করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮টি কনটেইনারবাহী ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এমভি মার্কস পং নামক কন্টেইনারবাহী লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ার মধ্য দিয়ে চলতি এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ ৮টি জাহাজ ভিড়ে মোংলা বন্দরে। এ সময়ে জাহাজে ১ হাজার ৮৭৫ টিইইউস কন্টেইনার মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়। এসব বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেব্রিকস, যন্ত্রপাতি, আপেল, সাইকেলের যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিক পণ্য, হোয়াইট ক্লিংকার, সার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার মোংলা বন্দরের পিপি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুরের পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দরের জেটিতে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২ কন্টেইনার জাহাজ আসছে।
শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস ও বোঝাই সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসা বেড়েছে। এর ফলে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান মুন্সি জানান, করোনা-পরবর্তী সময়ে মোংলা বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসা কমে গিয়েছিল। পদ্মা ব্রিজ চালু ও বন্দরে আধুনিক কন্টেনার ব্যবস্থা চালু করা এবং ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ায় মোংলায় সব ধরনের জাহাজ আসা বেড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে ৮টি কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়েছে বন্দরে।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।