ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: বাংলা প্রথম পত্র

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর: বাংলা প্রথম পত্র

গল্প
মাসি-পিসি

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. কৈলাশ কী কারণে গোপন কথা আহ্লাদিকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে, তা ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: ‘মাসি-পিসি’ গল্পে স্বামী জগুর বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে কৈলাশ গোপন কথা আহ্লাদিকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছিল। জগু তার সঙ্গী কৈলাশকে মাসি-পিসির কাছে পাঠায়। সে বিভিন্নভাবে মাসি-পিসিকে বোঝাতে চেষ্টা করে যেন আহ্লাদিকে তারা স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। তা না হলে জগু এবার মামলা করবে বলে কৈলাশ জানিয়ে দেয়। এসব গোপন কথা সে জোরে জোরে বলে, যাতে আহ্লাদি তা শুনতে পায় এবং স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য মনস্থির করতে পারে। তাই বলা যায়, স্বামীর প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এবং ভয় দেখাতেই কৈলাশ গোপন কথা আহ্লাদিকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছিল।

প্রশ্ন-২. হাতে টাকা এলে কৈলাশের স্বভাব কীভাবে পাল্টায়, তা ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: হাতে টাকা এলে কৈলাশের স্বভাব পাল্টায়, কারণ সে মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন বাজে নেশায় যুক্ত। হাতে টাকা এলে কৈলাশ মদ পান করতে যায়। কৈলাশ শ্রমজীবী মানুষ। শ্রমের বিনিময়ে টাকা আয় করে। কখনো যদি হাতে দুটো বেশি টাকা আসে, তখন কৈলাশের মতিগতি ঠিক থাকে না। একজন শ্রমিক আয় বুঝে যেভাবে ব্যয় করে, কৈলাশ তখন সেটা ভুলে যায়। বাড়তি টাকার কোনো সদ্ব্যবহার না করে মদ পানের জন্য টাকা খরচ করে। গ্রাম্য ও বন্য স্বভাবের কারণে কৈলাশের বদনাম ছিল, সেটা মাসি-পিসি আগে থেকেই জানত বলে পিসি তাকে খোঁচা দেয়।

প্রশ্ন-৩. আহ্লাদিকে দেখে যে কারণে বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে তা ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: আহ্লাদিকে দেখে তার নিজের মেয়ের পরিণতির কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে। আহ্লাদির চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েটাকে রহমান বিয়ে দিয়েছিল। অবুঝ মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ার জন্য খুব কেঁদেছিল। কিন্তু তার ভালোর জন্যই তাকে জোর করে শ্বশুরবাড়ি পাঠায় রহমান। সেখানে গিয়ে অল্পদিন পরেই শ্বশুরবাড়ির লোকদের অত্যাচারে মেয়েটি মারা যায়। একই সমস্যার শিকার আহ্লাদিকে দেখে মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে। বিষয়টিতে অসহায় পিতার করুণ কান্না যেন গুমড়ে উঠেছে।

প্রশ্ন-৪. বুড়ো রহমান খড়ের আঁটি তুলে দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আহ্লাদির দিকে তাকায় যে কারণে, তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আহ্লাদির ফ্যাকাশে মুখে নিজের মেয়ের মুখের ছাপ দেখতে পায় বলে বুড়ো রহমান খড়ের আঁটি তুলে দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আহ্লাদির দিকে তাকায়। আহ্লাদির মতো বুড়ো রহমানের মেয়েও শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার। সেও শ্বশুরবাড়িতে ফেরত যেতে চায়নি, কিন্তু তাকে ফেরত পাঠানো হয় এবং শ্বশুরবাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। তাই রহমান যখন কৈলাশ ও মাসি-পিসির মধ্যে আহ্লাদির অত্যাচারী স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে কথোপকথন শোনে, তখন সে আহ্লাদির ফ্যাকাশে মুখে তার মেয়ের মুখের ছাপ দেখতে পায়। তাই বারবার সে আহ্লাদির দিকে তাকায় এবং তার নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে যায়। মৃত মেয়ের প্রতি মমত্ববোধ থেকেই রহমানের এমন অনুভূতি জাগ্রত হয়।

প্রশ্ন-৫. ‘সোয়ামি নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখা আইনে নেই’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মাসি-পিসিকে ভয় দেখিয়ে আহ্লাদিকে স্বামী জগুর কাছে পাঠানোর কৌশল হিসেবে কৈলাশ এ উক্তি করেছে। আহ্লাদি স্বামীর বাড়িতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হতো। স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যুর আশঙ্কায় মাসি-পিসি তাকে শ্বশুরবাড়ি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে স্বামী জগুর লোভ ছিল স্ত্রীর সম্পত্তির প্রতি। এ সম্পত্তির লোভে সে স্ত্রীকে ফিরে পেতে চায়। তাই সে কৈলাশকে দিয়ে মাসি-পিসিকে মামলার ভয় দেখায়। মামলা করলে মাসি-পিসির জেল হবে বলে কৈলাশ জানায়। পুরো বিষয়টি ছিল মাসি-পিসিকে ভয় দেখানোর জন্য।

প্রশ্ন-৬. মাসি-পিসি খালি ঘরে আহ্লাদিকে রেখে যেতে সাহস পায় না কেন?
উত্তর: আহ্লাদির নিরাপত্তার কথা ভেবে মাসি-পিসি খালি ঘরে তাকে রেখে যেতে সাহস পায় না। স্বামী জগুর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য আহ্লাদি বাবার বাড়ি চলে আসে এবং মাসি-পিসির কাছে আশ্রয় নেয়। কিন্তু এখানেও তার নিরাপত্তা ছিল না। গ্রামের জোতদার, দারোগা ও গুণ্ডা-বদমাশদের লালসার দৃষ্টি পড়ে তার ওপর। তাই মাসি ও পিসি আহ্লাদিকে ঘরে একা রেখে কোথাও যাওয়ার সাহস করে না। কোথাও যেতে হলে তারা আহ্লাদিকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। গ্রামে নারীর কোনো নিরাপত্তা ছিল না। গোকুল মাতব্বর যখন-তখন যেকোনো নারীর দিকে চোখ দিলে সে আর রক্ষা পেত না। তাই মাসি-পিসি আহ্লাদিকে সঙ্গে সঙ্গে রাখত। 

আরও পড়ুন:

মাসি পিসি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন-৭. ‘মরণ ঠেকাতেই ফুরিয়ে আসছে তাদের জীবনীশক্তি।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: এ উক্তিটিতে দুর্ভিক্ষের সময় মাসি-পিসির জীবন-সংগ্রামের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। ‘মাসি-পিসি’ গল্পে দুর্ভিক্ষের সময় খাদ্যের অভাব তীব্র হয়ে ওঠে। তার মধ্যে জগুর লাথির চোটে নির্যাতিত আহ্লাদি বাবার বাড়ি এসে হাজির হয়। খেয়ে না খেয়ে মাসি-পিসি আহ্লাদিকে সুস্থ করার চেষ্টা করে। কিন্তু আহ্লাদির অবস্থা আরও খারাপের দিকে যায়, কারণ কলেরায় তার বাবা-মা-ভাই মারা যায়। অন্যদিকে, চারপাশের মানুষ না খেয়ে মরতে শুরু করে। ফলে জীবন বাঁচাতে মাসি-পিসিকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। মাসি-পিসির মতো যারা সে যাত্রায় বেঁচে যায়, তাদের অবস্থা বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে। দুর্ভিক্ষের নিদারুণ করুণ পরিস্থিতি এখানে উপজীব্য হয়েছে।

প্রশ্ন-৮. মাসি-পিসির মধ্যকার বিরোধ দূর হয়েছিল কীভাবে, ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জীবন-সংগ্রামে একসঙ্গে রোজগার করতে গিয়ে মাসি-পিসির মধ্যকার সব বিরোধ দূর হয়েছিল। মাসি-পিসির মধ্যে আগেও সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু পিসির বাপের বাড়িতে মাসি আশ্রয় নেওয়ায় মাসির  প্রতি পিসির অবজ্ঞা ও অবহেলার ভাব ছিল। পিসি মাঝে মাঝে মাসিকে খোঁচা দিলে ঝগড়া বেঁধে যেত। দুর্ভিক্ষের পর গ্রামের শাকসবজি নিয়ে শহরে গিয়ে বেচে রোজগারের চেষ্টা শুরু করার পর থেকে তাদের দুজনের একমন একপ্রাণ হয়ে যায়। আর আহ্লাদির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর তাদের মধ্যকার বিরোধও উবে যায়। একদিকে দুর্ভিক্ষ এবং অন্যদিকে আহ্লাদির প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ায় মাসি-পিসি মধ্যকার সব বিরোধ দুর হয়ে যায়।

প্রশ্ন-৯. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে জগুর বৌ নিয়ে যাওয়ার জন্য এত আগ্রহের কারণ ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: আহ্লাদির বাপের জমিজমার লোভে জগু বউ নিয়ে যাওয়ার জন্য এত আগ্রহ দেখায়। দুর্ভিক্ষের সময় আহ্লাদির বাবা-মা ও ভাই মারা যায়। এতে বাপের ঘর-বাড়ি ও জমিজমার মালিক হয় আহ্লাদি। আহ্লাদিকে নিলে জগু তার জমিজমার মালিক হতে পারবে। আর এ লোভেই সে আহ্লাদিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে খুব আগ্রহী ছিল। শ্বশুরের সম্পত্তির প্রতি লোভ থেকেই জগু কৈলাশকে দিয়ে মাসি-পিসিকে জানায় সে এখন ভালো হয়ে গেছে এবং বৌ নিয়ে সংসার করতে চায়।

প্রশ্ন-১০. ‘মরবে তোমরা জানো মাসি, জানো পিসি, মারা পড়বে তোমরা একেবারে।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মাসি-পিসিকে মামলা ও জেলের ভয় দেখিয়ে আহ্লাদিকে স্বামী জগুর কাছে পাঠানোর কৌশল হিসেবে কৈলাশ উক্তিটি করেছে। স্বামীর বাড়িতে আহ্লাদির নির্যাতনের সীমা ছিল না। স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যুর আশঙ্কায় মাসি-পিসি তাকে শ্বশুরবাড়িতে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কলকে পোড়া ছ্যাঁকা, না খাইয়ে রাখায় আহ্লাদি মর-মর হয়ে বাবার বাড়ি ফেরে। স্বামী জগুর লোভ ছিল স্ত্রীর সম্পত্তির প্রতি। এ সম্পত্তির জন্য স্ত্রীকে ফিরে পেতে সে কৈলাশকে দিয়ে মাসি-পিসিকে মামলার ভয় দেখিয়েছে। মামলা করলে নাকি এবার মাসি-পিসি মারা পড়বে। এসব ভয় দেখিয়েও মাসি-পিসিকে দমিয়ে রাখা যায়নি। জগুর অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

লেখক: প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, 
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

জাহ্নবী

 

 

স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা
ফাইল ফটো

চলমান এইচএসসি ও সমমানের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ে তিনটি এবং আগস্টে একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

অমিয়/

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্থগিত করা ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চার দিনের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।’

আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত ১৮ জুলাই সকালে ছিল ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র এবং বিকেলে ছিল উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, আরবি প্রথম পত্র, পালি প্রথম পত্র পরীক্ষা। 

২১ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র, ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র।
 
২৩ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র। 

আর ২৫ জুলাই সকালে ছিল অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন এবং ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র।

আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অমিয়/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে, সেগুলোর এক রকম পরিস্থিতি। আবার অন্য যে জেলাগুলো আছে, সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। এসব আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদেরকে তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। তবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা। আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই-সেই করা হবে। তবে এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন, তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটাই অনুরোধ করব।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী আনিস আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃবিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বিষয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে, কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মাননীয় আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’

আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা করে, সংঘাত-সহিংসতা মুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়, এমন সব কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। সেসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। চলমান অবস্থা দীর্ঘায়িত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’