোড়া মালামাল লুটের অভিযোগে কারাগারে ৭

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
গাজী টায়ার্স কারখানার পোড়া মালামাল লুটের অভিযোগে কারাগারে ৭
আগুনে পুড়ে যায় গাজী টায়ার্স কারখানা। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্স কারখানায় পুড়ে যাওয়া মালপত্র লুট করায় ৭ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবাইদুর রহমান সালেহ এ দণ্ড দেন। 

তিনি জানান, রবিবার সকালে গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটকারীদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের হাতেনাতে ধরা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রূপগঞ্জের পাড়াগাঁও এলাকার আব্দুস সাত্তার (২২), খাদুন এলাকার খোরশেদ আলম (২১), ইব্রাহিম (২৫) ও মাহবুব হোসেন (৩৫), তারাব এলাকার সিরাজ (৩২), মোগড়াকুল এলাকার মোতালিব (৪৮) ও সুমন (৩০)।

লুটপাট ঠেকাতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক। 

তিনি জানান, গত ২৫ আগস্ট গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুর্বৃত্তরা প্রায় কারখানার ভেতর ঢুকে পোড়া মালামাল লুট করার চেষ্টা করছে। রবিবার লুটপাটকারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে।

জাফলংয়ে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
জাফলংয়ে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ
জব্দকৃত চোরাই চিনি। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি। 

গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে জাফলং গুচ্ছগ্রাম থেকে এ চিনি জব্দ করা হয়। চিনিগুলো বাহকবিহীন অবস্থায় পাওয়ায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

এ নিয়ে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ হারুন অর রশিদ একটি মামলা করেছেন।

ওসি শাহ হারুন জানান, শনিবার ভোরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সীমান্তবর্তী জাফলং গুচ্ছগ্রাম মোড় দিয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা যাওয়ার সময় পথে চিনিভর্তি দুটি ডিআই (মিনি ট্রাক) দেখতে পান। পরে গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। দুটি গাড়িতে ৪৫ বস্তা করে ৯০ বস্তা চিনি ছিল। তবে চিনির বাহক বা চোরাকারবারির সন্ধান মেলেনি। চিনিগুলো জব্দ করে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। 

মিরসরাইয়ে এশিয়ান পেইন্টসের কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
মিরসরাইয়ে এশিয়ান পেইন্টসের কারখানায় আগুন
এশিয়ান পেইন্টসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলের এশিয়ান পেইন্টস নামের রং তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে কারখানাটির ভেতরের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে কারখানার ভেতরে থাকা মেশিনারিজ ও ওপরের সিলিংয়ের আংশিক পুড়ে গেছে। তবে কারখানার নিচতলায় থাকা কেমিক্যালের ড্রামগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

মিরসরাই শিল্প পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শওকত হোসেন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।’

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। পরে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন বারৈয়ারহাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কারখানাটির তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তাধীন।’