ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজকর্ম প্রথম পত্র

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: সমাজকর্ম প্রথম পত্র

প্রথম অধ্যায়
সমাজকর্ম: প্রকৃতি ও পরিধি

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১। ছকটি দেখে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।


(ক) সমাজকর্মের উদ্ভব ঘটে কোন দেশে?
(খ) সামগ্রিক কল্যাণ বলতে কী বোঝায়?
(গ) উদ্দীপকে সমাজকর্মের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। 
(ঘ) উদ্দীপকে সমাজকর্মের সকল বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় নাই। এ বিষয়ে মতামত দাও। 
উত্তর: (ক) সমাজকর্মের উদ্ভব ঘটে ইংল্যান্ডে। 
(খ) মানবজীবনের সব ক্ষেত্রে সুষম উন্নয়ন ছাড়া সামাজিক সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান নিশ্চিত করা যায় না। তাই সমাজকর্ম মানুষের আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানসিক, দৈহিক ও নৈতিক সব ক্ষেত্রের কল্যাণ সুনিশ্চিত করতে সদা তৎপর। সব ক্ষেত্রের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সমাজকর্ম যে বহুমুখী প্রক্রিয়া গ্রহণ করে, তাই সমাজকর্মের সামগ্রিক কল্যাণ হিসেবে খ্যাত। 
(গ) উদ্দীপকের ছকে সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন দিক প্রকাশ পেয়েছে। 
আধুনিক বিশ্বে সমাজকর্ম পেশাদার সমাজকর্ম হিসেবে সমাদৃত। জটিল সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট বহুমুখী সমস্যার সমাধানে সমাজকর্ম ব্যক্তিকে সাহায্য করে থাকে। তাই সমাজকর্ম সাহায্যকারী পেশা। আবার ব্যক্তি, দল বা সমষ্টিকে সমাজকর্ম সাহায্য করে তাদেরকে সক্ষম করে তোলার মাধ্যমে। সমাজকর্মের মূল বিষয় হলো ব্যক্তিকে সক্ষম করার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা। তাই সমাজকর্ম হলো সক্ষমকারী পেশা। সমাজকর্ম বৈজ্ঞানিক জ্ঞাননির্ভর একটি পেশা। যেখানে তিন ধরনের জ্ঞান বিদ্যমান। যথা-তত্ত্বীয় জ্ঞান, অনুকল্পনির্ভর জ্ঞান এবং অনুমাননির্ভর জ্ঞান। অধিকন্তু, সেবাকর্ম হিসেবে সমাজকর্মের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিচারে বিশ্ব এটি পেশাদার সেবাকর্মের মর্যাদা পেয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান, সুনিপুণ দক্ষতা, পেশাগত প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বিচারে সমাজকর্মের এই স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। 
সর্বোপরি দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকের ছকে যে চারটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, সবগুলোই সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্যের অন্তর্গত। 
সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। 
(ঘ) সমাজকর্মের মাত্র চারটি বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকের ছকে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই উদ্দীপকে সমাজকর্মের সব বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় নাই। 
সমাজকর্মের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন- সমাজকর্ম একটি কল্যাণধর্মী পেশা হিসেবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-লিঙ্গ নির্বিশেষ সব স্তরের মানুষের সামাজিক ভূমিকা পালনে তথা কল্যাণে কাজ করে, যা পেশাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সমাজকর্ম একটি মূল্যবোধ নির্দেশিত পেশা। পেশাগত অনুশীলনের ক্ষেত্রে একজন সমাজকর্ম তার নিজস্ব বিশ্বাস যেমন- ধর্মীয়, জাতিগত ও রাজনৈতিক পরিচয় বা অন্য যেকোনো ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে উঠে শুধু সমাজকর্মের স্বীকৃত মূল্যবোধের আলোকে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ বা সমাজকর্ম শিক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন। আবার সমাজকর্মী তার কাছে সাহায্য নিতে আসা সাহায্যার্থীর সাথে পেশাগত সম্পর্ক স্থাপন করেন, যা অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে বিরল। আবার সমাজকর্ম হচ্ছে সংযোগকারী কার্যক্রম, যার মাধ্যমে অসুবিধাগ্রস্ত ব্যক্তি ও দল তাদের প্রয়োজন পূরণে সমষ্টির সম্পদকে কাজে লাগাতে পারে। অন্যদিকে সমাজকর্মের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করে। ব্যক্তি, দল বা সমষ্টির সামঞ্জস্যপূর্ণ সুষম পরিবেশ বা অবস্থা সৃষ্টি করতে কাজ করে। এ ছাড়াও সমাজকর্মের বহু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যা উদ্দীপকের ছকে পূর্ণভাবে প্রকাশ পায়নি। 
২। উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
জনাব রফিকুল ইসলাম একজন পেশাদার কর্মী। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও মাঠপর্যায়ের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ পেশাদারত্ব গড়ে ওঠে। সামাজিক সমস্যা, সমাজ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন, সামাজিক দায়িত্ব, কর্তব্য সচেতনতা ইত্যাদি সৃষ্টিতে এ পেশার জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এ পেশা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। 
(ক) NASW-এর পূর্ণরূপ কী?
(খ) সমাজকর্ম প্রশাসন বলতে কী বোঝায়?
(গ) উদ্দীপকে কোন পেশা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রয়োজনীয়তা ছাড়া সমাজকর্ম শিক্ষার আরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে-
মতামত দাও। 
উত্তর: (ক) NASW -এর পূর্ণরূপ হলো National Association of Social Workers.
(খ) সামাজিক নীতিতে সমাজসেবায় রূপান্তরের একটি প্রক্রিয়ার নাম সমাজকর্ম প্রশাসন। যার মাধ্যমে অভিজ্ঞতার আলোকে সামাজিক নীতির মূল্যায়ন ও সংশোধন করা হয়। সামাজিক প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি সংগঠিত ও পরিচালিত করার মাধ্যমে যা সুসম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্মের জ্ঞান, মূল্যবোধ ও নীতির পূর্ণ গুরুত্ব দেওয়া হয়। 
(গ) উদ্দীপকে সমাজকর্ম পেশা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে। 
সমাজকর্ম হলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিনির্ভর এমন একটি সাহায্যকারী পেশা, যা সমাজে বসবাসরত ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির বিভিন্ন সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান ও উন্নয়নে সহায়তা করে। সমাজকর্মে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও মাঠকর্ম শিক্ষার সমন্বয়ে পেশাদারিত্ব সৃষ্টি হয়। সমাজকর্ম হলো সামাজিক সমস্যা সমাধানে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও পদ্ধতিনির্ভর সেবাকর্ম। তাই সমস্যা সমাধান করতে সমাজকর্মে সমাজের সাথে সম্পর্কিত সব কিছু যেমন- সমাজ কাঠামো, সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। এ ছাড়াও সামাজিক বিষয়াবলি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের ফলে সমাজকর্মে শিক্ষা অর্জন করলে ব্যক্তিকে সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতনতা সৃষ্টি হয়। 
তাই বলা যায়, সামাজিক সমস্যা, সমাজ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন, সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতনতা সৃষ্টি মূলত সমাজকর্ম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে। 
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রয়োজনীয়তা ছাড়া সমাজকর্ম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আরও বহু ক্ষেত্র রয়েছে। 
প্রথমত, আমাদের পার্থিব জীবনের অসীম চাহিদা মেটানোর জন্য সসীম সম্পদের সদ্ব্যবহার শিক্ষার জন্য সমাজকর্ম শিক্ষা গ্রহণ করা আবশ্যক। কেননা সামাজিক সমস্যার মৌলিক কারণ হলো অভাব তথা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে সম্পদের ঘাটতি। আর সমস্যার সমাধানে সমাজকর্মের উদ্ভব। 
দ্বিতীয়ত, সমাজকর্ম সমাজের দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষকে এমনভাবে সহায়তা করে যাতে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়। তাই আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে সমাজকর্মের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 
তৃতীয়ত, সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সমাজের সার্বিক কল্যাণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্ম সাম্য ও ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাই সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সমাজকর্মের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 
চতুর্থত, সমাজে বিদ্যমান নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা ও অবিশ্বাস পরিবর্তন করে সমাজকর্ম সমাজে সংস্কার ঘটায়। তাই সামাজিক সংস্কার আনয়নে সমাজকর্মের শিক্ষা প্রয়োজন। 
পঞ্চমত, সামাজিক সমস্যার সমাধান ও প্রতিরোধে সমাজকর্মের শিক্ষা প্রয়োজন। কেননা সমাজকর্ম সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং অবস্থার উন্নয়ন ঘটায়। 
ষষ্ঠত, আধুনিক জটিল সমাজব্যবস্থায় সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন আবশ্যকীয় বিষয়। আর এক্ষেত্রে সমাজকর্মের শিক্ষার কোনো ব্যতিক্রম হয় না। 
অতএব বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও সমাজকর্ম শিক্ষার বহু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র রয়েছে।

লেখক: প্রভাষক, সমাজকর্ম বিভাগ
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

জাহ্নবী

স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা
ফাইল ফটো

চলমান এইচএসসি ও সমমানের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ে তিনটি এবং আগস্টে একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

অমিয়/

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্থগিত করা ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চার দিনের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।’

আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত ১৮ জুলাই সকালে ছিল ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র এবং বিকেলে ছিল উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, আরবি প্রথম পত্র, পালি প্রথম পত্র পরীক্ষা। 

২১ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র, ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র।
 
২৩ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র। 

আর ২৫ জুলাই সকালে ছিল অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন এবং ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র।

আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অমিয়/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে, সেগুলোর এক রকম পরিস্থিতি। আবার অন্য যে জেলাগুলো আছে, সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। এসব আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদেরকে তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। তবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা। আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই-সেই করা হবে। তবে এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন, তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটাই অনুরোধ করব।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী আনিস আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃবিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বিষয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে, কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মাননীয় আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’

আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা করে, সংঘাত-সহিংসতা মুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়, এমন সব কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। সেসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। চলমান অবস্থা দীর্ঘায়িত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’