ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে মেধাবীদের কলেজে ফলাফলে খরা

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০২ এএম
চট্টগ্রামে মেধাবীদের কলেজে ফলাফলে খরা
ছবি : সংগৃহীত

এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া এবং ভালো নম্বরধারী ছাত্র-ছাত্রীরা চট্টগ্রামের সেরা কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পায়। কিন্তু ভর্তির সুযোগ পাওয়া অর্ধেকেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষায় সে ফলাফল ধরে রাখতে পারেনি। 

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্যমতে, সরকারি কলেজের মধ্যে চট্টগ্রাম হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এবার ১ হাজার ৬৫২ পরীক্ষা দিলেও পাস করেছে ১ হাজার ৬১৯ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৮৬৮ জন। চট্টগ্রাম কলেজে ১০২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৯ জন পাস করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪৬ জন। চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ থেকে ২ হাজার ২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৯৮৪ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৭৬ জন। সরকারি কমার্স কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ৮৭০ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ৮৬৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৬ জন। চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের ১ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ২৮৭ জন। এর মধ্যে মাত্র ৩৫৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। 

এদিকে বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে জিপিএ- পেয়েছে ২৪৮ জন। চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭২৪ জন। এরমধ্যে মাত্র ১৩২ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১১ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২ জন। গাছবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে ১ হাজার ১৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৪৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৩৮ জন। 

অপরদিকে চট্টগ্রামের ভালো বেসরকারি কলেজগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের মধ্যে ১ হাজার ৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০৫৭ জন পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৫ জন। হাজেরা তোজু ডিগ্রী কলেজে ১ হাজার ৬শ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৫৬৭ জন। এরমধ্যে ৩৫৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বায়েজিদ এলাকার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৩২৬ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই পাস করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৯ জন। খুলশী এলাকার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৫৫৩ জনের মধ্যে ৫৪৫ জন পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৬ জন। চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের ৫৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩৫ জন পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ জন। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ থেকে ৩০৯ জনের মধ্যে ৩০৮ জন পাস করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৮ জন। কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজ থেকে ১ হাজার ১৩২ জনের মধ্যে ১ হাজার ৫১ জন পাস করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮ জন। বিএফএফ শাহীন কলেজ থেকে ৫২৩ জন পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৮২৬ জনের মধ্যে ৭৯২ জন পাস করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৭৩ জন।

বেশি খারাপ ফলাফল ৫ বিষয়ে

চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব, যুক্তিবিদ্যা- এই পাঁচ বিষয়ে ফলাফল বেশি খারাপ করেছে।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে বাংলা প্রথম পত্রে ৬ হাজার ৬০৭ জন, বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ২ হাজার ২৭১ জন, ইংরেজি প্রথম পত্রে ৭ হাজার ৭৮৪ জন, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৮৯৭ জন, অর্থনীতি প্রথম পত্রে ৭ হাজার ৯৫৯ জন, অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্রে ৪ হাজার ২৪১ জন, সমাজত্ত্ব প্রথম পত্রে ৩ হাজার ২৮৭ জন, সমাজত্ত্ব দ্বিতীয় পত্রে ১ হাজার ৩৫ জন, যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রে ৫ হাজার ২০৪ জন ও যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয় পত্রে ২ হাজার ৮৩২ জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। 

শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে বারবার সিলেবাস পরিবর্তন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণসহ নানা কারণে চট্টগ্রাম এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হযেছে। পাশাপাশি শহরের শিক্ষার্থীদের তুলনায় গ্রামের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়াও খারাপ ফলাফলের আরেকটি কারণ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পাশের হার বা জিপিএ-৫ এর হার কমেছে। শিক্ষার্থীদের সিলেবাসে পুনর্বিন্যাসের কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর একটা প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি শহরের শিক্ষার্থীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পায় গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা সেটা কিন্তু পাচ্ছে না। এটাও ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ। তবে শিক্ষার্থীদেরও একটা দায় আছে। তাদের ঠিকমত লেখাপড়া করা উচিত ছিল ভালো ফলাফলের জন্য। সামনের বছর কীভাবে ভাল ফলাফল করা যায়, দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সেভাবে কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। 

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আসেনি। এটার জন্য কয়েকটা কারণ আছে। এরমধ্যে প্রধান কারণ হলো যে কলেজগুলোতে তারা পড়েছে সেখানে ভালো মানের শিক্ষক বা শিক্ষার মান আছে কিনা, এটা একটা বড় প্রশ্ন। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মত ক্যাপাসিটি (সক্ষমতা) তাদের আছে কিনা। আর কলেজে ভর্তি হবার পর আমাদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি আর কঠোর বা যত্নশীল থাকেন না। তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে কিনা এসব তত্ত্বাবধান করা প্রয়োজন। এসব কারণে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করতে পারছে না। শিক্ষক, অভিভাবকরা সচেতন না হলে সামনের অবস্থা আরও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে যাবে।

তারেক মাহমুদ/এআর

স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা
ফাইল ফটো

চলমান এইচএসসি ও সমমানের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ে তিনটি এবং আগস্টে একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

অমিয়/

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্থগিত করা ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চার দিনের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।’

আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত ১৮ জুলাই সকালে ছিল ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র এবং বিকেলে ছিল উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, আরবি প্রথম পত্র, পালি প্রথম পত্র পরীক্ষা। 

২১ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র, ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র।
 
২৩ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র। 

আর ২৫ জুলাই সকালে ছিল অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন এবং ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র।

আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অমিয়/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে, সেগুলোর এক রকম পরিস্থিতি। আবার অন্য যে জেলাগুলো আছে, সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। এসব আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদেরকে তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। তবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা। আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই-সেই করা হবে। তবে এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন, তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটাই অনুরোধ করব।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী আনিস আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃবিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বিষয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে, কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মাননীয় আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’

আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা করে, সংঘাত-সহিংসতা মুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়, এমন সব কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। সেসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। চলমান অবস্থা দীর্ঘায়িত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’

এইচএসসির আরও ৩ পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:১০ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
এইচএসসির আরও ৩ পরীক্ষা স্থগিত
ফাইল ছবি

আরও তিন বিষয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সব শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হলো। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ২৮ জুলাই থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা যথারীতি চলবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। 

কবির/সালমান/