ঢাকা ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
English

এইচএসসি পরীক্ষার লেখাপড়া: বাংলা দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
এইচএসসি পরীক্ষার লেখাপড়া: বাংলা দ্বিতীয় পত্র

গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতি ও প্রত্যয়

প্রদত্ত শব্দ    প্রকৃতি + প্রত্যয়    প্রত্যয়ের নাম        
নায়ক    = √নী + অক    কৃৎ প্রত্যয়        তামাটে    = তামা + টে    তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘোষাল    = ঘোষ + আল    তদ্ধিত প্রত্যয়        বাঙালি    = বাঙাল + ই    তদ্ধিত প্রত্যয়
বর্তমান    = √বৃৎ + মান    কৃৎ প্রত্যয়        মহিমা    = মহৎ + ইমন্    তদ্ধিত প্রত্যয়
সৌন্দর্য    = সুন্দর + য    তদ্ধিত প্রত্যয়        ভাবুক    = √ভূ + উক্    কৃৎ প্রত্যয়
নয়ন    = √নী + অন    কৃৎ প্রত্যয়        চলন্ত    = √চল্ + অন্ত    কৃৎ প্রত্যয়
নাচা    = √নাচ্ + আ    কৃৎ প্রত্যয়        খেকো    = √খা + উকা    কৃৎ প্রত্যয়        বক্তব্য    = √বচ্ + তব্য    কৃৎ প্রত্যয়
করণীয়    = √কৃ + অনীয়    কৃৎ প্রত্যয়        বসত    = √বস্ + অত    কৃৎ প্রত্যয়
ত্যাজ্য    = √ত্যাজ্ + য    কৃৎ প্রত্যয়        কারক    = √কৃ + অক/ণক    কৃৎ প্রত্যয়
টেকো    = টাক + উয়া    তদ্ধিত প্রত্যয়        পরিশ্রমী    = পরি + √শ্রম্ + ইন       কৃৎ প্রত্যয়
প্রেম    = প্রিয় + ইমন্    তদ্ধিত প্রত্যয়        আধুলি    = আধ + উলি    তদ্ধিত প্রত্যয়
পঙ্কিল    = পঙ্ক + ইল্    তদ্ধিত প্রত্যয়        মানবিক    = মানব + ইক    তদ্ধিত প্রত্যয়
বিধাতা    = বি-√ধা + তৃ    কৃৎ প্রত্যয়        বার্ষিক    = বর্ষ + ইক        তদ্ধিত প্রত্যয়
লাঙল    = √লঙ্গ্ + অল    কৃৎ প্রত্যয়        কাঁদুনে    = √কাঁদন + ইয়া    কৃৎ প্রত্যয়
দর্শনীয়    = √দৃশ্ + অনীয়    কৃৎ প্রত্যয়        ঢাকাই    = ঢাকা + আই    তদ্ধিত প্রত্যয়
চেনা    = √চিন্ + আ    কৃৎ প্রত্যয়        দাঁতাল    = দাঁত + আল    তদ্ধিত প্রত্যয়
বিদিত    = √বিদ্ + ত    কৃৎ প্রত্যয়        কলমদানি    = কলম + দানি    তদ্ধিত প্রত্যয়
যোদ্ধা    = √যুধ্ + তৃ        কৃৎ প্রত্যয়    
মিতালি    = মিতা + আলি    তদ্ধিত প্রত্যয়
ডিঙা    = ডিঙি + আ    তদ্ধিত প্রত্যয়        হাতল    = হাত + ল        তদ্ধিত প্রত্যয়
ফেরত    = √র্ফি + অত    কৃৎ প্রত্যয়        মেধাবী    = মেধা + বিন্     তদ্ধিত প্রত্যয়
ঐহিক    = ইহ + ইক        তদ্ধিত প্রত্যয়        সওদাগর    = সওদা + গর    তদ্ধিত প্রত্যয়
কান্না    = √কাঁদ্ + না    কৃৎ প্রত্যয়        পূজারী    = পূজা + আরী    তদ্ধিত প্রত্যয়
নাটুকে    = নাটক + ইয়া    তদ্ধিত প্রত্যয়        রাঁধুনি    = √রাধ্ + অনি    কৃৎ প্রত্যয়
লঘিষ্ঠ    = লঘু + ইষ্ট        তদ্ধিত প্রত্যয়        দাপট    = দাপ + ট        তদ্ধিত প্রত্যয়
আদ্য    = আদি + য        তদ্ধিত প্রত্যয়        ডাকাত    = √ডাক্ + আত    কৃৎ প্রত্যয়
পাণ্ডা    = √পণ্ড + আ    কৃৎ প্রত্যয়        সাঁতারু    = সাঁতার + উ    তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘাটতি    = √ঘাট্ + তি    কৃৎ প্রত্যয়        মিঠাই    = মিঠা + আই    তদ্ধিত প্রত্যয়
মেঠো    = মাঠ + উয়া    তদ্ধিত প্রত্যয়        সাহিত্যিক    = সাহিত্য + ইক    তদ্ধিত প্রত্যয়
পার্বত্য    = পর্বত + ইত    তদ্ধিত প্রত্যয়        মধুর    = মধু + র        তদ্ধিত প্রত্যয়        দ্রাঘিমা    = দীর্ঘ  + ইমন    তদ্ধিত প্রত্যয়
নেতা    = √নী + তৃ        কৃৎ প্রত্যয়        পড়ন্ত    = √পড়্ + অন্ত    কৃৎ প্রত্যয়
রাখাল    = রাখ + আল    তদ্ধিত প্রত্যয়        দ্বারোয়ান    = দ্বার + ওয়ান    তদ্ধিত প্রত্যয়
উৎরাই    = উৎ + রাই    তদ্ধিত প্রত্যয়        মন্ত্রী    = √মন্ত্র + ঈন    কৃৎ প্রত্যয়
জনক    = √জন্ + নক    কৃৎ প্রত্যয়        কর্তব্য    = √কৃ + তব্য    কৃৎ প্রত্যয়
চতুরালী    = চতু + আলী    তদ্ধিত প্রত্যয়        বুনো    = বন + উয়া    তদ্ধিত প্রত্যয়
মোগলাই    = মোগল + আই    তদ্ধিত প্রত্যয়        নবীন    = নব + ঈন        তদ্ধিত প্রত্যয়
দ্রষ্টব্য    = √দৃশ্ + তব্য    কৃৎ প্রত্যয়        জয়ী    = √জি + ইন    কৃৎ প্রত্যয়
স্মরণ    = √স্মৃ + অনট    কৃৎ প্রত্যয়        মানব    = মনু + অ        তদ্ধিত প্রত্যয়
লৌকিক    = লোক + ষ্ণিক    তদ্ধিত প্রত্যয়        আর্থিক    = অর্থ + ইক    তদ্ধিত প্রত্যয়
শ্রবণ    = √শ্র“ + অনট    কৃৎ প্রত্যয়        বৈঠক    = √বৈঠ্ + অক    কৃৎ প্রত্যয়
সাহিত্য    = সহিত + য    তদ্ধিত প্রত্যয়        খ্যাতি    = √খ্যা + তি    কৃৎ প্রত্যয়
কার্য    = √কৃ + য    কৃৎ     প্রত্যয়        বোনাই    = বোন + আই    তদ্ধিত প্রত্যয়
দোলনা    = √দুল্ + অনা    কৃৎ প্রত্যয়        ঠকা    = √ঠক্ + আ    কৃৎ প্রত্যয়
সেলাই    = √সিল + আই    কৃৎ প্রত্যয়        টেকো    = টাক + উয়া    তদ্ধিত প্রত্যয়
সুলভ    = সু-√লভ্ + অ    কৃৎ প্রত্যয়        ঘাতক    = √হন্ + অক    কৃৎ প্রত্যয়
লাজুক    = লাজ + উক    তদ্ধিত প্রত্যয়        বাগিচা    = বাগ্ + ইচা    তদ্ধিত প্রত্যয়

বাগিচা    = বাগ্ + ইচা    তদ্ধিত প্রত্যয়
নীলিমা    = নীল + ইমন্    তদ্ধিত প্রত্যয়

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

জাহ্নবী

সমাজকর্মের শাখা অধ্যায়ের ১১টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
সমাজকর্মের শাখা অধ্যায়ের ১১টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

দ্বিতীয় অধ্যায় : সমাজকর্মের শাখা

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

৫২. Rapport কাদের মধ্যে গড়ে ওঠে?
ক. সমাজকর্মী ও সাহায্যার্থীর পরিবারের মধ্যে     
খ. সমাজকর্মী ও সাহায্যার্থীর মধ্যে
গ. সমাজকর্মী ও চিকিৎসকের মধ্যে         
ঘ. সাহায্যার্থী ও চিকিৎসকের মধ্যে

৫৩. সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য কী?
ক. মানসিক ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা করা        
খ. অস্ত্রোপচার রোগীদের সেবা করা
গ. ছোঁয়াচে রোগাক্রান্ত রোগীদের করা 
ঘ. মহামারিতে আক্রান্তদের সেবা করা

৫৪. রোগীকে হাসপাতালে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নিচের কোন ব্যক্তির ভূমিকাটি অধিক উপযোগী?
ক. শিক্ষা অফিসার         খ. সমবায় অফিসার    
গ. কৃষি অফিসার           ঘ. সমাজসেবা অফিসার

৫৫. হাসপাতালে সমাজকর্মী কোন ক্ষেত্রে ডাক্তারকে সহায়তা করেন?
ক. অন্ন-এর ক্ষেত্রে          খ. বস্ত্রের ক্ষেত্রে
গ. চিকিৎসার ক্ষেত্রে        ঘ. শিক্ষার ক্ষেত্রে

৫৬. মানসিক সান্ত্বনা দেওয়ায় সার্বিক সহায়তা করেন কে?
ক. ডাক্তার             খ. নার্স
গ. সমাজকর্মী        ঘ. শিক্ষক

৫৭. রোগী ও তার পরিবারকে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে কে জ্ঞান দিয়ে থাকে?
ক. চিকিৎসা সমাজকর্মী        খ. ডাক্তার    
গ. নার্স                                 ঘ. হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

আরো পড়ুন : সমাজকর্মের শাখা অধ্যায়ের ৯টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৪র্থ পর্ব

৫৮. চিকিৎসা সমাজকর্মীরা সাধারণত আলোচনা করে থাকে-
i. ওষুধ দেওয়া সম্পর্কে        ii. সেবা দেওয়া সংক্রান্ত
iii. রোগ প্রতিরোধ নির্ণয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii            খ. i ও iii        
গ. ii ও iii            ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৯ ও ৬০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

জাব্বার সাহেব হাসপাতালে চাকরি করেন। তিনি রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করেন। তিনি রোগীর সহায়তা ও পুনর্বাসনকারী হিসেবেও পরিচিত। 
৫৯. জাব্বার সাহেব হাসপাতালে কোন পদে চাকরি করেন?
ক. বিদ্যালয় সমাজকর্মী        
খ. চিকিৎসা সমাজকর্মী    
গ. শিল্প সমাজকর্মী        
ঘ. ক্লিনিক্যাল সমাজকর্মী

৬০. জাব্বার সাহেবের কাজে উপকৃত হয়-
i. রোগী  ii. ডাক্তার  iii. রোগীর আত্মীয়-স্বজন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i                 খ. ii        
গ. i ও ii            ঘ. i, ii ও iii

৬৮. কত সালে সর্বপ্রথম সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম চালু হয়?
ক. ১৯০৬ সালে        খ. ১৯০৭ সালে    
গ. ১৯১০ সালে          ঘ. ১৯২৫ সালে

৬৯. মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে নিচের কোন শাখাটি প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট?
ক. চিকিৎসা সমাজকর্ম                খ. ক্লিনিক্যাল সমাজকর্ম
গ. প্রবীণকল্যাণ সমাজকর্ম            ঘ. সাইক্রিয়াটিক সমাজকর্ম

উত্তর: ৫২. খ, ৫৩. ক, ৫৪. ঘ, ৫৫. গ, ৫৬. গ, ৫৭. ক, ৫৮. ঘ, ৫৯. খ, ৬০. ঘ, ৬৮. খ, ৬৯. ঘ।

লেখক : প্রভাষক, সমাজকর্ম বিভাগ
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কবীর

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৩৩, ৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৩৩, ৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

মার্কেটিং দ্বিতীয় পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১৭। ট্রাক পাইকারের অন্য নাম-
ক) ট্রাক জবারস বা ওয়াগন জবারস    
খ) নগদ পাইকার    
গ) র‌্যাক জবারস    
ঘ) ড্রপ শিপারস

উত্তর: ক) ট্রাক জবারস বা ওয়াগন জবারস।

১৮। পণ্য গুদামে সংরক্ষণ বা লেনদেন করে না অথচ ডেলিভারি প্রাপ্তি পর্যন্ত ঝুঁকি ও মালিকানা গ্রহণ করে কারা?
ক) নগদ পাইকার    খ) ডেস্ক ফরমায়েশ পাইকার    
গ) ড্রপ শিপারস      ঘ) র‌্যাক জবারস  

উত্তর: গ) ড্রপ শিপারস।

আরো পড়ুন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৩২, ৪টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৯। ড্রপ শিপারস কী নামে পরিচিত?
ক) ডেস্ক জবার     খ) ওয়াগন জবার    
গ) ট্রাক জবার      ঘ) ট্রাক পাইকার

উত্তর: ক) ডেস্ক জবার।

২০। কুরিয়ার সার্ভিস কোন ধরনের পাইকার?
ক) ড্রপ শিপারস    
খ) র‌্যাক জবারস    
গ) উৎপাদকের সমবায় পাইকার    
ঘ) ডাক ফরমায়েশ পাইকার  

উত্তর: ঘ) ডাক ফরমায়েশ পাইকার।

২১। পণ্য কেনাবেচা করে না, মালিকানা গ্রহণ করে না, ঝুঁকি গ্রহণ করে না, অর্থসংস্থান করে না অথচ ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্য যোগাযোগ স্থাপন করে কারা?
ক) দালাল    
খ) ক্রয় প্রতিনিধি    
গ) বিক্রয় প্রতিনিধি    
ঘ) কমিশন প্রতিনিধি

উত্তর: ক) দালাল।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

মানবধর্ম কবিতার ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
মানবধর্ম কবিতার ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- সংগৃহীত

কবিতা : মানবধর্ম

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

৩৩। ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ সব লোকে এ প্রশ্ন করে কেন?
(ক) মনুষ্য ধর্মই মূল কথা, তা জানে না বলে
(খ) জাতপাত নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বলে
(গ) মানুষের চেয়ে সম্প্রদায়ের পরিচয় বড় ভাবে বলে
(ঘ) ধর্মীয় শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে বলে

৩৪। লালন শাহ ‘মানবধর্ম’  কবিতায় জাতের চেয়ে মানবধর্মকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কেন?
(ক) ধর্মশাস্ত্রে বিশেষ জ্ঞানার্জন করায়
(খ) সহস্রাধিক গান সৃষ্টি করেছেন বলে
(গ) সিরাজ সাঁইয়ের শিষ্য হওয়ায়
(ঘ) সর্বদা চিন্তা ও সাধনা করায়

৩৫। ‘মূলে এক জল, সে যে ভিন্ন নয়।’ এখানে ‘মূলে’ শব্দের মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে? 
(ক) প্রকৃত স্বরূপে           (খ) ধর্ম পরিচয়ে
(গ) পাত্র অনুসারে          (ঘ) বর্ণ পরিচয়ে

৩৬। ‘যাওয়া কিংবা আসার বেলায় জেতের চিহ্ন রয় কার রে।’ এখানে ‘যাওয়া-আসা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 
(ক) অসুখ-বিসুখ         (খ) মালা-তসবি
(গ) কুয়া-গঙ্গা             (ঘ) জন্ম-মৃত্যু

৩৭। ‘জগৎ বেড়ে জেতের কথা, লোকে গৌরব করে যথা তথা’- লোকে গৌরব করে কেন? 
(ক) অজ্ঞানতার কারণে        
(খ) বংশ গৌরবের প্রভাবের কারণে 
(গ) অধ্যাত্মবাদী হওয়ায়        
(ঘ) সাধনহীন বলে

৩৮। ‘লালন সে জেতের ফাতা বিকিয়েছে সাত বাজারে।’ এখানে ‘বিকিয়েছে’ শব্দের মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে? 
(ক) অন্তরে স্থান দেওয়া    
(খ) গুরুত্বহীন মনে করা
(গ) ব্যবসায় যোগ দেওয়া    
(ঘ) বংশের গৌরব করা

আরো পড়ুন : মানবধর্ম কবিতার ১৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব

৩৯। ওকি চণ্ডাল! নহে ও ঘৃণ্য জীব
হতে পারে হরিশচন্দ্র, ঐ শ্মশানের শিব। - ‘মানবধর্ম’ কবিতার কোন ভাবটি এখানে প্রাসঙ্গিক? 
(ক) জাতের সমতা        (খ) সম্প্রদায় বিভেদ 
(গ) বংশের গৌরব         (ঘ) ধর্মের ভিন্নতা

৪০। ‘মানবধর্ম’  কবিতায় কবি তাদের জয়গান গেয়েছেন, যারা-
i. জাত নিয়ে গর্ব করে না
ii. মনুষ্য ধর্মকে মূল বলে মনে করে
iii. বংশগত আভিজাত্যে ভোগে
নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i                 (খ) ii
(গ) i ও ii            (ঘ) i ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪১ ও ৪২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। 

“ব্রাহ্মণ চণ্ডাল চামার মুচি
এক জলে হয় সবার শুচি।”

৪১। উপরোক্ত কবিতাংশের সমার্থক পঙ্‌ক্তি কোনটি? 
(ক) গর্তে গেলে কূপজল কয়
(খ) গঙ্গায় গেলে গঙ্গাজল হয়
(গ) মূলে এক জল, সে যে ভিন্ন নয়
(ঘ) জলের আর এক নাম জীবন হয়

৪২। উদ্দীপকটির মূলভাব ফুটে উঠেছে-
i. মানুষের একত্বে    
ii. মানুষের বিভিন্নতায়
iii. জাতের সমতায়
নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i                 (খ) ii
(গ) i ও ii            (ঘ) i ও iii

উত্তর: ৩৩. ক, ৩৪. ক, ৩৫. ক, ৩৬. ঘ, ৩৭. ক, ৩৮. খ, ৩৯. ক, ৪০. গ, ৪১. গ, ৪২. ঘ।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

পরিমাপ অধ্যায়ের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, সপ্তম শ্রেণির গণিত

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০১:১২ পিএম
পরিমাপ অধ্যায়ের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, সপ্তম শ্রেণির গণিত
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের পাঠদান শুনছে ও নোট করছে। ছবি- সংগৃহীত

তৃতীয় অধ্যায় : পরিমাপ

অনুশীলনী-৩

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি কয়টি?
ক) ২টি         খ) ৩টি
গ) ৪টি         ঘ) ৫টি

২। ১ মিটার= কত ইঞ্চি?
ক) ৩৭.৩৯ ইঞ্চি     খ) ৩৯.৩৭ ইঞ্চি
গ) ৩৯.৭৭ ইঞ্চি      গ) ৩৭.৩৯৯ ইঞ্চি

৩। মেট্রিক পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক কী?
ক) লিটার         খ) গ্রাম 
গ) বর্গমিটার     ঘ) মিটার

আরো পড়ুন : সমানুপাত ও লাভ-ক্ষতি অধ্যায়ের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ১৩তম পর্ব

৪। ১ মিটার সমান কত কিলোমিটার?
i. ০. ০০০১ কিলোমিটার
ii. ০.১ কিলোমিটার
iii. ১০০ সেন্টিমিটার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii          খ) i ও iii 
গ) ii ও iii         ঘ) i, ii ও iii

৫। বাংলাদেশে মেট্রিক পদ্ধতি চালু হয় কত সাল থেকে?
ক) ১৯৮২ সাল     খ) ১৯৮৩ সাল
গ) ১৯৮৪ সাল     ঘ) ১৯৮৫ সাল

৬। ১ সেন্টিমিটার= কত ইঞ্চি?
ক) ৩৯৪ ইঞ্চি        খ) ০.৩৯৪ ইঞ্চি
গ) ৩৯.৩৭ ইঞ্চি     গ) ৩৭.৩৯ ইঞ্চি

নিচের তথ্যের আলোকে ৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

দুটি দ্রব্যের ওজন যথাক্রমে ৫০ কেজি ও ৫০০ গ্রাম।

৭। ডিজিটাল ব্যালেন্সে প্রতি কেজির মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করলে দ্বিতীয় দ্রব্যটির মূল্য কত টাকা হবে?
ক) ৫০ টাকা     খ) ২৫ টাকা
গ) ৭৫ টাকা     ঘ) ১২৫ টাকা

উত্তর: ১. ক, ২. খ, ৩. ঘ, ৪. গ, ৫. ক, ৬. খ, ৭. খ।

লেখক : সহকারী শিক্ষক 
লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ 

কবীর

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ৫টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম  পত্র

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ৫টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম  পত্র
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

নাটক : সিরাজউদ্‌দৌলা 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: ‘কত বড় শক্তি, তবু কত তুচ্ছ।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের তৃতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় দৃশ্যে ইংরেজদের তুলনায় শক্তি ও সামর্থ্যে বেশি হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বাসঘাতকদের কারণে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনেই নবাব সিরাজউদ্‌দৌলা উপরোক্ত কথাটি মীরমদনকে উদ্দেশ করে বলেছেন।
নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার পক্ষে সেনা সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি; অথচ ইংরেজদের ৩ হাজারের বেশি সেনা ছিল না। অস্ত্র ও গোলা-বারুদেও সিরাজউদ্‌দৌলার তুলনায় ইংরেজরা ছিল নগণ্য। মীরমদন  যে যুদ্ধ-পরিকল্পনা-কৌশল নবাবকে দেখান তাতে কোনোভাবেই ইংরেজদের জয়ী হওয়ার কথা নয়। কিন্তু নবাব আশঙ্কা করেন তার সব সিপাহি ও সেনাপতি লড়বে না, সব কামান থেকে গোলা ছুটবে না। কারণ বিশ্বাসঘাতক সেনাপতি মীর জাফর ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। প্রধান সেনাপতি বেইমান হলে যুদ্ধজয়ের সম্ভাবনা আর থাকে না। যুদ্ধের আগেই তা অনুভব করে নবাব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। 

প্রশ্ন: ‘ঘরের লোক অবিশ্বাসী হলে বাইরের লোকের পক্ষে সবই সম্ভব’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের তৃতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে এ মন্তব্যের মাধ্যমে নবাব সিরাজউদ্‌দৌলা বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরের অপকর্ম প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন।
রাজ অমাত্যরা নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার কর্তৃত্ব রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করবেন বলে পবিত্র গ্রন্থ নিয়ে শপথ করেছিলেন। কিন্তু নবাবকে পরাজিত করতে গোপনে অনেকেই ষড়যন্ত্র করেছিলেন ইংরেজদের সঙ্গে, যা তাদের কর্মকাণ্ডে প্রকাশ পেয়েছে। এদের প্রধান ছিলেন প্রধান সেনাপতি মিরজাফর অমাত্যদের এই বিশ্বাসঘাতকতার দিকটিই উপরোক্ত মন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে।

আরো পড়ুন : রাজউদ্দৌলা নাটকের ৫টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৪র্থ পর্ব

প্রশ্ন: ‘আমার শেষ যুদ্ধ পলাশীতেই।’- ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের তৃতীয় অঙ্কের তৃতীয় দৃশ্যে মোহনলাল পলাশীর যুদ্ধে আসন্ন পরাজয় ও নিজের মৃত্যু অনিবার্য জেনেও সিরাজউদ্‌দৌলাকে এ কথা বলেছিলেন একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক ও অনুগত সেনাপতি হিসেবে। 
পলাশীর যুদ্ধে মীর জাফর, রায়দুর্লভ, ইয়ার লুৎফ খাঁ তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে পুতুলের মতো দাঁড়িয়েছিলেন। যে কারণে বিশাল সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও নবাবকে পরাজয় বরণ করতে হয়। কিন্তু নবাবের পক্ষে দেশপ্রেমিক মোহনলাল, বদ্রে আলী প্রমুখ জীবন বাজি রেখে লড়াই করেন। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মোহনলাল সিরাজউদ্‌দৌলাকে মুর্শিদাবাদে ফিরে গিয়ে সেনা সংগ্রহের পরামর্শ দেন। নবাব একাই ফিরে যাবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহনলাল উপরোক্ত উক্তিটি করেছিলেন। কারণ তখনো চূড়ান্ত পরাজয় বাকি ছিল, শেষ শক্তি দিয়ে মোহনলাল লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। প্রকৃত যোদ্ধা যে রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটে না, প্রয়োজনে প্রাণ দেয়, সে বিষয়েই মোহনলাল নবাবকে জানান এবং শহিদ হতেই যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে যান। 

প্রশ্ন: ‘ভীরু প্রতারকের দল চিরকালই পালায়’- এর তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের তৃতীয় অঙ্কের চতুর্থ দৃশ্যে নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার এ সংলাপে নবাবের কাছ থেকে সেনা সংগ্রহের জন্য টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রতারকদের উদ্দেশে এ কথা বলা হয়েছে। 
নবাব সিরাজউদ্‌দৌলা দেশের সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইংরেজ ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে গেলে অনেকেই তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেনা সংগ্রহের কথা বলে পালিয়ে যান। এদের মধ্যে সিরাজউদ্‌দৌলার শ্বশুর ইরিচ খাঁও ছিলেন। প্রসঙ্গত এসব শুনে নবাব জানান, সুযোগ-সন্ধানী, স্বার্থপর, কাপুরুষরা চিরকাল এভাবেই পালিয়েছে। কিন্তু তাই বলে দেশপ্রেমিকের রক্তদান বৃথা যায়নি। নবাব এরপরও সবাইকে শত্রুর মোকাবিলায় দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত হতে আহ্বান জানান। 

প্রশ্ন: ‘ফিরে এসেছি রাজধানীতে স্বাধীনতা বজায় রাখবার শেষ চেষ্টা করব বলে।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের তৃতীয় অঙ্কের চতুর্থ দৃশ্যে নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার এ সংলাপে পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়েও দেশের স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। 
নবাব সিরাজউদ্‌দৌলা পলাশীর যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় পরাজিত হয়ে রাজধানী মুর্শিদাবাদে ফিরে এসে দরবারে সমবেত জনতাকে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান করেন। নবাব জানান, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তার এ চলে আসা পলায়ন নয়; বরং পুনর্গঠিত হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা রক্ষার শেষ চেষ্টা করতেই তিনি এসেছেন। দেশপ্রেমিক সিরাজউদ্‌দৌলা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শেষবারের মতো দেশি-বিদেশি শত্রুর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ তার ডাকে সাড়া দেয়নি।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর